Connect with us

দেশজুড়ে

শিশু আয়াতের সন্ধান চায় পরিবার

Published

on

চটগ্রামের দক্ষিণ হালিশহর বন্দর টিলার ৩৯ ন্ং ওয়ার্ডের আয়াত নামে ৫ বছরের শিশুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। চার দিন পার হলেও তার এখনো কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। শিশুটিকে খুঁজে পেতে আকুতি জানিয়েছে তার পরিবার।

শিশুটির বাবার নাম সোহেল রানা। মায়ের নাম তামান্না। আয়াত পরিবারের একমাত্র সন্তান। আয়াত পাশের এক মাদরাসার নার্সারির শিক্ষার্থী। তার বাবা স্থানীয় পানের দোকানদার।

গেলো মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বাসার সামনে থেকে শিশুটি হারিয়ে যায়। এসময় সে মসজিদের মক্তবে পড়তে যাচ্ছিল। আয়াতের দাদা মঞ্জুর হোসেন বিষয়টি বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেন ।

তিনি জানান, তাদের বাসা চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকার নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিসের পাশে। সেদিন আয়াত আরবি পড়তে বিকাল তিনটায় বাসা থেকে বের হয়। একঘণ্টা পর মসজিদে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সে পড়তে যায়নি। এসময় আশপাশে খবর নিতে গেলে তার হাতে থাকা কায়দা পাশের বিল্ডিং এর সিঁড়িতে পাওয়া যায়।

এদিকে বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আয়াতের সন্ধান চেয়ে বুশরা নামের এক নারী পোস্ট করেছেন।

Advertisement

তিনি লিখেন, ‘৫০ ঘণ্টা পার হয়ে গেল আয়াতকে খুঁজে পাচ্ছি না। কারও বিরুদ্ধে আমাদের কোনো অভিযোগ নাই, আমরা শুধু আয়াতকে ফিরে পেতে চাই। কোথায় পেয়েছে, কিভাবে পেয়েছে কোনো প্রশ্ন ছাড়াই উপযুক্ত পুরস্কার দেবো, শুধু আয়াতকে ফিরে চাই আমরা। ইয়া আল্লাহ, আয়াতকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিন। এতগুলা মানুষের চোখের পানির বিনিময়ে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিন মাবুদ। এ মাসুম বাচ্চাটার এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। আমরা চাইলে নিউজটা ছড়িয়ে দিয়ে খুঁজে পেতে সহযোগিতা করতে পারি। বাচ্চাটা যেন সুস্থভাবে নিজের পরিবারে ফিরে আসতে পারে।’

এ ঘটনায় আয়তের বাবা সোহেল রানা চট্টগ্রাম ইপিজেড থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

জনদুর্ভোগ

টানা ২০ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন তিন উপজেলা

Published

on

কিশোরগঞ্জের হাওরবেষ্টিত তিন উপজেলার ২৩ ইউনিয়ন দীর্ঘ ২০ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। রাতে যানবাহনে চার্জ দিতে না পারায় আজ দিনে যাত্রী পরিবহন করতে পারেননি অটোরিকশা চালকেরা। এ ছাড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কল-কারখানা ও হাসপাতালগুলোতেও ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

গেলো বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত ১১টা থেকে আজ শুক্রবার (১০ মে) রাত ৮টা পর্যন্ত অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বজ্রপাতের সময় কিশোরগঞ্জ গ্রিডের পটেনশিয়াল ট্রান্সফরমার পুড়ে যায়। এরপর থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

কিশোরগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জ গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে ৩৩ কেভি সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ সরবরাহের পটেনশিয়াল ট্রান্সফরমার (পিটি) বজ্রপাতে পুড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে হাওরের তিন উপজেলা অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইনের মোট ২৩টি ইউনিয়নের বাসিন্দারা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

মিঠামইন পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসের সহকারী ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (কম) প্রকৌশলী দেবাশীষ কুমার তালুকদার প্রান্ত গণমাধ্যমে বলেন, গেলো রাতে কিশোরগঞ্জ গ্রিডে সমস্যা হওয়ায় তিন উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। পল্লীবিদ্যুৎ প্রকৌশলী ও কর্মীরা কাজ করছেন। বিকল্প উপায়ে তিনটি সদর ফিডার চালু করেছি। এতে অতি দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

স্বামীকে ফাঁসাতে গিয়ে ফাঁসলেন নিজেই!

Published

on

স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না রুমা আক্তারের। এতে বুদ্ধি করে বোনের কাছে টাকা নিয়ে ইয়াবা কিনে আনেন। পরে সেই ইয়াবা বাসার বালিশের নিচে রেখে ফোন দেন ট্রিপল নাইনে। পুলিশ গেলে তার আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। এরপর গেলো বৃহস্পতিবার তাকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেয়া তথ্যমতে, সরবরাহকারী জাকিরকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

শুক্রবার (১০ মে) বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন।

গ্রেপ্তার রুমা আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাটিহাতা গ্রামের মৃত সাবির উদ্দিনের মেয়ে।

ওসি জানান, ১৪ পিস ইয়াবাসহ রুমা আক্তার (৩০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বামী কাওছার আহম্মেদের কাছে ইয়াবা আছে বলে ৯৯৯ এ ফোন করেন রুমা। কিন্তু পরে স্বীকার করেন স্বামীকে ফাঁসাতেই তিনি নিজে এই ইয়াবা কিনে সেখানে রেখেছেন। তাকে গ্রেপ্তারের সময় ইয়াবা বিক্রির অভিযোগে জাকির (৩৩) নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, ১২ বছর আগে প্রবাসী কাওছারের সঙ্গে বিয়ে হয় রুমার। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকে। তারা উভয়েই পরস্পরের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ করেন। এই ঝগড়া বিবাদের কারণে কাওছার বিদেশ থেকে চলে আসেন এবং ঢাকায় একটি রেস্টুরেন্টে চাকরি শুরু করেন। দেশে ফিরলে তাদের মধ্যে বিবাদ আরও বাড়তে থাকে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

চুরির দায়ে নারীকে বেধেঁ নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল!

Published

on

মোবাইল চুরির অপবাদে পঞ্চগড়ে মজিদা বেগম (২৬) নামে এক নারীর কোমড়ে রশি বেধেঁ নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট বাজারে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

ভুক্তভোগী মজিদা বেগম পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বামনহাট ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আজিজুর রহমানের স্ত্রী । ২ সন্তানের জননী হলেও, সাংসারিক কলহের জেরে একই উপজেলার ঝলঝলি গ্রামে দিনমুজুর বাবা মোজাম্মেল হকের বাড়িতে থাকেন ওই ভুক্তভোগী নারী।

এ ঘটনার মোবাইলে ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ভ্যান গাড়িতে এক নারীর সাথে তর্কে জড়িয়েছেন কয়েকজন নারী। এর মাঝে এক ব্যক্তি ওই নারীকে রশি দিয়ে বেধে রাখেন। আর তা দেখে দাড়িয়ে উপভোগ করছেন উৎসুক জনতা। তবে তর্কে জড়ানো নারী ও পুরুষের পরিচয় শনাক্ত করা না গেলেও তারা উপজেলার ঝলঝলি গ্রামের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।স্থানীয়রা বলছে ঝলঝলি গ্রামের কয়েকজন নারী ও পুরুষের সাথে মোবাইল চুরি নিয়ে তার সাথে তর্কে জড়ান। এর মাঝে এ ঘটনাটি ঘটে।

জেমজুট বাজারের ভাই ভাই হোটেল ব্যবসায়ী মাসুম বিল্লা বলেন, সকালে দোকানের কাজ করছিলাম। হঠাৎ পঞ্চগড় থেকে একটি ভ্যানে দুইটা মহিলা ও একটা পুরুষ আমার দোকানের সামনে আসে। এর মাঝে তারা তর্কে জড়ায়। ওই নারী পুরুষটাকে একপর্যায়ে গালাগালি করে আমার দোকানে চলে আসে। তার সাথে থাকা ছেলেটি আমার পাশের দোকান থেকে লাঠি নিয়ে তাকে মারতে গেলে ওই নারীও তাকে মারতে যায়। এর মাঝে ৮-১০ জন মহিলে এসে তাকে ধরে নিয়ে বেধেঁ ভ্যানে করে নিয়ে যায়।

Advertisement

ঔষুধ ব্যবসায়ী হাবিবুল্লাহ বলেন, আমি হঠাৎ অনেক লোকজনকে দেখতে পাই। এর মাঝে এক নারীকে ৮-১০ জন নারী আক্রমন করছে। তাদের কাছে জানতে গেলে বলেন মোবাইল চুরি করেছে। তাই তাকে ধরতে এসেছে সবাই। পরে তাকে রশি দিয়ে বেধে নিয়ে যায়। বিষয়টি আমার কাছেও খুব খারাপ লেগেছে। তাই মোবাইলে ভিডিও রেকর্ড করি।

ঝলঝলি গ্রামের বাসিন্দা আতাউর রহমান বাবুল বলেন, ওই মেয়েটি কারো কথা শুনে না, বাড়িতেও থাকে না। চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধ করে। সর্বশেষ মোবাইল চুরি করায় লোকজন তাকে ধরে নিয়ে এসেছে। চেয়ারম্যান ও মেম্বারের মাধ্যমে একটি শালিস করে তার বাবার হাতে মেয়েটিকে তুলে দিয়েছে গ্রামবাসীরা। তার এমন কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সবাই।

বোদা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত না। এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি।
নজরুল ইসলাম
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
১০৫,২০২৪

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version