Connect with us

বাংলাদেশ

কুষ্টিয়ায় প্রকাশ্যে স্ত্রী-সন্তানসহ ৩ জনকে গুলি করে হত‌্যা, এএসআই আটক

Published

on

কুষ্টিয়া শহরের কাস্টমস মোড়ে প্রকাশ্যে অস্ত্রধারীর হামলায় শিশু সন্তানসহ এক নারী ও তার ছেলে বন্ধু নিহত হয়েছেন। এসময় এলাকবাসীরা আততায়ী পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সৌমেন মিত্রকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

আজ রোববার (১৩ জুন) বেলা ১১টায় এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান।

নিহতরা হলেন- আসমা (২৫), তার শিশু ছেলে রবিন (৭) ও ছেলে বন্ধু শাকিল (৩০)। শাকিল বিকাশের বিক্রয় প্রতিনিধি। নিহতদের সকলেই বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সাওতা গ্রামে।

স্থানীয়রা জানান, কাস্টমস মোড়ের মার্কেটে সৌমেন মিত্র অস্ত্র হাতে তার স্ত্রী-সন্তান ও এক যুবককে লক্ষ‌্য করে গুলি করেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে তারা সেখানে পড়ে যান। ঘটনার আকস্মিকতায় স্থানীয়রা হতবিহ্ববল হয়ে পড়ে। গুলি করার পর সৌমেন মার্কেট থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু স্থানীয় জনগণ একজোট হয়ে তাকে আটকে ফেলে। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বিভিন্ন সুত্র জানায়, নিহত আসমার সাথে হত্যাকারী সৌমেনের বছর খানেক আগে বিয়ে হয়েছিল। রবিন আসমার আগের পক্ষের সন্তান। নিহত শাকিল হত্যাকারী সৌমেন বন্ধু ছিলেন। আসমার মাধ্যমেই সৌমেনের সাথে শাকিলের বন্ধুত্ব হয়। আসমার আগে সৌমেনও আরেকটি বিয়ে করে। সৌমেনের বাড়ি মাগুরা জেলায়। তিনি পুলিশের এএসআই কুষ্টিয়ার হালসা ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি খুলনার ফুলতলা থানায় কর্মরত।

Advertisement

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হামলাকারীকে পুলিশ আটক করেছে।

শেখ সোহান

অপরাধ

হিজড়াদের হামলায় চোখ হারিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা

Published

on

রাজধানীর রমনার পরিবাগ এলাকায় হিজড়াদের হামলায় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। আহত এসআইয়ের নাম মো. মোজাহিদ।

শনিবার (১ জুন) রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রমনা থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রমনা থানার এসআই মোজাহিদসহ পুলিশের একটি দল রাতে পরিবাগ এলাকায় ডিউটি করছিলেন। এ সময় হিজড়াদের একটি দল ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে হিজড়ারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। ওই সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। একপর্যায়ে একটি ইট এসআই মোজাহিদের চোখে এসে লাগে। এতে এসআই মোজাহিদের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়।

ওসি উৎপল বড়ুয়া বলেন, হিজড়ারা বিভিন্ন রিকশা থেকে ছিনতাই ছাড়াও অনৈতিক কাজ করায় শাহবাগ থানা পুলিশের একটি দল বিশেষ অভিযানে অংশ নেয়। অভিযানের একপর্যায়ে হিজড়ারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে এসআই মোজাহিদের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায় এবং মুখের বিভিন্ন অংশ তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, এসআই মোজাহিদকে শেরেবাংলা নগর চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার চোখের অপারেশন হয়েছে। আরও কয়েকটি অপারেশন লাগবে।

Advertisement

তিনি জানান, এ ঘটনায় শনিবার রাতেই তিনজন হিজড়াকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া রোববার দুপুরে আরও একজন হিজড়াকে আটক করেছে রমনা থানা পুলিশ।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

রিজার্ভ চুরির চার্জশিট দেবে কবে, জানালো সিআইডি

Published

on

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি ঘটনার তদন্ত শেষ পর্যায়ে। সম্ভবত আমরা দুই এক মাসের মধ্যে এটার তদন্ত শেষ করে আমরা চার্জশিট দিয়ে দেব। জানালেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।

রোববার (২ জুন) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আট বছরের অধিক সময় অতিবাহিত হলেও এখনো সেই আলোচিত ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি সিআইডি।

মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, আসলে সমসাময়িক অনেক বিষয় আছে, আমরা কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছি। আমরা মাদক নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছি। ইতোপূর্বে মাদক ব্যবহারকারী এবং খুচরা বিক্রেতাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসতাম। আমরা এখন স্পেশাল ডাইমেনশন আকারে গডফাদারদের নিয়ে আসছি এবং মাদক গডফাদারদের অবৈধভাবে অর্জিত যত প্রোপার্টি আছে সেগুলোকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। কোনটা ফ্রিজ করেছি, আবার কোনটা সিজ করেছি।

গেলো এক বছরে কি পরিমাণ মানি লন্ডারিং হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এইটা এক্সাক্টলি আমাদের কাছে ওইভাবে তথ্য নেই। এটা তো বাংলাদেশ ব্যাংক মনিটরিং করে। আমরা বলতে পারব মানি লন্ডারিং রিলেটেড এম এফ এস রিলেটেড যেসব মামলাগুলো হয়েছে সেগুলোর ডাটা আমাদের কাছে আছে। অনেক মামলা হয়েছে, আমরা অনেক রিকভারিও করেছি। এই রিলেটেড তাদের একাউন্ট সম্পত্তি যা আছে এগুলো আমরা ফ্রিজ করেছি।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

ভুক্তভোগীরা বেনজীরের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন: দুদক আইনজীবী

Published

on

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমদ গত ৬ মাসে তার একাউন্ট থেকে কত টাকা তুলেছেন, সেই টাকা কোথায় নিয়েছে সে বিষয়ে খোঁজ চলছে। ভুক্তভোগীরা চাইলে তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ এবং থানায় মামলা করতে পারবেন। বললেন দুদক আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

রোববার (২ জুন) গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি।

অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম বলেন, আগামী ৬ জুন তাকে (বেনজীর আহমদ) দুদক কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে। এর আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না। দুদক তাকে সুযোগ দিয়েছে এখন এটি তার বিষয় সেটি তিনি গ্রহণ করবেন কিনা।

এর আগে গত ২৬ মে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিস্তা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিভিন্ন সম্পত্তির দলিল, ঢাকায় ফ্ল্যাট ও কোম্পানির আংশিক শেয়ারসহ ১১৯টি স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত।

ক্রোকের নির্দেশ পাওয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ১১৯টি দলিল। যার মধ্যে ঢাকায় ৪টি ফ্ল্যাট। এর মধ্যে ২০৪২ স্কয়ার ফিট ২টি এবং ২০৫৩ স্কয়ার ফিট ২টি। ৪টি নিজ নামীয় কোম্পানি, ৪টি বিও অ্যাকাউন্ট। ১৫টি আংশিক মালিকানাধীন কোম্পানির শেয়ার।

Advertisement

উল্লেখ্য, সম্প্রতি দেশের এক জাতীয় দৈনিকে দাবি করা হয়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি। জাতীয় ওই দৈনিকে ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, যেখানে তার নানা অর্থ-সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

অথচ, ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version