বাংলাদেশ
১৪০ কোটি টাকার ওষুধ কিনবে সরকার
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2021/04/21/resize-600x315x1x0image-4044-1618999225.jpg)
দেশের ১৩ হাজার ৮৮১টি কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য ২৭ প্রকার ওষুধ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
সরকারি প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড থেকে ৮০ হাজার ৭৩৪ কার্টন ওষুধ মোট ১৩৯ কোটি ৯৯ লাখ ৯৫ হাজার ৮২০ টাকায় সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) কেনা হবে।
বুধবার (২১ এপ্রিল) অনলাইনে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্বে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সভায় অর্থনৈতিক সংক্রান্ত কমিটির ১টি এবং ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির ৮টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। আজকের বৈঠকে সব প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিতে অনুমোদিত প্রস্তাবনাগুলো হলো- সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ৩টি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ২টি, স্থানীয় সরকার বিভাগের ১টি, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ১টি এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ১টি। অনুমোদিত ৮টি প্রস্তাবের জন্য মোট অর্থের পরিমাণ হবে ২ হাজার ২০৫ কোটি ১৭ লাখ ২৪১৫ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ১ হাজার ৮৮২ কোটি ৬৬ লাখ ২৯ হাজার ৩৩০ টাকা এবং এডিবি ঋণ দেবে ৩২২ কোটি ৫০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫ টাকা।
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, আজ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৩তম এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৫তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় অর্থনৈতিক কমিটির ১টি এবং ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির ৮টি প্রস্তাব উত্থাপন করলে, সবগুলোর অনুমোদন করা হয়েছে।
অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো
অর্থনৈতিক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন ২০২০-২১ অর্থ বছরে সিটি করপোরেশনগুলোর জন্য জার্মানি থেকে ওয়েড হারভাস্টার মডেল সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কোনার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন খুলনা ওয়াসার বাস্তবায়নাধীন ‘খুলনা পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প’-এর আওতায় ১২৪ কি.মি. স্যুয়ার পাইপ লাইন, ৩টি স্যুয়ারেজ পাম্পিং স্টেশন ও ১৩ হাজার ৮০০টি সার্ভিস কানেকশন নির্মাণ কাজ চায়না জিও ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন থেকে ৬৯৬ কোটি ৭৬ লাখ ৪ হাজার ৭২৭ টাকায় ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক সিঙ্গাপুরে ভিটল এশিয়া লিমেটেড থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি সর্বমোট ২৬৭ কোটি ৫৭ লাখ ৫১ হাজার ১৭১ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদফতর কর্তৃক ‘গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে পণ্য পরিবহনের উৎসমুখে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং পিডব্লিউ-২ পূর্ত কাজ স্পেকটা ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে ১৮৮ কোটি ৩৫ লাখ ৫৬ হাজার ৪৫৬ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদফতর কর্তৃক ‘কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক (এন-১) উন্নয়ন’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং ডব্লিউপি-০১ আওতায় কক্সবাজার থেকে উখিয়া ২৫ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন কাজের ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ১৩ কোটি ৪৩ লাখ ৩ হাজার ৩৬০ টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদফতর কর্তৃক ‘কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক (এন-১) উন্নয়ন’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং ডব্লিউপি-০২ এর আওতায় উখিয়া থেকে উনচিপ্রাং ২৫ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন কাজের ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ১৬ কোটি ৩১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৯৮ টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধীন কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার কর্তৃপক্ষ (সিবিএইচসি) কর্তৃক ২৭ প্রকার ওষুধ সম্বলিত ৮০ হাজার ৭৩৪ কার্টন ওষুধ মোট ১৩৯ কোটি ৯৯ লাখ ৯৫ হাজার ৮২০ টাকায় সরকারি প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের কাছ থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক ‘মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং ডব্লিউডি-২ নির্মাণ কাজ জয়েন্ট ভেঞ্জার সিআিইসি এবং সিসিসিএ ঢাকা থেকে ৪৩৩ কোটি ৭৮ লাখ ৩২ হাজার ৯০৮ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক ‘মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং ডব্লিউডি-২ নির্মাণ কাজ জয়েন্ট ভেঞ্জার সিআিইসি এবং এমএএইচএর থেকে ৪৪৮ কোটি ৯৪ লাখ ৯২ হাজার ৯৭৫ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আইন-বিচার
