Connect with us

আন্তর্জাতিক

নির্বাচন থেকে বাইডেনকে সরে যাওয়ার আহ্বান

Published

on

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

আসন্ন নির্বাচনী দৌড় থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস সম্পাদকীয় বোর্ড। চলতি বছরের নভেম্বর মাসে দেশটিতে অনুষ্ঠিত হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।

রোববার (৩০ জুন) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আনাদোলু’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ৫ নভেম্বরের নির্বাচন সামনে রেখে চার বছরের মধ্যে গেলো সপ্তাহে প্রথমবারের মতো একে অন্যের মুখোমুখি হন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাইডেন-ট্রাম্পের প্রথম সেই বিতর্কে ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্টের পারফরম্যান্সের পরে তার স্বাস্থ্যের বিষয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়।

আর সেই উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে নিউইয়র্ক টাইমস সম্পাদকীয় বোর্ড প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে আসন্ন প্রেসিন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে। জো বাইডেনের বর্তমান বয়স ৮২ বছর এবং আসন্ন নির্বাচনে জয়ী হলে তিনি যখন দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ করবেন তখন তার বয়স হবে ৮৬ বছর। তিনি হবেন সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট।

‘দেশের সেবা করার জন্য, প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে নির্বাচনের দৌড় থেকে সরে আসা উচিত’ শিরোনামে এক সম্পাদকীয়তে নিউইয়র্ক টাইমস সম্পাদকীয় বোর্ড যুক্তি দিয়ে বলেছে, আমেরিকান জনসাধারণকে আরেক মেয়াদের দাবি পূরণের ক্ষমতা সম্পর্কে আশ্বস্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন জো বাইডেন।

Advertisement

নিবন্ধে বলা হয়েছে, ‘তবে (বিতর্কে) যা সরলভাবে দেখা গেছে তা ভোটাররা উপেক্ষা করবে বলে আশা করা যায় না: জো বাইডেন আর চার বছর আগের মতো সেই ব্যক্তি নন।’

সম্পাদকীয়টিতে বাইডেনকে তার দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য পরিকল্পনা প্রকাশ করতে এবং রিপাবলিকান প্রতিপক্ষ ডোনাল্ড ট্রাম্পের উস্কানি মোকাবিলায় বিতর্কের সময় বাইডেনের সংগ্রামকেও উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে সেই ধরনের ডেমোক্র্যাটিক নেতাদের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে যারা ট্রাম্পের আরও শক্তিশালী বিকল্প হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করতে পারবেন। একইসঙ্গে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে পুনরায় নির্বাচন না করার বিষয়ে ঘোষণা দিতেও সম্পাদকীয়তে অনুরোধ করা হয়েছে।

অবশ্য বাইডেনকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানানো সত্ত্বেও আগামী নভেম্বরে শেষ পর্যন্ত বাইডেন এবং ট্রাম্পের মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলে তাকেই সমর্থন করার অভিপ্রায় প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস সম্পাদকীয় বোর্ড।

জো বাইডেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবার সিএনএন-এ তাদের প্রথম লাইভ বিতর্কে মুখোমুখি হন। বিতর্কে বাইডেনের পারফরম্যান্স দ্বিতীয় মেয়াদে তার বয়স এবং ফিটনেস সম্পর্কিত উদ্বেগ দূর করতে ব্যর্থ হয়েছে, এই কারণে তার এই বিতর্ক পরবর্তীতে ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে।

Advertisement

বিতর্কে বাইডেনকে তার বয়স সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়, তিনি যখন দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ করবেন তখন তার বয়স হবে ৮৬ বছর। তিনি হবেন সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট বাইডেন জবাবে বলেন, একসময় তিনি সবচেয়ে কমবয়সী আইনপ্রণেতা বলে সমালোচনার শিকার হতেন এবং ট্রাম্প তার চেয়ে ‘তিন বছরের ছোট এবং অনেকটাই কম যোগ্য’।

বাইডেন আরও বলেন, ‘রেকর্ড দেখুন। দেখুন তিনি (ট্রাম্প) যে ভয়ানক পরিস্থিতি রেখে গিয়েছিলেন সেখান থেকে কীভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি।’

 

এসি//

Advertisement

আন্তর্জাতিক

ইমরান খানের ‘আটক’ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন: জাতিসংঘ

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ‘স্বৈরাচারীভাবে কারাবন্দি’ করা হয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এমন মন্তব্য করেছে জাতিসংঘের একটি মানবাধিকার সংস্থা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এর আগে গেলো সোমবার (১ জুলাই) প্রকাশিত এক মতামতে ইউএন ওয়ার্কিং গ্রুপ অন অরবিট্রারি ডিটেনশন বলেছে, এই ঘটনার ‘উপযুক্ত প্রতিকার হবে ইমরান খানকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়া এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ক্ষতিপূরণের কার্যকর অধিকার প্রদান করা’।

জেনেভা-ভিত্তিক সংস্থাটি জানায়, তারা উপসংহারে পৌঁছেছে যে, ইমরান খানকে আটকের কোনো আইনি ভিত্তি ছিল না। রাজনৈতিক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে তাকে অযোগ্য ঘোষণার উদ্দেশ্যে এই কাজ করা হয়েছিল। সুতরাং, শুরু থেকেই সেই প্রসিকিউশনের কোনো আইনি ভিত্তিতে ছিল না।

জাতিসংঘ ওয়ার্কিং গ্রুপটির এই মতামত গেলো ২৫ মার্চের হলেও তা কেবল গেলো সোমবার প্রকাশ করা হয়। পাঁচজন স্বাধীন বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে গঠিত এই গ্রুপের মতামত বাধ্যতামূলক না হলেও এর সুনামগত গুরুত্ব রয়েছে।

Advertisement

মতামতে বলা হয়, ইমরান খানের আইনি সমস্যাগুলো তার এবং তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) বিরুদ্ধে ‘বৃহত্তর দমন অভিযানের’ অংশ।

এতে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে ইমরানের দলের সদস্যদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়েছিল এবং তাদের সমাবেশে বাধা দেয়া হয়েছিল। নির্বাচনে ‘ব্যাপক জালিয়াতি, কয়েক ডজন সংসদীয় আসন চুরি’ হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছে জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ।

এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি পাকিস্তান সরকার। দেশটির নির্বাচন কমিশন অবশ্য গেলো ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

 

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

কেনিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ, নিহত ৩৯

Published

on

সরকারের করনীতির প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন শুরু হয়েছে পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায়। রাজধানী নাইরোবিতে গেলো এক সপ্তাহে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ৩৯ জন, আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩৬১ জন।

এছাড়া এখনও নিখোঁজ আছেন কমপক্ষে ৩২ জন এবং গেলো মঙ্গলবার থেকে এ পর্যন্ত আন্দোলন ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬২৭ জনকে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) কেনিয়ার মানবাধিকার সংস্থা দ্য কেনিয়া ন্যাশনাল কমিশন অন হিউম্যান রাইটস (কেএনসিএইচআর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে এ তথ্য নিশ্চত করে বলেছে, দেশটির তরুণ প্রজন্ম আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

গেলো মঙ্গলবার প্রায় সব ধরনের পণ্যের ওপর কর বৃদ্ধিসংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাস হয় কেনিয়ার পার্লামেন্টে। প্রস্তাবটি পাসের সঙ্গে সঙ্গেই পার্লামেন্ট চত্বরসহ পুরো নাইরোবিতে শুরু হয় বিক্ষোভ। আন্দোলনকারীরা পার্লামেন্ট চত্বরের একটি পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেন, বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে গুলি শুরু করে পুলিশ।

আন্দোলনকারীদের প্রধান দাবি প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর পদত্যাগ, যিনি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতাসীন হয়েছেন। সেই নির্বাচনের পর থেকেই কেনিয়ায় দিন দিন রাজনৈতিক বিভক্তি তীব্র হয়ে উঠেছে।

Advertisement

রোববার (৩০ জুন) কেনিয়ার সরকারি টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে উইলিয়াম রুটো বলেছেন, আন্দোলনে এ পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। তবে তাদের মৃত্যুর জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়ী নয়, নিজেদের মধ্যে সংঘাত ও বিশৃঙ্খলার কারণে নিহত হয়েছেন তারা।

ভাষণে রুটো আরও বলেছেন, আপাতত নিকট ভবিষ্যতে পদত্যাগ করার কোনো প্রকার ইচ্ছা বা পরিকল্পনা তার নেই।

কেএনসিএইচআর জানিয়েছে, রোববারের ভাষণ সম্প্রচারের পর থেকে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বিক্ষোভকারীরা। তারা এখন ভাঙচুরের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি ভবনে অগ্নিসংযোগও শুরু করেছেন।

সেই সঙ্গে দেশজুড়ে আন্দোলন ছড়িয়ে দেয়ার ডাকও দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। কেনিয়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ভরে উঠেছে ‘সব জায়গা দখল করো’, ‘রুটোর বিদায় চাই’, ‘বাজেট দুর্নীতিবাজদের বাতিল করো’ প্রভৃতি হ্যাশট্যাগে।

আফ্রিকা মহাদেশের হাতে গোণা যে কয়েকটি দেশ রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল, সেসবের মধ্যে কেনিয়া ছিল অগ্রসারিতে; কিন্তু সরকারবিরোধী আন্দোলন ও তার তীব্রতা সেই স্থিতিশীলতাকে অনেকখানি নড়বড়ে করে দিয়েছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকরা।

Advertisement

 

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

তুরস্কে বিস্ফোরণে নিহত ৫, আহত ৬৩

Published

on

এপি

তুরস্কের একটি রেস্টুরেন্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৬৩ জন। রোববার (৩০ জুন) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে ইজমির শহরে এ ঘটনা ঘটে। খবর- এপি

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া জানিয়েছেন ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দলকে পাঠানো হয়েছে। রান্নার গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করছেন তুরস্কের সরকারি কর্মকর্তারা।

ইজমিরের গভর্নর সুলেমান এলবান আহতদের দেখতে হাসপাতলে দেখতে যান।  ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আহতদের মধ্যে ৪০ জন জন চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। পুরাতন একটি প্রোপেন ট্যাংক পরিবর্তন করে নতুন আরেকটি প্রোপেন ট্যাংক বসিয়েছিলো ওই ব্যক্তি।

বিস্ফোরণে একটি বাড়ি আংশিকভাবে ভেঙে পড়েছে। এতে ব্যাপক হতাহত হয়। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version