Connect with us

লাইফস্টাইল

সন্তানের মনে আঘাত করে শাসন নয়

Published

on

সন্তান

কাজের চাপ এবং নিজেদের নানা সমস্যা সামলে সন্তান মানুষ করতে গিয়ে অনেক সময়ই হিতাহিত জ্ঞান থাকে না অভিভাবকদের। সন্তানের জেদ, আবদার সামাল দিতে গিয়ে না চাইতেই কখনও জিনিসে ভরিয়ে দিয়েছেন, আবার কখনও এমন কড়া শাসনে রেখেছেন, যে খুদের জেদ আরও বেড়ে গিয়েছে। শাসন করতে গিয়ে মেজাজ হারিয়ে এমন কিছু কথা বলে ফেললেন যে তার জের চলল বহুদিন।

মনোবিদরা বলছেন, সব শিশুর ক্ষেত্রেই যে এমনটা হবে তা নয়। কিন্তু অনেক শিশুই সব কথা মন খুলে বলতে পারে না। সে ক্ষেত্রে অনেক কথাই তাদের মনের গভীরে ক্ষত সৃষ্টি করে। সন্তানকে মানুষ করতে গেলে শাসন অবশ্যই করতে হবে। কিন্তু কোন কথা কী ভাবে বললে তা শিশুর মনে আঘাত করবে না, তা জানতে হবে প্রত্যেক অভিভাবককেই।

কী কী কথা বলা যাবে না-

তুমি একটা বোকা

আপনার কথায় আপনার সন্তানের আত্মবিশ্বাস যেন ভেঙে না যায়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সব শিশুর মানসিকতা, বুদ্ধির বিকাশ, এক রকম নয়। তাই সরল মনে কোনও একটা কাজ করে ফেললেও তাকে ‘বোকা’, ‘গাধা’ বলে তিরষ্কার না করলেই ভাল।

নাটক কোরো না

মা-বাবার কাছে বকা খাওয়ার ভয়ে হয়তো শিশুটি নিজের কোনও ভুল স্বীকার করতে পিছপা হচ্ছে বা অসংলগ্ন কথা বলছে। সেই সময় হয়তো দুম করে বলে দিলেন ‘নাটক করো না’। এই ধরনের কথা কিন্তু বাচ্চাদের মনে আঘাত করে।

Advertisement

তুমি এত বাজে কেন?

সন্তানের বায়না সামলাতে না পেরে হয়তো তারই বয়সী অন্যান্য বন্ধুর সঙ্গে তুলনা করে ফেললেন। সবসময় তার ফল কিন্তু ভাল হয় না। বায়না করলেই যে সব জিনিস দিতে হবে তা নয়, কিন্তু কেন দিচ্ছেন না, তা বুঝিয়ে বলা জরুরি। তা না করে ‘তুমি খুব বাজে’ এই কথা বলবেন না।

আমরা এটা দিতে পারব না

বন্ধুর দেখে কোনও দামী জিনিসের বায়না করতেই পারে সন্তান। মুখের উপর সরাসরি না বলে দেয়া খুব সহজ। আবার তাদের সামনে এই সমস্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনাও করাই যায়। কিন্তু এই সব কিছুর ছাপ পড়ে সন্তানের মনে।

কী হয়েছে তোমার?

সে এমন আচরণ কেন করছে তা জানতে চাওয়ার অনেক উপায় আছে। বকে, ধমকে জানতে চাওয়ার কোনও কারণ নেই। বন্ধুর মতো মিশে কথা বলতে পারলে ভাল। কিন্তু অন্যথা হলে সে আপনার কাছে মনের কথা গোপন করে যাবে।

সূত্র: কিডস হেলথ

Advertisement

পরামর্শ

ব্যায়াম শুধু ওজন কমাতে নয়, আরও যা যা উপকার

Published

on

ওজন কমাতে শরীরচর্চার জুড়ি নেই। রোগা হওয়ার তাগিদে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে ব্যস্ত সকলেই। নিয়মিত শরীরচর্চা করার পরে ওজন যদি নাও কমে, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা অবধারিত বা়ড়ে। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের করা গবেষণা তেমনটাই জানাচ্ছে। ব্যায়াম শুধু শরীর আর মনের খেয়াল রাখে না। মস্তিষ্ক সচল রাখতেও শরীরচর্চা করা জরুরি বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।

নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাসে বশে থাকে ওজন। হাঁটুতে ব্যথা, রক্তচাপের সমস্যা, ডায়াবিটিস থাকলেও ব্যায়াম করে সুফল পাওয়া যায়।

এর পাশাপাশি শরীরচর্চা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকিও অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। স্মৃতিভ্রম যে কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, তার উদাহরণ হল ডিমেনশিয়া। মাত্র কয়েক দশকে ডিমেনশিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে প্রায় দুশো শতাংশ। টাইপ-২ ডায়াবিটিস থাকলেও ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়ে। শরীরচর্চা টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকিও কমায়। ফলে রোজের শারীরিক কসরতের অভ্যাস একসঙ্গে বহু রোগের আশঙ্কা কমিয়ে দেয়। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কী ভাবে বাড়িতে তোলে শরীরচর্চার অভ্যাস?

স্মৃতিশক্তি

নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাসে স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তোলে। শরীরচর্চা মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক রাখে। এর ফলে মস্তিষ্কের প্রতটি কোষ সচল থাকে। কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে স্মৃতি ধরে রাখাও অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়। তবে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানোর বদলে হাঁটলে কিংবা সাইকেল চালালেও উপকার পাওয়া যাবে।

Advertisement

মনোযোগ বৃদ্ধি

শরীরচর্চার অভ্যাসে বাড়ে মনোযোগ। ইঁদুরদৌড়ের জীবনে যেটা অত্যন্ত প্রয়োজন। মনোযোগহীন কাজের গুণমান নিয়ে সংশয় থাকেই। কার্ডিয়ো মনোযোগ বাড়িয়ে তোলে। হার্টের খেয়াল রাখতেও কার্ডিয়োর জুড়ি মেলা ভার।

মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি

ব্যায়াম করলে শুধু ওজন কমে না, মনও ভাল থাকে। সার্বিক ভাবে ভাল থাকতে শারীরিক অসুস্থতার ঝুঁকি কমালে চলবে না। মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়েও সমান নজর দিতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হলে শরীরের উপরেও এর প্রভাব পড়ে।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

জেনে নিন রেডিমেড পর্দায় ট্রেন্ড কোনটি

Published

on

মাঝে মাঝে  ঘরের সাজবদল করতে কার না ইচ্ছে করে! আর এই সাজবদলে পর্দার ভুমিকা সব থেকে বেশি। কারণ ঘরের রঙ বদল বা ফার্নিচার পাল্টানো বেশ ঝামেলাদায়ক ও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু চটজলদি কম বাজেটে ঘরের লুক পাল্টে দিতে চাইলে ঘরের পর্দাবদল করাই একমাত্র উপায়।

শুধু পোশাক আশাকই নয়, পর্দার ক্ষেত্রেও টেক্কা দিচ্ছে রেডিমেড। আসলে এখন মানুষের হাতে সময় কম। তাই শোরুমে গিয়ে পছন্দ করে পর্দার ফ্যাব্রিক কিনে টেলর দিয়ে জানলা দরজার মাপ মতো পর্দা তৈরি করানোর ঝক্কি অনেকেই নিতে চাইছেন না। তাই রেডিমেডের বাজার বাড়ছে। রেডিমেড পর্দা সাধারণত দু’ধরনের তৈরি হচ্ছে। একটা রিং সিস্টেম ,অন্যটা পর্দার মেটিরিয়াল দিয়েই লুপ সিস্টেম। জানলা দরজার সাইজ অনুযায়ী কোনটা আপনার বাড়ির জন্য মানানসই হবে তা বুঝে কিনতে হবে আপনাকেই।

আগে জানলা দরজায় কাঠের পেলমেট লাগানোর চল ছিল। তাতে রিং দিয়ে পর্দা ঝোলাতে হতো। এখন নানা ধরনের ডিজাইনার রড এসেছে বাজারে। এতে পর্দা ঝোলানো খুব সহজ। রডে লুপ সিস্টেমের পর্দা দেখতে ভাল লাগে। আবার পর্দার কিছু টেক্সচার আছে যা রিং সিস্টেমেই দেখতে ভাল লাগে। রডের ক্ষেত্রে সুবিধে হল এতে দু’ধরনের পর্দাই লাগান যায়।

