Connect with us

আন্তর্জাতিক

সুস্থ হয়েই আন্দোলনে নামবেন, ঘোষণা ইমরানের

Published

on

পাকিস্তানে ক্ষমতাসীন জোট সরকারের পদত্যাগ ও আগাম নির্বাচনের দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তা সফল করতে নিজের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির বিরোধী নেতা ইমরান খান। তিনি বলেন, যতদ্রুত সম্ভব শারীরিকভাবে সুস্থ হওয়ার পর তিনি নিজেও আবার আন্দোলনে নামবেন।

শুক্রবার (৫ অক্টোবর) পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরের শওকত খানম হাসপাতাল থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে ইমরান খান বলেন, ‘দাসত্বের শৃঙ্খলে বন্দি একটি জাতি কখনও কারো সম্মান পায় না, কোনো উন্নতিও করতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানকে একটি আত্মমর্যাদাসম্পন্ন দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি দিতে যে আন্দোলন জনগণ শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে এবং শারীরিকভাবে খানিকটা সুস্থ হয়ে উঠেই আমি আবার তাতে যোগ দেব।’

ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া ইমরান ২০১৮ সালে ভোটে জিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন। দেশটির রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারকারী সেনাবাহিনীর সমর্থন তখন তার দিকে থাকলেও কিছু দিন পর তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়।

সেনা সমর্থন হারানো ইমরানের বিরুদ্ধে এই বছরের শুরুতে জোট বেঁধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে দেশটির বড় দুই রাজনৈতিক দল। তাতে হেরে গেলো এপ্রিল মাসে ইমরানের সরকারের পতন ঘটলে প্রধানমন্ত্রী হন মুসলিম লীগের শাহবাজ শরিফ, যিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই।

Advertisement

ক্ষমতা হারানো ইমরান নতুন নির্বাচনের দাবি তুলে পাকিস্তানে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ লংমার্চের ডাক দেন। গত ২৮ অক্টোবর লাহোর থেকে শুরু হয় এই কর্মসূচি।

৪ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল এই লংমার্চ; তার এক দিন আগে, ৩ নভেম্বর ওয়াজিরাবাদ শহরে সমাবেশ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হন ইমরান। সমাবেশ চলাকালে স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে ইমরান খানকে লক্ষ্য করে একে-৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল থেকে গুলি চালায় এক হামলাকারী। আরেক হামলাকারী ইমরানের দিকে পিস্তল তাগ গুলি চালিয়েছিল।

পিস্তল দিয়ে যে হামলাকারী হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল, তাকে হামলার সময়েই পাকড়াও করেন বছর তিরিশের এক যুবক। তিনি ঠিক সময়ে তৎপর না হলে নিহতও হতে পারতেন পিটিআিই চেয়ারম্যান।

একে ৪৭ অস্ত্রধারী হামলাকারীর বন্দুক থেকে বের হওয়া ৩ থেকে ৪টি গুলি ইমরান খানের পায়ে বিদ্ধ হয়েছে।

হামলার পরই তাকে চিকিৎসার জন্য লাহোরের শওকত খানম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন ইমরান খান।

Advertisement

বৃহস্পতিবার হাসপাতালে পরই পিটিআইয়ের জেষ্ঠ্য নেতাদের ইমরান খান জানান, হামলার জন্য তিন জনকে দায়ী মনে করেন তিনি। তারা হলেন পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এবং সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ফয়সাল নাসির। পিটিআইয়ের জেষ্ঠ্য নেতা আসাদ ওমরের মাধ্যমে এই তিন জনের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবারের ভাষণে ফের তাদের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে ইমরান বলেন, সেনাবাহিনী ও ক্ষমতাসীন জোট সরকারের বৃহত্তম শরিক দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) অনেক দিন থেকেই তাকে হত্যার চেষ্টা করছে।

‘আমাদের দাবি, যে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে— অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ করতে হবে। যতক্ষণ তারা পদত্যাগ না করবে— জনগণ সড়ক ছাড়বে না।’

পাকিস্তানের অখণ্ডতা একমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোই নিশ্চিত করতে পারে বলে দাবি করেন পিটিআই চেয়ারম্যান। সেই সঙ্গে সেনাবাহিনীকে রাজনীতি থেকে দূরে থাকার আহ্বানও জানান তিনি।

‘যদি সেনাবাহিনী দেশের অখণ্ডতা রক্ষা করতে পারত, তাহলে পূর্ব পাকিস্তান আজ বাংলাদেশ হতো না। একমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোই পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষা করতে সক্ষম, এক্ষেত্রে সেনাবাহিনী তাদের সহায়ক মাত্র।’

Advertisement

আন্তর্জাতিক

প্রেমিকাকে খুন করেই দৌড়ে বাড়ি গেলেন প্রেমিক, অতঃপর…

Published

on

দুপুরের খাবার খেয়েই মোটরবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান মিঠু শেখ। কিন্তু ঘণ্টাখানেক বাদে হন্তদন্ত হয়ে মাকে জড়িয়ে ধরলেন। ছেলেকে যেনো চিনতেই পারছিলেন না মা মজিদা বিবি। মিঠু বারবার বলছিলো, ‘আমি ওকে শেষ করেছি।’’’

কী হয়েছে, কী কাণ্ড ঘটিয়ে এসেছেন পুত্র, তা তখনও বুঝতে পারেননি মজিদা। তবে ছেলের কান্না দেখে তিনিও কাঁদতে থাকেন। একটু পরে তার কাছে স্পষ্ট হল ব্যাপারটা, যখন ছেলে নিজেই পুলিশকে ফোন করলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ এসে গ্রেপ্তার করে মিঠুকে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদের হাজারিপাড়ায়।

শনিবার (১১ মে) ভারতীয় সংবাদ সংস্থা আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। জানা গেছে এক সহপাঠিনীকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে মিঠু শেখ।

শনিবার দুপুরে দৌলতাবাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে খুন হয় সাবিনা খাতুন (১৭)। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তাকে ফোন করে স্কুলের সামনে ডেকেছিলেন মিঠু। অল্প কিছুক্ষণের কথাবার্তা, তার পরেই কথা কাটাকাটি এবং খুন। পকেট থেকে ছুরি বার করে ‘দীর্ঘ দিনের প্রেমিকা’ সাবিনাকে একের পর এক ছুরির কোপ দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান মিঠু। ছুরির আঘাতে গলার নলি কেটে যায় ওই নাবালিকার। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ তার দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, মৃত্যু হয়েছে নাবালিকার। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রেপ্তার হন অভিযুক্ত।

মিঠুর পরিবার জানায়, খুনের পর বাড়ি থেকে নিজেই পুলিশকে ফোন করেছিলেন তিনি। বাড়ি থেকেই মিঠুকে নিয়ে যায় পুলিশ। সাবিনার সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক ছিল তার। কিন্তু কিছু দিন ধরে দু’জনের মধ্যে অশান্তি চলছিল। মিঠু সন্দেহ করেছিলেন, প্রেমিকার জীবনে অন্য কোনও পুরুষ এসেছেন। অন্য দিকে, সাবিনা চেয়েছিল মিঠুর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে। এ নিয়ে দু’জনের কথা কাটাকাটি হয়। তারপরেই খুনের ঘটনা।

Advertisement

মিঠুর মা জানান, ওই নাবালিকার সঙ্গে একাধিক ‘ছেলে’র সম্পর্ক ছিল। তার ছেলে বার বার নাকি নিষেধ করেন। কিন্তু মেয়েটি শোনেনি। ও তো মরলই। আমার পরিবারটাকেও শেষ করে গেল।

সাবিনার পরিবার থেকে জানা গেছে, তিনি এ বছরই মাধ্যমিক পাশ করে ভর্তি হয়েছিল লালবাগ কলেজে।

মৃতার বড় ভাই সেলিম রেজার অভিযোগ, তার বোনকে খুনের পরিকল্পনা করেই ডেকে নিয়ে গিয়েছিল মিঠু। তিনি বলেন, ‘‘যে ভাবে পরিকল্পনা করে ডেকে নিয়ে গিয়ে আমার বোনকে মিঠু খুন করেছে, তাতে ওর কঠিনতম শাস্তি হোক। রাজনৈতিক কিংবা আর্থিক প্রভাবে ও কোনও ভাবেই যেন ছাড় না পায়।’’

মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মজিদ ইকবাল খান বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিল পুলিশ। কিছুক্ষণের মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক থেকে খুন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এখনই কিছু বলা যাবে না।’

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২ মে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের গোরাবাজার এলাকায় খুন হন কলেজছাত্রী সুতপা চৌধুরী। খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন ‘প্রেমিক’ সুশান্ত চৌধুরী। গেলো বছরই আদালত তাকে ফাঁসির সাজা দেয়া হয়। শনিবার ১১ মে-র এই খুনের ঘটনার সঙ্গে বছর দুই বছর আগের ওই খুনের মামলার তুলনা টানছেন অনেকে।

Advertisement

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

অস্ত্র হাতে তরুণীর ভিডিও ভাইরাল

Published

on

অস্ত্র হাতে এক তরুণী মাঝ রাস্তায় নৃত্য করছে এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানায়, ওই তরুণীর নাম সিমরান যাদব। তিনি একজন ইউটিউবার। আর ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের লখনৌতে।

কল্যাণজি চৌধুরী নামের এক আইনজীবী এক্সে (সাবেক টুইটার) এই ঘটনার একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যায়, সিমরান যাদব নামের ওই তরুণী ডান হাতে অস্ত্র নিয়ে ভোজপুরী গানের সাথে নাচছে। তিনি বলেন, ইন্সটাগ্রাম স্টার সিমরান যাদব আইন ভেঙ্গে হাইওয়ের মাঝখানে অস্ত্র হাতে নাচছে। অথচ কর্তৃপক্ষ চুপ করে আছেন।

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। উত্তর প্রদেশ পুলিশ জানায়, এই ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এনএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

রাজ্যপালের পাশে বসাও পাপ- ‘শ্লীলতাহানি’ নিয়ে বললেন মমতা

Published

on

রাজভবনে গিয়ে আর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করব না। রাস্তায় দেখা করব। যা কীর্তি-কেলেঙ্কারি শুনছি, তাতে আপনার পাশে বসাটাও পাপ। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজভবনের এক অস্থায়ী কর্মচারীকে শ্লীলতাহানির যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আজ শনিবার (১১ মে) হুগলির সপ্তগ্রামের জনসভা এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

মমতা বলেন, ‘বাবারে, আমায় এখন রাজভবনে ডাকলে আমি আর যাব না। রাজভবনে আমি আর যাচ্ছি না ভাই। আমায় রাস্তায় ডাকলে যাব। রাজ্যপালের কথা বলতে হলে আমায় রাস্তায় ডাকবেন। আমি রাস্তায় গিয়ে দেখা করে আসব। কিন্তু যা কীর্তি-কেলেঙ্কারি শুনছি, আপনার পাশে বসাটাও পাপ।

তিনি বলেন, রাজ্যপাল আপনার তো পদত্যাগ করা উচিত। মহিলাদের নির্যাতন করার আপনি কে? কাল নাকি প্রেসকে ডেকেছিল। এডিট করে ভিডিও দেখিয়েছে। কপিটা আমার কাছে আছে। পেয়েছি এক জায়গা থেকে। যেটা এডিট করেছেন, সেটাও আমার কাছে আছে। এখনও তো সব বেরয়নি। আরেকটা ভিডিও পেলাম। পেন ড্রাইভে। আরও কীর্তি কেলেঙ্কারি। কীর্তির পর কীর্তি।

এদিকে, তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির যে অভিযোগ উঠেছে, সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। তারইমধ্যে বৃহস্পতিবার রাজভবনের তরফে একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হয়। মমতা এবং পুলিশ ছাড়া যে কোনও মানুষ সেই ভিডিয়ো দেখতে পারবেন বলে জানানো হযেছে। রাজভবনের তরফে দাবি করা হয়, যেদিন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন যুবতী, সেদিন বিকেলের দৃশ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এক ঘণ্টা নয় মিনিটের ফুটেজে তাকে দু’বার দেখা গেছে।

Advertisement

তবে তাকে যেখানে শ্লীলতাহানির মুখে পড়তে হয়েছিল বলে যুবতী অভিযোগ করেছেন, সেই রাজভবনের কনফারেন্স রুমের কোনও ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়নি। তারইমধ্যে যুবতী প্রশ্ন তুলেছেন যে কেন তাঁর ছবি প্রকাশ্যে আনা হল? রাজ্যপাল অপরাধ করেছিলেন। তাঁর ছবি জনসমক্ষে প্রকাশ করে আবারও একটা অপরাধ করলেন।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version