Connect with us

ইউরোপ

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিযোগিতায় সড়ে আসলেন বরিস জনসন

Published

on

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌঁড় থেকে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নিজেকে প্রত্যাহার করেন। স্থানীয় সময় রোববার (২৩ অক্টোবর) দেয়া এক বিবৃতিতে নিজের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের দেয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন রোববার ব্রিটেনের পরবর্তী নেতা হওয়ার প্রতিযোগিতা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে বলেছেন, পরবর্তী পর্যায়ে অগ্রগতির জন্য তার পেছনে যথেষ্ট পরিমাণ আইনপ্রণেতার সমর্থন রয়েছে, তবে সেটি সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের চেয়ে অনেক কম।

বিবৃতিতে জনসন বলেন, ‘কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের সাথে নিয়ে নির্বাচনে আমার সফল হওয়ার খুব ভালো একটা সুযোগ রয়েছে – এবং আমি সত্যিই শুক্রবার ডাউনিং স্ট্রিটে ফিরে আসতে পারি।’

‘কিন্তু গত কয়েকদিনে আমি দুঃখের সাথে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, এটি করা ঠিক হবে না। পার্লামেন্ট ঐক্যবদ্ধ দল না থাকলে আপনি কার্যকরভাবে দেশ শাসন করতে পারবেন না।’

Advertisement

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস গত বৃহস্পতিবার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। মাত্র মাস দেড়েক আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। তবে তার পদত্যাগের পর এখন ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পাটির পরবর্তী নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নির্ধারণের জন্য আরেকটি নেতৃত্ব নির্বাচন করতে হবে।

লিজ ট্রাসের পদত্যাগের পর নিজের দ্রুত রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে যুক্তরাজ্যে ফিরে আসেন বরিস জনসন। সম্প্রতি তিনি ছুটি কাটনোর জন্য ব্রিটেনের বাইরে গেলেও শনিবার তড়িঘড়ি করেই দেশে ফিরে আসেন।

অবশ্য দেশে ফিরলেও ডাউনিং স্ট্রিটে ফিরে আসার জন্য জনসন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থিতা ঘোষণা করেননি। তবে ব্রিটেনের পা রেখেই কনজারভেটিভ আইন প্রণেতাদের তাকে সমর্থন করার জন্য রাজি করার চেষ্টা করেছেন জনসন।

এছাড়া রোববার তিনি বলেছিলেন, কনজারভেটিভ আইন প্রণেতাদের মধ্যে তার ১০২ জনের সমর্থন রয়েছে। তবে সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, বরিস জনসনকে প্রকাশ্যে সমর্থন করেছেন এমন আইনপ্রণেতার সংখ্যা মূলত ৫৭ জন। তবে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে কোনো প্রার্থীকে সহকর্মী টোরি এমপিদের মধ্যে কমপক্ষে ১০০ জনের মনোনয়নের বা সমর্থনের প্রয়োজন হবে।

অন্যদিকে সাবেক ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাককে সমর্থনকারী টোরি আইনপ্রণেতার সংখ্যা ১৪২ জন বলে জানিয়েছে স্কাই নিউজ। এতে করে সুনাকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়ে গেল। মূলত এই সুনাকের পদত্যাগের সিদ্ধান্তই জনসনকে গত জুলাইয়ে ব্রিটেনের ক্ষমতা থেকে নামিয়ে আনতে সাহায্য করেছিল।

Advertisement

রয়টার্স বলছে, এখন যে অবস্থা তাতে পেনি মর্ডান্ট সহকর্মী টোরি এমপিদের মধ্যে কমপক্ষে ১০০ জনের মনোনয়ন বা সমর্থন নিশ্চিত করতে না পারলে ঋষি সুনাকই কনজারভেটিভ পার্টির নেতা মনোনীত হবেন এবং সোমবারই প্রধানমন্ত্রী হয়ে যেতে পারেন।

আর সেই সম্ভাবনাই হয়তো বেশি। কারণ রোববার পর্যন্ত ২৪ জন কনজারভেটিভ আইণপ্রণেতা পেনি মর্ডান্টকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন।

ইউরোপ

যুদ্ধের মধ্যেই রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে সরিয়ে দিলেন পুতিন

Published

on

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেরগেই সোইগুকে সরিয়ে দিয়েছেন। রোববার (১২ মে) এই পদক্ষেপকে ইউক্রেন আক্রমণের দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন বলে মনে করা হচ্ছে।

সোমবার (১৩ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

রাশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ফেডারেশন কাউন্সিল প্রকাশিত মন্ত্রী পদের মনোনয়নের তালিকা অনুসারে, অর্থনীতিবিদ আন্দ্রে বেলোসোভকে শোইগুর স্থলাভিষিক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন পুতিন।

৬৮ বছর বয়সী সেরগেই সোইগু ২০১২ সাল থেকেই রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তাকে এখন এই পদ থেকে সরিয়ে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হতে পারে।

বর্তমানে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নিকোলাই পাত্রুশেভ। তবে পরবর্তীতে তাকে কোন পদে দায়িত্ব দেয়া হবে সে বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়।

Advertisement

ইউক্রেন যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন সেরগেই সোইগু। এদিকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, শোইগু এই সেক্টরেই (প্রতিরক্ষা) কাজ চালিয়ে যাবেন। তিনি এই বিষয়গুলো ভালো জানেন। তিনি তার আগের কাজের জায়গায় তার সহকর্মী এবং অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তিনি এটি খুব ভালোভাবে জানেন।

গত মার্চের নির্বাচনে জয়ী হয়ে নতুন সরকার গঠন করছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। সে কারণেই পুতিনকে সাংবিধানিকভাবে সরকারের বিভিন্ন পদে মন্ত্রীদের নতুন তালিকা দিতে হবে অথবা বিদ্যমান মন্ত্রীদের পুনরায় নিয়োগ দিতে হবে।

চলতি বছরের নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের আসনে বসে অনন্য রেকর্ড গড়েছেন পুতিন। ফলে আরও ছয় বছরের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালনের সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। তবে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এবারের মেয়াদে পুতিন আরও বেশি ক্ষমতাধর হয়ে উঠবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

১৯৯৯ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন তিনি, কখনো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, কখনো প্রেসিডেন্ট হিসেবে। তার প্রথম দুটি মেয়াদ স্থায়ী হয়েছিল চার বছর। পরে সংবিধান সংশোধন করে রুশ সরকারপ্রধানের মেয়াদ বাড়িয়ে ছয় বছর করা হয়। পুতিনের প্রথম ছয় বছরের মেয়াদ শুরু হয়েছিল ২০১২ সালে এবং দ্বিতীয়টি ২০১৮ সালে। ২০২০ সালে আবারও সংবিধান সংশোধন করা হয়, যার মাধ্যমে ২০২৪ সালেও প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পান পুতিন।

গেলো মার্চের নির্বাচনে ৮৭ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে বিজয়ী হন ৭১ বছর বয়সী এ নেতা। যদিও ওই নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকা এবং ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ করেছে পশ্চিমারা।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ফিলিপাইনে তীব্র খরায় জেগে উঠলো ৩০০ বছরের পুরোনো শহর

Published

on

ফিলিপাইনে চলমান অতি তাপপ্রবাহে সেখানকার একটি বিশালাকার কৃত্রিম জলাধার শুকিয়ে গিয়েছে। ফলে তীব্র খরার মধ্যে প্রায় ৩০০ বছরের পুরোনো শহরের ধ্বংসাবশেষ জেগে উঠেছে।  তীব্র তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে ঐতিহ্যবাহী শহরটি দেখতে সেখানে ভিড় করছেন অনেক দেশি-বিদেশি পর্যটক।

মঙ্গলবার(৩০ এপ্রিল) দেশটির বাঁধ পরিচালনাকারী রাষ্ট্রীয় সংস্থার প্রকৌশলী মারলন প্যালাডিন গনমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বৃটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭০ সালের শুরুর দিকে পানি সংরক্ষণের জন্য বাঁধ তৈরি করার কারনে পাশের ঐতিহ্যবাহী পান্তাবঙ্গন শহরটি তলিয়ে যায়। সম্প্রতি অতি খরায় ধ্বংসাবশেষটি মানুষের নজরে আসে।

ফিলিপাইনের আবহাওয়া বিভাগ জানায়, সাধারণত মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাস দ্বীপপুঞ্জের দেশটিতে সবচেয়ে উষ্ণ এবং শুষ্কতম আবহাওয়া বিরাজ করে। তবে এ বছর এল নিনোর প্রভাবে পরিস্থিতি আরো বেশী বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

প্রসঙ্গত, এশিয়ার এই দেশটির অর্ধেকের বেশি জায়গায় এখন তীব্র খরা চলছে। কয়েকটি শহরে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। এর আগে ২৪ এপ্রিল চরম তাপদাহে দেশটির রাজধানী ম্যানিলাসহ ৩০টি শহরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস স্থগিত করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। নাগরিকদের বাইরে সময় কাটানোর পরিমাণ সীমিত করতে সতর্কতা জারি করা হয়।

Advertisement

জেড/এস

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, পদত্যাগের চিন্তা প্রধানমন্ত্রীর

Published

on

স্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হওয়ায় পদত্যাগ করতে পারেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারপ্রধান হিসেবে তার দায়িত্বপালন চালিয়ে যাওয়া উচিত হবে কি না সে বিষয়ে খুব শিগগির সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী।

বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারপ্রধান থাকা উচিত নাকি এই সম্মান ছেড়ে দেয়া উচিত, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য থামতে ও ভাবতে হবে। তিনি আগামী ২৯ এপ্রিল সিদ্ধান্ত জানাবেন এবং সেই পর্যন্ত নিজের কাজগুলো স্থগিত রাখবেন।

অনলাইন নিউজ সাইট এল কনফিডেনশিয়ালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি বরাদ্দ পেয়েছে বা চুক্তি জিতেছে এমন বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী বেগোনা গোমেজের সম্পর্ক থাকার অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

প্রতিবেদনে আরও  বলা হয়, এয়ার ইউরোপার মালিকানাধীন স্প্যানিশ পর্যটন গ্রুপ গ্লোবালিয়ার সঙ্গে গোমেজের কথিত সম্পর্কের সঙ্গে জড়িত এই তদন্ত।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর থেকেই পেদ্রো সানচেজের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছে ডানপন্থি বিরোধী দল পপুলার পার্টি (পিপি)।

তবে সোশ্যালিস্ট নেতা সানচেজ দাবি করেছেন, তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো ‘অবাস্তব তথ্যের ওপর ভিত্তি করে’ তৈরি। এটি ‘অতি রক্ষণশীল’ মিডিয়ার নেতৃত্বে এবং রক্ষণশীল ও কট্টর ডানপন্থিদের সমর্থনে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘হয়রানিমূলক’ প্রচারণার অংশ মাত্র।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল থেকে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন পেদ্রো সানচেজ।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version