পর্দার রড ব্রাশ, কপার ও অ্যালুমিনিয়ামের রয়েছে বাজারে। কিছু রডের সাইডে অনেক রকম কারুকাজ করা থাকে। খুব ঝলমলে পর্দা হলে এই রাজকীয় কারুকাজ দেখতে ভাল লাগে। বাড়িতে কোনও অনুষ্ঠান থাকলে এই ধরনের ঘরের সাজ করতে পারেন।

একটা সময় ছিল যখন ফ্লোরাল প্রিন্টের পর্দা খুব ভাল চলত। হালকা রঙের মেটিরিয়ালে রঙবেরঙের ফুলের ঝাড় খুব ডিমান্ডে ছিল। তবে এখন কটন হ্যান্ডলুমের স্ট্রাইপস ও চেকস কার্টেনের চাহিদা সব থেকে বেশি। জানলা ও দরজার কার্টেন দু’রকম মাপে রয়েছে। নতুন এসেছে ক্রাসড কটন কার্টেন। রঙের শেড সাবডিউড। ইয়াং জেনারেশন এই কার্টেন খুব পছন্দ করছেন।

Advertisement

রেডিমেড কার্টেনে টেক্সচারড হ্যান্ডলুমের চাহিদা সব থেকে বেশি। এতে ব্রাইট কালার শেড রয়েছে। রেড, গ্রিন, ইয়েলো, রাস্ট, ব্লু, অরেঞ্জ -যার ঘরের দেয়ালের রঙের সঙ্গে যেটা ম্যাচ করবে সেটা কিনলেই ঘরের লুক বদলে যাবে।

তাহলে আর দেরি কেন, চটজলদি বাড়ির সাজবদল করতে চাইলে হাত বাড়ান রেডিমেড কার্টেনেই ।

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

তালেরশাঁস খেলে মিলবে যেসব উপকার

Published

on

বৃষ্টির পর দেশে আবারও তাপপ্রবাহ ফিরে এসেছে। তীব্র এই গরমে প্রাণ জুড়াতে কাজ করে যেসব ফল, তার মধ্যে একটি হলো তালশাঁস। তালশাঁস হলো তালের কাঁচা অবস্থা। এটি সুস্বাদু ও ঠান্ডা ধাঁচের। অনেকে তালশাঁস কিনে এনে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে খান। তখন এটি আরও বেশি সুস্বাদু লাগে। তালশাঁস যে শুধু খেতেই ভালো, তা কিন্তু নয়। এটি নানা পুষ্টিগুণের ভরা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এর প্রতিবেদন থেকে তালেরশাঁসের উপকারিতা সম্পর্কে জানা গেছে। চলুন জেনে নেয়া যাক গরমে তালেরশাঁস খেলে কী ধরণের উপকার মিলবে।

পেটের সমস্যায় উপকারী- প্রচণ্ড গরমে অনেকেই পেটের সমস্যায় ভোগেন। তালশাঁস খেলে পেট তাৎক্ষণিকভাবে ঠান্ডা হয়। এটি খেলে পরিপাকতন্ত্র শক্তিশালী হয়। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম এবং গ্যাসের সমস্যা কমে।

বিপাকক্রিয়া বাড়ায়-  দুর্বল বিপাকক্রিয়ার কারণে ওজন বাড়তে থাকে এবং মানুষ স্থূলতার শিকার হয়। ফাইবার সমৃদ্ধ এই ফলটি খেলে বিপাকক্রিয়া দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও, এটি খেলে দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা অনুভূত হয় না।

হাইড্রেট রাখে-  প্রচণ্ড তাপদাহে শরীর গরম হতে শুরু করে। এর ফলে শরীরে পানির অভাব দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতে তালের শাঁস খেলে তাৎক্ষণিক শরীর হাইড্রেট হয়। ডিহাইড্রেশন থেকে নিজেকে রক্ষা করতে এই ফলটি খান।

Advertisement

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়-  দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের কারণে মানুষ খুব দ্রুত সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ তালশাঁস খান।

ডায়াবেটিসে উপকারী- তালশাঁস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী। এতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম, যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version