ময়মনসিংহ
ভাতিজাকে পিটিয়ে হত্যা করল চাচা
ময়মনসিংহের ফুলপুরে ভাতিজাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে চাচা আজমান আলী পাঠান ও চাচাতো ভাই মুঞ্জুরুল হকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তাদের গ্রেপ্তার করে।
নিহতের নাম নুরুল ইসলাম। তিনি একই গ্রামের আবুল হাশেম পাঠানের ছেলে।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পিবিআই ময়মনসিংহের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদবিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়। এর আগে সকাল ৭টার দিকে গাজীপুর শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পিবিআই ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তার জানান, নুরুল ইসলামের সঙ্গে চাচা আজমান আলী পাঠানের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নুরুল ওই জমিতে বেড়া দিতে যান। এ সময় তাকে জমিতে বেড়া দিতে না করে প্রতিপক্ষ।
তিনি জানান, এ সময় দুই পক্ষের কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। আজমান আলী ও তার ছেলে মুঞ্জুরুলসহ ছয়জন লাঠিসোটা দিয়ে নুরুল ইসলামকে বেধড়ক মারধর করে। এতে নুরুল গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ৮ নভেম্বর নিহতের ছেলে মাহমুদুল হাসান পাঠান ছয়জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। পরে মামলার তদন্তে নামে পিবিআই। মঙ্গলবার তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের পালিয়ে থাকার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গাজীপুর শহরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে চেষ্টা চলছে।
ময়মনসিংহ
বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারে ভোগান্তির অভিযোগ, তোপের মুখে বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা
ময়মনসিংহ জেলার বর্তমান সার্বিক বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রিপেইড মিটার নিয়ে সীমাহীন ভোগান্তি ও হয়রানির অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা।
এ সময় উপস্থিত গ্রাহকসহ সামাজিক ও নাগরিক সংগঠনের নেতারা প্রিপেইড মিটারে হয়রানি ও বিদ্যুৎ কর্মচারীদের ঘুম বাণিজ্যের কঠোর সমালোচনা করে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
বুধবার (১৫ মে) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে টানা দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশীজনরা এই অভিযোগ করেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী।
এ সময় প্রিপেইড মিটার নিয়ে গ্রাহকদের হয়রানি ও অসন্তুষ্টি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন- ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অমিত রায়, জনউদ্যোগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু, সিপিবির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক মিল্লাত, নাগরিক আন্দোলনের নেতা অ্যাডভোকেট শিব্বির আহমেদ লিটন, সাংবাদিক নিয়ামুল কবীর সজল, নারীনেত্রী সৈয়দা সেলিমা আজাদ, সুজন সম্পাদক আলী ইউসুফ, রাইস মিল সমিতির সভাপতি লিলুর রহমান, শিক্ষক আনোয়ারুল কবীর প্রমুখ।
সভায় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রিপেইড মিটার গ্রাহকদের ভোগান্তি বাড়িয়ে তুলেছে। স্মার্ট মিটারের নামে হয়রানি সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে টাকা লোড করতে গ্রাহককে ২০ থেকে ৩২০টি ডিজিট চাপতে হয়। একাধিকবার ভুল হলে লক হয়ে যায় মিটার। একই সঙ্গে টাকা লোড করার সঙ্গে সঙ্গে কেটে নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত বিল।
এছাড়াও বিদ্যুৎ জটিলতার কোনো কাজে কর্মচারীদের ডেকে নিলেও টাকা না দিলে তারা কাজ করে না। এটা এখন প্রকাশ্য ঘুষে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায় প্রিপেইড মিটার সহজীকরণ করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ও নাগরিক নেতারা।
পরে গ্রাহকের নানা অভিযোগের জবাব দেন পিডিবির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জসীম উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ-২) ইঞ্জিনিয়ার ইন্দ্রজিত দেবনাথ ও নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ বিতরণ ও বিক্রয় বিভাগ-২) ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত রায়।
তারা বলেন, প্রিপেইড মিটার জনগণের কল্যাণে স্থাপন করা হচ্ছে। এটি সরকারের প্রকল্প। প্রিপেইড মিটারে টাকা লোড দিতে বাটন চাপাচাপি নিয়ে জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে বলে আমরা স্বীকার করছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়াও লোড কম-বেশি নিয়ে কর্মকর্তারা জানান, গরমকালে গ্রাহকের লোড বেশি হলে (৩ কিলোওয়াট থেকে ৮ কিলোওয়াট) আবেদনের মাধ্যমে শীত মৌসুমে লোড কমানোর সুযোগ রয়েছে। প্রিপেইড মিটারে একজন গ্রাহক যখন যেমন লোড চাইবেন, তখন তাই পাবেন। আর সে অনুযায়ী প্রতি কিলোওয়াটে ৪২ টাকা কেটে যাবে। এছাড়াও প্রতিমাসে মিটার ভাড়া ৪০ টাকা এবং ১০ ভাগ ভ্যাট কেটে নেওয়ার পাশাপাশি গ্রাহক শ্রেণী অনুযায়ী বিদ্যুতের বিল কেটে নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ময়মনসিংহ প্রি-পেমেন্ট মিটারিং প্রজেক্ট ফর ডিস্ট্রিবিউশন এর আওতায় ময়মনসিংহ এক লাখ ১৮ হাজার ৫৪০টি পোস্ট-পেইড মিটারকে প্রিপেইড মিটারে রূপান্তর প্রক্রিয়ায় এই হয়রানি ও ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
দুর্ঘটনা
পুকুরে নেমে প্রাণ গেলো জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর
জামালপুরের বকশীগঞ্জে ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে এসে পুকুরে গোসল করতে নেমে রিফাত মিয়া (১৬) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে রিফাত। নিখোঁজ হওয়ার প্রায় দুই ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সহযোগিতায় ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (১৫ মে) দুপুরে বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরের পুকুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রিফাত মিয়া শেরপুর সদর উপজেলার দিঘারপাড় এলাকার আব্দুল হালিম সরকারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রিফাত মিয়া এবছর শেরপুর ভিক্টোরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। সে দুই দিন আগে তার বড় ভাই বকশীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক লাভলু মিয়ার বাসায় বেড়াতে আসে। পরে চার বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরের পুকুরে গোসল করতে নামে রিফাত। এক পর্যায়ে পানিতে ডুব দিয়ে আর না উঠলে তার বন্ধুরা খুঁজতে থাকে। পরে তারা চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসেন।
বকশীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ তুহিনুল হক গণমাধ্যমে বলেন, আমরা অনেক চেষ্টায়ও উদ্ধার করতে পারিনি। পরে জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সহযোগিতায় দুই ঘণ্টা পর রিফাত মিয়াকে উদ্ধার করা হয়।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান জানান, পুকুরের পানিতে ডুবে শিক্ষার্থী রিফাতের মৃত্যুর ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।
এএম/
অপরাধ
ছয় মাস ধরে নিখোঁজ যুবক মিললো মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রমে, পেটে কাটা দাগ
রাজধানীর মিরপুরে মিল্টন সমাদ্দারের ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে প্রায় ছয় মাস আগে নিখোঁজ হন মানসিক ভারসাম্যহীন মো. সেলিমকে উদ্ধার করেছেন পরিবারের সদস্যরা। সেলিমের পরনের শার্ট খুলে দেখা যায়, সেলিমের পেটে ডান পাশে বড় অস্ত্রোপচারের দাগ। দাগের বিষয়ে সেলিম কোনো উত্তর দেননি। শুধু ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন। এলাকাবাসী ভিড় করে তাকে দেখতে এসে কেউ কেউ বলছেন, অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে সেলিমের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গহানি করা হয়েছে।
সেলিম (৪০) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বৃ-পাঁচাশি গ্রামের মো. হাসিম উদ্দিনের ছেলে।
স্বজনেরা জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখে তারা সেলিমকে চিনতে পারেন। পরে ঈশ্বরগঞ্জ থেকে স্বজনেরা ঢাকায় গিয়ে মিল্টন সমাদ্দারের ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে গেলো বৃহস্পতিবার (৯ মে) তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
গেলো শুক্রবার সেলিমের ছোট বোন ফারজানা আক্তার জানান, চার ভাইয়ের মধ্যে সেলিম সবার বড়। তার সংসারে দুটি মেয়ে আছে। সেলিম এলাকায় কাজকর্ম করে পরিবারের ভরণপোষণ করতেন। বছরখানেক আগে ভাইয়ের মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। মানসিক সমস্যার কারণে মাঝেমধ্যে বাড়িতে তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো। সেলিম শিকল খুলে বিভিন্ন জায়গায় চলে যেতেন। আবার কয়েক দিন পর ফিরে আসতেন। কিন্তু এবার তাকে খোঁজ করেও পাওয়া যাচ্ছিল না।
সেলিমের স্ত্রী ফাতেমা গণমাধ্যমে বলেন, তার স্বামীর মানসিক সমস্যা থাকলেও কোনো শারীরিক সমস্যা ছিল না। পেটে এত বড় অপারেশনের দাগ কিসের, জানতে চান তিনি। মিল্টন সমাদ্দারের কেয়ারে স্বামীর কোনো অঙ্গহানি হলে দায়ী ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন তিনি।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান গণমাধ্যমে বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রম থেকে সেলিম নামের এক ব্যক্তিকে উদ্ধারের ঘটনাটি জানার পর থানা থেকে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে তার বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল। তবে সেলিমের পরিবার থানায় কোনো অভিযোগ করেননি।
এএম/
-
আইন-বিচার5 days ago
৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
-
ক্রিকেট3 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
-
টুকিটাকি5 days ago
চলন্ত বাইকেই রোম্যান্সে মত্ত প্রেমিক-প্রেমিকা!
-
জাতীয়4 days ago
ঢাকার ২ সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
-
খুলনা5 days ago
এসএসসি পাশের আনন্দ কেড়ে নিলো ট্রাক
-
অপরাধ5 days ago
অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস
-
শিক্ষা7 days ago
রাতে মোবাইল ঘাটাঘাটির কারণে ফল খারাপ হয়েছে: অধ্যক্ষ ভিকারুননিসা
-
শিক্ষা7 days ago
এসএসসিতে এবারের সেরা ১০ স্কুল
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন