Connect with us

রাজনীতি

৫ সংসদীয় আসনের ভোট, দায়িত্বে ডিসি ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা

Published

on

জেলা প্রশাসক ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের দায়িত্বে থাকবে পাঁচ সংসদীয় আসনের ভোটগ্রহণ। এর মধ্যে তিনটি আসনের দায়িত্বে জেলা প্রশাসক থাকলেও দুটি আসনে নিজেদের কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, এই পাঁচ সংসদীয় আসনে ডিসি ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করলেও জেলা নির্বাচন অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

আজ রোববার (১৮ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে নির্বাচন কমিশন ভবনে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অন্য চার নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, তফসিল হওয়া পাঁচ এমপির আসনের মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন ৫ জানুয়ারি, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৫ জানুয়ারি এবং ভোটগ্রহণ হবে ১ ফেব্রুয়ারি। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে (ইভিএম) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই পাঁচ আসনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।

যে পাঁচ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে— একাদশ জাতীয় সংসদের ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ শূন্য আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

Advertisement

সচিব বলেন, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে থাকবেন ঠাকুরগাঁও জেলা নির্বাচন অফিসার ও ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের উপজেলা নির্বাচন অফিসার। বগুড়া-৪ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বগুড়া জেলা প্রশাসক। আর সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে থাকবেন বগুড়ার কাহালু ও নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার। বগুড়া-৬ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন জেলা প্রশাসক এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকবেন বগুড়া জেলা নির্বাচন অফিসার।

এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে থাকবেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা নির্বাচন অফিসার, ভোলাহাট ও নাচোল উপজেলা নির্বাচন অফিসার। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন এই জেলার জেলা প্রশাসক। আর সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন অফিসার ও আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

এর আগে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন বিএনপির ছয় এমপি। স্পিকার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার পরই ওই ছয় আসন শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে জাতীয় সংসদ সচিবালয়। গেলো ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে আয়োজিত সমাবেশ থেকে বিএনপির সাত এমপি পদত্যাগপত্র ই-মেইল যোগে স্পিকারের কাছে পাঠিয়েছেন বলে জানানো হয়। তারা হলেন— আমিনুল ইসলাম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২), হারুনর রশীদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), জাহিদুর রহমান (ঠাকুরগাঁও-৩), মোশাররফ হোসেন (বগুড়া-৪), জি এম সিরাজ (বগুড়া-৭), আব্দুস সাত্তার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২) ও রুমিন ফারহানা (সংরক্ষিত নারী আসন)।

এরপর রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে শূন্য ঘোষিত ওই ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটির সদস্যরা সশরীরে স্পিকারের কাছে ছয়জনের পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে একজন ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বিধায় তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ হয়নি।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

Cancel reply

অন্যান্য

ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যা বললেন মামুনুল হক

Published

on

অর্ধশতাধিক মামলায় গ্রেপ্তারের সময় জব্দকৃত মোবাইল ফোন ফিরে পেতে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে এসেছেন হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক।

শনিবার (১৮ মে) বিকালে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন তিনি।

মামুনুল হক বলেন, গ্রেপ্তারের সময় মামলার আলামত হিসেবে জব্দকৃত ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন ফিরে পেতে ডিবি কার্যালয়ে এসেছেন তিনি।

তবে তার মোবাইলটি ডিবি হস্তান্তর করেছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক। ১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ওই মাসেই বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর গেলো ৩ মে সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান মামুনুল হক।

Advertisement

 

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অন্যান্য

ডিবিতে হেফাজত নেতা মামুনুল হক

Published

on

ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে এসেছেন হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক। তবে তিনি কী কারণে ডিবি কার্যালয়ে এসেছেন তা জানা যায়নি।

শনিবার (১৮ মে) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিবির এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক আজ বিকেলে ডিবি কার্যালয়ে এসেছেন। এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য কিছুক্ষণ পর জানানো হবে।

ডিবির একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেই ডিবি কার্যালয়ে এসেছেন তিনি। সাক্ষাতে কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে সেটা এখনও জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক। ১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ওই মাসেই বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর গেলো ৩ মে সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান মামুনুল হক।

Advertisement

এএম/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আওয়ামী লীগ

ওয়েবসাইট থাকতে সেন্ট্রাল ব্যাংকে ঢুকবে কেন, প্রশ্ন কাদেরের

Published

on

পৃথিবীর কোন দেশে সেন্ট্রাল ব্যাংকে ঢুকতে পারছে অবাধে? কোন দেশে? ভারতের ফেডারেল ব্যাংকে কি অবাধে ঢুকতে পারছে কেউ? কেন ঢুকবে? সব ওয়েবসাইটে আছে। আপনার জানবার বিষয়, আপনি ভেতরে ঢুকবেন কেন? প্রশ্ন করলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর কোন দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকে অবাধে সাংবাদিকরা ঢুকতে পারে? সব ওয়েবসাইটে আছে। আপনার জানবার বিষয়, আপনি ভেতরে ঢুকবেন কেন?

দেশের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার থেকে এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসায় সরকার উদ্বিগ্ন কি না, জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, কে বললো আপনাকে ১৩ বিলিয়ন ডলার? ‘নিউজে বলছে’; সাংবাদিকদের এমন উত্তরে তিনি বলেন, কোন নিউজে বলছে আপনাকে? আমাদের কাছে হিসাব আছে। তখন সাংবাদিকরা বলেন যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরই বলেছেন ব্যবহার করার মতো ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। তখন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাহলে গভর্নর কে জিজ্ঞেস করুন যে কি কারণে এইটা এই পর্যায়ে এলো? আমরা তো এটা জানি না, আমরা জানি ১৯ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার, এর মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে।

রিজার্ভ কমে ১৩ বিলিয়নে নেমে আসায় অর্থনীতিবিদরা অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কয় বিলিয়ন ডলার নিয়ে আমরা স্বাধীনতার পর যাত্রা শুরু করেছি। ডলার ছিল আমাদের? বিএনপি কয় বিলিয়ন ডলার রেখে গেছে আমাদের? তিন বিলিয়ন প্লাস। তাহলে এখন ১৯-২০ বিলিয়ন ডলার আছে এটা কি কম নাকি? এখন আমাদের রপ্তানি আয় বাড়ছে, রেমিট্যান্সও বাড়ছে এই মুহূর্তের যে প্রবণতা। এইগুলা বাড়লে রিজার্ভও বাড়বে।

Advertisement

টিআর/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version