অপরাধ
হলি আর্টিজানে হামলার ৮ বছর আজ, হাইকোর্টের রায় প্রকাশের অপেক্ষা
দেশের ইতিহাসে অন্যতম নৃশংস ঘটনা হলো হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলা। হলি আর্টিজান বেকারিতে নৃশংস জঙ্গি হামলার ৮ বছর আজ।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির (আত্মঘাতী) সদস্যরা। তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। পরে কমান্ডো অভিযানে নিহত হন পাঁচ জঙ্গি।
গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গেলো বছরের ৩০ অক্টোবর ৭ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। তবে এই মামলায় হাইকোর্টের রায় এখনও প্রকাশ হয়নি। রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলছেন- পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর, ফাঁসির দণ্ড থেকে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
দেশে এখন পর্যন্ত যত জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোতে মূলত চারটি সংগঠনের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে তিনটি সংগঠন একেবারেই দুর্বল হয়ে পড়েছে। কারও কারও নামমাত্র কার্যক্রম রয়েছে। তবে এখনো তৎপর আছে আনসার আল–ইসলাম বাংলাদেশ।
২০১৬ সালের ১ জুলাই। রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা স্তম্ভিত করেছিল গোটা দেশকে। সুনাম ক্ষুণ্ন হয় বহির্বিশ্বেও। সেনা অভিযানে নিহত হয় হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী তামিম চৌধুরীসহ আট জঙ্গি। কারাগারে আছে আরও ৮ জন।
২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর, ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ৭ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড ও ১ জনকে খালাস দেন। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা। গেলো বছর অক্টোবরে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষে বিচারপতি সহিদুল করিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ ৭ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। কিন্তু এখনও প্রকাশ হয়নি সেই পূর্ণাঙ্গ রায়।
আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র্যাশ, আব্দুস সবুর খান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাদিসুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশিদ।
রায়ে আদালত বলেছেন, আসামিরা স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত কারাগারেই থাকবেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, সম্পূর্ণ নিরীহ কতগুলো মানুষকে তারা ধর্মের নাম ও উগ্রবাদীতার নামে হত্যা করেছে। এখন যাদের আদেশগুলো হয়েছে তারা কিন্তু পেছনে ছিল, তারাই কিন্তু ওদের মদদ দিয়েছে অস্ত্র দিয়ে, পয়সা দিয়ে। মূল পরিকল্পনার অনেকাংশে ওরা ছিল। যার ফলে ওদের প্রতি বিন্দুমাত্র অনুকম্পা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই বলে আমি মনে করি।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, পুরো রায় পাওয়ার পর আমরা রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব, যোগাযোগ করব। ওনাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। কিন্তু এখন আমরা রায় পুরোটা পাইনি, সেটা পাওয়ার পর আমরা কি করব সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।
জেএইচ
অপরাধ
মেয়ের পরিকল্পনায় খুন হন সাবেক এমপির স্ত্রী: পিবিআই
পরকীয়া ও সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে নিজ মেয়ের পরিকল্পনায় সাভারের সাবেক এমপি শামসুদ্দোহা খানের স্ত্রী সেলিমা খান মজলিস খুন হন। বলেছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন: ইলেকট্রিশিয়ান সুবল কুমার রায় (৫০), নিহতের নিজ মেয়ে শামীমা খান মজলিস ওরফে পপি (৫৭) এবং গৃহকর্মী আরতি সরকার (৬০)। গেলো ৪ জুন সাভারের ভাগলপুর এবং পাকিজা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের ১৩ বছর পর তিনজনকে গ্রেপ্তার করলে তাদের থেকে হত্যাকাণ্ডের চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পারে পিবিআই-এর ঢাকা জেলা ইউনিট।
পিবিআই প্রধান জানান, হত্যাকারী সুবলের সঙ্গে মেয়ে শামীমার প্রেমের সম্পর্কে বাধা দেয়ায় খুন হন সেলিনা খান মজলিস। হত্যার পর আত্মহত্যা হিসেবে প্রচারের চেষ্টা করেছিলেন আসামিরা।
সংবাদ সম্মেলনে বনজ কুমার জানান, সাভারের বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মরহুম শামসুদ্দোহা খানের স্ত্রী ছিলেন সেলিমা খান মজলিশ। তিনি তার স্বামীর দুই তলার বাড়ির নিচতলার পশ্চিম পার্শ্বের ফ্ল্যাটে বড় মেয়ে শামীমা খান মজলিশ ওরফে পপি (৫৭), মেয়ে তিলোত্তমা ও মেয়ের জামাই আবুল কালাম আজাদ এবং পূর্ব পার্শ্বের ফ্ল্যাটে সেজ মেয়ে সেলিনা খান মজলিশ ওরফে শিল্পী (৩৮) এবং তার একমাত্র ছেলে প্লাবনকে (১২) নিয়ে বসবাস করতেন।
২০১১ সালের ১৪ জুন ভোর সাড়ে ছয়টা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে সেলিমা খানকে গলা ও পেটকাটা অবস্থায় উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারদিন পর ১৮ জুন তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. শাফিউর রহমান খান ওরফে শাফি বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলার পর নিহতের নাতনি জামাই আবুল কালাম আজাদ ও গৃহকর্মী স্বরসতীর স্বামী শ্রী হরিপদ সরকারকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে থানা পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটির তদন্তভার সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সিআইডি ৪ বছর ৩ মাস ২৪ দিন তদন্ত করে। তদন্তকালে সিআইডি হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে মো. আবু সুফিয়ান ওরফে রানা (৩২) নামে আরেজনকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু মামলার তদন্তে তাদের সম্পৃক্ততা না মেলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন থেকে তাদের নাম বাদ দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ।
এরপর ২০১৫ সালের অক্টোবরে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। পরবর্তীতে আদালত মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেয়। মামলাটির তদন্ত করেন উপপরিদর্শক (এসআই) সালেহ ইমরান। পরে গেলো ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান এসআই ইমরান আহমেদ।
দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে মামলাটির তদন্ত হলেও মূল আসামি ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আগের তদন্তকারীরা। কিন্তু পিবিআই এর এসআই ইমরান আহমেদ গেলো ৩০ মে সুবল কুমার রায়কে গ্রেপ্তার করলে হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য বেরিয়ে আসতে শুরু করে। সুবলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিহতের মেয়ে পপি ও আরতী সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কারণ হিসেবে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার জানান, গ্রেপ্তারকৃত সুবল কুমার রায় এবং নিহতের বড় মেয়ে শামীমা তাহের পপির মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। এছাড়াও পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ এবং রাজনৈতিক বিরোধের জেরে তাকে হত্যা করা হয়।
যেভাবে হত্যা করা হয় সেলিমা খানকে
পিবিআই প্রধান জানান, হত্যাকাণ্ডটি মূলত সংঘটিত হয় নিহতের বড় মেয়ে পপির পরিকল্পনায়। ঘটনার দিন সেলিমা খান মজলিশের বড় মেয়ে শামীমা তাহের পপির সহায়তায় তার গলার দুই পার্শ্বে ফল কাটার ছুরি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করা হয়। পরে তারা বাসার দ্বিতীয় তলার ডাইনিং রুমে সেলিমাকে ফেলে রেখে চলে যায়।
গ্রেপ্তারকৃত সুবল কুমার পিবিআইকে দেয়া জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, নিহতের বড় মেয়ে শামীমা খান মজলিশ ওরফে পপির সহায়তায় ভিকটিমের বাসার ডাইনিং রুমে নিহতের গলার দুই পার্শ্বে ফল কাটার ছুরি দিয়ে পোঁচ মেরে রক্তাক্ত করে। পরে সেই অবস্থায় প্রতিবন্ধী ছেলে সেতুর কক্ষে খাটের চাদরের ওপরে একটি পুরাতন পত্রিকা বিছিয়ে সেলিমা খানের মাথার কাছে দুটি বালিশ দিয়ে চাপা দিয়ে এবং ঘাড়ের নিচে তোষক দিয়ে শুইয়ে রেখে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
অপরাধ
মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ১৮
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
ডিএমপি পক্ষ থেকে বলা হয়, ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে সোমবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
এ সময় ৭৫ পিস ইয়াবা, ১৯২ গ্রাম হেরোইন, ১০০ বোতল ফেন্সিডিল, ৪০০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট, ১০০ গ্রাম আইস ও ৯৫৩ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ডিএমপির সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৪টি মামলা রুজু হয়েছে।
কেএস/
অপরাধ
২০১ বোতল মাদকসহ দুই কারবারি গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২০১ বোতল ইস্কাফ ও একটি টিভিএস মোটরসাইকেলসহ দুই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১ জুলাই) সকালে পুলিশ বাদি হয়ে গ্রেপ্তারকৃত দুই কারবারির বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে কুড়িগ্রাম কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল জব্বার ওরপে ডাল জব্বার (৪৩) উপজেলা ধর্মপুর এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে। আরেক গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ী মেহের জামাল (৪০) উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুটিচন্দ্রখানা গ্রামের ফরিদ আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, রোববার সন্ধ্যায় ফুলবাড়ী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) নাজমুস সাকিব সজীবের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নে আজোয়াটারী (ইন্দ্রারপাড়) এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৫১ বোতল ইস্কাফ ও মোটরসাইকেলসহ আসামি আব্দুল জব্বার ওরপে ডাল জব্বার কে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেন। পরে অভিযুক্ত ডাল জব্বারের দেয়া তথ্য মতে সীমান্তবর্তী বর্মন পাড়া এলাকায় থেকে ৫০ বোতল ইস্কাফসহ আরকে আসামি মেহের জামাল (৪০)কে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নওয়াবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারকৃত দুই মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সোমবার সকালে মামলা দায়ের করে কুড়িগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এই দুই আসামি বিরুদ্ধে পূর্বে ফুলবাড়ী থানায় অন্তত হাফ-ডজন মামলা রয়েছে।
এএম/
-
পর্যটন5 days ago
যে কারণে কক্সবাজারে বন্ধ প্যারাসেইলিং
-
ইসলাম4 days ago
পা ছুঁয়ে সালাম করা কি ইসলামে জায়েজ?
-
বলিউড4 days ago
লন্ডনে অমিতাভের নাতির সঙ্গে শাহরুখ কন্যার অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ভাইরাল!
-
অপরাধ5 days ago
যৌতুকলোভী প্রেমিকের কাছে হেরে জীবন বিসর্জন দিলেন প্রেমিকা
-
আবহাওয়া7 days ago
শুক্রবার থেকে টানা ৬ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
-
টুকিটাকি6 days ago
লটারিতে ৩৭ কোটি টাকা পেয়ে হার্ট অ্যাটাক, অতপর…
-
রংপুর6 days ago
চলন্ত ট্রেনের ছাদে সাপ, আতঙ্কে যাত্রীরা
-
জাতীয়6 days ago
আনলকড দরজা, ছুটতে ছুটতে আবার রানওয়েতেই ফিরলো বিমান!