Connect with us

চট্টগ্রাম

হেফাজত নেতা মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমীর পদত্যাগ

Published

on

হেফাজত থেকে পদত্যাগ করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী।

শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সকালে হেফাজত ইস্যুতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে সাংবাদিকদের কাছে লিখিত বক্তব্য পাঠিয়ে এ পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।

মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে হেফাজতের সকল কার্যক্রম থেকে নিষ্ক্রিয় থাকি এবং আমার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সব মাদ্রাসার শিক্ষক-ছাত্রদের দেশ ও ইসলামবিরোধী কাজে যোগদান না করতে বাধ্য করি।

তিনি আরো বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে হেফাজতে ইসলামের সব কার্যক্রম, জাতীয় ও জেলা কমিটির পদ থেকে আমি পদত্যাগ করছি।

এএ

Advertisement

চট্টগ্রাম

দুই সেনাসহ ও ৩১ রোহিঙ্গার সেন্টমার্টিনে অনুপ্রবেশ

Published

on

মিয়ানমারের দুই সেনাসহ ৩১ জন রোহিঙ্গা ট্রলারে করে সেন্টমার্টিনে অনুপ্রবেশ করেছে। রাখাইন রাজ্যের মংডুতে নতুন করে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যকার যুদ্ধের তীব্রতা বেড়ে যাওায় এ অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) ভোরে ৩৩ জন যাত্রীবোঝাই ট্রলার সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভিড়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।

মুজিবুর রহমান জানান, টানা কয়েক দিন ধরে মংডুতে সংঘর্ষ চলছে। পরিস্থিতিতে প্রাণ বাঁচাতে আজ ভোরে ৩৩ জন যাত্রীবোঝাই একটি ট্রলার মংডু থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভিড়েছে। বিষয়টি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) জানানো হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত আছেন। বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে নতুন করে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্ত ও নাফ নদীতে অবস্থান জোরদার করেছে বিজিবি ও কোস্ট গার্ড।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

মর্গের পাশে পড়ে আছে উপহারের অ্যাম্বুলেন্স

Published

on

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভারত সরকারের উপহারের দেয়া লাইফ সাপোর্ট সুবিধা সম্বলিত অ্যাম্বুলেন্সটি পড়ে আছে মর্গের পাশে। প্রয়োজনীয় গতি তুলতে না পারা এবং আইসিইউ সুবিধা সম্বলিত হলেও  পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি না থাকায় রোগী বহনে কাজে আসছে না এটি।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই)  সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মং টিংঞো  বায়ান্ন টিভিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২১ সালে কোভিড মহামারির সময় উপহার হিসেবে বিশেষ এই অ্যাম্বুলেন্সটি পায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেখান থেকে এটি গত ১৭ নভেম্বর ২০২১ সালে  কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে দেয়া হয়। যদিও অ্যাম্বুলেন্সটি চিকিৎসায় ব্যাপক অবদান রাখবে বলা হলেও এটি রোগী পরিবহনের কোনো কাজে আসেনি। গত ৩ বছরে অ্যাম্বুলেন্সটি ভিআইপি ডিউটিসহ ১৪ বার ব্যবহার করা হয়েছে।

ওসমান গণি নামে এক রোগীর স্বজন জানান, তার চাচার খুবই খারাপ অবস্থা। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। কিন্তু লাইফ সাপোর্ট সংযুক্ত কোনো অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে সাধারণ অ্যাম্বুলেন্সে চাচাকে নিয়ে তিনি ঢাকা যাচ্ছেন।

হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক আনোয়ার হোসেন জানান, সাধারণত জরুরি ভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্স ১০০ থেকে ১২০ এ চালাতে হয়। কিন্তু এ গাড়িতে গতি ওঠে সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৪৫। তাই এটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তবে গাড়ি সচল রয়েছে।

Advertisement

হাসপাতালের মুখপাত্র ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার আশিকুর রহমান বলেন, নামে লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স হলেও এর মধ্যে নেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। হাসপাতালে থাকা কিছু যন্ত্রপাতি দিয়ে এটিকে আইসিইউ এম্বুল্যান্সে পরিণত করার চেষ্টাও তাঁরা করেছিলেন। কিন্তু সফল হন নি। ফলে এর মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত জরুরি সেবা দেয়া সম্ভব নয়।

জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মং টিংঞো  বলেন, লাইফ সাপোর্ট সুবিধা সম্পন্ন অ্যাম্বুলেন্সটির খুবই প্রয়োজন ছিল। কিন্তু পরিপূর্ণ একটি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্সে যেসব যন্ত্রপাতি প্রয়োজন তার কিছু নেই এটিতে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। তবে, এরই মধ্যে হাসপাতালে বিশেষায়িত স্ক্যান ও আইসিইউ সেবা চালু করা হয়েছে।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

ফের বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কাঁপল টেকনাফ সীমান্ত

সপ্তাহ খানেক বন্ধ থাকার পর ফের মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের জেরে কাঁপল সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ। কখনও দিনে আবার কখনও রাতে শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ।

গতকাল বুধবার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থেমে থেমে আবারও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পায় রাখাইনের মংডু টাউনশিপের দক্ষিণ-পশ্চিমের বাসিন্দারা। নাফ নদের তীরে টেকনাফ পৌরসভা, হ্নীলা, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ ও টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বাসিন্দারা বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পায়।

টেকনাফ সীমান্ত এলাকার লোকজন ও জনপ্রতিনিধিদের দেয়া তথ্যমতে, কিছুদিন বন্ধ থাকলেও গতকাল  সকাল থেকে ওপার থেকে মর্টারশেল ও শক্তিশালী গ্রেনেড বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসতে শুরু করে। যা আজ পর্যন্ত থেমে থেমে অব্যাহত রয়েছে।

তারা আরও জানান, টেকনাফের নাফ নদের পূর্ব পাশে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের কাদিরবিল, মংনিপাড়া ও সুদাপাড়া গ্রাম। ওই সব এলাকায় মানুষের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এসব ঘরবাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। আগুন দেয়া বাড়িঘরের অধিকাংশের মালিক রোহিঙ্গা নাগরিকেরা। রোহিঙ্গাদের উল্লেখযোগ্য অংশ নাফ নদ অতিক্রম করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে খবর রয়েছে।

শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, মিয়ানমারে মর্টারশেল বিস্ফোরণ ও গুলির  শব্দে কাঁপছে টেকনাফ। বাড়ির বের হতে ভয়ে শরীর কেঁপে উঠে। এমন কি শিশু পর্যন্ত ঘুম থেকে চমকে উঠতেছে। মনে হচ্ছে আকাশ ভেঙে পড়ছে মাথার উপর।

Advertisement

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ছিদ্দিক আহমদ বলেন, কিছুদিন বিকট শব্দ শুনা না গেলেও গতকাল থেকে আবারও শুনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ। গতকাল সারাদিন থেকে শুরু হয়ে আজ সকাল পর্যন্ত অনেক বেশি গোলাগুলির শব্দে কাঁপছে টেকনাফ। যার কারণে প্রতিনিয়ত জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এমন বিকট শব্দ আগে কখনো শুনিনি।

টেকনাফ ২ বিজিবির ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদ ও সীমান্তে কঠোর অবস্থানে বিজিবি। পাশাপাশি রাখাইন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, সপ্তাহ খানেক কোনো ধরনের বিকট শব্দ পাওয়া যায়নি। তবে গতকাল থেকে আবারও বিকট শব্দে কেঁপে উঠল টেকনাফ। তবে এটি মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ ব্যাপার হলেও এপারের মানুষগুলো শান্তিতে থাকতে পারছে না। তিনি বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের টহল জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান।

 

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version