ধর্ষণ মামলায় অব্যাহতি পেলেন মুশতাক ও অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী
রাজধানী মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও কলেজটির অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলী বাদীর নারাজি খারিজ করে পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলার দায় হতে তাদের অব্যাহতি দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে গেলো ২ জুন একই আদালতে পিবিআইয়ের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানির জন্য ধার্য ছিল। তবে ওইদিন মামলার বাদী ওই ছাত্রীর বাবা পিবিআইয়ের দেওয়া প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দাখিল করবেন বলে আদালতকে অবহিত করেন। পরবর্তীতে গেলো ১৩ জুন আসামি পক্ষের অব্যাহতি ও পুলিশের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির বিষয়ে শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজ ধার্য করেন।
গেলো বছরের ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে এ মামলার আবেদন করা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন।
পরবর্তীতে মামলাটি দায়েরে তথ্যগত ভুল হয়েছে উল্লেখ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক সোহেল রানা।
গেলো ৩ মার্চ পুলিশের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি আবেদন দাখিল করেন মামলার বাদী ওই শিক্ষার্থীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম। আদালত নারাজির আবেদন মঞ্জুর করে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, তার মেয়ে (ভিকটিম) মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতেন এবং ভিকটিমকে ক্লাস থেকে প্রিন্সিপালের কক্ষে ডেকে আনতেন। খোঁজ-খবর নেওয়ার নামে আসামি ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করতেন। কিছুদিন পর আসামি মুশতাক ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কু-প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় ভিকটিমকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেয়। ভিকটিম এ রকম আচরণের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষকে (২নং আসামি) ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন। তিনি (অধ্যক্ষ) ব্যবস্থা করছি বলে আসামি মুশতাককে তার রুমে নিয়ে আসেন এবং ভিকটিমকেও ক্লাস থেকে নিয়ে এসে রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে আসামিকে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন। এ বিষয়ে বাদী ২নং আসামির কাছে প্রতিকার চাইতে গেলেও কোনো সহযোগিতা করেননি বরং আসামি মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করেন। বাদী উপায় না পেয়ে গেলো ১২ জুন ভিকটিমকে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে নিয়ে গেলে আসামি মুশতাক তার লোকজন দিয়ে ভিকটিমকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর বাদী জানতে পারেন আসামি ভিকটিমকে একেক দিন একেক স্থানে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছে এবং যৌন নিপীড়ন করছে।
বর্তমানে এ মামলায় খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও ফাওজিয়া রাশেদী স্থায়ী জামিনে রয়েছেন।
এসি//
জাতীয়
আন্দোলন দেখে সুপ্রিম কোর্ট-হাইকোর্ট রায় পরিবর্তন করে না : প্রধান বিচারপতি
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ চেম্বার আদালত বহাল রেখেছেন। একই সঙ্গে রাজপথের আন্দোলন দেখে সুপ্রিম কোর্ট–হাইকোর্ট রায় পরিবর্তন করে না। বলেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিতে আপিল বিভাগে শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। এরপর হাইকোর্টের রায় আপাতত বহাল রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। একইসঙ্গে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল (নিয়মিত আপিল) করতে বলে আপিল বিভাগ।
এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল কোটা আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে এ মামলায় স্থিতাবস্থা চান। জবাবে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, এতো কিসের আন্দোলন? সুপ্রিম কোর্ট–হাইকোর্ট কি আন্দোলন দেখে বিচার করবে? এ সময় আবারও এই মামলার স্তিতাবস্তা চাইলে আজ মামলাটির শুনানি হবে না বলে জানিয়ে দেয় আপিল বিভাগ।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, ১০ শতাংশ নারী, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জন্য ৫ শতাংশ আর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল।
ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটাব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন তখনকার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে সরকারি চাকরিতে (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে) কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করেন। সেই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করেন আদালত।
এএম/
আইন-বিচার
আজকে ভালো লাগলো, খাঁচার ভেতরে ছিলাম না : ড. ইউনূস
আজকে ভালো লাগলো, খাঁচার ভেতরে ছিলাম না। এখানে খাঁচার ব্যবস্থা নেই। বলেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ঢাকার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এদিন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল, শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আগামী ১৪ আগস্ট পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন।
ড. ইউনূস বলেন, আজকে ভালো লাগলো, খাঁচার ভেতরে ছিলাম না। এখানে খাঁচার ব্যবস্থা নেই। এই খাঁচার ব্যাপারে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি বারেবারে- এটা যাতে বাংলাদেশের আদালত থেকে একেবারে চিরস্থায়ীভাবে উচ্ছেদ হয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে তার সঙ্গে বসার কথা বলেছিলেন এ ব্যাপারে আগ্রহ আছে কি না? উত্তরে ড. ইউনূস বলেন, আমি এটা শুনলাম এবং তালিকা করলাম যে কী কী বলেছেন তিনি। তালিকাতে সবকটাই হলো আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ। আমি টাকা পাচার করেছি, বিদেশে বহু প্রতিষ্ঠান করেছি, ট্যাক্স ফাঁকি দেই। এগুলো হলো তদন্তের বিষয়, বিতর্কে বিষয় নয়। এটা আইন-আদালতের বিষয়, বিচার বিভাগের বিষয়। এখানে বিতর্কের কী আছে বা ডায়ালগের কী আছে, আমি তো কিছু পেলাম না। কাজেই আমার মনে হয়, এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।
ড. ইউনূস বলেন, আর যেসব বিষয় তিনি উত্থাপন করেছেন অভিযোগ হিসেবে, সেগুলোর জবাব আমরা বহুবার দিয়েছি, একবার না। আপনাদের হয়তো স্মরণ আছে, ২০১২ সালে আমরা এগুলো বলতে বলতে এত বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলাম, শেষে গ্রামীণ ব্যাংকের ২৯টি প্রশ্ন ও তার জবাব বলে একটা তালিকা করে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন আকারে ছাপিয়ে দিয়েছিলাম। ওটা পড়লে ওগুলোর জবাব ওখানেই পেয়ে যাবেন। এটা নতুন করে আর জবাব খুঁজতে হবে না।
তিনি বলেন, আমার ট্যাক্সের ব্যাপারে কোনোদিন সরকারের পক্ষ থেকে, এনবিআরের (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) পক্ষ থেকে কোনো মামলা করাই হয়নি। কাজেই ট্যাক্স ফাঁকির বিষয়টি আসলো কোথা থেকে এটা বুঝতে পারছি না। কাজেই এগুলো হলো তদন্তের বিষয়। আবারও আলোচনা করতে চান, করুক।
ড. ইউনূস বলেন, আমার একটা জিনিস ভালো লেগেছে তার কথায়, তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ এনেছেন। যেসব অভিযোগ এনেছেন, এগুলো গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে আইন-আদালতে ঘোরাঘুরি করে একটা জিনিস শিখেছি যে, প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ করা হয়, তখন চেয়ারম্যান এবং বোর্ড সদস্য সবাইকে অভিযোগ করা হয়। গ্রামীণ ব্যাংকের যারা চেয়ারম্যান ছিলেন, যারা বোর্ড সদস্য ছিলেন, তারাও অভিযুক্ত হবেন। কাজেই তাদেরকে নিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন প্রথমে ইকবাল মাহমুদ সাহেব, প্রফেসর ইকবাল মাহমুদ অত্যন্ত সম্মানী ব্যক্তি। তার পরে প্রফেসর কায়সার হোসেন, প্রফেসর রেহমান সোবহান, ড. আকবর আলি খান, তবারক হোসেন; তারা সবাই অভিযুক্ত হবেন। কাজেই আমার খুব ভালো লাগবে তাদের সঙ্গে আসা। আমি তখন ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, দুই নম্বরে আমি, তারা সব এক নম্বরে এবং খাঁচা যদি ততদিন টিকে থাকে আমরা সবাই মিলে খাঁচার ভেতরে থাকবো। এটা আমার কাছে খুব ভালো লাগবে।
এসি//
-
পর্যটন6 days ago
যে কারণে কক্সবাজারে বন্ধ প্যারাসেইলিং
-
ইসলাম6 days ago
পা ছুঁয়ে সালাম করা কি ইসলামে জায়েজ?
-
বলিউড5 days ago
লন্ডনে অমিতাভের নাতির সঙ্গে শাহরুখ কন্যার অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ভাইরাল!
-
অপরাধ6 days ago
যৌতুকলোভী প্রেমিকের কাছে হেরে জীবন বিসর্জন দিলেন প্রেমিকা
-
রংপুর7 days ago
চলন্ত ট্রেনের ছাদে সাপ, আতঙ্কে যাত্রীরা
-
ক্রিকেট6 days ago
বিশ্বকাপ ফাইনাল পণ্ড হলে যারা জিতবে শিরোপা
-
আন্তর্জাতিক7 days ago
এক ঘণ্টায় সাড়ে ৪৮ কোটি টাকা জিতলেন জুয়াড়ি, অতপর…
-
অপরাধ4 days ago
‘হত্যার উদ্দেশ্যে মাঠে টিম’, থানায় জিডি ব্যারিস্টার সুমনের