Connect with us

এশিয়া

টিকটকে হিজাব-হ্যান্ডব্যাগ বিক্রির রমরমা ব্যবসা

Published

on

ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনগোষ্ঠীর দেশ হিসেবে হিজাবের চাহিদা প্রচুর। ইন্দোনেশীয়দের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির একটি বড় অংশই তৈরি হয় পশ্চিম জাভার সিকেলেংকা এলাকায়। সেখানকার বহু বাসিন্দার উপার্জনের প্রধান মাধ্যম হিজাব তৈরি ও বিক্রি। তেমনই এক দম্পতি ইঙ্গিত পাম্বুদি ও তার স্ত্রী মুদিয়া আয়ু।

সিকালেংকার বেশিরভাগ হিজাব বিক্রি হয় ইট-পাথরের তৈরি পাইকারি বাজারগুলোতে। তবে পাম্বুদি ও তার স্ত্রী বেছে নিয়েছেন আরও আধুনিক বিপণন কৌশল। জনপ্রিয় ভিডিও অ্যাপ টিকটকে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে নিজেদের তৈরি হিজাব বিক্রি করছেন তারা।

২৫ বছর বয়সী পাম্বুদি বলেন, আমাদের কোনো দোকান নেই। যখন জানতে পারলাম, আমি টিকটকের লাইভ স্ট্রিমে পণ্য বিক্রি করতে পারি। তখন ভাবলাম আমাদের জন্য এটি বেশ ভালো সুযোগ।প্রায় সাড়ে ২৭ কোটি মানুষ নিয়ে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম জনসংখ্যা ইন্দোনেশিয়ার। সেখানে টিকটক ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়।

গেলো জুলাই মাস পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ায় টিকটক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ১০ কোটি ৬৯ লাখ। যুক্তরাষ্ট্রের পরে ইন্দোনেশিয়াই চীনা অ্যাপটির জন্য সবচেয়ে বড় বাজার।

গেলো রমাজানে পাম্বুদির কাছে টিকটকের মাধ্যমে ব্যবসার খবর পৌঁছেছিল। তিনি বলেন, একজন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি ছিলেন অনেকটা টিকটকের ‘রিলেশনশিপ ম্যানেজারের’ মতো। তিনি আমাকে বলেছিলেন, আমি প্ল্যাটফর্মটিতে লাইভ শপিং করতে পারি।

Advertisement

ওই সময়ে পাম্বুদি প্রতি মাসে মাত্র এক হাজারের মতো হেডস্কার্ফ বিক্রি করতেন। অনলাইন বেচাকেনায় তার তেমন কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। ২০১৮ সাল থেকে বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে নিজেদের তৈরি হিজাব বিক্রির চেষ্টা করছিলেন এ যুবক। তাদের ‘মুডি মুডি’ নামের হিজাবের খুচরা দাম ছিল সর্বোচ্চ তিন ডলার। তবে এসব কিছু বদলে দেয় টিকটক লাইভ।

পাম্বুদি বলেন, রিলেশনশিপ ম্যানেজার কীভাবে লাইভ স্ট্রিমিং করতে হয় সে সম্পর্কে আমাদের প্রশিক্ষণ দেন। ফিচারগুলো কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, ব্যাকগ্রাউন্ড, আলো, সরঞ্জাম এবং গ্রাহকদের কী বলতে হবে সব শেখান তিনি। পুরো প্রশিক্ষণে আমাদের প্রায় পাঁচ মাস সময় লেগেছিল।

প্রশিক্ষণ শেষে পাম্বুদি ক্যামেরার পেছনে এবং পর্দায় আয়ুকে দাঁড় করিয়ে প্রতিদিন সকাল ও বিকালে কয়েক ঘণ্টা লাইভ স্ট্রিমিং শুরু করেন তারা। তবে রাতের স্ট্রিমিংয়েই সবচেয়ে বেশি ক্রেতা পাওয়া যায়, তা শিগগির বুঝতে পারেন এ দম্পতি।

পাম্বুদি বলেন, আমরা রাত ৮টার পর লাইভে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। কারণ ওই সময়টাতেই লোকজন কাজ শেষে বাসায় ফেরে, এশার নামাজ পড়ে এবং সাধারণত, বাসায় আরাম করতে করতে ফোনে স্ক্রল করে।

তিনি বলেন, বিক্রি খুব ভালো হচ্ছিল, মানুষ (হিজাব) কিনছিল। শুরুতে, আমরা রাত ১১টার মধ্যে সেশন শেষ করতাম। কিন্তু পরে ফজরের ওয়াক্ত পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই এবং এর ফলাফল ছিল দুর্দান্ত।

Advertisement

পাম্বুদি জানান, ভোরবেলা তাদের সেরা সময় (পিক টাইম)। তখন শত শত দর্শক লাইভস্ট্রিমে যোগ দেন। আর জাতীয় অনলাইন শপিং দিবসের মতো বিশেষ দিনগুলোতে দর্শকের সংখ্যা কয়েক হাজারও হতে পারে।

পাম্বুদি দম্পতি এখন প্রতি মাসে ৩০ হাজার পিস পর্যন্ত হেডস্কার্ফ বিক্রি করেন, যা তাদের লাইভ স্ট্রিমিংয়ের আগের দিনগুলোর তুলনায় অন্তত ৩০ গুণ বেশি।

সূত্র: আল-জাজিরা

এশিয়া

লাখো মানুষের শ্রদ্ধায় রাইসির শেষ বিদায়

Published

on

লাখো মানুষের ঢল নেমেছে ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তাবরিজে। প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানাতে কেন্দ্রীয় স্কয়ার থেকে হেঁটে রওনা হন লাখো ইরানি। সদ্য প্রয়াত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আব্দোল্লাহিয়ান ও অন্যান্য সহযাত্রীদের দাফন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) এ তথ্য দিয়ে ইরানের সংবাদমাধ্যম মেহের জানিয়েছে, সকালে ইরানের তাবরিজ শহরে নিহতদের জানাজা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সাত সহযাত্রীর দাফনে যোগ দিতে শহরটিতে জড়ো হয়েছেন তারা। এ সময় তাদের হাতে ছিল ইরানের পতাকা ও প্রয়াত প্রেসিডেন্টের ছবি।

প্রসঙ্গত, রোববার (১৯ মে) আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে দুটি বাঁধ উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। এরপর হেলিকপ্টারে চড়ে ইরানের উত্তর-পশ্চিমের তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু তাবরিজ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি।

পরদিন সোমবার রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মেলে। দুর্ঘটনা কবলিত হেলিকপ্টারটি বেল ২১২ মডেলের বলে জানানো হয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে। ১৯৬০ সালে একটি মার্কিন কোম্পানি দুই ব্লেডের এই মডেলটি তৈরি করেছিল কানাডিয়ান সেনাবাহিনীর জন্য।

আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, পূর্ব আজারবাইজানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলি আলে-হাশেম ও প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান মেহেদি মুসাভি ছিলেন হেলিকপ্টারটিতে। এ ছাড়া হেলিকপ্টারের পাইলট, কো-পাইলট ও ক্রুও মারা গেছেন।

Advertisement

একাধারে রাজনীতিবিদ ও বিচারক ইব্রাহিম রাইসি ছিলেন বিশ্ব রাজনীতিতে অন্যতম প্রভাবশালী নেতাদের একজন। ইব্রাহিম রাইসি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠজন হিসেবেও পরিচিত। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে দেশটির প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার কারণেই দেশটিতে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা কমেছে।

তিন বছর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে মনে করা হয়েছিল একদিন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উত্তরসূরি হবেন ইব্রাহিম রাইসি।

ইব্রাহিম রাইসির জন্ম ১৯৬০ সালের ১৪ ডিসেম্বর উত্তর-পূর্ব ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি তেহরানের পার্শ্ববর্তী শহর কারাজের প্রসিকিউটর-জেনারেল নিযুক্ত হন। ১৯৮৯ থাকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তেহরানের প্রসিকিউটর-জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন রাইসি। ২০০৪ সাল থেকে তিনি এক দশক জুডিশিয়াল অথোরিটির উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান নিযুক্ত করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।

প্রেসিডেন্ট রাইসি পরবর্তীতে ৮৮ সদস্যের বিশেষজ্ঞ সভার উপচেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা নির্বাচনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে এ সভা। ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলো ইরান

Published

on

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত হওয়ার পরপরই আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে ইরান। আগামী জুন মাসের শেষের দিকে দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (২১ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর ইরান সোমবার ঘোষণা করেছে, আগামী ২৮ জুন দেশটিতে আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ইরানের রাষ্ট্রচালিত বার্তাসংস্থা আইআরএনএ-এর মতে, বিচার বিভাগীয়, নির্বাহী ও আইনসভা কর্তৃপক্ষের প্রধানদের মধ্যে বৈঠকের পর দেশটির ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ মে প্রার্থীদের নিবন্ধন শুরু হবে এবং আগামী ১২ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন।

Advertisement

সোমবার (২০ মে) পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের পাহাড়ি ও তুষারাবৃত এলাকায় রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় অনুসন্ধানকারী দল।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান বলছে, গেলো রোববার ইরান-আজারবাইজান সীমান্তে একটি বাঁধের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে প্রেসিডেন্ট রাইসির ফেরার সময় তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে।

পরে সোমবার সকালে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের পাহাড়ি ও তুষারাবৃত এলাকায় হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় অনুসন্ধানকারী দল।

এই দুর্ঘটনার ফলে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির পাশাপাশি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান, সেইসাথে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালিক রহমেতি এবং তাবরিজ প্রদেশের ইমাম আয়াতুল্লাহ আলী হাশিমের মৃত্যু হয়েছে।

রাইসির মৃত্যুর পর ইরানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার সোমবার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে নেতানিয়াহু-হানিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন

Published

on

গাজায় যুদ্ধাপরাধের উসকানি,পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং হামাসের প্রধান নির্বাহী ইসমাইল হানিয়াসহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম আসাদ আহমেদ খান এ আবেদন করেন বলে এক প্রতিবেদনে নিশ্চিত করেছে বৃটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

করিম খান জানান, গেলো ৭ মাস ধরে গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা যে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তার জন্য নেতানিয়াহু-হানিয়াসহ মোট ৫ জন মূলত দায়ী। গত ৭ মাসে গাজায় যত যুদ্ধাপরাধ হয়েছে, সেসবের জন্যও দায়ী এই ৫ জন। এ কারণেই এদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।

এই তালিকায় থাকা অন্যান্যরা হলেন, হামাসের অপর দুই শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার এবং মোহাম্মেদ আল মাসরি ওরফে দেইফ আল মাসরি এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্তও রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও তা বাস্তবায়নের জন্য শক্তিপ্রয়োগের ক্ষমতা আদালতটির নেই। তবে মূল সমস্যা হলো, একবার যদি আইসিসি পরোয়ানা জারি করে— তাহলে তা প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত এই আদালতকে স্বীকৃতি দেয়া দেশগুলোতে সফর করা ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ হবে নেতানিয়াহু, হানিয়া এবং তালিকার অপর তিন জনের জন্য।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version