তথ্য-প্রযুক্তি
এবার কর্মী ছাঁটাই করবে অ্যামাজন
টুইটার, ফেসবুকের পর এবার গণছাঁটাইয়ের পথে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বৃহত্তম ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন। কর্পোরেট এবং প্রযুক্তিখাতের আনুমানিক ১০ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। তবে কর্মী ছাঁটাইয়ের ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন পর্যন্ত কিছু বলা হয়নি।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানানো হয়।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ছাঁটাই হতে যাওয়া কর্মীদের বেশিরভাগই অ্যামাজনের ডিভাইস ইউনিটের। এছাড়া সংস্থার রিটেইল বিভাগ এবং মানবসম্পদ বিভাগেও কর্মী ছাঁটাই হবে। শুধু তাই নয়, কর্মী নিয়োগও স্থগিত করা হয়েছে।
অ্যামাজনের সূত্রটি বলছে, মার্কিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়। এই অবস্থায় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো অ্যামাজনও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখে রয়েছে।
অ্যামাজন মনে করছে, চলতি বছরে উৎসবের সময়গুলোতে, যেমন বড়দিন বা নববর্ষে তাদের ব্যবসা আগের তুলনায় কমে যাবে।
গত মাসে সাংবাদিকদের অ্যামাজনের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার ব্রায়ান ওলসাভস্কি বলেছিলেন যে, মানুষ কেনাকাটায় তাদের বাজেট কমিয়ে ফেলেছে।
এর আগে ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা গত সপ্তাহে জানিয়েছে, তারা ১৩ শতাংশ বা ১১ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে। অ্যামাজনও সেই পথেই হাঁটছে। যা এই সংস্থার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণছাঁটাই হতে চলেছে। বিশ্বজুড়ে এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মীর সংখ্যা ১৫ লাখের বেশি।
তথ্য-প্রযুক্তি
বন্ধ হচ্ছে না ২৮ হাজার মোবাইল সেট: পলক
২৮ হাজার মোবাইল সেট বন্ধ করে দেয়া হবে তথ্যটি সঠিক নয়। আমাদের এ ধরনের কোন পরিকল্পনাও নেই। জানালেন ডাক ও টেলি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
রোববার (১২ মে) সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিথ্যা, অপপ্রচার ও গুজব প্রতিরোধে এমপি-মন্ত্রীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাইটগুলো ভেরিফিকেশন প্রয়োজন। তবে কেউ চাইলে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করা হবে। গ্রাহক সেবা সঠিকভাবে দিতে না পারলে, লাইসেন্স গাইডলাইনে যেসব সাজার বিধান আছে, তা মোবাইল কোম্পানিগুলোর ওপর প্রয়োগ করা হবে।
জুনায়েদ আহমেদ পলক জানান, দেশে বর্তমানে ১৭টি কারখানায় মোট চাহিদার ৯৭ শতাংশ মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদিত হচ্ছে। দেশে মোবাইল গ্রাহক ১৯ কোটি ১৩ লাখের বেশি। ইন্টারনেট গ্রাহক ১৩ কোটি ৩৫ লাখ।
তিনি আরও জানান, আগামী ১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডিজিটাল উদ্ভাবন: টেকসই উন্নয়ন।
টিআর/
তথ্য-প্রযুক্তি
অবৈধ দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল বন্ধের কার্যক্রম শুরু
অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
গেলো ২ এপ্রিল তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাথে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত দশটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
এ সিদ্ধান্তগুলো হলো- ১) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীগণই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলসমূহ গ্রাহকের নিকট বিতরণ করতে পারবে ২) ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না ৩) সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না ৪) টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিং এর অ্যাপসসমূহ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরণের অ্যাপস সেট-টপ-বক্সে ইনস্টল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ৫) বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যেকোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ৬) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত অন্য কোন চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না। এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে বিধায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতিত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না ৭) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী, কোন ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত নিজস্ব কোন অনুষ্ঠান যথা: ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডি এর মাধ্যমে অথবা অন্য কোন উপায়ে কোন চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারবে না। আইন অমান্য করে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনো চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না ৮) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হয়ে কোন ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। তাই লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারীগণ ব্যতিত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না ৯) অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটরগণ এই সিদ্ধান্তসমূহ তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে এবং ১০) আইন/নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে গেলো বৃহস্পতিবার (২ মে) সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের চিঠি দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
টিআর/
চট্টগ্রাম
এক দশকের মধ্যে বিলুপ্ত হবে স্মার্টফোন
বর্তমানে মানুষের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্মার্টফোন। আগামী ১০-১৫ বছরের মধ্যেই নাকি বিলুপ্ত হয়ে যাবে জরুরি এ ডিভাইসটি। তখন এটি আর মানুষের হাতে হাতে দেখা যাবে না। কথাটা শুনে অদ্ভুত একটা মানসিক ধাক্কা লাগলেও সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছেন মেটার শীর্ষ এআই বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুন।
তিনি বলেন, শেষপর্যন্ত আমরা যেটা চাই, সেটা হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অ্যাসিস্ট্যান্ট। যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সাহায্য করবে। আর সেই কারণেই আমাদের পকেটে থাকে স্মার্টফোন । কিন্তু আজ থেকে ১০ বা ১৫ বছরের মধ্যেই আমাদের আর স্মার্টফোনের প্রয়োজন পড়বে না। তখন এসে যাবে অগমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাসেস।
বিজ্ঞানী লেকুনের দাবি, ওই বিশেষ ধরনের চশমা আর ব্রেসলেটই সব কাজ করে দেবে। কল্পবাস্তবের জগতে চলাফেরা করতে কোনো সমস্যাই হবে না। ফলে স্মার্টফোনের প্রয়োজন শেষ হয়ে যাবে।
লেকুনই প্রথম এমন বললেন তা নয়। এর আগে নোকিয়ার সিইও পেক্কা লান্ডমার্ক ২০২২ সালেই বলেছিলেন, ২০৩০ সালের মধ্যেই স্মার্টফোন আর প্রাসঙ্গিক থাকবে না। বরং শরীরেই বসানো থাকবে নানা যন্ত্র!
উল্লেখ্য, বছরের শুরুতেই ‘অসাধ্য সাধন’ করেছে ধনকুবের এলন মাস্কের সংস্থা নিউরালিঙ্ক। মানব মস্তিষ্কে বসানো হয়েছে একটি ‘ব্রেন ইন্টারফেস’ অর্থাৎ চিপ। যা মানব মস্তিষ্কের সাথে কম্পিউটারের সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারে। সেই ব্যক্তি তার মস্তিষ্ককে ব্যবহার করে অর্থাৎ ‘টেলিপ্যাথি’র মাধ্যমে ভিডিও গেম বা অনলাইন দাবা খেলতে পারছেন! নিত্যনতুন উদ্ভাবনে আগের সবকিছুকেই টেক্কা দিচ্ছে এই ‘ব্রেন ইন্টারফেস’। ফলে স্মার্টফোনের অবলুপ্তি সংক্রান্ত এমন ভবিষ্যদ্বাণীকে উড়িয়ে দিতে পারছে না কেউ।
এসি//
-
এশিয়া1 day ago
দুর্ঘটনায় উল্টে গেলো গাড়ি, রাস্তায় ছড়িয়ে পড়লো কোটি কোটি টাকা
-
টুকিটাকি1 day ago
মাকে গুলি, স্ত্রীকে হাতুড়ি আর ৩ সন্তানকে ছাদ থেকে ফেলে খুন
-
জাতীয়6 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
-
বলিউড7 days ago
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
-
আন্তর্জাতিক4 days ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
-
ঢাকা6 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
-
ঢালিউড3 days ago
মেয়ের মা হলেন পরীমণি
-
বলিউড6 days ago
ভাই-বোনেরা গাঁজা একদম ছুবে না: হানি সিং
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন