Connect with us

ক্রিকেট

বাংলাদেশকে বিদায় দিয়ে সেমিফাইনালে পাকিস্তান

Published

on

সকাল গড়াতেই অ্যাডিলেড ওভালে সুখবরটা এনে দিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বড় দলকে হারিয়ে যে অঘটনের জন্ম দিয়েছে তাতে লাভবান হতে পারত বাংলাদেশ দল। এরপর সমীকরণটা এমন দাঁড়ায়- পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতলেই প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ চারে বাংলাদেশ। ঠিক তখন নিজের হাতেই সেই সম্ভাবনাকে গলা টিপে মারলেন সাকিব আল হাসানরা!

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে ৫ উইকেটে হেরে সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে গেলো বাংলাদেশ।

শুরুতে অ্যাডিলেডের সবুজ গালিচায় বাংলাদেশ টস জিতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তুলল ১২৭ রান। জবাবে পাকিস্তান ১৮তম ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে পা রাখে সেমিফাইনালে।

বাজে ব্যাটিংই সব শেষ করে দিল। হেলায় সেমিতে উঠার সুযোগ হারানোর শঙ্কা তৈরি করেছিল বাংলাদেশের। ঠিক এ অবস্থায় এদিনও শুরুতে উইকেট পেতে পারতেন তাসকিন আহমেদ। ব্যাটিংয়ে হতাশ করে ফিল্ডিংয়েও নুরুল হাসান সোহান ক্যাচ ছাড়েন। তাসকিন আহমেদের বলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে ক্যাচ যায় সোহানের কাছে। কিন্তু সহজ ক্যাচটাও জমাতে পারেন নি। শূন্য রানে বাঁচলেন রিজওয়ান। তারপর আর পায় কে?

প্রথম ১০ ওভারে দেখে-শুনে খেলে পাকিস্তান তুলে বিনা উইকেটে ৫৬ রান। রিজওয়ান ২৮ বলে ৩১, বাবর আজম ৩২ বলে ২৫! মজবুত এটা ভিত্তি পেয়ে যায় তারা। তবে এরপরই বাবর আজমকে (৩৩ বলে ২৫) ফেরান নাসুম আহমেদ। তারপর প্রাণ পাওয়া রিজওয়ানকে ফেরান ইবাদত। অবশ্য তিনি করেন যান ৩২ বলে ৩২ রান। বড্ড দেরি হয়ে গেল, ততোক্ষণে ম্যাচটাও হাতছাড়া হয়ে গেছে।

Advertisement

সাকিব হতাশ হয়ে ফেরেন প্রথম বলেই। দল পড়ে যায় ভয়াবহ চাপে! তারপর আর কিছুই হলো না। এমন একটা শুরুর পর শেষটাতে এসে শুধুই হতাশার গল্প। মোসাদ্দেক হোসেন ১১ বলে ৫। নুরুল হাসান সোহান ৩ বল খেলে শুন্য, শাহীন শাহ আফ্রিদি ফেরান তাসকিনকে (১)। শেষটাতে ২০ বলে ২৪ রান করায় কিছুটা হলেও সম্মানজনক পুঁজি পায় বাংলাদেশ। এই ইনিংস খেলার পথে আফিফ তার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে হাজার রান ক্লাবে পা রাখলেন! শাহিন শাহ আফ্রিদি ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। তিনিই শেষ করে দেন টাইগারদের লাইনআপ!

তবে নিশ্চিত করেই ১২৭ রানের সংগ্রহ হতাশাজনক। যেখানে প্রথম ১০ ওভারে দল তুলেছিল ৭০ রান, সেখানে পরের ১০ ওভারে মাত্র ৫৭! ১২০ বলের ক্রিকেটে ৫৫ বল ডট। বিস্ময়কর! এই পুঁজি নিয়ে আর যাই হোক লড়াই করতে পারেন না বোলাররা। তারপরও দুই জয়ে এটিই হয়ে থাকল বাংলাদেশের সেরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ! দুঃসময়ে থাকা বাংলাদেশ দল জিততে-লড়তে দেখাল তাসমান পাড়ে! হয়তো এখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজে পেল বাংলাদেশ।

ক্রিকেট

লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে মোস্তাফিজ

Published

on

লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) দল পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে লিগটির নিলাম। তার আগেই প্রকাশিত হয়েছে সরাসরি চুক্তিতে যারা দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তাদের নাম। পাশাপাশি ‘রিটেইন’ খেলোয়াড়দের নামও প্রকাশ করেছে তারা। মোস্তাফিজের সাথে চুক্তি হয়েছে ডাম্বুলা থান্ডার্সের।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হবে এলপিএল। এরমধ্যে আনুষ্ঠানিকতা চলছে শ্রীলঙ্কার লিগটির। দলের সাথে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন এখন মোস্তাফিজ। সব ঠিক থাকলে এই বাঁহাতি পেসার এবারই প্রথম এলপিএল খেলবেন। আর এদিকে বিশ্বকাপ শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।

আইপিএলের চলতি মৌসুমে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেছেন মোস্তাফিজ। যদিও সবগুলো ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি। তার আগেই ফিরতে হয়েছে দেশে। তবে যতদিন চেন্নাই শিবিরে ছিলেন, পারফরম্যান্সটা বেশ ভালোই ছিল। খেলেছিলেন ৯ ম্যাচ, উইকেট সংগ্রহ করেন ১৪ টি। এই মৌসুমে চেন্নাইয়ের হয়ে তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট-শিকারি বোলার।

