ক্রিকেট
ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান
ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে চ্যাম্পিয়ন হলো পাকিস্তান। আজ শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) টুর্নামেন্টের ফাইনালে পাকিস্তান ৫ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে।
প্রথমে ব্যাট করে কেন উইলিয়ামসনের হাফ-সেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৩ রান করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ৩ বল বাকী রেখে ৫ উইকেটে ১৬৮ রান করে শিরোপা জয় করে পাকিস্তান।
ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে টস জিতে প্রথমে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান। পেসার নাসিম শাহর করা প্রথমে পাঁচ ডেলিভারিতেই তিনটি চার মারেন নিউজিল্যান্ডের ওপেনার ফিন অ্যালেন। তবে ওভারের শেষ বলে অ্যালেনকে থামান নাসিম। ৬ বলে ১২ রান করে আউট হন অ্যালেন।
অ্যালেনের বিদায়ে উইকেটে গিয়েই মারমুখী হয়ে উঠেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ইনিংসের ৫ ওভার পর্যন্ত ৪টি চার মারেন তিনি। তার সাথে তাল মিলিয়ে ২টি চার আদায় করে নেন আরেক ওপেনার ডেভন কনওয়ে। ষষ্ঠ ওভারে কনওয়ের উইকেট উপড়ে ফেলেন পেসার হারিস রউফ। দ্বিতীয় উইকেটে ২৬ বলে ৩৫ রান যোগ করেন কনওয়ে-উইলিয়ামসন।
পাওয়ার প্লেতে ৫১ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর জুটি বাঁধেন উইলিয়ামসন ও গ্লেন ফিলিপস। ২টি ছক্কা ও ১টি চারে গড়া উঠা জুটিতে ৩৭ বলে ৫০ রান উঠে। যার মধ্যে ২২ বলে ২৯ রান করে আউট হন ফিলিপস।
চতুর্থ উইকেটে মার্ক চাপম্যানকে নিয়ে ২৬ বলে ৩৭ রানের জুটি গড়েন উইলিয়ামসন। ইনিংসের ১৫তম ওভারে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১৫তম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিতে ৩৩ বল খেলেন উইলিয়ামসন। অর্ধশতকের পাবার পরের ওভারেই বিদায় নেন কিউই অধিনায়ক। ৩৮ বল খেলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৯ রান করেন তিনি।
উইলিয়ামসন ফেরার পর পরের দিকে চাপম্যান ১৯ বলে ২৫ ও জেমস নিশাম ১০ বলে ১৭ রান করেন। তবে শেষ ২৫ বলে ২৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। ফলে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৩ রানের সংগ্রহ পায় ব্ল্যাক-ক্যাপসরা। পাকিস্তানের নাসিম-রউফ ২টি করে উইকেট নেন।
১৬৪ রানের টার্গেটে পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে ভাঙ্গে পাকিস্তানের জুটি। পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমকে ১৫ রানে থামিয়ে দেন নিউজিল্যান্ডের অফ-স্পিনার মাইকেল ব্রেসওয়েল। তিন নম্বরে নামা শান মাসুদকেও ১৯ রানে বিদায় দেন ব্রেসওয়েল।
ব্রেসওয়েলের আউটের পর প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ান। তাকে লেগ রিফোর আউট করেন আরেক স্পিনার ইশ সোধি। ৪টি চারে ২৯ বলে ৩৪ রান করেন রিজওয়ান।
৭৪ রানে দলের তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে আউট হন রিজওয়ান। তখন ম্যাচ জিততে ৭ উইকেট হাতে নিয়ে ৫১ বলে ৭৪ রান দরকার ছিলো পাকিস্তানের।
আস্কিং রান রেট ১১ ছুঁই-ছুঁই হওয়ায় ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন হায়দার আলি ও মোহাম্মদ নাওয়াজ। টিকনারের করা ১৩তম ওভারে ১১ ও সোধির করা ১৫তম ওভারে ২৫ রান নেন তারা। ১৬তম ওভারের প্রথম দুই বলেই চার মারেন হায়দার। আর পঞ্চম বলে হায়দারকে বিদায় করেন সাউদি। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৫ বলে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন হায়দার। চতুর্থ উইকেটে নাওয়াজ-হায়দার জুটি ২৬ বলে ৫৬ রান তুলে পাকিস্তানের হাতের মুঠোয় ম্যাচ নিয়ে আসেন।
১৭তম ওভারের প্রথম বলে আসিফ আলিকে ১ রানে শিকার করেন টিকনার। ঐ ওভারের শেষ বলে ছক্কা মারেন নাওয়াজ। এতে শেষ ৩ ওভারে ২৩ রান দরকার পড়ে পাকিস্তানের।
সাত নম্বরে ইফতেখার আহমেদকে নিয়ে বাকী কাজটুকু অনায়াসে শেষ করেন নাওয়াজ। শেষ ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা মেরে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন ইফতেখার। ষষ্ঠ উইকেটে ২০ বলে অবিচ্ছিন্ন ৩৬ রান তুলে তারা।
২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ২২ বলে অপরাজিত ৩৮ রান করেন নাওয়াজ। ১টি করে চার-ছক্কায় ১৪ বলে অপরাজিত ২৫ রান করেন ইফতেখার। নিউজিল্যান্ডের ব্রেসওয়েল ৪ ওভারে ১৪ রানে ২ উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন পাকিস্তানের নাওয়াজ। সিরিজ সেরা হন ব্রেসওয়েল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর কার্ড :
নিউজিল্যান্ড : ১৬৩/৭, ২০ ওভার (উইলিয়ামসন ৫৯, ফিলিপস ২৯, চাপম্যান ২৫, রউফ ২/২২)।
পাকিস্তান : ১৬৮/৫, ১৯.৩ ওভার (নাওয়াজ ৩৮*, রিজওয়ান ৩৪, হায়দার ৩১, ব্রেসওয়েল ২/১৪)।
ফল : পাকিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : মোহাম্মদ নাওয়াজ (পাকিস্তান)।
সিরিজ সেরা : মাইকেল ব্রেসওয়েল (নিউজিল্যান্ড)।
ক্রিকেট
ট্রাভিস হেডকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত মন্তব্য করলেন টম মুডি
ট্রাভিস হেড আগুন ঝড়িয়ে দিচ্ছেন ব্যাট হাতে। চলতি আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে রানের তুবড়ি ছড়াচ্ছেন। সর্বশেষ ম্যাচে অভিষেক শর্মার সাথে বিনা উইকেটে দলকে জিতিয়ে বের হয়েছেন। যে ম্যাচে ৩০ বলে ৮৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন হেড। এই অজি ওপেনারকে নিয়ে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার টম মুডি মন্তব্য করেছেন।
সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। হেড যেভাবে রান পাচ্ছেন, তাতে অস্ট্রেলিয়া যারপরনাই খুশি হতে পারে। সেই কথাই বলেছেন মুডি। চলতি আইপিএলে এখন পর্যন্ত ১১ ইনিংস খেলে ৫৩৩ রান সংগ্রহ করেছেন এই ব্যাটার। শেষ ম্যাচে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে খেললেন এক অমানবিক ইনিংস।
হেডকে নিয়ে মুডি মন্তব্য করেন, “আমি বিশ্বাস করি ট্রাভিস হেডের বর্তমান ফর্ম অস্ট্রেলিয়ার জন্য খুশি হওয়ার মতো। যেভাবে সে এবং ফ্রেশার ম্যাকগার্ক পারফর্ম করেছেন, আমি কল্পনা করি- প্রায় অস্ট্রেলিয়ার অর্ধেক, যদি বেশি না হয়- তারা এই দুই সম্পদকে একসাথে ব্যাট করতে দেখার জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে। ট্রাভিস হেড এই ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য বুস্ট হিসেবে কাজ করছে।”
বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। যেখানে হেডকে ওপেনার হিসেবে বিবেচনা করেছে ম্যানেজমেন্ট। আরেক তরুণ অজি জ্যাক ফ্রেশার ম্যাকগার্কও নিজের জাত চিনিয়েছেন চলতি আইপিএলে। তবে সুযোগ মেলেনি তার। বরং অভিজ্ঞতার উপর আস্থা রেখেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।
এম/এইচ
ক্রিকেট
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে ব্যর্থ বাংলাদেশ
চেষ্টা করল বাংলাদেশের নারীরা। তবে হার এড়ানো গেল না। সিরিজের শেষ ম্যাচে পরাজয় স্বীকার করে নিতে হলো ২১ রানে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানের সংগ্রহ তোলে ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রানে থামে বাংলাদেশ।
সিলেটে ৩ পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। অন্যদিকে ভারতের একাদশ ছিল অপরিবর্তিত। লক্ষ্যমাত্রা ১৫৭ রান মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে চেষ্টা চোখে পড়েছে স্বাগতিকদের। যদিও দুই ওপেনার দিলারা আক্তার ও সোবহানা মোস্তারী- কারও ইনিংসই বড় হয়নি। দিলারা ৪ রানে, সোবহানা ফিরেছেন ১৩ রানে।
রুবিয়া হায়দারের ব্যাটে রান করার প্রয়াস চোখে পড়ে। তবে সেটিও থেমেছে ২০ রানে, রাধা যাদবের শিকার হয়ে। রাধা মোট ৩ টি উইকেট সংগ্রহ করেন। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাটও হাসেনি। জ্যোতি যখন ফিরেছেন ৫ উইকেট হারিয়ে ৫২ রানে অবস্থান করছিল তখন বাংলাদেশ।
সেসময় চলছিল ৯ ওভারের খেলা। ঠিক সেখান থেকে দারুণ পার্থক্য তৈরি করেন রিতু মনি ও শরিফা খাতুন। দলীয় শতক নিশ্চিত করে ফিরে যান রিতু, তার ব্যাটে আসে ৩৩ বলে ৩৭ রানের ইনিংস। অন্যদিকে অপরাজিত ছিলেন শরিফা। তার ২১ বলে ২৮ রানের ইনিংস ছিল লড়াকু মানের।
এর আগে স্মৃতি মান্ধানা, দয়ালয়ান হেমলতা ও হারমানপ্রীত কৌরের যথাক্রমে ৩৩, ৩৭ এবং ৩০ রানের ইনিংসে ভর দিয়ে লড়াকু সংগ্রহ তোলে ভারত। রিচা ঘোষ খেলেন ১৭ বলে ২৮ রানের অপরাজিত ইনিংস।
এম/এইচ
ক্রিকেট
বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ১৫৭ রান
টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ নারী দলের বিপক্ষে মাঠে নামে ভারত। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে দলটি। স্বাগতিক দলের বোলারদের ভালোই নিয়ন্ত্রণ করে ভারতের নারীরা। মান্ধানা, হেমলতা, হারমানপ্রীতদের ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানের সংগ্রহ তোলে ভারত।
অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে সিলেটের মাঠে নামে ভারত। দলটির প্রথম উইকেটের পতন ঘটে দলীয় ২৫ রানে। শেফালি ভার্মাকে ১৪ রানে ফিরিয়ে দেন সুলতানা খান। এরপর স্মৃতি মান্ধানা এবং দয়ালান হেমলতা মিলে দারুণ খেলতে থাকেন। মান্ধানার উইকেট পতন ঘটে, দলের রান যখন ৬২। নাহিদা আক্তারের ডেলিভারিতে ৩৩ রানে ফিরে যান মান্ধানা। অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের ব্যাটেও রান পায় ভারত।
কৌর ও হেমলতা মিলে গড়ে তোলেন ৬০ রানের জুটি। সফরকারী মেয়েরা আরও এগিয়ে যেতে পারত। তবে পর পর দুই ওভারে কৌর ও হেমলতা ফিরে যান। উইকেট দু’টি সংগ্রহ করেন নাহিদা এবং রাবেয়া খান। দলের সংগ্রহ ছিল তখন ১২২ রান। চলছিল ১৬ তম ওভারের খেলা। এরপর রিচা ঘোষের ব্যাটে কিছু রান পায় ভারতীয় দল। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করে ভারত।
এম/এইচ
-
তথ্য-প্রযুক্তি7 days ago
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
-
জাতীয়4 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
-
বলিউড5 days ago
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
-
আন্তর্জাতিক2 days ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
-
বাংলাদেশ6 days ago
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
-
ঢাকা4 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
-
জাতীয়5 days ago
তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা
-
খুলনা7 days ago
রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন