Connect with us

এশিয়া

ভয়াবহ বায়ুদূষণে বিপর্যস্ত নয়াদিল্লি, বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

Published

on

নয়াদিল্লি

বায়ুদূষণে বিপর্যস্ত ভারতের দিল্লি। শীতকাল শুরু হতে না হতেই বায়ুদূষণে দুর্যোগপূর্ণ হয়ে উঠেছে ভারতের এ রাজধানী। এর জেরে দিল্লির সব প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ক্লাস চলবে। সেক্ষেত্রে কোনোভাবেই আউটডোর কোনো কার্যক্রম চালানো যাবে না বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার (৪ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভয়াবহ বায়ু দূষণের কারণে এ সিদ্ধান্ত জানান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শুক্রবারই বন্ধ করে দেয়া হয় কারখানা ও নির্মাণাধীন সব কার্যক্রম। সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলো চলবে অর্ধেক জনবলে। শুক্রবার ভারতের রাজধানীতে সীমিত করা হয়েছে ডিজেল চালিত যান চলাচল। পানি ছিটানো ও ধোঁয়াশা প্রতিরোধী মেশিন ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে প্রশাসন।

এরই মধ্যে দিল্লিতে বাতাসের গুণাগুণ পরীক্ষার মানদণ্ড একিউইউ সূচক ছাড়িয়েছে ৪৭০। যা বৈশ্বিক নিরাপদ মানদণ্ডের তুলনায় ১০ গুণ বেশি। চোখ জ্বালা, শ্বাসকষ্টসহ নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগছে বহু মানুষ। হাসপাতালগুলোয় বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। বাসিন্দাদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। গেলো কয়েক বছরের মতো এবারও দীপাবলি উৎসবে বিপুল আতশবাজির পর বেড়ে যায় দূষণ।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

Cancel reply

এশিয়া

গাজায় আরও এক মেয়র নিহত, ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত

Published

on

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও এক মেয়র নিহত হয়েছেন। নিহত ওই মেয়রের নাম ইয়াদ আল-মাগারি। তিনি গাজার নুসেইরাতের মেয়র ছিলেন। ইসরায়েলি বাহিনী পৌরসভা দপ্তরে হামলা চালালে তিনি প্রাণ হারান।

শুক্রবার (৭ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্য গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে পাঁচজন নিহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে নুসেইরাতের জনপ্রিয় মেয়র ইয়াদ আল-মাগারিও রয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইউরো-মেড হিউম্যান রাইটস মনিটরের চেয়ারম্যান রামি আবদুল নিহত আল-মাগারিকে ‘গাজা উপত্যকার সবচেয়ে সক্রিয় মেয়রদের একজন’ বলে অভিহিত করেছেন।

গাজার মিডিয়া অফিস নুসেইরাতের মেয়রকে হত্যার নিন্দা জানিয়ে বলে, আল-মাগারি ‘নিজের দায়িত্ব ও কাজের প্রতি অনুগত ও নিবেদিত’ ছিলেন এবং যুদ্ধের শুরু থেকে পুরোটা সময়জুড়ে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের লোকদের সহায়তায় নিযুক্ত ছিলেন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, এর আগে ইসরায়েলি হামলায় দক্ষিণাঞ্চলীয় আজ-জাহরা এবং মধ্য গাজার মাগাজি পৌরসভার মেয়রও নিহত হয়েছিলেন। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজাজুড়ে বেশ কয়েকটি পৌরসভার সদর দপ্তরও ধ্বংস হয়ে গেছে।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

মোদির যে মন্ত্রীরা এবার হেরে গেলেন

Published

on

মন্ত্রিত্ব সামলেছেন, কিন্তু ভোট পাননি! জনগণ এবার আর আস্থা রাখেননি তাদের উপর। নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভার অন্তত ১৫ জন সদস্য লোকসভা নির্বাচনে হেরে গেছেন। মঙ্গলবার প্রকাশ্যে এসেছে তাদের ‘মার্কশিট’। সেই ‘হেরো’দের তালিকায় রয়েছেন পশ্চিম বাংলার দুজন মন্ত্রীও। এমনকি, কেন্দ্রীয় মহিলা এবং শিশু উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও অমেঠী থেকে পরাস্ত হয়েছেন কংগ্রেসের প্রার্থীর কাছে।

২০১৯ সালে উত্তরপ্রদেশের অমেঠীতে চমক দিয়েছিলেন স্মৃতি। ওই কেন্দ্রে কংগ্রেসের তৎকালীন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে পরাস্ত করেছিলেন তিনি। সেখানেই এবারও ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন কিশোরীলাল শর্মা। ১ লাখ ৬৭ হাজার ভোটে হেরে গেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি। এ ছাড়াও আরও ১৪ জন রয়েছেন, যারা মোদীর মন্ত্রিসভায় ছিলেন। কিন্তু ভোটে হেরে গিয়েছেন।

নিশীথ প্রামাণিক

বাংলা থেকে মোদির মন্ত্রিসভায় ছিলেন দুজন প্রতিনিধি। তাদের মধ্যে অন্যতম কোচবিহারের বিদায়ী সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। কিন্তু খোদ অমিত শাহের ডেপুটি মঙ্গলবার হেরে গিয়েছেন তৃণমূলের জগদীশচন্দ্র বসুনিয়ার কাছে। প্রায় ৪০ হাজার ভোটে হেরেছেন নিশীথ।

সুভাষ সরকার

Advertisement

নিশীথ ছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ছিলেন বাঁকুড়ার বিদায়ী সাংসদ সুভাষ সরকার। তিনি কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। মঙ্গলবার তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর কাছে ৩২ হাজারের বেশি ভোটে হেরেছেন তিনি।

সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি

মোদির মন্ত্রিসভার সদস্য সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি উত্তরপ্রদেশের ফতেপুর কেন্দ্র থেকে ৩৩ হাজারের বেশি ভোটে হেরে গেছেন। সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীর কাছে পরাস্ত হয়েছেন তিনি। নিরঞ্জন জ্যোতি সামলেছেন কেন্দ্রীয় ক্রেতাসুরক্ষা, খাদ্য এবং গণবণ্টন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।

কৈলাস চৌধুরী

কেন্দ্রীয় কৃষি প্রতিমন্ত্রী কৈলাস চৌধুরী রাজস্থানের বাড়মের কেন্দ্র থেকে এবার ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছেন। জয়ীর সঙ্গে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ ভোটের ব্যবধান নিয়ে ওই কেন্দ্রে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন কৈলাস।

Advertisement

অজয় মিশ্র টেনি

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির নাম জড়িয়েছিল ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিকাণ্ডে। সেখানে চার কৃষক এবং এক সাংবাদিককে পিষে মারার ঘটনায় জড়িত একটি গাড়িতে টেনির পুত্র আশিস মিশ্র ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। পুলিশের এফআইআর এবং চার্জশিটেও তাঁর নাম ছিল। যদিও অভিযোগ বার বার অস্বীকার করেছেন মন্ত্রী স্বয়ং। সেই খেরি কেন্দ্র থেকে এ বারও ভোটে লড়েছিলেন টেনি। তবে তিনি হেরে গিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী উৎকর্ষ বর্মার কাছে। ভোটের ব্যবধান ৩৪ হাজারের বেশি।

অর্জুন মুন্ডা

ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় তফসিলি জনজাতি মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা ঝাড়খণ্ডের খুঁটি কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। কংগ্রেসের কালীচরণ মুন্ডার কাছে প্রায় দেড় লক্ষ ভোটে হেরে গিয়েছেন তিনি।

রাজীব চন্দ্রশেখর

Advertisement

কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর কেরলের তিরুঅনন্তপুরম থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন শশী তারুর। রাজীব পরাস্ত হয়েছেন ১৬ হাজারের বেশি ভোটে।

মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডে

মোদী মন্ত্রিসভায় ভারী শিল্প বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলান মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডে। উত্তরপ্রদেশের চন্দোলি কেন্দ্র থেকে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী বীরেন্দ্র সিংহের কাছে ২১ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত হয়েছেন তিনি।

কৌশল কিশোর

কেন্দ্রীয় আবাসন প্রতিমন্ত্রী কৌশল কিশোর উত্তরপ্রদেশের মোহনলালগঞ্জ থেকে পরাস্ত হয়েছেন। তাকে ৭০ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী আরকে চৌধুরী।

Advertisement

সঞ্জীব বালিয়ান

মুজফ্ফ‌রনগর থেকে বিজেপির টিকিটে লড়েছিলেন সঞ্জীব বালিয়ান। তিনি কেন্দ্রীয় কৃষি প্রতিমন্ত্রী। সমাজবাদী পার্টির হরেন্দ্র সিংহ মালিকের কাছে ২৪ হাজারের বেশি ভোটে হেরেছেন তিনি।

রাওসাহেব দানবে

কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলান রাওসাহেব দানবে। তিনি ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের জালনা কেন্দ্র থেকে। কংগ্রেসের কল্যাণ বৈজিনাথরাও কলের কাছে হেরে গিয়েছেন তিনি।

আর কে সিংহ

Advertisement

কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আর কে সিংহও পরাজিত হয়েছেন। বিহারের আরা কেন্দ্র থেকে তিনি সিপিআই (এমএল) প্রার্থী সুদামা প্রসাদের কাছে প্রায় ৬০ হাজার ভোটে হেরে গিয়েছেন।

ভি মুরলীধরন

কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরন কেরলের অট্টিঙ্গল কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। ওই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। মুরলীধরন রয়েছেন তৃতীয় স্থানে।

এল মুরুগান

কেন্দ্রীয় মৎস্য প্রতিমন্ত্রী এল মুরুগানও পরাস্ত হয়েছেন। তামিলনাড়ুর নীলগিরি কেন্দ্র থেকে প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটে হেরে গিয়েছেন তিনি। ওই কেন্দ্রে ডিএমকে প্রার্থী জিতেছেন।

Advertisement

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় ২৭ জনের মৃত্যু

Published

on

গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে একটি স্কুলে আশ্রয় নেয়া বাস্তুহারা লোকজনের ওপর হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ২৭ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। সরকারি মিডিয়া অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস বলছে, গাজায় যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তি এবং তাদের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হওয়ার জন্য ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা প্রয়োজন। তবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা প্রধান বলেছেন, যুদ্ধবিরতির আলোচনার সময় হামলা থামানো হবে না।

জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাগুলো সতর্ক করে বলেছে, যদি হামলা অব্যাহত থাকে তবে গাজায় খাদ্য সংকট আরও তীব্র হবে। সেখানকার ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই তীব্র অনাহারের মধ্যে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েল লেবানন সীমান্তে তীব্র অভিযান চালানোর জন্য প্রস্তুত। সেখানে প্রায় আট মাস ধরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে প্রায়ই সংঘাতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবে প্রতিদিনই নিরীহ ফিলিস্তিনিরা প্রাণ হারাচ্ছে। নারী, পুরুষ এমনকি ছোট ছোট শিশুরাও এসব হামলা থেকে বাঁচতে পারছে না। গাজায় কোনো স্থানই এখন আর বসবাসের যোগ্য নেই। প্রায় সব স্থানেই হামলা চালিয়ে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাকে যেন এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

Advertisement

গেলো ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে প্রায় ৮ মাস ধরে চলা সংঘাতে ৩৬ হাজার ৫৮৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৮৩ হাজার ৭৪ জন। গাজায় সংঘাত বন্ধের কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। এভাবে সংঘাত চলতে থাকলে আরও কয়েক হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারাবে।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version