বাংলাদেশ
সিত্রাং কেড়ে নিলো ১৫ জনের প্রাণ
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডে আঘাত করে দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। বৃষ্টি ঝড়িয়ে দুর্বল হয়ে সিত্রাং এখন স্থল নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। বললেন আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে ভোলার নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড়টি।
সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঝোড়ো বাতাস ও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টিতে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর ২টা পর্যন্ত ৯ জেলায় অন্তত ১৫ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
কুমিল্লায় একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে একটি ঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, নিজাম উদ্দিন, তার স্ত্রী ও কন্যাশিশু নুসরাত।
পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়ায় একটি গাছ নিজামের ঘরের ওপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই নেজাম ও তার স্ত্রী নিহত হন।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শিশু নুসরাতকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বরগুনায় প্রাণ গেল ১১৫ বছর বয়সী নারীর
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়ায় বরগুনায় ঘরের ওপর গাছ পড়ে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীর নাম আমেনা খাতুন। তার বয়স ১১৫ বছর। তিনি বরগুনা সদর উপজেলার সোনাখালি গ্রামের বাসিন্দা। তার পরিবারকে আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শরীয়তপুরে বসতঘরের ওপর গাছ পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়ায় বসতঘরের ওপর গাছ পড়ে শরীয়তপুরের জাজিরায় সাফিয়া খাতুন (৬৫) নামে এক নারী মারা গেছেন।
সোমবার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুল হাসান সোহেল।
ঝোড়ো বাতাসে গাছের ডাল পড়ে গৃহপরিচারিকার মৃত্যু
নড়াইলের লোহাগড়ায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভারী বর্ষণ ও ঝোড়ো বাতাসে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে মর্জিনা বেগম (৪০) নামে এক গৃহপরিচারিকার মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরের পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অদূরে এ ঘটনা ঘটে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার সন্তানকে সহায়তার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
সিরাজগঞ্জে নৌকা ডুবে প্রাণ গেল মা-ছেলের
সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের পূর্বমোহন ও শিল্পপার্কের মাঝখানে যমুনা নদীর ক্যানেলে ঝড়-বৃষ্টির কবলে পড়ে নৌকাডুবিতে মা-ছেলে মারা গেছেন। সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন- সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের পূর্বমোহন গ্রামের খোকনের স্ত্রী আয়েশা খাতুন (২৮) ও তার ছেলে আরাফাত হোসেন (০২)।
ভোলায় গাছ ও ঘরচাপায় ৩ জনের মৃত্যু
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভোলায় গাছ ও ঘরচাপায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও পুকুরের মাছ।
জানা গেছে, ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়ায় গাছচাপায় মফিজুল ইসলাম নামে এক যুবক এবং দৌলতখানে ঘরচাপায় খাদিজা বেগম নামে এক বৃদ্ধা ও চরফ্যাশনে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে গাছচাপায় মনির খন্দকার নামে একজন মারা গেছে। এছাড়া অনেক জায়গায় গাছ উপড়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এখনো বেশির ভাগ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
ভোলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন ও চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গোপালগঞ্জে গাছ পড়ে প্রাণ গেল ২ নারীর
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দমকা বাতাসে সোমবার রাতে ঘরের ওপর গাছ পড়ে দুই নারী নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- উপজেলার পাঁচকাহনিয়া গ্রামের রেজাউল খাঁর স্ত্রী শারমিন বেগম (২৫) ও বাঁশবাড়িয়া গ্রামের হান্নান তালুকদারের স্ত্রী রুমিছা বেগম (৬৫)।
ঘরের ওপর গাছ পড়ে শিশুর মৃত্যু, মা আহত
সিত্রাংয়ের প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়ায় নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ঘরের ওপর গাছ পড়ে সানজিদ আফ্রিদি আদি নামে এক শিশুর (১) মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাতে উপজেলার পূর্ব চরবাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় শিশুটির মা সানজিদা খানম গুরুতর আহত হলে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। আফ্রিদি পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের পূর্ব চরবাটা গ্রামের মো. আবদুল্লার ছেলে।
এদিকে মঙ্গলবার ১০টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম, খুলনা, ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে পড়ায় সব সমুদ্রবন্দরে বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গাছচাপায় প্রাণ গেল যুবকের
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ঝড়ের সময় ঘরের ওপর গাছ পড়ে জয়নাল আবেদীন ভূইয়া (২৬) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টায় উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ধ্বজনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জয়নাল ওই গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় জয়নালের স্ত্রী নিপা আক্তার আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে গতকাল সারা দিন বৃষ্টি হয়েছে। রাতে বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া শুরু হয়। এ সময় জয়নালের ঘরের ওপর একটি গাছ পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী আহত হয়।
অপরাধ
মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২০
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (১২ মে) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
ডিএমপি পক্ষ থেকে বলা হয়, ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে শনিবার (১১ মে) সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
এ সময় ৯১ পিস ইয়াবা, ৬৫.৫ গ্রাম হেরোইন, ২৫ কেজি ৩৭০ গ্রাম গাঁজা ও ১৫টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ডিএমপির সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৮টি মামলা রুজু হয়েছে।
কেএস/
আইন-বিচার
জিএম কাদেরের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালনে বাধা নেই
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরে কার্যক্রম চালাতে বাধা নেই। জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
রোববার (১২ মে) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে হাইকোর্টের দেয়া রুল নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আপিল বিভাগ।
আদালতে জি এম কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. অজি উল্লাহ, অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম। অপরপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।
এর আগে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল দায়ের করা হয়।
২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুল জারি করেছন আদালত।
বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়ালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।আদালতে জিএম কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়।
২০২২ সালের ৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দলীয় যাবতীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার অস্থায়ী আদেশ দেন।
পরে শেখ সিরাজুল ইসলাম, কলিম উল্যাহ মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী জি এম কাদেরের পক্ষে এ আবেদন করেন। আবেদনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের ওপর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহার চাওয়া হয়েছে। গত ২৪ নভেম্বর এই আবেদনের শুনানির জন্য জেলাজজ আদালতে মিস আপিল দায়ের করা হয়। সেই আবেদন নামঞ্জুর করেন জেলা জজ আদালত। জেলা জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন জিএম কাদের।
মামলায় বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিবাদী জিএম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছর ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন।
জিয়াউল হক মৃধার মামলায় বলা হয়, গত ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন। এছাড়া গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন। অন্যদিকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন, যা অবৈধ।
তাই ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের কাউন্সিলসহ চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহিষ্কার আদেশ অবৈধ ঘোষণা করতে এবং হাইকোর্ট বিভাগের রিট ১৫০৫১/২০১৯ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির পরবর্তী কাউন্সিল স্থগিত রাখতে মামলায় আদেশ চাওয়া হয়েছে।
কেএস/
জাতীয়
ছেলেরা কেন পিছিয়ে, কারণ বের করতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
ফলাফলে দেখলাম তিন বোর্ডে ছাত্রের সংখ্যা বেশি। কিছু জায়গায় সমান। অধিকাংশ জায়গায় ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি। এটা আমাদের জন্য সুখবর। এসএসসি পর্যন্ত নারীদের শিক্ষা আমরা অবৈতনিক করেছি। পরীক্ষায়ও ছাত্রী সংখ্যা বেশি। এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে, কেন ছাত্রের সংখ্যা কম। কী কারণে আমাদের ছাত্ররা কমে যাচ্ছে। পাসের ক্ষেত্রেও মেয়েরা এগিয়ে, এটা ভালো কথা। কিন্তু ছেলেরা কেন পিছিয়ে? বের করতে হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১২ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এরপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা একটা শিক্ষানীতি করেছি, এখন সেটা বাস্তবায়ন করছি। বিনামূল্যে আমরা বই বিতরণ করছি। আজকে ৭৬ শতাংশ বেড়েছে স্বাক্ষরতার হার, এটা আমাদের অর্জন।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের একটাই ইচ্ছা ছিল, দেশের মানুষের মাঝে শিক্ষা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা। যেন তারা শিক্ষায় মনযোগ দেয়। দিনে দিনে আমাদের দেশে স্বাক্ষরতার হার বেড়েছে এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যাও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপরও বলতে চাই, যারা এখনও শিক্ষার বাইরে রয়েছে তাদেরকে শিক্ষার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি, বিজ্ঞান প্রযুক্তি, তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে হবে। অর্থাৎ সার্বিকভাবে শিক্ষিত হতে যা যা দরকার এবং বিশ্বপরিমণ্ডলে ঠিকে থাকতে হলে যা দরকার; সেটা আমরা প্রবর্তন করতে চাই। শিক্ষাক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সরকারপ্রধান বলেন, আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, মাত্র ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছে। কিন্তু এমনও সময় গেছে মাসের পর মাস ফলাফল পড়ে থেকেছে। শিক্ষার্থীরা সেটা পায়নি। কিন্তু এখন একটা নিয়মের মধ্যে আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষিত জনগোষ্ঠী ছাড়া কোনো উন্নতি সম্ভব নয়, সেজন্য শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে সরকার। শিক্ষার পেছনে ব্যয়কে বিনিয়োগ হিসেবে দেখে।
যারা পাস করেছে, তাদের আন্তরিক অভিনন্দন। এজন্য বাবা-মা-অভিভাবক ও শিক্ষকদেরও অভিনন্দন জানাই। যারা কৃতকার্য হতে পারেনি, আমি বলবো, তাতে মন খারাপ করার কিছু নেই। আবার চেষ্টা করলে হয়ত ভালো করতে পারবে। বাবা-মা অভিভাবক এ বিষয়ে গালমন্দ করবেন না তাদের। এমনিতেই তো মন খারাপ, তার ওপর অভিভাবকরা রুষ্ট হলে আরও মন খারাপ হবে। কেন খারাপ ফল করলো, সে কারণ বের করুন, তাদের সহানুভূতির সঙ্গে দেখে পড়াশোনার দিকে মনোযোগী হতে সুযোগ দেয়া দরকার।
চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এ পরীক্ষা শেষ হয় ১২ মার্চ। এরপর ১৩ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এতে সারাদেশের ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।
টিআর/
-
এশিয়া21 hours ago
দুর্ঘটনায় উল্টে গেলো গাড়ি, রাস্তায় ছড়িয়ে পড়লো কোটি কোটি টাকা
-
টুকিটাকি1 day ago
মাকে গুলি, স্ত্রীকে হাতুড়ি আর ৩ সন্তানকে ছাদ থেকে ফেলে খুন
-
জাতীয়6 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
-
বলিউড7 days ago
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
-
আন্তর্জাতিক4 days ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
-
ঢাকা6 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
-
ঢালিউড3 days ago
মেয়ের মা হলেন পরীমণি
-
বলিউড6 days ago
ভাই-বোনেরা গাঁজা একদম ছুবে না: হানি সিং
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন