এশিয়া
ইরানের বিক্ষোভ কেড়ে নিলো ২০০ মানুষের প্রাণ
ইরানে চলা বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ২০০ এর অধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। অফিসিয়াল এক বার্তায় জানিয়েছে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী। গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভের পর এই প্রথম মুখ খুলল ইরান।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা কাউন্সিল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক বিবৃতিতে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও রয়েছে। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে গিয়ে নিহতের শিকার হন।
নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, এ ঘটনায় সাধারণ মানুষও মারা গেছে। কারণ তারা দেশের নিরাপত্তা নষ্ট করার সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে কীভাবে তাদের হত্যা করা হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
নিরাপত্তা বাহিনীর এ ঘোষণার পর ইরানের ইসলামি রেভুলেশনারি গার্ড ক্রপস (আইআরজিসি) এর একজন উচ্চ পর্যায়ের জেনারেল আমিন আলি হাজিজাদে বলেন, বিক্ষোভে প্রায় ৩০০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
তবে ইরান যে মৃতের সংখ্যা প্রকাশ করেছে তা আন্তর্জাতিক সংস্থার দেয়া তথ্যের চেয়ে অনেক কম।
গত সেপ্টেম্বরে পুলিশ হেফাজতে মাহশা আমিনির মৃত্যুর অভিযোগে ইরানে বিক্ষোভ শুরু হয়। ২২ বছর বয়সী মাহশা আমিনি যথাযথভাবে ধর্মীয় পোশাক না পড়ায় তাকে দেশটি নৈতিক পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
ইরান এই বিক্ষোভের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রম, ইসরায়েল, যুক্তরাজ্য এবং সৌদি আরবের ষড়যন্ত্রকে দায়ী করেছেন।
এশিয়া
আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, মৃত্যু ৮
ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের শিবাকাশী শহরের কাছে একটি আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) তামিলনাড়ু পুলিশের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
খবরে বলা হয়, বিস্ফোরণের ঘটনায় ১২ জন দগ্ধ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশ জানিয়েছে, আতশবাজি তৈরির ওই কারখানার বৈধ লাইসেন্স ছিল। কী কারণে সেখানে বিস্ফোরণ ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ জানতে এরইমধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো তদন্ত শুরু করেছে।
এএম/
আন্তর্জাতিক
রাফাহ ছেড়ে পালিয়েছে ৮০ হাজার ফিলিস্তিনি : জাতিসংঘ
ইসরায়েলি আক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রায় ৮০ হাজার ফিলিস্তিনি গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ ছেড়ে পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানায় ইউএনআরডব্লিউএ।
সংস্থাটি জানায়, পূর্ব রাফাহ থেকে ফিলিস্তিনিদের জন্য সরে যাওয়ার আদেশ জারি করার একদিন পর গত ৬ মে থেকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে আক্রমণ শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর জেরে প্রায় ৮০ হাজার ফিলিস্তিনি রাফাহ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এতে গাজা উপত্যকায় মানুষ আরেকটি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির সম্মুখীন হচ্ছে।
সংস্থাটি আরও জানায়, বাস্তুচ্যুত এই পরিবারগুলোর ক্ষতি অসহনীয়। তাদের যাওয়ার মতো নিরাপদ জায়গা নেই। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন যুদ্ধবিরতি দরকার।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানায়,গেলো ৬ মে রাত থেকে শহরের অন্তত ৫০ জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে হামাস যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হওয়ার পর সেটাকে উপযুক্ত নয় বলে প্রত্যাখ্যান করে নেতানিয়াহু সরকার। একই সঙ্গে ইসরায়েল রাফায় বড় ধরনের স্থল অভিযান চালানোর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। এর অংশ হিসেবে ৮ মে মিশরের সঙ্গে রাফাহ ক্রসিং- গাজায় প্রবেশের একমাত্র দখল করে নেয় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
আই/এ
এশিয়া
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিলো বাহামাস
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বেশ কিছু রাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এবার উত্তর আফ্রিকার দেশ বাহামাস ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। শেষ রাষ্ট্র হিসেবে তারাও এ তালিকায় যোগ দিলো।
বুধবার (০৮ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (৭ মে) এক বিবৃতিতে বাহামাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, তারা ‘এই বিষয়ে ক্যারিবিয়ান সম্প্রদায়ের ঐকমত্যে’ যোগ দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাহামা ১৯৭৩ সালে স্ব-নিয়ন্ত্রণের একটি আইনের মাধ্যমে একটি স্বাধীন জাতি হয়ে ওঠে। তাই, বাহামা ফিলিস্তিনি জনগণের স্ব-নিয়ন্ত্রণের আইনি অধিকারকে সমর্থন করে।
গেলো সপ্তাহে, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো সরকার ঘোষণা করেছে, তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। এদিকে মে মাসের শেষের দিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত বেশ কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেবে।
মূলত, ২০১২ সালে ফিলিস্তিন জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের একটি পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসাবে গৃহীত হয়। তখন দেশটির দূতকে জাতিসঙ্ঘের সংস্থাগুলোতে অংশ নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছিল, তবে কোনো ভোট দেয়ার ক্ষমতা দেয়া হয় নাই।
গেলো ১৮ এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদের অনুরোধের একটি প্রস্তাবে ভেটো দেয়। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে ভোটে ১২টি রাষ্ট্র পক্ষে ছিল, একমাত্র বিরোধী ছিল যুক্তরাষ্ট্র। আর যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল।
টিআর/
-
তথ্য-প্রযুক্তি7 days ago
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
-
জাতীয়3 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
-
বলিউড4 days ago
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
-
আন্তর্জাতিক2 days ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
-
বাংলাদেশ5 days ago
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
-
ঢাকা3 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
-
জাতীয়5 days ago
তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা
-
খুলনা6 days ago
রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন