Connect with us

এশিয়া

গেস্টহাউসের পেছনে রক্তাক্ত অবস্থায় ছিলো কিশোরী

Published

on

ভারতের উত্তরপ্রদেশে ফের গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ বার কনৌজ জেলায় এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ১২ বছর বয়সি ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর পরই এই ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জানা গেছে, রোববার বিকেলে ‘পিগি ব্যাংক’ (খুচরো পয়সা জমানোর ভাঁড়) কেনার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল কিশোরী। কিন্তু দীর্ঘ ক্ষণ পরেও সে বাড়ি না ফেরায় খোঁজ শুরু করে পরিবার। সন্ধ্যায় ডাক বাংলা গেস্টহাউসের পেছনে কিশোরীকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। উদ্ধার করার সময় কিশোরীরে শরীরে রক্ত লেগেছিল বলে দাবি করা হয়েছে।

মেয়ের খোঁজ না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। তার পরই তার খোঁজ শুরু করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীকে নিজের হাতে তুলে অটোয় করে তাকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান মনোজ পাণ্ডে নামে এক পুলিশ আধিকারিক। সেখান থেকে কিশোরীকে কানপুরের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তার শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানা গেছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে একাধিক ধর্ষণের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। সে রাজ্যে শিশু ও নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে বারংবার যোগী আদিত্যনাথের সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের। এই প্রেক্ষাপটে কনৌজ জেলার ঘটনা এই পর্বে নয়া মাত্রা যোগ করল।

এশিয়া

যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেই পদত্যাগ করবেন ইসরায়েলি দুই মন্ত্রী

Published

on

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব খোলাসা করেছেন তাতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রাজি হলে ইসরায়েলের দুই উগ্র ডানপন্থি মন্ত্রী ক্ষমতাসীন জোট ছাড়ার ও ভেঙ্গে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন।

রোববার (২ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ ও জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির বাইডেনের প্রস্তাবিত চুক্তির বিরোধী। শনিবার তারা জানিয়েছেন, হামাস নির্মূলের আগে এই চুক্তি মেনে নিলে তারা পদত্যাগ করবেন। এমনকি সরকার ভেঙে দেয়ারও হুমকি দিয়েছেন তারা।

তবে পাল্টা অবস্থান ইসরায়েলের বিরোধী জোটের। যুদ্ধ বিরোধী এই পরিকল্পনাকে সমর্থন করলে বিরোধী নেতা ইয়ার ল্যাপিড ক্ষমতাসীন নেতানিয়াহু সরকারকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

এর আগে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাসের সামরিক এবং শাসন করার ক্ষমতা ধ্বংস না হওয়া বং সমস্ত জিম্মিকে মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত কোনো স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে না।

Advertisement

বাইডেনের যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাবটি ছয় সপ্তাহের যুদ্ধ বিরতির মাধ্যমে শুরু হবে। যেখানে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গাজার জনবহুল এলাকা থেকে প্রত্যাহার করবে। চুক্তি অনুযায়ী পরবর্তীতে সব জিম্মিদের মুক্তি, স্থায়ী শত্রুতার অবসান এবং ব্যাপকভাবে গাজা পুনর্নির্মাণ পরিকল্পনা।

প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এই প্রস্তাবের পর শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে অর্থমন্ত্রী মি. স্মোট্রিস জানান তিনি নেতানিয়াহুকে বলেছেন যে, হামাসকে ধ্বংস করা এবং সমস্ত জিম্মিকে ফিরিয়ে না এনে প্রস্তাবিত রূপরেখায় যদি নেতানিয়াহু রাজি হন তাহলে সরকারের এই প্রক্রিয়ার অংশ হবেন না তিনি।

প্রায় একই মনোভাব প্রকাশ করে বেন-গভির বলেন, এই চুক্তির অর্থ হলো যুদ্ধের সমাপ্তি এবং হামাসকে ধ্বংস করার লক্ষ্য থেকে সরে আসা।

তিনি বলেন, এই চুক্তি মানে সন্ত্রাসবাদের বিজয়, যা ইসরায়েল রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। তিনি এই প্রস্তাবে রাজি হওয়ার বদলে ‘সরকার ভেঙে দেয়ার’ কথা বলেন।

নেতানিয়াহুর ডানপন্থী জোট সংসদে একটি ছোটখাটো সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আছে। বেন-গভিরের ওটজমা ইয়েহুডিত (ইহুদি শক্তি) পার্টির ছয়টি আসন রয়েছে। আর স্মোট্রিসের ধর্মীয় জায়োনিজম পার্টির রয়েছে মাত্র সাতটি আসন। তারা ক্ষমতায় থাকতে জোটবদ্ধ হিসেবে সংসদে রয়েছে।

Advertisement

অপরদিকে, ইসরায়েলের সবচেয়ে প্রভাবশালী বিরোধী রাজনীতিবিদদের একজন ইয়ার ল্যাপিড। এই সংকটে তিনি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে তার সমর্থনের প্রস্তাব দিয়েছেন। তার দল ইয়েশ আতিদ ২৪টি আসন নিয়ে সংসদে রয়েছে। রাজনীতিতে যাদের ভবিষ্যতও বেশ ভালো।

তিনি বলেছেন, ‘বেন-গভির এবং স্মোট্রিস সরকার ছেড়ে দিলে জিম্মি চুক্তির জন্য নেতানিয়াহুর জন্য আমাদের সমর্থন আছে।’

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

আফগানিস্তানে নৌকা ডুবে প্রাণ গেলো ২০ জনের

Published

on

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় নানগরহার প্রদেশে নৌকাডুবিতে শিশুসহ ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নৌকাটিতে নারী ও শিশুসহ ২৫ যাত্রী ছিলেন।

শনিবার (১ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ৭টার দিকে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় নানগরহার প্রদেশের এক নদীতে যাত্রীবাহী একটি নৌকা ডুবে যায়। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আলজাজিরার দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

নানগরহার প্রদেশের তথ্য বিভাগের প্রধান কুরাইশি বদলুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে বলেন, মোমান্দ দারা জেলার বাসাউল এলাকার একটি নদীতে এ নৌকাডুবি ঘটে।

স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, দুর্ঘটনার সময় ৫ যাত্রী কোনোমতে প্রাণে বেঁচে যান। নৌকাডুবির কারণ এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে তদন্ত চলছে।

এদিকে, প্রাদেশিক সরকারের কর্মকর্তারা জানান, এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকাজ অব্যাহত আছে।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

এভারেস্টের বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধের নির্দেশ

Published

on

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহ্য সংরক্ষণের অংশ হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্টের বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধের আদেশ দিয়েছে নেপালের সুপ্রিম কোর্ট।

শনিবার (১ জুন) নেপালভিত্তিক সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, এবারের বসন্তকালীন আরোহণ মৌসুমে ২০০ বিদেশিসহ ৬০০ জন এভারেস্টের চূড়ায় সফলভাবে পৌঁছান। মৌসুমটি শেষ হয় বুধবার।

এভারেস্টের চূড়ায় যেতে ৬০ দেশের পর্বতারোহীরা দেড় মাসের যাত্রা শুরু করে কাঠমান্ডু থেকে। সেখান থেকে লুকলা হয়ে বেজ ক্যাম্পে যান তারা। তারপর ধীরে ধীরে পর্বতচূড়ায় ওঠেন আরোহীরা।

এ যাত্রা অনেকের জন্য হয়েছে আনন্দের উপলক্ষ। তেমনই কারও কারও জন্য যাত্রাটি হয়েছে বেদনার, যারা হারিয়েছেন তাদের স্বজন।

Advertisement

মৌসুমজুড়ে হোটেল থেকে এয়ারলাইনস, রেস্তোরাঁ থেকে হেলিকপ্টার কোম্পানি—সবাই ব্যবসার প্রসার দেখেছে। এভাবে এভারেস্টকেন্দ্রিক লাখ লাখ ডলারের শিল্প গড়ে উঠেছে, তবে নেপালের সুপ্রিম কোর্ট মনে করছে, এমন বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধ হওয়া উচিত।

কাঠমান্ডু পোস্টের খবর অনুযায়ী, আরোহণ মৌসুম শুরুর আগে নেপালের সুপ্রিম কোর্ট সরকারকে এভারেস্টে ক্রমবর্ধমান অভিযান নিয়ন্ত্রণে আনার আদেশ দেয়।

আদেশে আরোহীর সংখ্যা নির্দিষ্ট করা এবং তাদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিতের মাধ্যমে পর্বতারোহণের অনুমতির কথা বলে সুপ্রিম কোর্ট।

এভারেস্টে ক্রমবর্ধমান মনুষ্যসৃষ্ট জট ও পর্বতের ঢালে মানববর্জ্যের বিষয়টি আমলে নিয়ে নেপালের সর্বোচ্চ আদালত উল্লিখিত আদেশ দিয়েছিল।

নেপালের পর্যটন বিভাগের প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে এভারেস্টের চূড়ায় উঠতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন আটজন, যাদের মধ্যে তিনজন নিখোঁজ ছিলেন, যারা প্রাণ হারিয়েছেন বলে ধরে নেয়া হয়েছে।

Advertisement

গেলো বছর এভারেস্ট আরোহণের সময় মৃত্যু হয়েছিল ১৭ জনের।

আরোহীদের গাইডদের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের এভারেস্টযাত্রা একই সঙ্গে ছিল বিজয় ও ট্র্যাজেডির।

হিমালয়কন্যার পর্যটন বিভাগের পরিচালক রাকেশ গুরুং জানান, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার আরোহীদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version