Connect with us

ইউরোপ

‘কঠিন সময়’ সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন : সুনাক

Published

on

নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি ‍সুনাক

তার সরকারের জন্য সামনে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে বলে সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।

আজ মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে দেয়া ভাষণে অভ্যন্তরীণ বিষয়ের বাইরে ইউক্রেন ইস্যুতে কঠোর হওয়ার বার্তা দেন ঋষি সুনাক। রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের লড়াইয়ে সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

তিনি বলেছেন, পেছনের ভুল শোধরাতে নিজেদের মধ্যে ঐক্য দরকার। প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ার পর প্রথম ভাষণে সুনাক স্পষ্ট করে বলেন, তিনি অতীতের ভুল সংশোধন করে দেশকে এগিয়ে নেবেন।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনকে ভয়ংকর যুদ্ধ বলে অভিহিত করেন কনজারভেটিভ দলীয় এই প্রধানমন্ত্রী। তিনি একই সঙ্গে সফলভাবে এই যুদ্ধের শেষ দেখতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন।

মঙ্গলবার সকালে লন্ডনে রাজ পরিবারের কার্যালয় বাকিংহাম প্যালেসে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করেন ঋষি সুনাক। সংক্ষিপ্ত বৈঠকের পর রাজা চার্লস তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন এবং নতুন মন্ত্রিসভা গঠনে আমন্ত্রণ জানান।

Advertisement

এরপর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন তিনি। ভাষণের শুরুতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের প্রতি সম্মান জানান সুনাক।

পরে সাবেক সরকারের সমালোচনা করে ঋষি সুনাক বলেন, বিগত সরকার কিছু ভুল করেছিল এবং সেসব ভুলের জেরেই দেশ বর্তমানে এক গভীর অর্থনৈতিক সংকটের সামনে উপস্থিত হয়েছে। তিনি বলেন, আমি কী কারণে এবং কোন পরিস্থিতিতে আপনাদের নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছি, তা আপনারা সবাই জানেন। এই মুহূর্তে আমাদের দেশ এক গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া এখনও করোনা মহামারির জের আমাদের টেনে নিতে হচ্ছে।

লিজ ট্রাসের সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা কিছু ভুল করেছিলাম। এসব ভুল যে ইচ্ছাকৃত ছিল এমন নয়। এবং কাজ করতে গেলে ভুল হওয়া অস্বাভাবিকও নয়। কিন্তু তারপরও আমরা বলব, কিছু ভুল আমাদের ছিল।

বিগত সরকারগুলোর ভুল শোধরাতে দ্রুত কাজ শুরু করা প্রয়োজন উল্লেখ করে সুনাক বলেন, আমাদের খুব দ্রুত কাজে নেমে পড়তে হবে। কারণ যত বিলম্ব হবে সংকটের তীব্রতা আরও বাড়বে। এবং আমি আপনাদের প্রধানমন্ত্রী হয়েছি বিগত আমলের সেসব ভুল সংশোধনের জন্যই।

তিনি বলেন, নিজের মেয়াদে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সহযোগিতা কামনা করি। দেশের এখন যে পরিস্থিতি, তাতে আমাদের নিজেদের মধ্যকার যাবতীয় মতপার্থক্য ভুলে এক হওয়ার সময় এসেছে। কারণ, ব্রিটেনের জনগণের কাছে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমার দিক থেকে এ বিষয়ে সবসময়ই পূর্ণ আগ্রহ থাকবে।

Advertisement

এদিকে, যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পরপর এক টুইট বার্তায় ঋষি সুনাককে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, গুরুত্বপূর্ণ সামরিক মিত্র লন্ডনের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে প্রস্তুত আছে কিয়েভ।

টুইটে জেলেনস্কি বলেছেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ায় ঋষি সুনাককে অভিনন্দন। বর্তমানে ব্রিটিশ সমাজ এবং সমগ্র বিশ্ব যে সব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে তা সুনাক সফলভাবে জয় করতে সক্ষম হবেন বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।

ইউক্রেনের এই নেতা বলেন, আমি ঐক্যবদ্ধভাবে ইউক্রেনীয়-ব্রিটিশ কৌশলগত অংশীদারত্ব জোরদার করতে প্রস্তুত রয়েছি।

আন্তর্জাতিক

ফিলিপাইনে তীব্র খরায় জেগে উঠলো ৩০০ বছরের পুরোনো শহর

Published

on

ফিলিপাইনে চলমান অতি তাপপ্রবাহে সেখানকার একটি বিশালাকার কৃত্রিম জলাধার শুকিয়ে গিয়েছে। ফলে তীব্র খরার মধ্যে প্রায় ৩০০ বছরের পুরোনো শহরের ধ্বংসাবশেষ জেগে উঠেছে।  তীব্র তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে ঐতিহ্যবাহী শহরটি দেখতে সেখানে ভিড় করছেন অনেক দেশি-বিদেশি পর্যটক।

মঙ্গলবার(৩০ এপ্রিল) দেশটির বাঁধ পরিচালনাকারী রাষ্ট্রীয় সংস্থার প্রকৌশলী মারলন প্যালাডিন গনমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বৃটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭০ সালের শুরুর দিকে পানি সংরক্ষণের জন্য বাঁধ তৈরি করার কারনে পাশের ঐতিহ্যবাহী পান্তাবঙ্গন শহরটি তলিয়ে যায়। সম্প্রতি অতি খরায় ধ্বংসাবশেষটি মানুষের নজরে আসে।

ফিলিপাইনের আবহাওয়া বিভাগ জানায়, সাধারণত মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাস দ্বীপপুঞ্জের দেশটিতে সবচেয়ে উষ্ণ এবং শুষ্কতম আবহাওয়া বিরাজ করে। তবে এ বছর এল নিনোর প্রভাবে পরিস্থিতি আরো বেশী বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

প্রসঙ্গত, এশিয়ার এই দেশটির অর্ধেকের বেশি জায়গায় এখন তীব্র খরা চলছে। কয়েকটি শহরে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। এর আগে ২৪ এপ্রিল চরম তাপদাহে দেশটির রাজধানী ম্যানিলাসহ ৩০টি শহরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস স্থগিত করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। নাগরিকদের বাইরে সময় কাটানোর পরিমাণ সীমিত করতে সতর্কতা জারি করা হয়।

Advertisement

জেড/এস

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, পদত্যাগের চিন্তা প্রধানমন্ত্রীর

Published

on

স্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হওয়ায় পদত্যাগ করতে পারেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারপ্রধান হিসেবে তার দায়িত্বপালন চালিয়ে যাওয়া উচিত হবে কি না সে বিষয়ে খুব শিগগির সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী।

বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারপ্রধান থাকা উচিত নাকি এই সম্মান ছেড়ে দেয়া উচিত, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য থামতে ও ভাবতে হবে। তিনি আগামী ২৯ এপ্রিল সিদ্ধান্ত জানাবেন এবং সেই পর্যন্ত নিজের কাজগুলো স্থগিত রাখবেন।

অনলাইন নিউজ সাইট এল কনফিডেনশিয়ালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি বরাদ্দ পেয়েছে বা চুক্তি জিতেছে এমন বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী বেগোনা গোমেজের সম্পর্ক থাকার অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

প্রতিবেদনে আরও  বলা হয়, এয়ার ইউরোপার মালিকানাধীন স্প্যানিশ পর্যটন গ্রুপ গ্লোবালিয়ার সঙ্গে গোমেজের কথিত সম্পর্কের সঙ্গে জড়িত এই তদন্ত।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর থেকেই পেদ্রো সানচেজের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছে ডানপন্থি বিরোধী দল পপুলার পার্টি (পিপি)।

তবে সোশ্যালিস্ট নেতা সানচেজ দাবি করেছেন, তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো ‘অবাস্তব তথ্যের ওপর ভিত্তি করে’ তৈরি। এটি ‘অতি রক্ষণশীল’ মিডিয়ার নেতৃত্বে এবং রক্ষণশীল ও কট্টর ডানপন্থিদের সমর্থনে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘হয়রানিমূলক’ প্রচারণার অংশ মাত্র।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল থেকে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন পেদ্রো সানচেজ।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ইউরোপ

ইইউ পার্লামেন্টে শ্রম আইনের নতুন বিল পাস

Published

on

গেলো কয়েক বছর ধরেই শ্রমিকের সার্বিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে আলোচনায় ইউরোপের নীতি নির্ধারকরা। আর সে লক্ষ্যে আইনের দিকে ঝুঁকে নীতি নির্ধারকরা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) এ আইন পাস হলো ইইউ পার্লামেন্টে। পক্ষে ভোটা ৩৭৪টি, ভোট দানে বিরত ছিল ১৯ জন আর বিপক্ষে ভোট পরেছে ২৩৫।

ডিউ ডিলিজেন্স আইনে বলা হয়, দেশে-বিদেশে ইইউর যেসব প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করবে এবং বার্ষিক বিক্রি ন্যূনতা ৪৫০ মিলিয়ন ইউরো, কর্মীর সংখ্যা ১০০০ এর উপরে তারা পরবে নতুন আইনের আওতায়। সেসব করপোরেটদের নিশ্চিত করতে হবে শ্রমিক ও পরিবেশ নিরাপত্তা। নইলে গুনতে হবে জরিমানা।

বাংলাদেশের ইইউ ডেলিগেশন প্রধান চার্লস হোয়াইটলি এ বিষয়ে বলেন, ইউরোপের মালিকানাধীন কিংবা অন্য দেশিয় প্রতিষ্ঠান যাদের ১০০০ এর ওপর কর্মী আছে এবং বার্ষিক বিক্রি ন্যূনতা ৪৫০ মিলিয়ন ইউরো তাদের সবাইকে যদি ইউরোপের বাজারে আগামীতে ব্যবসা করতে হয় তবে নিশ্চিত করতে হবে মানবাধিকার এবং পরিবেশের নিরাপত্তা।

তবে এখনই শ্রম ইস্যুতে উদ্বিগ্ন না হয়ে সরকার ও প্রতিষ্ঠান মালিকদের শ্রম পরিস্থিতি উন্নয়নে জাতীয় রোডম্যাপ বাস্তবায়নে মনযোগী হবার আহবান জানান তিনি। বলেন, বাংলাদেশ বিগত বছরগুলোতে শিল্প কারখানায় পরিবেশগত ঝুঁকি এবং শ্রমিকদের সার্বিক অধিকারের ক্ষেত্রে অগ্রগতি করেছে। এ নিয়ে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। তবে যদি কোন ইইউ প্রতিষ্ঠান দুটি বিষয় নিশ্চিত না করে, বার্ষিক মুনাফার ৫ শতাংশ জরিমানা গুনতে হবে তাদের।

Advertisement

নতুন আইনটি পাশ হলেও এখন সদস্য রাষ্ট্রের সাথে আলোচনার শেষে কার্যকর হতে আরও দুই বছর সময় লাগবে বলেও জানান চার্লস।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version