Connect with us

বিএনপি

আরেকটা মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আ’লীগকে পরাজিত করতে হবে: ফখরুল

Published

on

লড়াই শুরু হয়ে গেছে। মানুষ নেমে পড়েছে। এখন নয়ন, শাওন, রহিম, আলীমের রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে আমাদেরকে রক্ত দেয়ার জন্য তৈরি হতে হবে। আরেকটা মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে তাদেরকে পরাজিত করতে হবে। বললেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। এই সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম।

গেলো শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রদলের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম ওরফে নয়ন মিয়ার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, চিন্তা করে দেখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের নয়নকে গুলি করেছে, কোনো কারণ নেই। তর্ক করছে, তর্কের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেখানে ছেলেটা (রফিকুল) বলেছে, ছেড়ে দাও। তাঁর সামনে ছিল এক কনস্টেবল। তাঁকে (রফিকুল) গুলি করেছে। খুব ক্লোজ রেঞ্জ (কাছ থেকে) থেকে, নাড়িভুঁড়ি সব বেরিয়ে গেছে। এটা কোনো দেশ হলো। জনগণ তোমাদের বিচার করবেই।

আওয়ামী লীগের কথা কেউ বিশ্বাস করে না দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, তারেক রহমান নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছেন যে আন্দোলন করে এই সরকারকে সরাব। পরে আন্দোলনকারী সব দলকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করব। কারণ, সব মানুষকে এক করে দেশকে পরিষ্কার করতে হবে। বিচার, প্রশাসন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তিনি (ইকবাল হাসান) এখানে বসে আছেন। আপনারা কি জানেন, তাঁর মামলা চলছে। যে মামলায় তিনি খালাস হয়ে গেছেন, আবার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। শুধু তাঁকে নয়, আমাদের সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা শুরু করেছে।

Advertisement

মির্জা ফখরুল বলেন, বিচার বিভাগকে বলতে চাই, বিচারকদের প্রতি সম্মান রেখে বলতে চাই, দয়া করে ন্যায়বিচার করুন। কারণ, এ দেশে বহু প্রমাণ আছে, বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা, আজ জেগেছে ওই জনতা। সুতরাং কোনোটাই পার পাবেন না। বারবার করে বলছি, ৭১ সালে লাখ লাখ মানুষ রক্ত ঢেলে দিয়েছে। এখন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করা ৩৫ লাখ মানুষকে আসামি করা হয়েছে, সাতজন যোদ্ধা প্রাণ দিয়েছেন, এর মূল্য অবশ্যই আপনাদের দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ঢাকায় আমাদের শেষ সমাবেশ। কিন্তু এই ঢাকার সমাবেশ নিয়ে তাদের (আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে) কাপড় বাসন্তী রং হয়ে গেছে। যার কারণে আবোলতাবোল বলা শুরু করেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, খেলায় নিয়মের বাইরে গেলে খবর আছে। নিয়মের বাইরে যাওয়ার লাইনম্যান, রেফারি কী আপনি? এর রেফারি বিএনপি। আমরা নির্ধারণ করব খেলার নিয়ম।

আলাদত প্রাঙ্গণ থেকে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনাকে নাটক বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, গতকাল আদালত পাড়ায় যে ঘটনা ঘটেছে, সেটাও প্রহসনের নাটক কি না, সেটা নিয়ে জনগণের প্রশ্ন দীর্ঘায়িত হয়েছে। জঙ্গি, তাঁর হাতে-পায়ে কড়া, সেখানে আক্রমণ হয়ে গেল, এত পুলিশের বেষ্টনী, সেই অবস্থায় মোটরসাইকেলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলো—এগুলো মানুষ ভিন্নভাবে দেখছে। নাটক বলে মনে করছে। এটা কি ওবায়দুল কাদেরের সেই নাটকের অংশ কি না? আজ জঙ্গি ধরার নাম করে ১০ ডিসেম্বরের আগে বিএনপির নেতাদের বাড়িতে কম্বাইন্ড রেড (সম্মিলিত তল্লাশি) হবে কি না, নানাভাবে নিপীড়ন-নির্যাতনের দিকে নিয়ে যাবে কি না—সে আলামতগুলো এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে ফুটে ওঠে।

বিএনপি

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাচ্ছেন খালেদা জিয়া

Published

on

ফাইল ছবি

চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রতিদিন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। সবশেষ গেলো ১ মে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নেয়া হয়। সেখানে তিনি একদিনের জন্য ভর্তিও থাকেন।

গেলো বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ তথ্য গণমাধ্যমকে জানান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও  খালেদা জিয়ার  ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন।

জাহিদ হোসেন জানান, মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বাসায় চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। কখনো কখনো বাসায় সম্ভব না হলে উনাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। তার শারীরিক অবস্থা সুবিধাজনক নয়। তাঁরা বারবার বলছেন খালেদা জিয়া যে সমস্যায় ভুগছেন তার পরিপূর্ণ চিকিৎসা বাংলাদেশে সম্ভব নয়। কখন তিনি বাইরে যেতে পারবেন তা আল্লাহই জানেন।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। সাতদিন পরপরই তাকে হাসপাতালে নিতে হচ্ছে। তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন।

প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা, লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। কারাগার থেকে বেরোনোর পর চিকিৎসার জন্য কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বিএনপি

নয়াপল্টনে দুপুরে বিএনপির সমাবেশ

Published

on

বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে দুপুরে নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে দলটি।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেল ৩টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।

শামসুদ্দিন দিদার জানান, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এছাড়া বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন।

তিনি জানান, পুলিশ সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে। তাই পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

প্রসঙ্গত, গেলো ৯ মে ১৯টি শর্তে নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বিএনপি

যে ১৯ শর্তে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি

Published

on

শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) পুলিশ। তবে এতে ১৯টি শর্তজুড়ে দিয়েছে পুলিশ। ডিএমপির কমিশনারের পক্ষে উপ-পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) মো. আবু ইউসুফের সই করা এক লিখিত স্মারকে এ তথ্য জানানো হয়।

শর্তগুলো হলো-

১. এ অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে।

২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লিখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

৩. অনুমোদিত স্থানের মধ্যেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

Advertisement

৪. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।

৫. অনুমোদিত স্থানের বাইরে বা সড়কের পাশে মাইক/সাউন্ডবক্স ব্যবহার করা যাবে না।

৬. অনুমোদিত স্থানের বাইরে বা সড়কের পাশে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না।

৭. অনুমোদিত স্থানের বাইরে রাস্তায় বা ফুটপাতে কোথাও লোক সমবেত হওয়া যাবে না।

৮. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।

Advertisement

৯. ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আনতে পারে এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।

১০. অনুমোদিত স্থানের আশপাশসহ রাস্তায় কোনো অবস্থাতেই সমবেত হওয়াসহ যান ও যান চলাচলে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।

১১. সমাবেশস্থলে পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন বহনের আড়ালে কোনো ধরনের লাঠিসোঁটা, রড ব্যবহার করা যাবে না।

১২. আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।

১৩. রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য দেয়া যাবে না।

Advertisement

১৪. উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।

১৫. জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে মিছিল সহকারে সমাবেশ স্থলে আসা যাবে না।

১৬. পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিতস্থানে গাড়ি পার্কিং করতে হবে, মূল সড়কে কোনো গাড়ি পার্কিং করা যাবে না।

১৭. সমাবেশস্থলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।

১৮. উল্লিখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।

Advertisement

১৯. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version