 

Advertisement

এম/এইচ

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

“রোহিত জানে কীভাবে চাপ ডুবিয়ে রাখতে হয়”

Published

on

ভারতের বিশ্বকাপ-খরা ভেঙে শিরোপা অর্জন কঠিন হয়ে দেখা দেয় প্রায় সময়ই। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ের দিকে তাকালেও তা প্রকাশ পায় ভীষণভাবে। ঘরের মাটিতে ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেছিল দলটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শিরোপা অর্জিত হয়নি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একবার, ২০০৭ সালে সুযোগ হয়েছিল ট্রফি ঘরে আনার। এবার অবশ্য নিজ দেশের সম্ভাবনা দেখছেন ভারতীয় ব্যাটার শিখর ধাওয়ান।

যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে আগামী ২ জুন থেকে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ভারতের প্রথম ম্যাচ ৫ জুন, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নিউ ইয়র্কে। তারকা ব্যাটার ধাওয়ান জানিয়েছেন, “অবশ্যই, বিশ্বকাপে ভারতের খেলা বেশ চাপের। এবং রোহিত (শর্মা) বেশ অভিজ্ঞ লোক। আমি নিশ্চিত তার অভিজ্ঞতা খুব কাজের হবে। সে জানে কীভাবে চাপ ডুবিয়ে রাখতে হয়। আর অবশ্যই ভারত রঙ-বেরঙে বেরিয়ে আসবে।”

মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শিরোপা ঘরে তোলে ভারত। এরপর আর একবার ফাইনাল খেলার সৌভাগ্য হয়েছিল দলটির, সেটা ২০১৪ সালে। সেবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে শিরোপা অধরা থেকে যায় ভারতের জন্য।

ভারতের ঝুলিতে সর্বশেষ আইসিসি শিরোপা এসেছে ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। ধাওয়ান শুধু রোহিতের অভিজ্ঞতায় ভরসা রাখছেন এমন নয়। তিনি স্কোয়াডের বেশ কিছু খেলোয়াড় নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

এই বাঁহাতি ব্যাটার বলেন, “এটা দেখতে খুব ভালো লাগে যে; শিভাম দুবে, যুজি (যুজবেন্দ্র চাহাল) এবং সানজু (স্যামসন)- তারা আইসিসি টুর্নামেন্টে নিজেদের যোগ্য জায়গা পেয়েছে। আমরা খুবই ভারসাম্যপূর্ণ দল পেয়েছি এবং আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলছি। শুভকামনা ভারত।”

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

ক্রিকেট বাদেও অন্য খেলার প্রতি নজর দেওয়ার আহ্বান মাশরাফির

Published

on

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ সম্ভাবনা নিয়ে ইতিবাচক মাশরাফি বিন মর্তুজা। আজ (সোমবার) বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডির ব্র্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক। সেখানে গণমাধ্যমের সাথে মুখোমুখি হয়েছেন, কথা বলেছেন ক্রিকেট নিয়েও।

বাংলাদেশ দল এখন অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে ৩ ম্যাচের সিরিজ শেষে বিশ্বকাপে অংশ নেবে তারা। মাশরাফির কাছে দলের সম্ভাবনা নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আশা তো অবশ্যই ভালো কিছু করবে।”

বিশ্বকাপ স্কোয়াড দেখার এখনো সুযোগ হয়নি এই সাবেক অধিনায়কের। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, “(স্কোয়াড) দেখিনি। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষ আশা করছে বাংলাদেশ ভালো করবে, যেখানেই যায়, যেভাবে যায়। তো আমার প্রত্যাশা অবশ্যই ভিন্ন কিছু হবে না। আমিও তাই চাই। কমন কিছু খেলোয়াড় দেখেছি, শুনেছি সোশ্যাল মিডিয়ায়, কিন্তু পুরো দল এখনও দেখিনি।”

শুধু ক্রিকেট নয়, অন্য খেলাগুলোর প্রতি পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে কথা বলেন মাশরাফি। যেখানে ক্রিকেট সকলের নজর কেড়ে নয়, অন্য খেলাগুলোর প্রতিও ‘স্পনসর’দের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইলেন এই ক্রিকেটার।

“ক্রিকেট বোর্ড চলে স্পনসরে। কিন্তু ক্রিকেট ছাড়া অন্য খেলাতে স্পনসররা এগিয়ে আসছে না। সবার এগিয়ে আসা উচিত। ফেডারেশনগুলোকেও স্পনসর খুঁজতে হবে। দেশের খেলাধুলার উন্নতিতে অবশ্যই তৃতীয় একটা পক্ষের প্রয়োজন। স্পনসররা হচ্ছে সেই তৃতীয় পক্ষ। তাদের এগিয়ে আসা উচিত।”

Advertisement

আজকের মতো সকল খেলার আয়োজনে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মাশরাফি। শুধু ক্রিকেটকে গুরুত্বে রাখলে হবে না বলেও মত তার। পাশাপাশি অন্যান্য খেলাগুলোর প্রচার ও প্রসারে সবার এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

 

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version