জাতীয়
পদ্মা সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠান ৫ জুলাই
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/News-Image-1-37.jpg)
আগামী ৫ জুলাই শুক্রবার পদ্মা বহুমুখী সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে উপস্থিত থাকবেন। এই অনুষ্ঠান আয়োজনে যে ব্যয় হবে তা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে করার অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার (৩ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সচিব বলেন, গেলো ২০২২ সালের ২৫ জুন আমাদের গর্বের, অহংকারের পদ্মা সেতুতে ওই দিন যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এই পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণের মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩০ জুন শেষ হয়েছে। এই সমাপ্তি উপলক্ষে মাওয়া প্রান্তে এক সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এই সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী থাকার সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খানমন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান
তিনি বলেন, আগামী ৫ জুলাই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান যেখানে হয়েছিল সেখানেই সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে যে কার্যক্রমগুলো নেয়া হবে, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে তা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সময় কম, সে কারণে ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে করা সম্ভব হবে না। সেজন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কাজটি করার জন্য বিষয়টি এখানে উত্থাপন করা হয়েছে এবং মন্ত্রিসভা কমিটি সেটি অনুমোদন দিয়েছে।
সমাপনী অনুষ্ঠানের বাজেট প্রসঙ্গে সচিব বলেন, বাজেট ৫ কোটি টাকার ওপরে বিধায় এখানে এসেছে। ৫ কোটি টাকার কম হলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা অনুমোদন করতে পারেন। খরচ না হওয়া পর্যন্ত প্রকৃত খরচ বলা সম্ভব না।
তিনি বলেন, গত দুই বছরে পদ্মা সেতু দিয়ে ১ কোটি ২৭ লাখ যানবাহন চলাচল করেছে। ২৯ জুন পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ হাজার ৬৬১ কোটি টাকা। প্রতিদিন গড়ে যান চলাচল করেছে প্রায় ১৯ হাজার। প্রতিদিন গড়ে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
এএম/
চট্টগ্রাম
বিশ্বমানের টেলিকম সেবা নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার: পলক
কল ড্রপ কমিয়ে এনে বিশ্বমানের টেলিকম সেবা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। বলেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শুক্রবার (৫ জুলাই) বেলা ১১টায় কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে নেটওয়ার্ক কোয়ালিটি টেস্ট ও ড্রাইভ টেস্ট কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যটন রাজধানী কক্সবাজার। প্রতিবছর দেশি-বিদেশি লাখ লাখ পর্যটক ভ্রমণে আসে। এই পর্যটন নগরীকে বিশ্বের কাছে আরও আর্কষণীয় করে গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী বিশ্বমানের আইকনিক রেলস্টেশন, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করেছেন। যার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এছাড়া কক্সবাজারে হাইটেক পার্ক নির্মাণের জন্য ১৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এসব কিছু প্রধানমন্ত্রী করছেন, দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য এবং কক্সবাজারকে বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করার জন্য। এরফলে বিদ্যুৎ, দ্রুতগতির ইন্টারসেবা, সড়ক, রেল ও আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন সবকিছু কক্সবাজারে হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে এখন ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। এখন একটা উদ্দেশ্য, ইন্টারনেটের গুণগত মান বৃদ্ধি করা। যার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, নেটওয়ার্ক কোয়ালিটি টেস্ট কার্যক্রমে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বিটিআরসির পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুস্তাফিজ, আইকনিক রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. গোলাম রব্বানীসহ প্রশাসনের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা। আইকনিক রেলস্টেশনে নেটওয়ার্ক কোয়ালিটি টেস্ট শেষে প্রতিমন্ত্রী রামুতে হাই-টেক পার্ক স্থাপনের চলমান কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।
এএম/
জাতীয়
টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান তিনি। সেখানে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মোনাজাত করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে বিকেলে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে নিজ বাড়ি টুঙ্গিপাড়ায় সড়ক পথে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী।
জানা যায়, টুঙ্গিপাড়ায় বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উল্লেখ্য, রাতে প্রধানমন্ত্রী তার নিজ বাসভবনে রাত যাপন করবেন। আগামীকাল শনিবার (৬ জুলাই) সকালে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা ১১টায় জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত জিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন, ‘এসো বঙ্গবন্ধুকে জানি’ শীর্ষক অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন ও শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি।
দুপুর ১২টায় নবনির্মিত টুঙ্গিপাড়া মাল্টিপারপাস পৌর সুপার মার্কেট পরিদর্শন করবেন। দুপুরে প্রধানমন্ত্রী নিজ বাসভবনে জোহরের নামাজ আদায় করবেন এবং মধ্যাহ্ন ভোজ করবেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতির পিতার সমাধি সৌধে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেল ৪টায় টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়ক পথে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি।
এএম/
জাতীয়
নোবেল লরিয়েট সামান্য এমডি পদের জন্য লালায়িত কেন : প্রধানমন্ত্রী
একটি ব্যাংকের এমডির পদ নিয়ে যত সমস্যা। নামি দামি নোবেল লরিয়েট সামান্য এমডি পদের জন্য লালায়িত কেন? এই পদে কী মধু আছে? তবে তা শ্রমিকদের মামলা আর অডিট রিপোর্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে পদ্মা সেতুর মাওয়াপ্রান্তে পদ্মাসেতুর প্রকল্পের সমাপনী উপলক্ষ্যে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগের জন্য এডিবি, বিশ্বব্যাংকের মতো বিদেশি অনেক সংস্থাই এগিয়ে এসেছিল। কিন্তু একটি ব্যাংকের এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) পদের জন্য বিদেশি বিনিয়োগ আটকে যায়। এই পদ নিয়েই যত সমস্যা। ব্যাংকের আইন অনুযায়ী একজন ২০ বছর পর্যন্ত এমডি থাকতে পারবে। ইতোমধ্যে তার বয়স ৭০ হয়ে গেছে। অতিরিক্ত সময় থেকে ফেলেছেন। তাহলে সে আর ব্যাংকের এমডি পদে থাকেন কীভাবে। একজন নোবেল বিজয়ী সামান্য এমডির জন্য এত লালায়িত কেন? এই প্রশ্নের উত্তর কখনো পেলাম না।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘এই পদের জন্য বড় বড় দেশের অ্যাম্বাসেডর আমার অফিসে এসে আমার অফিসারদের সাথে উচ্চস্বরে কথা বলে। তাদের বলে এমডির পদ না থাকলে বিদেশি অর্থায়ন বন্ধ হয়ে যাবে। এমডির পদের জন্য হিলারি ক্লিনটন, শেরি ব্লেয়ার আমাকে ফোন করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা এলো। আমি শুধু তাদের বলেছি- এই এমডি পদে কী মধু আছে?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হিলারি ক্লিনটন টেলিফোনে ২০ মিনিট ধরে অনুরোধ করেছিলেন।
পরে ড. ইউনূসকে নিয়ে কোনো মার্কিনীর কথা শুনব না, দেখাও করব না, বলে দিয়েছিলাম তাদের। এমডি পদে থাকতে পারল না বলে হিলারি ক্লিনটনের মাধ্যমে সেতুর টাকা বন্ধ করল। মালয়েশিয়া সরকার পদ্মা সেতুতে টাকা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজেদের টাকায় করেছি এটা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশবাসী পাশে ছিল বলেই জ্ঞানীগুণীদের বাধা সত্ত্বেও সব অতিক্রম করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পেরেছি। সবাই না করেছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই জটিল স্থাপনা আমরা নির্মাণ করতে পেরেছি৷’
জেএইচ
-
বলিউড6 days ago
লন্ডনে অমিতাভের নাতির সঙ্গে শাহরুখ কন্যার অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ভাইরাল!
-
অপরাধ6 days ago
‘হত্যার উদ্দেশ্যে মাঠে টিম’, থানায় জিডি ব্যারিস্টার সুমনের
-
ঢাকা3 days ago
গোপালগঞ্জে শিক্ষকের মাথায় পচা ডিম ভাঙ্গলো ছাত্ররা!
-
রংপুর7 days ago
স্ত্রীর প্রেমিকের হাতে স্বামী খুন, গ্রেপ্তার ২
-
ঢাকা6 days ago
স্বামীর মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে স্ত্রীর মৃত্যু
-
ফুটবল5 days ago
কোয়ার্টার ফাইনালের প্রতিপক্ষ পেলো আর্জেন্টিনা
-
দুর্ঘটনা5 days ago
ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
-
রংপুর5 days ago
নিজ মেয়েকে ধর্ষণ, বাবার আমৃত্যু কারাদণ্ড