Connect with us

লাইফস্টাইল

মাইগ্রেন নিরাময়ে ঘরোয়া উপায়

Published

on

মাইগ্রেন

মাইগ্রেন কোনও সাধারণ মাথা ব্যথা নয়, এটি একধরণের নিউরোলজিক্যাল সমস্যা। মাইগ্রেনের ক্ষেত্রে অনেকের মাথার শুধু একটি অংশ ব্যথা করে। অনেকের আবার সমগ্র মাথায় ব্যথা হয়। পুরো মাথা ব্যথা করা ব্যক্তিদের সমস্যা সব থেকে বেশি হয়। তীব্র মাথা ব্যাথার সঙ্গে সঙ্গে বমি বমি ভাব, চোখে ব্যথা এমনকী মুখ ও চোয়ালেও ব্যথা হতে পারে।

মাইগ্রেনের সমস্যা কেন হয়, তা নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা চলছে। তবে এখনো মাইগ্রেনের নেপথ্যে কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সূর্যের প্রখর তাপ কিংবা টানা কম্পিউটার বা মোবাইলের সামনে বসে থাকা এর একটি কারণ হতে পারে। এছাড়াও ঘুম কম হওয়া, দুশ্চিন্তা, চোখের ক্লান্তি, সাইনাস প্রদাহ কিংবা মস্তিষ্কের রক্তনালিতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে মাথাব্যথা হতে পারে। তখনই শুরু হয় অসহ্য যন্ত্রণা।

 

মাইগ্রেনের অসহ্য যন্ত্রনার থেকে মুক্তি পেতে ওষুধ খাওয়া ছাড়া ঘরোয়া যেসব উপায় অবলম্বন করতে পারেন–

মাথা ব্যথা বেশি হলে একটি প্লাস্টিকে কিছু বরফের টুকরো নিয়ে মাথায় ব্যথার জায়গায় দিয়ে রাখতে পারেন। এতে মাথা ব্যথা কম হবে।

Advertisement

ভিটামিন বি-২ এর পরিমাণ শরীরে বাড়লে মাইগ্রেনের ব্যথা কম হয়। মাছ, মাংস, ডিম, দুগ্ধজাত খাদ্য, চিজ, বাদামে ভিটামিন বি-২ এর পরিমান বেশি মাত্রায় থাকে। মাইগ্রেনের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে চেরি ফলের জুসও বেশ উপকারী। চেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনলস নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। চেরি স্ট্রেস দূর করে, মাথাব্যথা কমায়।

চিন্তা মুক্ত থাকুন অর্থাৎ স্ট্রেস কমান। মস্তিষ্কের বিশ্রামের জন্য প্রয়োজনে মেডিটেশন ও যোগব্যায়াম করতে পারেন। এছাড়া এমন অনেক সুগন্ধী আছে, যা রোগীর যন্ত্রণা বাড়িয়ে দেয়। এগুলো সব সময়ে ব্যক্তিভিত্তিক। তাই রোগীর নিজেকেই বুঝতে হবে কোন খাবারে সমস্যা হচ্ছে, কোন গন্ধে ব্যথা বাড়ছে।

হার্বাল চা মাথার ব্যাথার জন্য খুব উপকারী। আদা কুঁচি ও লেবু দিয়ে চা খেলে ব্যথার পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়।

মাইগ্রেন থেকে রক্ষা পেতে গোলমরিচের বিকল্প নেই। এক কাপ গরম পানিতে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে। সঙ্গে মধু আর লেবু মিশিয়ে নিতে পারেন।

মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খুবই কার্যকরী।

Advertisement

প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে হবে এবং সেটা হতে হবে পরিমিত।

বেশি সময় ধরে কম্পিউটার মনিটর ও টিভির সামনে থাকা যাবে না।

অতিরিক্ত বা কম আলোতে কাজ করবেন না, এতে মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

চকলেট, অ্যালকোহল, ডিম, দুধ বা দুগ্ধজাত দ্রব্য, পেঁয়াজ, টমেটো, ময়দার রুটি মাইগ্রেনের অ্যাটাকের সময় ভুলেও খাবেন না। ব্যথা হলে প্রচুর পরিমাণে পানি খান।

মাইগ্রেনের ব্যথা পুরোপুরি নিরাময় হয় না। এই ব্যথা নিয়েই যেহেতু চলতে হবে, তাই যতটা সম্ভব রোগীর নিজের সতর্ক থাকা প্রয়োজন। খাদ্যাভাস ও লাইফস্টাইল বদলে এই ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখাই শ্রেয় বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা।

Advertisement

সূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে

লাইফস্টাইল

ফুরফুরে থাকুন জাপানি টোটকায়

Published

on

দিনের বড় একটা অংশ কর্মজীবীদের অফিসেই কাটাতে হয়। ব্যক্তিগত সমস্যা, কর্মক্ষেত্রের নানা জটিলতা, সহকর্মীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব, আত্মবিশ্বাসের অভাব ইত্যাদি কারণ মনের ওপর চাপ বাড়ায়। এমন পরিস্থিতি দীর্ঘদিন চলতে থাকলে একসময় ক্লান্তি আর অবসাদ গ্রাস করে নেয়।

মনে একবার ক্লান্তি জেঁকে বসলে তা আর সহজে যেতে চায় না। অনেকে এই অবসাদ দূর করতে মুঠো মুঠো ওষুধ খান। এতে সাময়িক সমাধান পাওয়া গেলেও ক্ষতি হয় শরীরের। তার চেয়ে বরং মন ফুরফুরে রাখতে পারেন জাপানি কিছু পদ্ধতিতে। চলুন জেনে নিই বিস্তারিত-

মেডিটেশন বা ধ্যান

আলো-বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় হাঁটু মুড়ে পদ্মাসনে বসে চোখ বন্ধ করে ধ্যান করুন। জাপানি সংস্কৃতিতে এই পদ্ধতিকে ‘জাজেন’ বলে। প্রতিদিন কিছু সময় ধ্যানমগ্ন থাকলে মন আর মস্তিষ্ক দুটোই শান্ত থাকবে। ভালো থাকবে মন।

ইকেবানা

Advertisement

বাড়িতে অতিথি এলে কিংবা বিশেষ উৎসবের দিন অনেকেই ফুল দিয়ে ঘর সাজান। অন্দরে প্রবেশ করেই যদি এক গোছা ফুলে চোখ পড়ে তাহলে মন ভালো হয়ে যায়। পছন্দের ফুল দিয়ে ঘর সাজাতে পারেন। জাপানিরা একে ‘ইকেবানা’ বলেন।

ওনসেন

মনের গোপনে জমা মেঘ দূর করতে ভরসা রাখুন জাপানি ‘ওনসেন’ পদ্ধতিতে। উষ্ণ পানিতে গোসল করে মন ভালো করার এই পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয় দেশটিতে। হালকা গরম পানি দেহের পেশিগুলোকে শিথিল করে, রক্ত সঞ্চালন সচল রাখে। এই পদ্ধতি উদ্বেগ দূর করে।

কিনহিন

হাঁটার সময় মন চঞ্চল হতে দেয়া যাবে না। মনকে স্থির রেখে হাঁটতে হবে। জাপানি ভাষায় এই অনুশীলনকে ‘কিনহিন’ বলা হয়। ধীরে ধীরে পথ হাঁটলে মন শান্ত হয়। স্থির থাকে। সুফল পেতে নিয়মিত কাজটি করতে হবে, নয়তো সুফল মিলবে না।

Advertisement

শিনরিন-ইয়োকু

জঙ্গল ভালবাসেন? তাহলে মন খারাপ লাগলে কদিন জঙ্গলে বেড়িয়ে আসুন। বুনো গাছের গন্ধ আর জঙ্গলের আলো-আঁধারিতে মন শান্ত হতে বাধ্য। জাপানি ভাষায় এই টোটকাকে ‘শিনরিন-ইয়োকু’ বলা হয়। গবেষকদের মতে,সবুজ গাছপালার মধ্যে বেশিক্ষণ থাকলে কর্টিসল হরমোন কম ক্ষরিত হয়। অবসাদের কারণ এই হরমোন।

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

মশা তাড়াবার ৫টি কৌশল জেনে নিন

একে গরম, তার উপর ঘন ঘন লোডশেডিং। তার উপর মশার উপদ্রব! মশা তাড়ানো ধূপ কিংবা স্প্রে ব্যবহার করাই যায়। কিন্তু রাসায়নিক দেয়া এই সব জিনিস শরীরের জন্য ভাল নয়। অনেকে আবার ধূপ বা স্প্রে-র গন্ধই সহ্য করতে পারেন না। তাদের দম শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। শিশুদের জন্যেও এই ধরনের জিনিস নিরাপদ নয়। তা হলে উপায়? গরমে মশার হাত থেকে রক্ষা পাবেন কী ভাবে?

১. কর্পূর

মশার ধূপের গন্ধে অনেকেরই কষ্ট হয়। তার বদলে ঘরে কর্পূর জ্বালাতে পারেন। কর্পূর জ্বালালে ঘরে তেমন ধোঁয়াও হয় না। যাদের শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্যেও কর্পূর নিরাপদ।

২. পোশাক

মশাকে বোকা বানাতে পারেন হালকা রঙের, গা-ঢাকা পোশাক পরে। গাঢ় রঙে মশা আকৃষ্ট হয়। শরীরের অনাবৃত অংশে মশা কামড়ায় বেশি। তাই গা ঢাকা পোশাক পরলেই ভাল।

Advertisement

৩. বাড়ির আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখা

বাড়ি আশপাশে গাছপালা থাকলে মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। তাই সময় করে আগাছা ছেঁটে ফেলাই ভাল। চার পাশে কোথাও যেন জল না জমে, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। জমা জলে মশা বংশ বিস্তার করে। তাই সে বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।

৪. আলোর সঠিক ব্যবহার

ঘরে সাদা আলো ভাল লাগে না বলে সর্বত্র হলুদ ‘মুড’ লাইট লাগিয়েছেন। কাজ থেকে ফিরে সেই হলুদ আলোতে ভেসে যেতে মন্দ লাগে না। এই হলদে আলো মশাদের বড়ই প্রিয়। তাদের দাপট কমাতে চাইলে সাদা আলো ব্যবহার করাই ভাল।

৫. প্রাকৃতিক উপায়

Advertisement

প্রাকৃতিক বেশ কিছু অয়েল যেমন ইউক্যালিপটাস, নিম, ল্যাভেন্ডার, সিনামন, থাইমের গন্ধে মশা পালিয়ে যায়। গায়ে, পোশাকে কিংবা ঘরের কোণে এই অয়েল ছড়িয়ে রাখতে পারেন।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

দিনের যে সময়ে মিষ্টি খেলে শর্করা বাড়বে না

বাড়তি শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে কোন সময়ে কি খাচ্ছেন সেই দিকে খেয়াল রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সকালে চিনি দেয়া চা, কফি থেকে দুপুরে কাপকেক কিংবা বিকেলে আইসক্রিম— যাই খান না কেন, তার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খাওয়া ভাল না। তা জেনেও এই ধরনের খাবার খাওয়ার লোভ সামলাতে পারেন না অনেকেই। তবে, ক্ষতি এড়াতে চাইলে জানতে হবে মিষ্টি খাওয়ার সঠিক সময়।

পুষ্টিবিদেরা বলছেন, মিষ্টি কিংবা মিষ্টিজাতীয় খাবার খালি পেটে একেবারেই খাওয়া যাবে না। খালি পেটে মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে দুম করে রক্তে শর্করা বেড়ে যাবে। তাকে কোনও মতেই সামাল দেয়া যাবে না। তবে সকলের ক্ষেত্রেই যে এই নিয়ম কাজ করবে, এমন নয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ফাইবারের মতো খাবারের সঙ্গে মিষ্টি খেলে ক্ষতির সম্ভাবনা কম।

তবে, শুধু যে রসগোল্লা, কেক, পেস্ট্রির মধ্যেই চিনি থাকে, এমন তো নয়। নরম ঠান্ডা পানীয়, প্যাকেটজাত কিংবা প্রক্রিয়াজাত খাবারের মধ্যেও চিনি থাকে। তাই সারা দিন কী খাচ্ছেন এবং কতটা পরিমাণ খাচ্ছেন, তার উপরেও রক্তে শর্করার ওঠা-নামা অনেকটাই নির্ভর করে। দুপুরে খাবার খাওয়ার পর যদি মিষ্টি খান, সে ক্ষেত্রে ক্ষতির আশঙ্কা কম। কারণ, এই সময়ে বিপাকক্রিয়া ভাল থাকে। শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকলে মিষ্টিজাতীয় খাবার তাড়াতাড়ি শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে। তাই খুব যদি ইচ্ছে হয়, দিনের বেলাতেই মিষ্টি খেয়ে নিন। রাতে শেষপাতে মিষ্টিমুখ না করাই ভাল। সকালের দিকে মিষ্টি খেলেও খেয়াল রাখবেন যেন, পেট খালি না থাকে।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version