আন্তর্জাতিক
ইসরাইলি বর্বরতায় প্রতিদিন পা হারাচ্ছে ১০ শিশু
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/children-.jpg)
দখলদার ইসরাইলের বর্বর হামলায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দৈনিক ১০জন শিশু তাদের একটি অথবা দুটি পা হারাচ্ছে বলে লোমহর্ষক তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু বিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)। এছাড়াও অসংখ্য শিশু তাদের হাত অথবা বাহু হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করছে।
সংস্থাটির প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরে বলেন, গাজায় দৈনিক ১০জন শিশু গড়ে একটি পা বা দুটি পা হারাচ্ছে। প্রতিদিন ১০ মানে, এই নৃশংস যুদ্ধের ২৬০ দিনেরও বেশি সময়ে প্রায় দুই হাজার শিশু তাদের পা হারিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই হিসাবের মধ্যে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের দেয়া তথ্য যোগ করা হয়নি।
ইউনিসেফের তথ্যে বলা হয়েছে, ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজার অসংখ্য শিশু তাদের হাত অথবা বাহু হারিয়ে এরইমধ্যে পঙ্গুত্ববরণ করছে।
পঙ্গুত্ব বরণ করা এসব শিশুকে রোজই ভয়ানক সব পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে উল্লেখ করে লাজ্জারিনি জানান, গাজার শিশুদের উচ্চ মূল্য দিতে হচ্ছে। ওষুধ সংকটের কারণে অনেক সময় অ্যানেস্থেসিয়া (সংবেদনহীন ওষুধ) ছাড়াই এসব শিশুর শরীরে অস্ত্রোপচার করতে হচ্ছে।
এদিকে শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের বরাতে নিউ আরব নিউজ বলছে, গাজার যুদ্ধের বিশৃঙ্খলায় ২১ হাজারের বেশি শিশু এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
আন্তর্জাতিক
ইসরাইলি কারাগার থেকে ছাড়া পেলেন ৫৫ ফিলিস্তিনি
ইসরাইলের কারাগার থেকে গাজা প্রধান হাসপাতালের পরিচালকসহ ৫৫ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন সময় তাদের গাজা থেকে আটক করেছিল ইসরাইলি সেনারা। খবর আরব নিউজের।
গেলো নভেম্বরে ইসরাইলি বাহিনী আলশিফা হাসপাতালে হামলা করে। তখন হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সেলমিয়াকে আটক করা হয়।
সেসময় ইসরাইল দাবি করেছিল, এই হাসপাতালকে সামরিক উদ্দেশে ব্যবহার করেছে হামাস।
দক্ষিণ গাজার নাসের হাসপাতালের পরিচালক নাহেদ আবু তাইমা বলেছেন, আবু সেলমিয়াসহ ৫৫ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে সোমবার ইসরাইলের কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন ছাড়া বাকি সবাইকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নাসের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর অন্য পাঁচজনকে দেইর আল-বালাহের আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক
বিদেশি শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিলো অস্ট্রেলিয়া
বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসার আবেদন ফি দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধি করেছে অস্ট্রেলিয়া। সোমবার (১ জুলাই) থেকে নতুন এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে। খবর রয়টার্স
গেলো কয়েক বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ায় রেকর্ড হারে অভিবাসীর সংখ্যা বেড়েছে। এই অভিবাসনে লাগাম টানতে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে দেশটির সরকার। সর্বশেষ আজ ভিসার আবেদন ফি বাড়ানোর মতো কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হলো।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করতে গেলে ভিসার আবেদন ফি বাবাদ এক হাজার ৬০০ অস্ট্রেলীয় ডলার ব্যয় করতে হবে। যদিও এত দিন এই ফির পরিমাণ ৭১০ অস্ট্রেলীয় ডলার ছিল। এ ছাড়া ভিজিটর ভিসাধারী এবং অস্থায়ী স্নাতক ভিসাধারী শিক্ষার্থীদের অনশোর আবেদন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নতুন করে ভিসার আবেদন ফি বাড়ানোর ফলে এখন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার চেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের বেশি পয়সা গুণতে হবে। বর্তমানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসার আবেদন ফি যুক্তরাষ্ট্রে ১৮৫ মার্কিন ডলার এবং ১১০ মার্কিন ডলার খরচ হয়।
আন্তর্জাতিক
ফ্রান্সের নির্বাচনে কে কত ভোট পেল?
ফ্রান্সে পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (১ জুলাই) ভোটের ফলাফল ঘোষণা করে ফরাসি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। খবর- রয়টার্স
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ধাপের নির্বাচনে দেশটির অতি কট্টর ডানপন্থী দল ন্যাশনাল র্যালি (আরএন) সবচেয়ে বেশি ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
অন্যদিকে বামপন্থী নিউ পপুলার ফ্রন্ট ২৮ শতাংশ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। আর প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থী জোট এনসেম্বল অ্যালায়েন্স সর্বনিম্ন ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
গেলো রোববার (৩০ জুন) ফ্রান্সে পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ হয়। এবারের ভোটে আরএন বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে থাকবে এবং ম্যাক্রোঁর জোটের পরাজয় হবে, এমনটা আগেই বলা হয়েছে। ভোটের পরপর বুথফেরত জরিপেও একই তথ্য উঠে আসে।
ন্যাশনাল র্যালি অভিবাসনবিরোধী ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমালোচনাকারী হিসেবে বেশ পরিচিত। দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন মেরিন লে পেনের শিষ্য ২৮ বছর বয়সী জর্দান বারদেলা। ফ্রান্সের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসতে চলেছে দলটি।
ভোটের পরপর উদযাপনরত সমর্থকদের উদ্দেশে মেরিন লে পেন বলেন, অবমাননাকর ও বিনাশকারী শক্তিকে বদলে দিতে নিজেদের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন ফরাসি জনগণ।
তবে ফ্রান্সের রাজনৈতিক ব্যবস্থা বেশ জটিল। ফ্রান্সের পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ৫৭৭ আসনের মধ্যে ২৮৯ আসন প্রয়োজন। প্রথম ধাপে ন্যাশনাল র্যালি সরকার গঠনে এগিয়ে থাকলেও কে শেষ হাসি হাসে, তা জানতে ৭ জুলাই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এদিন দ্বিতীয় দফার ভোট হবে। তখনই চূড়ান্ত ফল জানা যাবে।
-
পর্যটন3 days ago
যে কারণে কক্সবাজারে বন্ধ প্যারাসেইলিং
-
ইসলাম3 days ago
পা ছুঁয়ে সালাম করা কি ইসলামে জায়েজ?
-
বলিউড2 days ago
লন্ডনে অমিতাভের নাতির সঙ্গে শাহরুখ কন্যার অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ভাইরাল!
-
অপরাধ3 days ago
যৌতুকলোভী প্রেমিকের কাছে হেরে জীবন বিসর্জন দিলেন প্রেমিকা
-
আবহাওয়া5 days ago
শুক্রবার থেকে টানা ৬ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
-
টুকিটাকি4 days ago
লটারিতে ৩৭ কোটি টাকা পেয়ে হার্ট অ্যাটাক, অতপর…
-
রংপুর4 days ago
চলন্ত ট্রেনের ছাদে সাপ, আতঙ্কে যাত্রীরা
-
জাতীয়4 days ago
আনলকড দরজা, ছুটতে ছুটতে আবার রানওয়েতেই ফিরলো বিমান!