Connect with us

দেশজুড়ে

নর্থ সাউথের টাকা আত্মসাত, ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

Published

on

দেশের শীর্ষ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩০৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান আজিমউদ্দিন ও চার সদস্যসহ মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চলতি বছরের গেলো ৫ মে দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। মামলায় আসামি ছয়জন হলেও চার্জশিটে নতুন করে তিনজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

আসামিরা হলেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান ও আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।

তদন্তে নতুন আসামিরা হলেন- আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, পরিচালক আনোয়ার বেগম ও সৈয়দ এ কে কামরুজ্জামান।

আজ বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে সংস্থাটির উপ-পরিচালক ফরিদ উদ্দিন পাটোয়ারী চার্জশিট দাখিল করেন। দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ বিষয়ে দুদক সচিব মাহবুব বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হচ্ছে ট্রাস্টি বোর্ড। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হলো বোর্ড অব ট্রাস্টিজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড আর্টিকেলস (রুলস অ্যান্ড রেগুলেশনস) অনুযায়ী এই বিশ্ববিদ্যালয় একটি দাতব্য, কল্যাণমুখী, অবাণিজ্যিক ও অলাভজনক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

Advertisement

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় অর্থাৎ সরকারের অনুমোদনকে পাশ কাটিয়ে বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের কতিপয় সদস্যের অনুমোদনের মাধ্যমে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ডেভেলপমেন্টের নামে ৯ হাজার ৯৭ ডেসিমাল জমির ক্রয়মূল্য বাবদ ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা অতিরিক্ত হিসেবে অপরাধজনকভাবে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি নাম দেখিয়ে আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে আরও জানা যায়, আসামিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি দাম দেখিয়ে প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা দেন। পরে বিক্রেতার কাছ থেকে নিজেদের লোকের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন। এরপর নিজেরা এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। আসামিরা সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজেরা অন্যায়ভাবে লাভবান হয়েছেন এবং উক্ত বেআইনি কার্যক্রমের ক্ষেত্রে প্রতারণা ও জালজালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে কমিশন বা ঘুষের আদান-প্রদান করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে।

আত্মসাতের অর্থ হস্তান্তর স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধও সংঘটন করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪২০/১৬১/১৬৫ ক ধারা এবং ১৯৪৭ সনের ২ নম্বর দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, এফডিআর করার নামে প্রতিষ্ঠানের অর্থ লোপাট, স্ত্রী-স্বজনদের চাকরি দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া, সরকারি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে গাড়ি ক্রয় ও অবৈধভাবে বিলাসবহুল বাড়ি ব্যবহার এবং বিভিন্ন অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধান শুরু করেছিল দুদক।

অভিযোগ ছিল, বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য আজিম উদ্দিন ও এম এ কাশেম সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানটি লুটেপুটে খাচ্ছে। মূলত এ সিন্ডিকেটের কারণে নর্থ সাউথে অনিয়ম পরিণত হয়েছে নিয়মে। কম দামের জমি বেশি দামে কেনা, ডেভেলপার কোম্পানির কাছ থেকে কমিশন নেওয়া, শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি থেকে অবৈধভাবে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যের জন্য বিলাসবহুল গাড়ি কেনা, লাখ টাকা করে সিটিং অ্যালাউন্স নেওয়া, অনলাইনে মিটিং করেও সমপরিমাণ অ্যালাউন্স নেওয়া, নিয়ম ভেঙে বিশ্ববিদ্যালয় ফান্ডের ৪০৮ কোটি টাকা নিজেদের মালিকানাধীন ব্যাংকে এফডিআর, মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা অমান্য করে কয়েকগুণ শিক্ষার্থী ভর্তি ইত্যাদি অভিযোগ রিয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদে মদদ দেওয়ার বিষয়েও সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ জমা পড়েছে।

Advertisement

এসব অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনও হয়েছে। গত বছরের ১৬ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ড. সুফী সাগর সামস নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদের কবল থেকে রক্ষার দাবি জানান।

অপরাধ

বিএসএফের গুলিতে ফের ২ বাংলাদেশি নিহত

Published

on

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর গুলিতে ইয়াসিন আলী (২৩) ও আব্দুল জলিল (২৪) নামে দুই বাংলাদেশী যুবক নিহত হয়েছে। গেলো মঙ্গলবার (৭ মে) দিবাগত রাতে সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে গরু আনতে গিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ছোড়া গুলিতে ওই দুই যুবক নিহত হন।

বুধবার (৮ মে) সকালে তাদের মরদেহ নিয়ে যায় বিএসএফের সদস্যরা।

নিহত ইয়াসিন আলীর উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের ব্রহ্মতল গ্রামের কেতাব আলীর ছেলে এবং আব্দুল জলিল একই উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামের জয়নুদ্দিন ছেলে।

বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, তেঁতুলিয়া উপজেলার রনচন্ডি বিজিবি ক্যাম্পের আওতাধীন খয়খাটপাড়া দরগাসিং সীমান্ত এলাকা দিয়ে কয়েকজন যুবক ভারতে গরু আনতে যায়। এসময় কাটা তারের বেড়া কেটে ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে তারা। পরে বিষয়টি টের পেয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর ১৭৬ ব্যাটালিয়নের ফকিরপাড়া ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এসময় ঘটনাস্থলেই দুই বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় বুধবার সকালে খয়খাটপাড়া সীমান্তে আধাঘণ্টাব্যাপী বিজিবি ও বিএসএফের ক্যাম্প কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে এ ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানায় বিজিবি। এছাড়া নিহত দুই বাংলাদেশীর মরদেহ বিএসএফ ভারতের ফাসিঁদেওয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানা গেছে।

Advertisement

বৈঠকে বিএসএফ জানায়, হামলার স্বীকার হয়ে আত্মরক্ষার্থে তারা গুলি ছুড়েছেন। তবে এঘটনায় তারা দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে মরদেহ হস্তান্তর বা ফেরতের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গেছে। এসময় পতাকা বৈঠকে ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল যুবায়েদ হাসান, ১৭৬ বিএসএফের কমান্ড্যান্ট এসএস সিরোহী সহ বিজিবি বিএসএফের উর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার বলেন, নিহতদের পরিবার ও প্রতিবেশীদের থেকে জানা গেছে অবৈধভাবে গরু আনতে গেলে বিএসএফ তাদের গুলি করে। এরপর নিহত ওই দুই যুবকের লাশ ভারতে নিয়ে যায়।

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি অধিনায়ক লে কর্নেল জুবায়েদ হাসান বলেন, ভারতের অভ্যন্তরে দুইজন বাংলাদেশী যুবক মারা গেছেন এমন খবর সকালে পেয়েছি। পরে ক্যাম্প পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে আমরা কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছি। তবে দুই বাংলাদেশীর মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে কোন কথা হয়নি। তবে তারা জানিয়েছে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

কেন্দ্র দখলের অভিযোগে সেই চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন

Published

on

কুমিল্লায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টাকা বিতরণের ভিডিও ভাইরালের পর চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকির হোসেন ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

বুধবার (৮ মে) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে না পারা, কেন্দ্র দখলসহ বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি।

জাকির হোসেন কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান চেয়ারম্যান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এটা কেমন নির্বাচন? যেখানে আমার একজন এজেন্টকেও আসতে দেয়া হয়নি। আমি এখানে আবার পুনরায় ভোট চাই। আমি হাইকোর্টে রিট করব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব যেন তিনি পুনরায় নির্বাচন দেন।

তিনি আরও বলেন, বেশ কয়েকটি কেন্দ্র দখল করে ইচ্ছেমতো সিল মারা হচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনোরকম পরিবেশ নেই মনোহরগঞ্জে। দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং নির্বাচন কমিশন বলেছিল একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে। কিন্তু আমি একজন প্রার্থী হয়েও নির্বাচনের আগে থেকেই আমাকে বিভিন্নভাবে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। আমি উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান। আমার বড় একটি ভোটব্যাংক রয়েছে এই মনোহরগঞ্জে। কিন্তু কেন্দ্র দখল করে রাখা হয়েছে। আমার এজেন্ট দিতে দেয়নি। মানুষ কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারলে আমি পাস করতাম এটা নিশ্চিত।

Advertisement

মনোহরগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন লড়ছেন। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান জাকির হোসেন আনারস প্রতীকে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান ঘোড়া প্রতীকে ও বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা কুসুম দোয়াত কলম প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ উপজেলায় ১১টি ইউনিয়নে ৮০টি ভোটকেন্দ্র এবং ৫৩৫টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ চলছে। মোট ভোটার ২ লাখ ১৬ হাজার ৯৭২ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১৩ হাজার ১১ জন এবং ১ লাখ ৩ হাজার ৯৬১ জন নারী ভোটার রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (৭ মে) চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকির হোসেনের টাকা বিতরণের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ৬ সেকেন্ডের ভাইরাল ওই ভিডিওতে জাকির হোসেনকে টাকা গুনে সেগুলো জনৈক ব্যক্তিকে দিতে দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

প্রার্থীর এজেন্টসহ প্রিজাইডিং অফিসার আটক, দুজনকে অব্যাহতি

Published

on

বগুড়ার গাবতলীতে রামেশ্বরপুর ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার বাহিরে দেয়ার অভিযোগে প্রিজাইডিং অফিসার ও প্রার্থীর এজেন্টকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র দুটি বুথে জাল ভোট দেয়ার ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে দুই সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টা ও ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন।

মাঝপাড়া কুসুম কলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আটকরা হলেন— প্রিজাইডিং অফিসার শাহজাহান আলী এবং এজেন্ট এরশাদ আলী। অপরদিকে, সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তা হলেন— হাফিজার রহমান ও আব্দুল মোত্তালিব।

বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন গণমাধ্যমে জানান, প্রিজাইডিং অফিসার শাহজাহান আলী ৯০০ ব্যালট পেপার স্বাক্ষর ও সিলসহ এজেন্ট এরশাদ আলীর মাধ্যমে কেন্দ্রের বাহিরে পাঠায়। এরপর বিভিন্ন ভোটারের মাধ্যমে ৩০০ ব্যালট বক্সে ফেলানো হয়। পরবর্তীতে এরশাদকে আটক করে ৬০০ ব্যালট উদ্ধার করা হয়। পরে প্রিজাইডিং অফিসারের কাছ থেকে আরও ৯০০ ব্যালটের মুরি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদেরকে আটক করা হয়েছে। আটক দুইজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অপরদিকে, বগুড়া গাবতলী উপজেলার সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট বই ছিনিয়ে নিয়ে জাল ভোটের অভিযোগ উঠে। সকাল ৮টা থেকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পরই এ তথ্য পাওয়া যায়।

Advertisement

অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় তিন থেকে চার সারি পুরুষ ভোটার দাঁড়িয়ে ছিলেন। তবে ওপরের ভোট কক্ষে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের অলস বসে থাকতে দেখা যায়। পরে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে দেখা যায়, তাদের কক্ষের দরজা বাইরে থেকে আটকানো। পরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট এসে ঘটনার সত্যতা পায়।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version