Connect with us

জাতীয়

ফুলবাড়ীতে মাদকের করাল গ্রাসে তরুন-যুব সমাজ

Published

on

স্ত্রী-দুই ছেলেসহ চার সদস্যের সুখের সংসার। যেন সাজানো বাগান। বড় ছেলে(ছদ্দ নাম) জীবন অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।

করোনা কালে কলেজ বন্ধ থাকায় বড় ছেলে পড়াশুনার পাশাপাশি বাড়ীতে মুরগীর ফার্ম দিয়ে নিজের পায়ে দ্বারানোর চেষ্টা করছেন। একটু হলেও সংসারের সহযোগীতা করছেন। ছোট ছেলে(ছদ্দ নাম) আকাশ -দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ে। সামনে এইচ এসসি পরীক্ষা দিবে।

স্ত্রী-দুই ছেলেসহ চার সদস্যের সংসার ভালই চলছিল। আমার ছোট আকাশ পড়াশুনার পাশাপাশি কখন কিভাবে যে বন্ধুদের সাথে সঙ্গ দিতে দিতে কখন যে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে তা আমার জানা ছিল না। যখন জানতে পারলাম আমার ছোট-ছেলে মরণ নেশায় জড়িয়ে পড়েছেন,তখন থেকে আজও পর্যন্ত শত চেষ্টা করেও তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে পারিনি।

নেশার টাকার জন্য প্রায় বাড়ীতে ভাংচুর করতো সে। কখনো তার হাতে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছি বলে হাউ-মাউ করে কেঁধে উঠেন অসহায় এক বাবা। তিনি পেশা একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। নাম না প্রকাশের শর্তে কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, ছোট-ছেলেটাকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে এক এক করে দুই রংপুরের মাদক নিরাময় কেন্দ্রে পাঠাই। এখনও রংপুরের শান্তি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন আছে। ছেলেটা মাদকাসক্ত হওয়ায় সমাজে অনেক ছোট হয়ে বসবাস করছি।

যেন লজ্ঝায় কাউকে মুখ দেখাতে পারছিনা। শেষ বারের মতো মাদকাসক্ত সন্তানকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য রংপুর শহরে শান্তি মাদক নিরাময় ক্লিনিকে ভর্তি করে দিয়েছি। জানি না কি হবে। এই সমস্যার শিকার শুধু তিনি একা নন। চারিদিকে সবুজের ঘেরা দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তঘেষা এলাকায় অনেক পরিবারের চিত্র এটি।

Advertisement

ফুলবাড়ী উপজেলার ৩৬ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত হওয়ায় লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি’র সদস্যরা সর্তক অবস্থানে টহল অব্যাহত থাকলেও সুকৌশলে ভারতের উৎপাদিত মাদক দ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট, ফেন্সিডিল, গাঁজা, মদ সীমান্ত পথে ভারত থেকে পাঁচার করে নিয়ে আসছেন চোরাকারবারীরা।

এই সব মাদক দ্রব্য স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীসহ যুব সমাজ বিপথগামী করে দেশ ও জাতিকে অন্ধকারের ঠেঁলে দিচ্ছে। মাদকের কাঁচা টাকার সু-গন্ধে খুব সহজেই মাদক ব্যবসার সঙ্গে অনেকেই জড়িয়ে যান সীমান্ত স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীসহ অনেক উচ্চ শিক্ষিত বেকার যুবক জীবন-জীবিকার তাগিতেই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। পুরো উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

ফুলবাড়ী থানা সুত্রে জানা গেছে, থানা পুলিশসহ বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা মাদক বিরোধী অভিযানে মাদক নির্মুল ও মাদক মুক্ত ফুলবাড়ী গড়তে রাত দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখে গত ১ বছরে পুলিশ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও চোরাচালান প্রতিরোধ আইনে ফুলবাড়ী থানায় মোট ১৯১ টি মামলা দায়ের হয়েছে।

২০২০ সালে ১ লা জানুয়ারী থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফুলবাড়ী থানা পুলিশসহ বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে মোট ৩৩৮ কেজি ২২ গ্রাম গাঁজা, ৬ হাজার ৬০৯ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট, ১ হাজার ১৬১ বোতল ফেন্সিডিল, ১৮ বোতল মদ ও ২৬৬ বোতল স্কাপ সিরাপ উদ্ধার ও ২২৮ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশসহ বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা দিন রাত কট্টর শ্রম করে গত ১ বছরে ছয় মাসে ১৯১ টি মাদক মামলা ও বিপুল পরিমান মাদক দ্রব্য উদ্ধার এবং ২২৮ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করলেও কোন ক্রমেই থামছে না মাদক ব্যবসা।

উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের মাদকের নিরাপদ রুট গুলো হলো -সীমান্তঘেষা ১ নং নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চর-গোরকমন্ডল, আনন্দ বাজার, চর-আবাসন, গোরক মন্ডল, বিডিআর বাজার, নামাটারী, কৃষ্ণানন্দ বকসী, বালাতাড়ি, ধুলারকুটি, ক্যাম্পের ছড়া, জুগিটারী, গজেরকুটি, ঠোস খলিশাকোঠাল, খলিশাকোঠাল,বাদশার বাজার, চওড়াবাড়ী, কুরুষাফেরুষা, পূর্বফুলমতি, বালারহাট ও বারাইটারী, নাওডাঙ্গা বকুলতলা।

Advertisement

সীমান্তঘেষা ২ নং শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের ঠাকুরপাট, বোর্ডের হাট, টেপরীর বাজার, আছিয়ার বাজার, রসুন শিমুলবাড়ী, ভুরিয়ার কুটি,জুম্মাড়পাড়। সীমান্তঘেষা ৩ নং ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের ব্রাকমোড়, পানিমাছকুটি, চাঁন্দের বাজার, আব্দুল্লাবাজার, চৌত্তাবাড়ী মোড়, নাখারজান, ঠোস বিদ্যাবাগিস, দাসিয়ারছড়া, সীমান্তঘেষা ৬ নং কাশিপুর ইউনিয়নে গংগাহাট বাজার, আজোয়াটারী, কাশিয়াবাড়ী, বেড়াকুটি, অনন্তপুর, ধর্মপুর, বালাবাড়ীসহ উপজেলার বড়ভিটা,খরিবাড়ী,আমতলা,।

এই সব রুটে কুড়িগ্রাম, নাগেশ্বরী, রংপুর, কাউনিয়া, রাজারহাট ও লালমনিরহাট থেকে শতশত তরুন-যুবকসহ বিভিন্ন বয়সী মাদক সেবনকারীর ঢল নামে। ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজীব কুমার রায় জানান, জেলা পুলিশ সুপার স্যারের নিদের্শে আমাদের থানা পুলিশসহ বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ফুলবাড়ী থানাকে মাদক মুক্ত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রতিনিয়ত মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে গত ১ বছরে মাদক ও চোরাচানের উপর ১৯১ টি মামলা ও বিপুল পরিমান মাদক দ্রব্য উদ্ধার এবং ২২৮ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রতিদিনেই মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে চলবে। তিনি আরও জানান, স্থানীয় সচেতনমহল ও জনপ্রতিনিধিরা পুলিশসহ আইন শৃংখলা বাহিনীকে সহযোগিতা করলে চোরাচালানের বিরুদ্ধে ও মাদক সেবনকারী এবং মাদক ব্যবসায়ী একে বারে নির্মূল করা সম্ভব।

এ প্রসঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল এস এম তৌহিদুল-আলম জানান, সীমান্তে রাত-দিন ২৪ ঘন্টা আমাদের বিজিবি’র সদস্যরা সর্তক অবস্থান থেকে ডিউটি পালন করছে। তবে কিছু অসাধু চোরাকারবারী তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

বিজিবিসহ বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনীকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, মসজিদের ইমামসহ সব ধরনের জনসাধারণ সহযোগীতা করলে সীমান্তে চোরাচানানসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

Advertisement

এস মুন্নী

জাতীয়

গ্রামে নয়, এখন থেকে লোডশেডিং হবে গুলশান-বনানীতে : প্রধানমন্ত্রী

Published

on

লোডশেডিং গ্রামে নয়, এখন থেকে বিদ্যুৎ সংকটে লোডশেডিং হবে গুলশান-বনানীতে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর বাসভবন এলাকায়ও লোডশেডিংয়ের নির্দেশ দিয়েছি। বললেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদে চলমান দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশেষ আইন নিয়ে সমালোচনা কেন? পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নেই, যারা ক্যাপাসিটি পেমেন্ট ছাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। কিন্তু প্রতিদিন এটা নিয়ে বিভিন্ন ধরণের কথা শোনেন তিনি। ওই আইনে কাউকে দায়মুক্তি দেয়া হয়নি বলেও বক্তব্যে উল্ল্যেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, সামিটের বিলম্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জরিমানা আদায় হয়েছে। বিশেষ আইন নিয়ে যারা কথা বলছেন,সমালোচনা করছেন তারা অর্বাচীন।

রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন,  এ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সবচেয়ে ক্লিন বিদ্যুতের সোর্স। রূপপুরে আরও একটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।

Advertisement

সম্প্রতি লোডশেডিং এর কথা স্বীকার করে তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন বহুমুখী করছে সরকার। গেলো কিছুদিন তীব্র গরমে কিছুটা লোডশেডিং হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দেশে ঋণখেলাপির সংস্কৃতি চালু হয় জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে। পরে তা সম্প্রসারিত হয়েছে এরশাদ, খালেদা জিয়ার মাধ্যমে। যারা এখন গণতন্ত্রের প্রবক্তা হয়ে উঠেছেন, তাদের জন্মটা যেন কীভাবে সেটি কি তারা ভুলে গেছেন? ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া, গণতন্ত্রহীনতা এগুলো তো জিয়ার আমলেই শুরু হয়।

প্রসঙ্গত, জনগণ ভোট দেবে না জেনেই বিএনপি নির্বাচনে যায়নি। তাদের হাত থেকে প্রধান বিচারপতি-সাংবাদিক কেউ নিরাপদ নন বলেও বক্তব্যে উল্ল্যেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

‘ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতির সঙ্গে সাইবার অপরাধও বাড়ছে’

Published

on

প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন শুরুর আগে অনলাইনে আর্থিক লেনদেন অথবা সরকারি সেবার তেমন কোনো কার্যক্রম ছিল না। তাই সাইবার ঝুঁকিও কম ছিল। ডিজিটাল বাংলাদেশের যত অগ্রগতি হচ্ছে, সাইবার জগতে অপরাধ প্রবণতা ও ঝুঁকি ততই বাড়ছে। এজন্য ঝুঁকি মোকাবিলায় আইন প্রণয়নসহ তা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বলেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্বতন্ত্র সদস্য আবুল কালাম আজাদের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানান তিনি।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের আগে অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন শুরুর আগে অনলাইনে আর্থিক লেনদেন অথবা সরকারি সেবার তেমন কোনো কার্যক্রম ছিল না। তাই সাইবার ঝুঁকিও কম ছিল। যত দ্রুত আমরা ডিজিটাইজেশন করেছি, তত বেশি তথ্য ও উপাত্তের সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিচ্ছে। ফলে আমরা ২০১৮ সালে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সংসদে পাস করেছিলাম। এরপর প্রয়োজনের তাগিদে নতুন আইন ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট ২০২৩’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

পলক বলেন, বিদ্যমান আইনের আলোকে আমরা চারটি মূল স্তম্ভ নিয়ে কাজ করছি। প্রথমত, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি কাউন্সিল রয়েছে। সেখান থেকে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং অন্যান্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন। দ্বিতীয়ত, ফরেন্সিক ল্যাবেও কাজ হচ্ছে। কোনো অপরাধ যদি সংগঠিত হয় তাহলে সেই অপরাধকে ও অপরাধীদেরকে চিহ্নিত করা এবং তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ যাচাই-বাছাই করার জন্য সেই ডিজিটাল ফরেন্সিক ল্যাব কাজ করছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সাইবার রেসপন্স টিম, কাউন্টার টেরোরিজম এবং ইনটেলিজেন্স এজেন্সিসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। ইতোমধ্যে আমরা ২৩ হাজার এই ধরনের জুয়ার সাইট, পর্নোগ্রাফি সাইট, এই ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রমে যে প্ল্যাটফর্মগুলো যুক্ত ছিল সেগুলোকে আমরা ব্লক করেছি। বেশ কয়েকটি টিম নিয়মিত কাজ করছে, ফলে আমরা অনেক অপরাধ প্রতিরোধ করতে পারছি। কিন্তু এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া, এটা চলমান থাকবে। আমাদের ৩৩৩ একটা কল স্টোর আছে সেখানে আমরা দেশবাসীকে অনুরোধ করব তারা যেন ফোন করে তাদের কোনো তথ্য উপাত্ত প্রয়োজন হলে বা কোনো উপদেশের প্রয়োজন হলে বা অভিযোগ জানাতে হলে তারা করতে পারেন। ৯৯৯ আছে এখানে পুলিশকে তারা অভিযোগ জানাতে পারেন।

Advertisement

আওয়ামী লীগের সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের লিখিত প্রশ্নের জবাবে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে এগিয়ে চলেছি। স্মার্ট বাংলাদেশের সব কিছুই হবে স্মার্টভাবে। সব ধরনের কানেক্টটিভিটি তার থাকবে ভূগর্ভস্থ। ইতোমধ্যে দেশব্যাপী আমরা এই কার্যক্রম শুরুও করেছি। ঢাকার নানান স্থানসহ বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুতের তার ভূগর্ভে স্থাপন করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে শতভাগ কানেক্টিভিটি সংযোগের তার ভূগর্ভে স্থাপন করা হবে। দেশে টিএন্ডটির লাইনসমূহ শুধু গ্রাহক পর্যায়ে কারিগরি কারণে মাটির ওপর দিয়ে টানা হয়েছে। তবে বিভিন্ন স্থানে টিএন্ডটির তার ভূগর্ভস্থ করা হয়েছে। যেমন, এক্সচেঞ্জ থেকে কেবিনেট পর্যন্ত লাইনসমূহ মাটির নিচ দিয়ে টানা হয়েছে। তবে ভবনে ফাইবার ক্যাবলের চ্যানেল ইন্টারনেটসহ সব সার্ভিস লাইনের জন্য একক ডাক্টের ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশেও উন্নত দেশের মতো টিএন্ডটিসহ সব ধরনের কানেক্টটিভিটি সংযোগসমূহ মাটির নিচ দিয়ে টানা সম্ভব হবে।

এএম/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সিআইপি সম্মাননা পেলেন যে ১৮৪ ব্যবসায়ী

Published

on

রপ্তানি বাণিজ্যে অবদান এবং বাণিজ্য সংগঠনে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য ১৮৪ জন ব্যবসায়ীকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির (সিআইপি) সম্মাননা কার্ড দিলো সরকার।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর রেডিসন ব্লু ঢাকার ওয়াটার গার্ডেনে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ১৮৪ ব্যবসায়ী হাতে সিআইপি কার্ড তুলে দেন।

জানা গেছে, ১৮৪ ব্যবসায়ীর মধ্যে রপ্তানিতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৪০ জন ও পদাধিকার বলে এফবিসিসিআইর ৪৪ জন পরিচালক সিআইপি কার্ড পেয়েছেন। ২০২২ সালের জন্য বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে তাদের নির্বাচিত করে মন্ত্রণালয়। এসব ব্যক্তিরা সচিবালয়ে প্রবেশে সেটি বিশেষ পাস হিসেবে ব্যবহার করবেন। ব্যবসা-সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেল, সড়ক ও নৌপথে সরকারি যানবাহনে সংরক্ষিত আসনে অগ্রাধিকার, বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহার, ব্যবসায়িক কাজে বিদেশ ভ্রমণের ভিসা প্রাপ্তির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন সুবিধা পাবেন।

রপ্তানি বাণিজ্যে অবদান এবং বাণিজ্য সংগঠনে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য সিআইপি কার্ড পেলেন যারা

বস্ত্র খাত: টেক্সটাইল (ফেব্রিক্স) শ্রেণিতে হা-মীম ডেনিমের পরিচালক মো. মোতালেব হোসেন, এনভয় টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদ, আকিজ টেক্সটাইল মিলসের পরিচালক শেখ জামিল উদ্দিন, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের এমডি সাখাওয়াত হোসেন, ফোর এইচ ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিংয়ের চেয়ারম্যান সাহারা চৌধুরী, নোমান উইভিং মিলসের পরিচালক সুফিয়া খাতুন, এনজেড ডেনিমের চেয়ারম্যান মো. সালেউদ জামান খান।

Advertisement

ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য: ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য (একক) শ্রেণিতে সিআইপি হয়েছেন ইনসেপ্‌টা ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান আবদুল মুক্তাদির, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান স্যামুয়েল এস চৌধুরী এবং বিকন মেডিকেয়ারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এবাদুল করিম।

ওভেন পোশাক: ওভেন গার্মেন্টস একক ক্যাটাগরিতে সিআইপি কার্ড পেয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি, হা-মীম গ্রুপের এমডি ও সংসদ সদস্য এ. কে. আজাদ, স্নোটেক্স আউট ওয়্যারের এমডি এসএম খালেদ, তারাশিমা অ্যাপারেলসের এমডি মিরান আলী, অনন্ত গার্মেন্টেসের এমডি ইনামুল হক খান, বিগ বস কর্পোরেশনের এমডি সৈয়দ রেজাউল হক খান, উইন্ডি অ্যাপারেলসের এমডি মেজবাহ উদ্দিন খান, অন্তত ডেনিম টেকনোলজির এমডি শরীফ জহীর, স্প্যারো অ্যাপারেলসের মুস্তাজিরুল শোভন ইসলাম, সাইনেস্ট এ্যাপারেলসের চেয়ারম্যান সৈয়দা নাসরিন আজীম, স্টারলিং স্টাইলের এমডি ফজলুল হক, কসমোপলিটন ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক তানভীর আহমেদ, ডেবনেয়ার লিমিটেডের এমডি আইয়ুব খান, এমবিএম গার্মেন্টসের এমডি ওয়াসিম রহমান, তুসুকা ট্রাউজার্সের পরিচালক ফিরোজ আলম, শারমিন অ্যাপারেলসের এমডি মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন এবং নিপা ফ্যাশন ওয়্যারের এমডি খসরু চৌধুরী। এ ছাড়া ওভেন পোশাক (গ্রুপ) শ্রেণিতে গোল্ডস্টার গ্রুপের এমডি মো. রেজাউল হোসেন সিআইপি হয়েছেন।

নিট পোশাক: নিট পোশাক (একক) শ্রেণিতে লিবার্টি নিটওয়্যারের এমডি শামসুজ্জামান, জিএমএস কম্পোজিটের এমডি মো. গোলাম মুস্তফা, স্কয়ার ফ্যাশনসের পরিচালক তপন চৌধুরী, ফকির অ্যাপারেলসের এমডি ফকির মনিরুজ্জামান, ইপিলিয়ন স্টাইলের চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আল-মামুন, লিজ ফ্যাশনের এমডি জুয়াং লিফেং, পাইওনিয়ার নিটওয়ার্সের পরিচালক আসমা বেগম, ফকির নিটওয়্যার্সের এমডি ফকির আখতারুজ্জামান, কটন ক্লাবের পরিচালক মো. জুবায়ের মন্ডল, ফখরুদ্দিন টেক্সটাইল মিলসের এমডি আসিফ আশরাফ, মডেল ডি ক্যাপিটাল ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি মাসদুজ্জামান, ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইলের এমডি নাবিল উদ দৌলাহ, মাল্টি ফ্যাবসের এমডি মেসবাহ ফারুকী, এম এম নিটওয়্যারের এমডি মো. মফিজুল ইসলাম, ডিভাইন ইন্টমেটসের এমডি গাওহার সিরাজ জামিল, মেঘনা নিট কম্পোজিটের এমডি মোখলেছুর রহমান, ইন্টারস্টফ অ্যাপারেলসের চেয়ারম্যান নাজীম উদ্দিন আহমেদ, আদুরী অ্যাপারেলসের এমডি আবদুল কাদির মোল্লা, ফেব্রিকা নিট কম্পোজিটের এমডি মিজানুর রহমান, গ্রাফিক্স টেক্সটাইলসের এমডি নাজীব মালেক চৌধুরী, কম্পটেক্স বাংলাদেশের এমডি রবিন রাজন সাখাওয়াত, আলীম নিটের পরিচালক মোমেনা খাতুন, তাকওয়া ফেব্রিক্সের এমডি মোহাম্মদ সালমান, আহসান কম্পোজিটের পরিচালক এম ইসফাক আহসান এবং লিডা টেক্সটাইল অ্যান্ড ডাইংয়ের চেয়ারম্যান সু লিজিং।

নিটওয়্যার (গ্রুপ) শ্রেণিতে সিআইপি কার্ড পান ডিবিএল গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর কাদের। এ ছাড়া এ খাতে সিআইপি হয়েছেন নাফা অ্যাপারেলসের এমডি নাফিস সিকদার, কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান, মাসকো গ্রুপের এমডি আহমেদ আরিফ বিল্লাহ, মেট্রো নিটিং অ্যান্ড ডাইং মিলসের এমডি অমল পোদ্দার, এসকিউ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ গোলাম ফারুক, স্টারলাইট গ্রুপের এমডি সুলতানা জাহান, হান্নান গ্রুপের এমডি এবিএম সামছুদ্দিন এবং রিটজী গ্রুপের এমডি মির্জা মো. জামশেদ আলী।

কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য: কাঁচা পাট শ্রেণিতে পপুলার জুট এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কবির আহমেদ ও ইন্টারন্যাশনাল জুট ট্রেডার্সের এমডি গণেশ চন্দ্র সাহা সিআইপি হয়েছেন। পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে সিআইপি হয়েছেন আকিজ জুট মিলসের চেয়ারম্যান সেখ নাসির উদ্দিন, রাজ্জাক জুট ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি আবুল বাশার খান, রহমান জুট স্পিনার্স এমডি মো. ফজলুর রহমান ও জনতা জুট মিলসের এমডি শেখ বসির উদ্দিন।

Advertisement

চামড়াজাত পণ্য ও হিমায়িত খাদ্য: চামড়াজাত দ্রব্য শ্রেণিতে বে ফুটওয়্যারের এমডি জিয়াউর রহমান, এ্যালায়েন্স লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যারের এমডি মো. সেলিমুজ্জামান, পিকার্ড বাংলাদেশের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) অমৃতা মাকিন ইসলাম, এবিসি ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি জয়নাল আবেদিন মজুমদার, বেঙ্গল শু ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি মোহাম্মদ টিপু সুলতান, জিহান ফুটওয়্যারের এমডি শাহজাদা আহম্মেদ সিআইপি কার্ড পান। হিমায়ি খাদ্যে ফ্রেশ ফুডসের এমডি মো. তৌহিদুর রহমান, এমইউ সি ফুডসের এমডি শ্যামল দাস, বিডি সি ফুডের চেয়ারম্যান তাফহীম আল-আজমী এবং এটলাস সি ফুডের এমডি এস এম মিজানুর রহমান।

কৃষিপণ্য ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য: কৃষিজাত পণ্য (একক) শ্রেণিতে সিআইপি হয়েছেন ইনডিগো কর্পোরেশনের স্বত্বাধিকারী ফারুক আহমেদ, মনসুর জেনারেল ট্রেডিং কোম্পানির এমডি মোহাম্মদ মনসুর, তাসফিক ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মো. শফিকুর রহমান, এস আর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. ফোরকান এবং হেরিটেজ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আবু শাহরিয়ার।

কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য (একক) শ্রেণিতে সিআইপি হয়েছেন প্রাণ ডেইরির পরিচালক আহসান খান চৌধুরী, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের এমডি অঞ্জন চৌধুরী, কিষোয়ান স্ন্যাক্সের এমডি মো. শহীদুল ইসলাম, সবজিয়ানা লিমিটেডের এমডি মোহাম্মদ বদরুল হায়দার চৌধুরী এবং প্রমি অ্যাগ্রো ফুডসের চেয়ারম্যান মো. এনামুল হাসান খান।

হালকা প্রকৌশল পণ্য: হালকা প্রকৌশল পণ্য (একক) খাতে সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন ইউনিগ্লোরি সাইকেল কম্পোনেন্টসের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ভূঁইয়া, এম অ্যান্ড ইউ সাইকেলসের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ভূঁইয়া, ইউনিগ্লোরি সাইকেল কম্পোনেন্টসের পরিচালক রাশিকুর রহমান মাহিন। হালকা প্রকৌশল পণ্য (গ্রুপ) খাতে আরএফএল গ্রুপের পরিচালক উজমা চৌধুরী সিআইপি হয়েছেন।

হস্তশিল্প: কারুপণ্য রংপুর লিমিটেডের এমডি সফিকুল আলম, ক্ল্যাসিক্যাল হ্যান্ডমেড প্রোডাক্টস বিডির স্বত্বাধিকারী মো. তৌহিদ বিন আবদুস সালাম, কোর-দি জুট ওয়ার্কসের পরিচালক বার্থা গীতি বাড়ৈ এবং অপরাজেয় লিমিটেডের এমডি কাজী মো. মনির হোসেন সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন।

Advertisement

হোম টেক্সটাইল: জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিকসের এমডি এ এস এম রফিকুল ইসলাম নোমান, এসিএস টেক্সটাইলসের এমডি মাসুদ দাউদ আকবানী, নোমান টেরিটাওয়েল মিলসের মনোনীত পরিচালক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তালহা, মমটেক্স এক্সপোর এমডি রিয়াজুল ইসলাম সিআইপি কার্ড পেয়েছেন।

সিরামিক ও প্লাস্টিক পণ্য: শাইনপুকুর সিরামিকসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির। আর প্লাস্টিক পণ্য শ্রেণিতে সিআইপি হয়েছেন পদ্মা স্পিনিং অ্যান্ড কম্পোজিটের এমডি মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম, দাদা ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি শেখ মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ, অলপ্লাস্ট বাংলাদেশের এমডি রথীন্দ্র নাথ পাল এবং বেঙ্গল গ্রুপের জসিম উদ্দিন।

এছাড়াও আও কিছু শ্রেণীতে বাকীদের সিআইপি কার্ড দেয়া হয়।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version