এশিয়া
মারা গেলেন ভারতের প্রথম ভোটার
১০৫ বছর বয়সে মারা গেছেন ভারতের প্রথম ভোটার খেতাব প্রাপ্ত শ্যাম সরন নেগি। শনিবার (৫ নভেম্বর) ভোররাতে হিমাচল প্রদেশের কিন্নাউরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ১৯১৭ সালের ১ জুলাই হিমাচল প্রদেশে নেগির জন্ম। সেখানকার কল্পা গ্রামে স্কুল শিক্ষক হিসেবে জীবনের দীর্ঘ সময় কাটান তিনি। গত কয়েক দিন ধরেই তিনি বার্ধক্যজনিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি’র এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের শিকল থেকে মুক্ত হওয়ার পর ভারতে অনুষ্ঠিত প্রথম সাধারণ নির্বাচনে প্রথম ভোটটি দিয়েছিলেন নেগি। এরপর থেকে প্রতিটি নির্বাচনেই ভোট দিয়েছেন এ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।
১৯৫২ সালের নির্বাচনের সময়ে নেগির রাজ্যে তুষারপাতের শঙ্কায় পাঁচ মাস আগে ১৯৫১ সালেই ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। সেই বছর ২৫ অক্টোবর দেশের প্রথম নাগরিক হিসাবে ভোট দেন নেগি। যদিও সেসময় ভারতের অধিকাংশ এলাকায় ভোট হয়েছিল ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। কিন্তু হিমাচল প্রদেশে ফেব্রুয়ারি মাসের আবহাওয়া ভোটের পক্ষে অনুকূল ছিল না। তাই সেখানে পাঁচ মাস আগেই নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছিল।
ওই নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছিল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। ১৮৪৮ থেকে ১৯৪৭ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ বছরের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের পরে গণতান্ত্রিকভাবে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন জওহরলাল নেহেরু।
শনিবার মারা যাওয়ার তিন দিন আগেও এই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হিমাচল রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন। ১২ নভেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে নেগি পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেয়ার সময় তার জন্য লাল গালিচা বিছিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নেগি ভোটকেন্দ্রে যাননি। অসুস্থ থাকায় তিনি পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন।
এরআগে ২০১৪ সালে মানুষকে ভোটদানে উৎসাহিত করার জন্য নেগিকে নির্বাচন কমিশনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করা হয়েছিল। পাশপাশি সাধারণ নির্বাচনে মানুষকে ভোট দিতে উত্সাহিত করার জন্য একটি গুগল ভিডিওতেও অভিনয় করেছিলেন তিনি।
সেখানে তিনি বলেছিলেন, তরুণদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য এগিয়ে আসা উচিত, কারণ আমাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা কেবল আমাদের অধিকার নয়, আমাদের কর্তব্যও।
শনিবার এক নির্বাচন র্যালিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেগির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। দেশটির সরকার জানিয়েছে, পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নিজ গ্রাম কালপায় তাকে দাহ করা হবে।
এশিয়া
লাখো মানুষের শ্রদ্ধায় রাইসির শেষ বিদায়
লাখো মানুষের ঢল নেমেছে ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তাবরিজে। প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানাতে কেন্দ্রীয় স্কয়ার থেকে হেঁটে রওনা হন লাখো ইরানি। সদ্য প্রয়াত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আব্দোল্লাহিয়ান ও অন্যান্য সহযাত্রীদের দাফন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মে) এ তথ্য দিয়ে ইরানের সংবাদমাধ্যম মেহের জানিয়েছে, সকালে ইরানের তাবরিজ শহরে নিহতদের জানাজা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সাত সহযাত্রীর দাফনে যোগ দিতে শহরটিতে জড়ো হয়েছেন তারা। এ সময় তাদের হাতে ছিল ইরানের পতাকা ও প্রয়াত প্রেসিডেন্টের ছবি।
প্রসঙ্গত, রোববার (১৯ মে) আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে দুটি বাঁধ উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। এরপর হেলিকপ্টারে চড়ে ইরানের উত্তর-পশ্চিমের তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু তাবরিজ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি।
পরদিন সোমবার রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মেলে। দুর্ঘটনা কবলিত হেলিকপ্টারটি বেল ২১২ মডেলের বলে জানানো হয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে। ১৯৬০ সালে একটি মার্কিন কোম্পানি দুই ব্লেডের এই মডেলটি তৈরি করেছিল কানাডিয়ান সেনাবাহিনীর জন্য।
আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, পূর্ব আজারবাইজানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলি আলে-হাশেম ও প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান মেহেদি মুসাভি ছিলেন হেলিকপ্টারটিতে। এ ছাড়া হেলিকপ্টারের পাইলট, কো-পাইলট ও ক্রুও মারা গেছেন।
একাধারে রাজনীতিবিদ ও বিচারক ইব্রাহিম রাইসি ছিলেন বিশ্ব রাজনীতিতে অন্যতম প্রভাবশালী নেতাদের একজন। ইব্রাহিম রাইসি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠজন হিসেবেও পরিচিত। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে দেশটির প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার কারণেই দেশটিতে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা কমেছে।
তিন বছর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে মনে করা হয়েছিল একদিন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উত্তরসূরি হবেন ইব্রাহিম রাইসি।
ইব্রাহিম রাইসির জন্ম ১৯৬০ সালের ১৪ ডিসেম্বর উত্তর-পূর্ব ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি তেহরানের পার্শ্ববর্তী শহর কারাজের প্রসিকিউটর-জেনারেল নিযুক্ত হন। ১৯৮৯ থাকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তেহরানের প্রসিকিউটর-জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন রাইসি। ২০০৪ সাল থেকে তিনি এক দশক জুডিশিয়াল অথোরিটির উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান নিযুক্ত করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।
প্রেসিডেন্ট রাইসি পরবর্তীতে ৮৮ সদস্যের বিশেষজ্ঞ সভার উপচেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা নির্বাচনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে এ সভা। ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি।
টিআর/
এশিয়া
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলো ইরান
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত হওয়ার পরপরই আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে ইরান। আগামী জুন মাসের শেষের দিকে দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (২১ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর ইরান সোমবার ঘোষণা করেছে, আগামী ২৮ জুন দেশটিতে আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ইরানের রাষ্ট্রচালিত বার্তাসংস্থা আইআরএনএ-এর মতে, বিচার বিভাগীয়, নির্বাহী ও আইনসভা কর্তৃপক্ষের প্রধানদের মধ্যে বৈঠকের পর দেশটির ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ মে প্রার্থীদের নিবন্ধন শুরু হবে এবং আগামী ১২ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন।
সোমবার (২০ মে) পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের পাহাড়ি ও তুষারাবৃত এলাকায় রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় অনুসন্ধানকারী দল।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান বলছে, গেলো রোববার ইরান-আজারবাইজান সীমান্তে একটি বাঁধের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে প্রেসিডেন্ট রাইসির ফেরার সময় তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে।
পরে সোমবার সকালে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের পাহাড়ি ও তুষারাবৃত এলাকায় হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় অনুসন্ধানকারী দল।
এই দুর্ঘটনার ফলে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির পাশাপাশি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান, সেইসাথে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালিক রহমেতি এবং তাবরিজ প্রদেশের ইমাম আয়াতুল্লাহ আলী হাশিমের মৃত্যু হয়েছে।
রাইসির মৃত্যুর পর ইরানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার সোমবার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন।
টিআর/
এশিয়া
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে নেতানিয়াহু-হানিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন
গাজায় যুদ্ধাপরাধের উসকানি,পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং হামাসের প্রধান নির্বাহী ইসমাইল হানিয়াসহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করা হয়েছে।
সোমবার (২০ মে) আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম আসাদ আহমেদ খান এ আবেদন করেন বলে এক প্রতিবেদনে নিশ্চিত করেছে বৃটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
করিম খান জানান, গেলো ৭ মাস ধরে গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা যে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তার জন্য নেতানিয়াহু-হানিয়াসহ মোট ৫ জন মূলত দায়ী। গত ৭ মাসে গাজায় যত যুদ্ধাপরাধ হয়েছে, সেসবের জন্যও দায়ী এই ৫ জন। এ কারণেই এদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।
এই তালিকায় থাকা অন্যান্যরা হলেন, হামাসের অপর দুই শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার এবং মোহাম্মেদ আল মাসরি ওরফে দেইফ আল মাসরি এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্তও রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও তা বাস্তবায়নের জন্য শক্তিপ্রয়োগের ক্ষমতা আদালতটির নেই। তবে মূল সমস্যা হলো, একবার যদি আইসিসি পরোয়ানা জারি করে— তাহলে তা প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত এই আদালতকে স্বীকৃতি দেয়া দেশগুলোতে সফর করা ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ হবে নেতানিয়াহু, হানিয়া এবং তালিকার অপর তিন জনের জন্য।
আই/এ
-
ক্রিকেট6 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
-
জাতীয়7 days ago
ঢাকার ২ সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
-
বলিউড5 days ago
জরায়ুতে কত বড় টিউমার ধরা পড়েছে জানালেন রাখি
-
বলিউড4 days ago
অর্থাভাবে চড়া দামে ফ্ল্যাট ভাড়া দিলেন মালাইকা অরোরা
-
আইন-বিচার6 days ago
ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস এসএমসি প্লাসকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা
-
আইন-বিচার6 days ago
তনির কাছে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করেনি লাখানি কালেকশন
-
ঢাকা3 days ago
এ যেনো আরেক ছুটির ঘণ্টা!
-
আইন-বিচার7 days ago
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নতুন নির্বাচন দাবি করে নিপুণের রিট
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন