ফিচার
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: সাত ভ্যানুর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
প্রথম রাউন্ডের খেলা দিয়ে আজ রোববার (১৬ অক্টোবর) শুরু হয়েছে অভিজাত ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবার তাসমান সাগর অস্ট্রেলিয়ায় বসেছে এ আসর। ১৬টি দলের ৪৫টি ম্যাচের ক্রিকেটীয় যুদ্ধশেষে মাঠে গড়াবে ‘সুপার টুয়েলভ’ তথা মূল পর্বের খেলা। এই আয়োজনে কোথাও ঘাটতি রাখছে না ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। চার-ছক্কার মহারণ দেখতে দেশটিতে ইতিমধ্যে পৌঁছে গেছে লাখো ক্রিকেটপ্রেমী। তাদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত সাত ভেন্যুর শহরগুলো। প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে একের পর এক আয়োজনে উৎসবের শহর এখন অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার সাতটি শহরে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো। নয়নাভিরাম ও অপার সৌন্দর্যমন্ডিত অস্ট্রেলিয়ার মাঠের উইকেটের আচরণ হবে ভিন্ন। চিরাচরিত পেসারদের স্বর্গভূমি আর টেকনিক্যাল দক্ষতাসম্পন্ন ব্যাটারদের সহায়ক হবে অজিদের পিচগুলো। অ্যাডিলেড, ব্রিসবেন, জিলং, হোবার্ট, মেলবোর্ন, পার্থ ও সিডনি হবে এই ৪৫টি ম্যাচ। ৯ ও ১০ নভেম্বর দুটি সেমিফাইনাল হবে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড ও অ্যাডিলেড ওভালে। আর ১৩ নভেম্বর অনুমিতভাবেই ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহাসিক মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে।
চলুন জেনে নেয়া যাক এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যুগুলো সম্পর্কে :
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড : নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম পুনঃসংস্কারের আগে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ছিল মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড। বিশ্বের অন্যতম সুন্দর ও বহু ক্রিকেট ইতিহাসের সাক্ষী মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড অস্ট্রেলিয়ার মোলবোর্নের ইয়ারা পার্কে অবস্থিত। এছাড়াও দেশটির সাতটি মাঠের মধ্যে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড হচ্ছে সব থেকে জনপ্রিয় ও বড় ম্যাচ ভেন্যুর একটি। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের আঁতুড়ঘরও বলা হয় এ স্টেডিয়ামকে। যেখানে আধুনিক ক্রিকেটের শোভা বর্ধিত হয়।
মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচালিত স্টেডিয়ামটি বিশ্বের একাদশ সর্ববৃহৎ ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর্শক ধারণ ক্ষমতার ক্রিকেট মাঠ এটি। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড ১৮৫৩ সালে স্টেডিয়ামটি স্থাপিত হয়। ১ লাখ ২৪ আসনের দর্শক ধারণ ক্ষমতাবিশিষ্ট স্টেডিয়ামটি ১৯৫৬ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের প্রধান স্টেডিয়াম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৮৫৩ সালে মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব কর্তৃপক্ষ এলাকাটিকে ক্রিকেট খেলার উদ্দেশ্যে সর্বপ্রথম ব্যবহার করতে শুরু করে।
স্থানীয়দের কাছে ‘দ্য জি’ নামে পরিচিত গ্রাউন্ডটিতেই ১৮৭৭ সালে প্রথম টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডকে ৪৫ রানে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ৯৬ বছর পর ১৯৭১ সালে এই মাঠে প্রথম এক দিনের আন্তর্জাতিক খেলা অনুষ্ঠিত হয়। সে ম্যাচেও ইংলিশদের হারিয়ে জয় তুলে নেয় অজিরা। ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো এই মাঠে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচটিতে মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া-ভারত। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কার ম্যাচের পর আর কোনও টি-টোয়েন্টি এখন পর্যন্ত মাঠে গড়ায়নি।
বহু ক্রিকেট ইতিহাসের সাক্ষী মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে প্রতিবছর প্রায় ৩৫ লাখ দর্শক খেলা দেখতে আসে। লর্ডসের পর মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড হলো বিশ্বের একমাত্র স্টেডিয়াম, যেখানে একাধিকবার (১৯৯২ এবং ২০১৫) আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপার লড়াই হবে এই মাঠেই। ঐতিহাসিক মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ফাইনালসহ মোট সাতটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে ভারত-পাকিস্তানের হাইভোল্টে ম্যাচটিও রয়েছে। এছাড়া চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডও মুখোমুখি হবে দ্য জি’তে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ দিয়ে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আবারও রচিত হবে নতুন ইতিহাস। চ্যাম্পিয়ন দলের শিরোপার সাক্ষী হবে মেলবোর্ন।
পার্থ স্টেডিয়াম,পার্থ : পার্থ স্টেডিয়াম বার্সউড উপকূলে অবস্থিত। ২০১৭ সালের শেষের দিকে এর কাজ সমাপ্ত হয়। ২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে পার্থ স্টেডিয়াম উদ্বোধন করা হয়। বার্সউড উপদ্বীপের স্টেডিয়ামটির পশ্চিমে চোখে পড়বে মনোরম সোয়ান নদী ও পার্থ শহরের দৃশ্য। প্রায় ৬০ হাজারেরও বেশি ধারণ ক্ষমতা স্টেডিয়ামটি অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম স্টেডিয়াম। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড ও স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়া এর পর এ স্টেডিয়ামটির ধারণ ক্ষমতাই বেশি। মাঠটিতে ক্রিকেট ছাড়াও সকার, রাগবি লিগসহ বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা এবং ইউনিয়ন প্লাস কনসার্টের মতো বিনোদনমূলক ইভেন্টের আশ্রয়স্থল।
উদ্বোধনের মাসেই মাঠটিতে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম ওয়ানডে। যেখানে মুখোমুখি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড। একই বছরের ডিসেম্বর প্রথম টেস্টে স্বাগতিকদের আতিথেয়তা গ্রহণ করে ভারত। প্রথম আর একমাত্র টি-টোয়েন্টিটি ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচটিতে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারায় অজিরা। বিশ্বকাপের মোট পাঁচটি ম্যাচ গড়াবে এই মাঠে। সবগুলো ম্যাচই হবে গ্রুপ পর্বের।
দ্য গাব্বা,ব্রিসবেন : ব্রিসবেন ক্রিকেট গ্রাউন্ড অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড প্রদেশের রাজধানী ব্রিসবেনে অবস্থিত। প্রায় ৪২ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন স্টেডিয়ামটি ১৮৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। কুইন্সল্যান্ডের উপকণ্ঠে ওলুংগাব্বা এলাকার নাম অনুসারে গাব্বা নামেও পরিচিত মাঠটি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি শেফিল্ড শিল্ড ম্যাচ আয়োজনের জন্য ক্রিকেট বিশ্বে এর সুপরিচিতি আছে। ঐতিহ্যগতভাবে অজিরা গ্রীষ্মের প্রথম টেস্ট ম্যাচ আয়োজন করে এই মাঠে।
দ্য গাব্বা বা ব্রিসবেন ক্রিকেট গ্রাউন্ড ১৮৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এতে প্রথম আন্তর্জাতিক টেস্ট অনুষ্ঠিত হয় ১৯৩১ সালে। অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা এই মাঠে প্রথম টেস্ট খেলার প্রায় ৪৮ বছর পর ১৯৭৯ প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টেস্টের মতো টি-টোয়েন্টিতেও মাঠটির অভিষেক হয় অজি-প্রোটিয়া ম্যাচ দিয়ে।
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যোগদানকারী ভক্তদের জন্য দ্য গাব্বা উষ্ণ ও প্রাণবন্ত পরিবেশ প্রদান করবে তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। শক্ত ও বাউন্সিং পিচের জন্য ক্রিকেট বোদ্ধাদের প্রথম পছন্দ এই মাঠ। বিশ্বকাপের মোট চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠে। ৩০ অক্টোবর প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। যদিও এখন পর্যন্ত টাইগারদের প্রতিপক্ষ নিশ্চিত হয়নি।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড : অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরে অবস্থিত ঐতিহাসিক স্টেডিয়াম সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড যা সংক্ষেপে এসসিজি নামে পরিচিত। প্রায় ৪৮ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার এই মাঠ ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিনোদনের ঐতিহ্যের ধারক সিডনির এই মাঠটি। ফুটবল-রাগবির পাশাপাশি ক্রিকেটেরও বহু ইতিহাসের সাক্ষী এসসিজি। এটি সিডনির পূর্ব শহরতলি ও কেন্দ্রীয় ব্যবসায়িক জেলা সংলগ্ন সিডনির সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে অবস্থিত।
এসসিজিতে সর্বপ্রথম টেস্ট অনুষ্ঠিত হয় ১৮৮২ সালে। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের যাত্রা শুরু করে মাঠটি। এরপর ১৯৭৯ সালে এই দুই দলের ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু করে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ। আর ২০০৭ সালে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হয় এসসিজিতে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডই। এসসিজি এনএসডব্লিউ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা প্যাডিংটনের ভিক্টোরিয়া ব্যারাকের পেছনে ১৮৫২ সালের সাবেক গ্যারিসন গ্রাউন্ডে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালসহ মোট সাতটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠে। এর মধ্যে ২৭ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দল।
বেলেরিভ ওভাল,হোবার্ট : বেলেরিভ ওভাল অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া অঙ্গরাজ্যের হোবার্টের পূর্ব উপকূল তীরবর্তী সিটি অব ক্ল্যারেন্সের বেলেরিভে অবস্থিত। ডারওয়েন্ট নদীর রৌদ্রোজ্জ্বল পূর্ব তীরে মাঠটিতে ১৯১৪ সালে (প্রতিষ্ঠার পরের বছর) বেলেরিভ ওভালে প্রথম আনুষ্ঠানিক ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করা হয়। ব্লান্ডস্টোন অ্যারিনা নামেও পরিচিত তাসমানিয়ার একমাত্র মাঠ হিসেবে বর্তমানে এখানেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলাগুলোর আয়োজন করা হয়। দর্শক ধারণ ক্ষমতা প্রায় ২০ হাজার হাজারের মতো।
১৯৮৮ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট গড়ায় এই মাঠে। নিউজিল্যান্ড-শ্রীলঙ্কার সে ওয়ানডে ম্যাচের প্রায় দেড় বছর পর ১৯৮৯ সালে গড়ায় প্রথম টেস্ট। যেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয় শ্রীলঙ্কা। আর ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচ দিয়ে শুরু হয় টি-টোয়েন্টির যাত্রা। আসন্ন বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ নয়টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে বেলেরিভ ওভালে। যার মধ্যে গ্রুপ পর্বের ছয়টি এবং সুপার টুয়েলভের তিনটি ম্যাচ রয়েছে। বাংলাদেশ এই ম্যাচেই নিজেদের প্রথম ম্যাচ দিয়ে শুরু করবে বিশ্বকাপ মিশন। ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।
অ্যাডিলেড ওভাল : অ্যাডিলেড ওভাল অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণাংশে অ্যাডিলেড শহরের একটি বিখ্যাত খেলার মাঠ। এটি অ্যাডিলেড শহরের গর্বিত কেন্দ্রবিন্দু। খেলাধুলা, শিল্পকলা ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসে ভরপুর একটি স্থান। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার এক অপূর্ব মেলবন্ধনের জন্য এর পৃথিবীজুড়ে খ্যাতি রয়েছে। অ্যাডিলেড ওভাল ১৮৭১ সালে নির্মিত হয়। স্টেডিয়ামটির সবচেয়ে বড় সংস্কার হয়েছিল ২০১৪ সালে। এখানে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট কিংবদন্তি স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের সম্মানে রয়েছে ব্র্যাডম্যান সংগ্রহ জাদুঘর।
৫০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার এই মাঠে সর্বপ্রথম টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় ১৮৮৪ সালে। ম্যাচটিতে অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারায় ইংল্যান্ড। আর প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ গড়ায় ১৯৭৫ সালে। যেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টেস্টের মতো এই মাঠে টি-টোয়েন্টিতেও প্রথমবার ম্যাচে মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড। ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতেও হারে অস্ট্রেলিয়া।
অষ্টম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসরের মোট সাতটি ম্যাচ গড়াবে এই মাঠে। এর মধ্যে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালও রয়েছে। সুপার টুয়েলভের লড়াইয়ে ২ নভেম্বর ভারতের ও ৬ নভেম্বর পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
কার্ডিনিয়া পার্ক,জিলং : কার্ডিনিয়া পার্ক স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া স্টেটের জিলং-এ অবস্থিত। ২৬ হাজার দর্শকের মাঠটিতে ক্রিকেটের পাশাপাশি প্রায় সব ধরনের খেলা ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম স্টেডিয়ামগুলোর অন্যতম একটি কার্ডিনিয়া পার্ক। এটি বর্তমানে সাইমন্ডস স্টেডিয়াম নামেও পরিচিত। ১৯৪১ সালে নির্মিত হওয়া স্টেডিয়ামটি সাম্প্রতিক পুনর্বিন্যাস এটিকে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় আঞ্চলিক ভেন্যুগুলোর একটিতে পরিণত করেছে। কার্ডিনিয়া পার্ক প্রিসিনক্টের প্রাণকেন্দ্র এই স্পোর্টস ভেন্যুটি, যেখানে নেটবল ও সুইমিং পুলের ব্যবস্থা রয়েছে।
এই মাঠে এখন পর্যন্ত মাত্র দুইটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৭ সালে ১৯ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কা পুরুষ দল, একই দিন অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড নারী দল মুখোমুখি হয়। আসন্ন বিশ্বকাপের মোট ছয়টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠে। উদ্বোধনী ম্যাচসহ প্রথম রাউন্ডের সবগুলো ম্যাচই হবে মাঠে।
ফিচার
প্রিয় মানুষের আলিঙ্গনে বাড়ে আত্মবিশ্বাস
বলিউডের ‘মুন্না ভাই এমবিবিএস’ চলচ্চিত্রের কথা মনে আছে কি? যেখানে জনপ্রিয় অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত ‘জাদু কি ঝাপ্পি’ বলে জড়িয়ে ধরেন সামনের মানুষটিকে। মুন্না ভাই বিশ্বাস করেন এই আলিঙ্গন এনে দেয় প্রশান্তি, বাড়িয়ে দেয় নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস।
এ তো গেলো চলচ্চিত্রের কথা। বিভিন্ন গবেষণাতেও দেখা গেছে, প্রীতিপূর্ণ আলিঙ্গন মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। এর মাধ্যমে নির্গত হয় অক্সিটোসিন হরমোন, যার ফলে মানসিক অবসাদ কমে গিয়ে মনে আনন্দের অনুভূতি তৈরি হয়। দুশ্চিন্তা কমে গিয়ে স্বস্তি আসে। শুধু তাই নয় আন্তরিক আলিঙ্গন রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। কমায় রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি, সেই সঙ্গে দূর করে নানা শারীরিক ব্যথাও।
আজ ৬ জানুয়ারি, আলিঙ্গন দিবস। আমেরিকায় দিনটি উদযাপিত হয়। অবশ্য কবে কীভাবে এই দিবসের চল হয়েছিল তা জানা যায় না। তবে আলিঙ্গন বলতে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীর রোমান্টিক আলিঙ্গনকে বোঝাচ্ছে না।
আত্মীয় বা বন্ধুর সঙ্গে আলিঙ্গনেও বাড়ে আন্তরিকতা। সম্পর্কগুলো আরও গভীর হয়, মজবুত হয়। সাধারণত, বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনকে শুভেচ্ছা জানানোর সময়, বিদায় জানানোর সময় বা কাউকে অভিনন্দন জানানোর সময় আমরা আলিঙ্গন করি। কাউকে সান্ত্বনা দিতে বা সহানুভূতি জানাতেও আমরা আলিঙ্গন করি।
তীব্র শীত মৌসুমে একটুখানি উষ্ণতার অভাবে কষ্ট পাচ্ছে কত অসহায় মানুষ। সেসব শীতার্ত মানুষের মধ্যে আলিঙ্গনের উষ্ণতা ছড়িয়ে দিতে এ দিবসের যাত্রা শুরু। আজকের দিনটি কিন্তু পালন করতে পারেন নিজের যতটুকু সাধ্য আছে তা নিয়েই শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে। বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে চাঁদা তুলে কিনতে পারেন কিছু লেপ-কম্বল। যারা শীতে কষ্ট পাচ্ছে, তাদের বিলিয়ে দিতে পারেন। এভাবেই ছড়িয়ে দিতে পারেন আলিঙ্গনের উষ্ণতা।
ফিচার
শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করেও ঠেকানো যায়নি যে নির্বাচন (ভিডিও)
৮ম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছিল ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর। এই হিসেবে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ছিল ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি। তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন।এই নির্বাচনকে ঘিরে দেশবাসীর প্রত্যাশা ছিল অনেক। আন্তর্জাতিক মহলেও ছিল ব্যাপক আগ্রহ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দিন আহমদের অধীনে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ৩৮টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। এতে আওয়ামী লীগ ২৩০টি আসন পায়। অন্যদিকে বিএনপি পায় মাত্র ৩০টি আসন। প্রাপ্ত ভোটের ক্ষেত্রেও ছিল বিশাল ব্যবধান। আওয়ামী লীগ পায় ৪৮ দশমিক শূন্য ৪ভাগ ভোট এবং বিএনপি ৩২ দশমিক পাঁচ শূন্য ভাগ ভোট।
নির্বাচনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি পেয়েছিল ২৭টি আসন। সবচেয়ে বেশি ভরাডুবি হয়েছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর। ৩৯টি আসনে লড়াই করে মাত্র দুটি আসন পায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের শরীক এই দলটি।
নির্বাচনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ পায় ৩টি আসন ।বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশ ২টি করে আসন এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি একটি করে আসন পায়।০৪টি আসন পায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দ্বিতীবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সংসদের মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর।
নির্বাচনের আগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা বাড়িয়ে সংবিধানে একটি বড় সংশোধনী আনে বিএনপি সরকার।আওয়ামী লীগের অভিযোগ ছিল-নিজেদের পছন্দের প্রধান বিচারপতিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে রেখে নির্বাচনের সময় সুবিধা আদায়ের জন্য বিএনপি এটি করেছে। তাই বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে আওয়ামী লীগ।
এই আন্দোলনের মাঝেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সমঝোতার জন্য একাধিক বৈঠক করেছেন ঢাকার নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা।কূটনৈতিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তৎপর ছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত পেট্রেসিয়া বিউটেনিস।
তবে সমঝোতা না হওয়ায় সংঘাতময় এক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে সেনাবাহিনী।যেটি ওয়ান-ইলেভেন নামে বহুল পরিচিত।জারি করা হয় জরুরী অবস্থা।এই জরুরি অবস্থার মধ্যেই সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসে ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ত্ত্ত্বাবধায়ক সরকার।
৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের জন্য ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের সরকার প্রশংসিত হলেও তাদের রাজনৈতিক সংস্কারের উদ্যোগ ব্যাপকভাবে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল।অভিযোগ রয়েছে,মাইনাস-টু ফর্মূলা কার্যকর করতে অর্থাৎ শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে রাজনীতির বাইরে রেখে নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তাদের গ্রেপ্তার করার পরও ওই চেষ্টা সফল হয়নি।
এরপর মূল নেতৃত্বের বাইরে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে আরেকটি অংশ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলে।যারা ‘সংস্কারপন্থী’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন।কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি। পরবর্তীতে সবদলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিএনপি-আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনায় বসে সফল হন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে পারেনি বিএনপি।দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলা হয়।অন্যদিকে আওয়ামী লীগে তখন উল্লাস আর উচ্ছ্বাস।
ওই সংসদ নির্বাচনকে বেশ দ্রুততার সাথে স্বীকৃতি দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি নির্বাচনকে ‘বিশ্বাসযোগ্য এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন’ বলে বর্ণনা করে নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী মার্কিন সংস্থা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইন্সটিটিউট -এনডিআই।
ফিচার
বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে মালিহা ফাইরুজের বিশ্ব রেকর্ড
একে তো বিশ্বর সবচেয়ে দুর্বল পাসপোর্টের অধিকারী, তার উপর তিনি আবার নারী। সঙ্গে গায়ের রঙও ছিলো একটি বড় বিষয়। ইমিগ্রেশন অফিসার , পুলিশ খারাপ ব্যবহার করেছেন তার সঙ্গে। কিন্তু এ বিষয়গুলো রুখতে পারেনি তাকে। এসব প্রতিবন্ধকতা জয় করে ইতোমধ্যে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি দেশ ভ্রমণ করেছেন তিনি।
যার কথা এতক্ষণ বলছিলাম, নাম তার মালিহা ফাইরুজ।
জানেন কি সেই দুর্বল পাসপোর্টটি কোন দেশের?
এটি বাংলাদেশের পাসপোর্ট। হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স সূচক অনুযায়ী, বিশ্বের দুর্বলতম পাসপোর্ট র্যাংকিয়ে অষ্টম অবস্থানে আছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট।
এই পাসপোর্ট নিয়েই এতগুলো দেশ ভ্রমণ করায় গত অক্টোবরে মালিহা ফাইরুজকে ‘নোমাডম্যানিয়া অ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত করা হয়। মূলত ভ্রমণে ব্যতিক্রম কোনো কিছু করে দেখানোর কৃতিত্বস্বরূপ প্রতিবছর এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এবার নানা কারণে ১১ জনকে এ পুরস্কারটি দেয়া হলেও মালিহাকে দেয়া হয়েছে তার বাংলাদেশি পাসপোর্টের জন্য।
বাংলাদেশি পাসপোর্টকে পৃথিবীর সপ্তম ‘বাজে’ পাসপোর্ট আখ্যা দিয়ে নোম্যাডমেনিয়া কর্তৃপক্ষ লিখেছে, ‘এই পাসপোর্ট নিয়ে দেশে দেশে ঘুরতে গিয়ে এমনও হয়েছে যে মালিহাকে বের করে দেওয়া হয়েছে। কখনো আটক করা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অভিবাসন কারাগারে রাখা হয়েছে, তল্লাশি করা হয়েছে, এমনকি লাঞ্ছিতও করা হয়েছে। কিন্তু এসব কিছুই তার ভ্রমণের চেতনাকে ম্লান করেনি।’
সিএনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা ছাড়াই পৃথিবীর ৪০টি দেশে ভ্রমণ করা যায়। অন্যদিকে পাসপোর্টের র্যাঙ্কিংয়ে সবার ওপরে থাকা সিঙ্গাপুরিয়ান পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা ছাড়াই পৃথিবীর ১৯৩টি দেশে প্রবেশ করা যায়।
ভ্রমণে গায়ের রং একটি বড় ইস্যু। মালিহার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশিদের নিয়ে বিভিন্ন দেশের একটি বদ্ধমূল ধারণা যে—তারা অবৈধ অভিবাসী।
আফ্রিকার দেশ ক্যাপ ভার্দ, যেটি মূলত একটি ছোট দ্বীপ মাত্র। সেখানে ভ্রমণ করতে গেলে মালিহাকে দেশটির বিমানবন্দরে আটকে রাথা হয়েছিল ১৭ ঘন্টা। প্রয়োজনীয় ভিসা এবং কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও শুধু পাসপোর্টের জন্য তাকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় দেশটিতে। শুধু তা-ই নয়, যে দেশ থেকে তিনি উড়োজাহাজে উঠেছিলেন সেই সেনেগালে ফেরত পাঠানোরও হুমকি দিয়েছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তাদের যুক্তি ছিল, মাত্র তিন-চার দিনের ভ্রমণ ভিসা নিয়ে কেউ ক্যাপ ভার্দে ভ্রমণ করে না। ১৭ ঘণ্টা আটক রাখার পর শেষ পর্যন্ত মালিহাকে ঢুকতে দিয়েছিল তারা। কারণ, জাতিসংঘে কর্মরত তার মা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
কিরগিজস্তানে ফাইরুজের ভিসার আবেদনপত্র জমা দেওয়ার আগে ঐ দেশের একটি ট্রাভেল এজেন্সির কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্রের প্রয়োজন পড়ে। আর ঐ আমন্ত্রণপত্রটি পেতে, তাকে আগে প্রথমে বাংলাদেশি ট্রাভেল এজেন্সি থেকে একটি ভ্রমণ প্যাকেজ কিনতে হয়। এর পরে আরো পাঁচ থেকে ছয় সপ্তাহ তাকে অপেক্ষা করতে হয়– ভিসার অনুমোদন পেতে।
ভ্রমণের ক্ষেত্রে ফাইরুজের প্রধান বাঁধা ছিলো বাংলাদেশি হওয়ায় বিভিন্ন গৎবাঁধা আচরণ এর সম্মুখীন হওয়া। অন্যান্য দেশের শক্তিশালী পাসপোর্টধারী নাগরিকদেরকে ধনী পর্যটক মনে করার বিপরীতে বাংলাদেশিদের ধরে নেয়া হয় অবৈধ অভিবাসী হিসেবে। এ ছাড়া, নারী ভ্রমণকারী হিসেবেও তাকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়।
মাত্র ১৬ বছর বয়সেই ফাইরুজ বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এবং তার মায়ের সাথে পূর্ব আফ্রিকা, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করা শুরু করেন। বর্তমানে তিনি বার্লিনে বাস করছেন। সেখানে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে কাজ করা একটি বেসরকারি সংস্থার হয়ে কাজ করছেন।
দূর্বল পাসপোর্টের নানা প্রতিবন্ধকতার কাছে অদম্য মালিহা বিশ্বাস করেন, তার ভ্রমণে নেতিবাচক বিষয়গুলোর চেয়ে ইতিবাচকের পাল্লাই ভারী।
-
তথ্য-প্রযুক্তি7 days ago
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
-
জাতীয়3 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
-
বলিউড4 days ago
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
-
আন্তর্জাতিক2 days ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
-
বাংলাদেশ6 days ago
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
-
ঢাকা4 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
-
জাতীয়5 days ago
তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা
-
খুলনা7 days ago
রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন