Connect with us

চট্টগ্রাম

আলুটিলায় পাহাড় ধস, সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

Published

on

খাগড়াছড়ির আলুটিলার সাপমারা এলাকায় ভারী বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়া জেলার মহালছড়ির ২৪ মাইল এলাকায় পানিতে তলিয়ে গেছে সড়ক। রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কেও যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভোরের দিকে এ পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। সড়কের ওপর মাটি জমে থাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

এতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীরা আটকা পড়েছেন। ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম যাতাযাতকারী যাত্রীরা। সড়ক থেকে মাটি সরানোর কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

এদিকে দীঘিনালা উপজেলার মেরুং স্টিল ব্রিজ এলাকায় পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ি লংগদু সড়ক তলিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে যানবাহন চলাচল। খাগড়াছড়ি সাজেক সড়কের বাঘাইহাট এলাকায় পানিতে ডুবে যাওয়ায় সড়কটি বন্ধ রয়েছে।

খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের লিডার মো. জসিমউদ্দীন বলেন, সাপমারা এলাকায় সড়কের মাটি সরানোর কাজ চলছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই গাড়ি চলাচলের উপযোগী হবে। তবে আলুটিলা সড়কের আরও কিছু স্থানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। খাগড়াছড়িতে বৃষ্টি চলমান। বৃষ্টি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তলিয়ে যাওয়া সড়কগুলো দিয়ে যানবাহন চলাচল সম্ভব হবে না। এছাড়া অতিবৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে জেলার নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হচ্ছে। বসতবাড়িতেও প্রবেশ করছে পানি।

Advertisement

টিআর/

অপরাধ

পুত্রের আশায় তৃতীয় সন্তানও মেয়ে, বিক্রি করে দিলেন বাবা!

Published

on

পুত্রসন্তানের আশায় তৃতীয়বারও কন্যাসন্তান জন্ম দেয় এক দম্পতি। এতে অসন্তুষ্ট ছিলেন বাবা। পরে স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের ১৪ বছরের নিঃসন্তান এক দম্পতিকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে তুলে দেন ওই কন্যাসন্তানটি।

সম্প্রতি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড কুলালপাড়া গ্রামের সিএনজি অটোরিকশাচালক মো. সাদ্দাম ও স্ত্রী সুমি আক্তারের সংসারে দুটি কন্যা সন্তানের পর তৃতীয় মেয়ে সন্তান জন্মায়। পুত্রসন্তানের আশায় তৃতীয়বারও কন্যাসন্তান জন্ম নেওয়ায় অসন্তুষ্ট ছিলেন বাবা সাদ্দাম। পরে স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের ১৪ বছরের নিঃসন্তান এক দম্পতিকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে তুলে দেন বাচ্চাটিকে।

অভিযুক্ত বাবা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সন্তানকে বিক্রি করিনি, এক আত্মীয়ের কাছে রাখতে দিয়েছি।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও নবজাতকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নে ওই অটোরিকশা চালকের স্ত্রীর প্রসববেদনা উঠলে গত ২৭ জুন রাতে উপজেলার দোভাষী বাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। (২৯ জুন) সকালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ওই নারী।

Advertisement

জানা যায়, হাসপাতালের বিল মেটানোর জন্য নবজাতকের বাবা গেলো মঙ্গলবার (২ জুলাই) এক দম্পতির কাছে ৫০ হাজার টাকায় সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছেন। ওই দম্পতি ১৪ বছর ধরে নিঃসন্তান।

মঙ্গলবার সকালে ওই হাসপাতালে এক আত্মীয়ের জন্য রক্ত দিতে গিয়ে বিষয়টি দেখতে পান পারভেজ হোসেন নামের এক যুবক। নবজাতক বিক্রির বিষয়টি জানতে পেরে তিনি কৌশলে ওই শিশুর একটি ছবি তুলে রাখেন। পরে এ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন তিনি।

উল্লেখ্য, ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর অনেকেই এ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। এর মধ্যে কয়েকজন হাসপাতালের বিলের টাকা পরিশোধ করে শিশুটিকে ফিরিয়ে দেয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন। পরে বুধবার (৩ জুলাই) স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে মরিয়মনগর ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক হিরু এবং স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূর উল্লাহর উপস্থিতিতে কন্যা শিশুটিকে তার মায়ের কোলে তুলে দেওয়া হয়।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুবককে গলা কেটে হত্যা

Published

on

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নূর মোহাম্মদ (৩১) নামে এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।

বুধবার (৩ জুলাই) ভোরে ৪ নম্বর ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

নিহত নূর মোহাম্মদ উখিয়া ৪ নম্বর ক্যাম্পের এক্সটেনশন-৪ ডি ব্লকের অলি আহমেদের ছেলে।

স্থানীয় রোহিঙ্গারা জানা যায়, নিহত যুবক প্রতি রাতে ব্লকে পাহাড়াদারদের সাথে স্বেচ্ছায় পাহারা দিতো ও স্থানীয় মসজিদে নামাজ এবং সকালে মক্তবে শিশুদের আরবি পড়াতো।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করা হয়। পরে তার মরদেহ ক্যাম্পের পাশে একটি পাহাড়ে পাওয়া যায়।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

সাজেক ছেড়েছেন আটকে পড়া ৭০০ পর্যটক

Published

on

মেঘের রাজ্য খ্যাত সাজেক ভ্যালিতে ভ্রমণে গিয়ে আটকা পড়া ৭ শতাধিক পর্যটক খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।

বুধবার (৩ জুলাই) সাজেক থেকে পর্যটকবাহী ও ব্যক্তিগত গাড়িতে তারা রওনা দেন।

সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মতিজয় ত্রিপুরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে খাগড়াছড়ি-সাজেকের আশাপাশের সড়কগুলো তলিয়ে যায়। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মঙ্গলবার (২ জুলাই) থেকে সাজেকে আটকা পড়েন ৭ শতাধিক পর্যটক।

মতিজয় ত্রিপুরা বলেন, বাঘাইহাট বাজারে পানি কমতে শুরু করায় পর্যটকরা খাগড়াছড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। আমরা জানতে পেরেছি, পর্যটকরা গঙ্গারামমুখ পর্যন্ত যাবেন। পরে ডুবে থাকা সড়কের অংশ নৌকায় পার হয়ে খাগড়াছড়ি পৌঁছাবেন।

Advertisement

সাজেক জিপ সমিতির লাইনম্যান ইয়াসিন আরাফাত বলেন, সড়কের পানি কমে যাওয়ায় আটকে থাকা পর্যটকবাহী গাড়িগুলো খাগড়াছড়ির উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। নতুন করে আর বৃষ্টি না হওয়ায় সড়কগুলো যান চলাচলের জন্য স্বাভাবিক হয়ে উঠছে।

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version