Connect with us

ঢাকা

এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

Published

on

পরীক্ষা

রাজধানী ঢাকার পূর্ব রামপুরার বাসা থেকে নুরজাহান হেনা (২১) নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৩০ জুন) থেকে সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

নুরজাহান হেনা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থানার বায়েক পাড়া গ্রামের হেবজু মিয়ার মেয়ে। স্বামীর সঙ্গে পূর্ব রামপুরার বাসায় ভাড়া থাকতেন তিনি।

শনিবার (২৯ জুন) রাত পৌনে ১১টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামপুরা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. হাবিজ উদ্দিন।

তিনি জানান, গতকাল শনিবার রাতের দিকে খবর পেয়ে ৮৮নং পূর্ব রামপুরা হাইস্কুল গলির বাসা থেকে নুরজাহান হেনা নামের ওই নারীকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখি। সেখান থেকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

Advertisement

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পারি রামপুরা ওই বাসায় স্বামী জাহাঙ্গীর আলম শাওনের সঙ্গে থাকতেন হেনা। তার স্বামী একটি ফার্মেসিতে চাকরি করেন। কাজ শেষে গত রাতে বাসায় খেতে আসেন শাওন। বাসায় এসে দেখেন, স্ত্রী হেনা সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছিলেন। পরে থানায় খবর দেন তিনি।

এসআই হাবিজ উদ্দিন আরও জানান, দেড় বছর আগে বিয়ে হয় শাওন ও হেনার। বিয়ের পর থেকে পূর্ব রামপুরা হাইস্কুল গলির ওই বাসার নিচতলায় ভাড়া থাকতেন তারা। হেনার বাবা হেবজু মিয়া রামপুরা এলাকাতেই থাকেন। হেনার মধ্য বাড্ডার একটি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। সেজন্য তার বাবার কাছ থেকে ফরম পূরণের কথা বলে টাকাও নিয়েছিলেন। তবে সেটি তিনি করেননি। ধারণা করা হচ্ছে, রোববার হতে চলা এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না ভেবে হেনা আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।

তিনি জানান, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে হেনার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

কেএস/

Advertisement

ঢাকা

কলেজ ছাত্র হত্যা মামলায় চেয়ারম্যান কারাগারে

Published

on

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় কলেজ ছাত্র হত্যা মামলায় নারান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মুসলেহ উদ্দিনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। হাইকোর্টের দেয়া ৬ সপ্তাহের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে আজ কিশোরগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত এর রায় দেন।

সোমবার (১ জুলাই) কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।

জানা যায়, গেলো ২৫ এপ্রিল রাতে নারান্দি ইউনিয়নের পোড়াবাড়িয়া গ্রামের বৈশাখী মেলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের গান বন্ধ হয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। এক পযার্য়ে কুষাকান্দা গ্রামের  আবুল হোসেনের ছেলে কিশোরগঞ্জ সরকারী গুরুদয়াল কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শরীফ উদ্দিন (২৩) নিহত হন।

এ ঘটনায় মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান মুসলেহ উদ্দিনকে প্রধান আসামী করে ২৭ এপ্রিল ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০-৩০জনকে আসামী করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা করেন নিহতের বাবা আবুল হোসেন।

পরে রাজন মিয়া, সোহেল মিয়া, মাহমুদুল হাসান রাজন ও দেলোয়ার হোসেন শাহীনসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও চেয়ারম্যান মুসলেহ উদ্দিন হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নিয়েছিলেন।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

দুই বোন একসঙ্গে নিখোঁজ, থানায় জিডি

Published

on

নারায়নগঞ্জের বন্দরে একসঙ্গে নিখোঁজ হয়েছে দুই বোন। রোববার (৩০ জুন) বন্দর থানায় পৃথক দুইটি জিডি হয়েছে।

এর আগে, শনিবার (২৯ জুন)  বিকেল ৪টায় বন্দর থানার পুরান বন্দর চৌধুরী বাড়ী (হাবিব নগর) এলাকা থেকে গৃহবধূ সাথী আক্তার (১৮) ও তার ছোট বোন মীম (১১) নামে এক কিশোরী টেইলার্সে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে রোববার দুপুরে নিখোঁজ গৃহবধূর স্বামী ও নিখোঁজ কিশোরী পিতা বাদী হয়ে বন্দর থানায় পৃথক ২টি নিখোঁজ জিডি এন্ট্রি করে। যার জিডি নং- ১৩ ৭৩ ও অপর জিডি নং- ১৩৭৪।

থানা সূত্রে জানা গেছে, গেলো শনিবার বিকেল ৪টায় পুরান বন্দর চৌধুরী বাড়ি (হাবিব নগর) এলাকার শাওন মিয়ার স্ত্রী সাথী আক্তার ও তার ছোট বোন মীম ট্রেইলার্স যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ গৃহবধূ সাথী আক্তার ও মীম উল্লেখিত এলাকার দেলোয়ার হোসেন কাজী মেয়ে। অনেক স্থানে খোজাখুজি করে নিখোঁজ দুই বোনের কোনো হদিস না পেয়ে এ ব্যাপারে বন্দর থানায় পৃথক দুইটি নিখোঁজ জিডি এন্ট্রি করা হয়।

এদিকে পুলিশ জিডি পেয়ে নিখোঁজ দুই বোনকে খুঁজে পাওয়ার জন্য উদ্ধার অভিযান অব্যহত রেখেছে।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

এইচএস‌সি পরীক্ষা দি‌তে পারেনি ২২ পরীক্ষার্থী, শিক্ষ‌কের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

Published

on

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ক‌লেজ কর্তৃপ‌ক্ষের অব‌হেলা ও এক শিক্ষ‌কের প্রতারণার কার‌ণে এইচএস‌সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ কর‌তে পা‌রে‌নি ২২ পরীক্ষার্থী। এতে পু‌লি‌শের সঙ্গে পরীক্ষার্থী‌দের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া শুরু হয়। প‌রে অতি‌রিক্ত পু‌লিশ ঘটনাস্থ‌লে গি‌য়ে প‌রি‌স্থি‌তি নিয়ন্ত্রণে আনে। ত‌বে শিক্ষার্থী‌দের অভিযোগ, বিনা কার‌ণে পু‌লিশের সদস্যরা পরীক্ষার্থীদের মার‌পিট করে‌ছে।

রোববার (৩০জুন) সকা‌লে পরীক্ষা শুরুর আগে নিকরাইল শমশের ফকির ডিগ্রি কলেজের ২২ পরীক্ষার্থী বিক্ষুব্ধ হ‌য়ে নিকরাইলের পল‌শিয়া রানী দীনম‌নি উচ্চ বিদ্যাল‌য়ে কে‌ন্দ্রে গি‌য়ে আন্দোলন শুরু ও ভাঙচুর কর‌তে থা‌কে।

জানা গে‌ছে, উপ‌জেলার নিকরাইল শম‌সের ফ‌কির ডিগ্রি ক‌লে‌জ কর্তৃপক্ষ এইচএস‌সি পরীক্ষার জন্য নির্ধা‌রিত টাকার চে‌য়ে বাড়‌তি টাকা দাবি ক‌রে। এতে অনেক শিক্ষার্থী বাড়‌তি টাকা দি‌তে অস্বীকার ক‌রে। প‌রে ওই ক‌লে‌জের বাংলা বিভা‌গের প্রভাষক লোকমান হো‌সেন এ সু‌যো‌গে ২২জন পরীক্ষার্থীর কাছ থে‌কে ৩ হাজার টাকা নেন ফরম পূরণের জন্য। কিন্তু পরব‌র্তিতে ওই শিক্ষার্থী‌দের বোর্ড থে‌কে কোনো রে‌জি‌স্ট্রেশ‌ন কার্ড বা প্রবেশপত্র দেয়া হয়‌নি শিক্ষার্থী‌দের।

পরীক্ষার্থীরা গণমাধ্যমে জানায়, কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবিকৃত ৮ হাজার টাকা দি‌তে না পারায় ফরম পূরণ ক‌রে‌নি। প‌রে ক‌লে‌জের বাংলা প্রভাষক লোকমানের মাধ্যমে ফরম পূরণ করে জালিয়াতির শিকার হ‌য়ে‌ছি। টাকা দি‌য়েও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ কর‌তে পারলাম না। আমা‌দের ভ‌বিষ্যৎ নষ্ট হ‌য়ে যা‌বে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষ‌কের প্রতারণার কার‌ণে। আমরা যেভাবে হোক পরীক্ষা দি‌তে চাই।

শম‌সের ফ‌কির ডিগ্রি ক‌লে‌জের বাংলা‌ বিভা‌গের প্রভাষক লোকমান হো‌সেন গণমাধ্যমে ব‌লেন, ওই ২২ শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ হ‌য়ে‌ছে। সব প্রমাণপত্র আমার কা‌ছে র‌য়ে‌ছে। কিন্তু গতকাল রা‌তে ক‌লে‌জের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বো‌র্ডে ফোন ক‌রে ২২জন পরীক্ষার্থীর ফরম বা‌তিল ক‌রেছেন।

Advertisement

ত‌বে শম‌সের ফ‌কির ডিগ্রি ক‌লে‌জের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আক্তারুজাজামান গণমাধ্যমে জানান, পরীক্ষার্থীরা ক‌লে‌জে‌ কোনো যোগাযোগ করেনি। অনেক শিক্ষার্থী‌কে বিনামূ‌ল্যে ফরম পূরণ করা হ‌য়ে‌ছে। বাড়‌তি ফি নেয়া হয়‌নি। শিক্ষার্থী‌দের অভিযোগ সত্য না।

ভুঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) আহসান উল্লাহ  জানান, পরীক্ষা দি‌তে না পারা শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হ‌য়ে কে‌ন্দ্রে আন্দোলন ক‌রে। ‌প‌রে কেন্দ্র অ‌তি‌রিক্ত পু‌লিশ মোতা‌য়েন ক‌রে প‌রি‌স্থি‌তি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version