Connect with us

বিএনপি

দুই বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না: বিএনপির রূপরেখা

Published

on

রূপরেখা

রাষ্ট্র সংস্কারের ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর হোটেল দ্য ওয়েস্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই ২৭ দফা ঘোষণা করেন। এ সময় লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন।

রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের সংক্ষিপ্ত রূপরেখায় যা বলা হয়েছে-

১. একটি ‘সংবিধান সংস্কার কমিশন’ গঠন করে বর্তমান অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক গৃহীত সকল অযৌক্তিক, বিতর্কিত ও অগণতান্ত্রিক সাংবিধানিক সংশোধনী ও পরিবর্তনসমূহ রহিত/সংশোধন করা হবে।

২. প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক “Rainbow Nation” প্রতিষ্ঠা করা হবে। এজন্য একটি “National Reconciliation Commission” গঠন করা হবে।

Advertisement

৩. একটি ‘নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে।

৪. রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনয়ন করা হবে।

৫. পরপর দুই টার্মের অতিরিক্ত কেউ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

৬. বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের সমন্বয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে ‘উচ্চ কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা’ (Upper House of the Legislature) প্রবর্তন করা হবে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনভাবে মতামত প্রদানের সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে।

৭. সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করার বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে।

Advertisement

৮. বর্তমান ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’সংশোধন করা হবে।

৯. সকল রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান পুনঃগঠন করা হবে। শুনানির মাধ্যমে সংসদীয় কমিটির ডেটিং সাপেক্ষে এই সকল প্রতিষ্ঠানের সাংবিধানিক ও গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহে নিয়োগ প্রদান করা হবে।

১০. বিচার বিভাগের কার্যকর স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে। বর্তমান বিচারব্যবস্থার সংস্কারের জন্য একটি ‘জুডিশিয়াল কমিশন’ গঠন করা হবে।

১১. একটি ‘প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন’ গঠন করে প্রশাসন পুনঃগঠন করা হবে।

১২. মিডিয়ার সার্বিক সংস্কারের লক্ষ্যে একটি ‘মিডিয়া কমিশন’ গঠন করা হবে।

Advertisement

১৩. দুর্নীতির ক্ষেত্রে কোনো আপস করা হবে না। অর্থ-পাচার ও দুর্নীতির অনুসন্ধান করে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে। সংবিধান অনুযায়ী ‘ন্যায়পাল (Ombudsman)’ নিয়োগ করা হবে।

১৪. সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। Universal Human Rights Charter অনুযায়ী মানবাধিকার বাস্তবায়ন করা হবে।

১৫. বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে একটি ‘অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন’ গঠন করা হবে।

১৬. ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’ এই মূলনীতির ভিত্তিতে প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ অধিকার ভোগ করবেন।

১৭. মুদ্রাস্ফীতির আলোকে শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা হবে। ১৮. বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ খাতে দায়মুক্তি আইনসহ সকল কালাকানুন বাতিল করা হবে।

Advertisement

১৯. বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়া হবে। বাংলাদেশ ভূখণ্ডের মধ্যে কোনো প্রকার সন্ত্রাসী তৎপরতা বরদাশত করা হবে। না এবং কোন সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা আশ্রয়-প্রশ্রয় পাবে না। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহারের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদকে রাজনৈতিক ঢাল বা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এবং সন্ত্রাসবাদের তকমা লাগিয়ে ভিন্নমতের বিরোধী শক্তি এবং রাজনৈতিক বিরোধী দল দমনের অপতৎপরতা বন্ধ করা হলে প্রকৃত সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে এবং আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা সম্ভব হবে।

২০. দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সর্বোচ্চ দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত করে গড়ে তোলা হবে।

২১. ক্ষমতার ব্যাপক বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে অধিকতর স্বাধীন, শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান করা হবে।

২২. রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের একটি তালিকা প্রণয়ন করা হবে এবং তাঁদের যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃতি প্রদান করা হবে।

২৩. যুবসমাজের ভিশন, চিন্তা ও আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে আধুনিক ও যুগোপযোগী যুব-উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।

Advertisement

এক বছরব্যাপী অথবা কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত, যেটাই আগে হবে, শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান করা হবে।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি বিবেচনা করা হবে।

২৪. নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। জাতীয় সংসদে মনোনয়নের ক্ষেত্রে নীতিগতভাবে নারীদের প্রাধান্য দেয়া হবে।

২৫. চাহিদা-ভিত্তিক (Need-based) ও জ্ঞানভিত্তিক (Knowledge-based) শিক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।

২৬. ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ এই নীতির ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যের ‘NHS” এর আদলে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রবর্তন করা হবে।

Advertisement

২৭. কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা হবে।

পরবর্তী সময়ে অন্যান্য বিষয়ভিত্তিক সংস্কার প্রস্তাব ও উন্নয়ন কর্মসূচি প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে দলটি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দীন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, নিতাই রায় চৌধুরী।

চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মাহবুবে রহমান শামীম, বিলকিস জাহান শিরিন, শ্যামা ওবায়েদ, অনিন্দ্র ইসলাম অমিত, আসাদুজ্জামান, জহির উদ্দিন স্বপন, শাম্মী আখতার, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গণফোরামে মোস্তফা মোহসিন মন্টু, গণঅধিকার পরিষদের রেজা কিবরিয়া, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, জেএসডির শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, ২০ দলীয় জোটের জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পাটির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, এনপিপির ফরিদুজামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজর রহমান ইরান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা কামরুল খান, জাগপার ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, জাগপার অপর অংশের খন্দকার লুতফর রহমান, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, ডিএলের সাইফুদ্দিন মনি, মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপের শাওন সাদেকী প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

পেশাজীবীদের মধ্যে অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক তাজমেরি এস এ ইসলাম, অধ্যাপক একেএম আজিজুল ইসলাম, অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, সাংবাদিক আবদুল হাই শিকদার, কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

Cancel reply

বিএনপি

আরও ১৭ জন নতুন পদ পেলেন বিএনপিতে

Published

on

সংগৃহীত ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটিতে আরও ১৭ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুন) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘গত ১৫ জুন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সভাপতি করে ১১ সদস্যের চেয়ারপারসন’স ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটি গঠিত হয়। কমিটির সদস্যদের মধ্যে হুমায়ুন কবির (আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক), সিরাজুল ইসলাম (সাবেক রাষ্ট্রদূত), তাসভিরুল ইসলাম (সভাপতি, কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি)-কে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে পদমর্যাদা দেওয়া হয়।’

এ ছাড়া স্পেশাল অ্যাসিসট্যান্ট টু দ্য চেয়ারপারসনস ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটিতে আরও ১৭ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তারা হলেন- আশরাফ উদ্দিন (সাবেক রাষ্ট্রদূত, ক্যানাডা), ড. এনামুল হক চৌধুরী (সিলেট), এ এন এম ওহিদ আহমেদ (সাবেক ডেপুটি মেয়র, টাওয়ার হ্যামলেটস), আনোয়ার হোসেন খোকন (আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক-বিএনপি), রাশেদুল হক (আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক-বিএনপি), নাহিদ খান (সহ-আন্তর্জাকি বিষয়ক সম্পাদক বিএনপি), ড. তোফাজ্জল হোসেন তপু (জাপান), হাফিজ খান সোহেল (ওয়াশিংটন), এএস এম জি শাহ ফরিদ (পেনসিলভেনিয়া), বদরুল ইসলাম শিপলু (ক্যালিফোর্নিয়া), ডলি নাসির (ইতালি), ড. গোলাম ফারুক শাহিন (নিউইয়র্ক), শফিক দেওয়ান (জার্মানি), ড. শামীম পারভেজ (জার্মানি), হাজি হাবিব (ফ্রান্স), কবির আহমেদ (আয়ারল্যান্ড) ও মো. নায়েমুল বাসির (অস্ট্রিয়া)।

Advertisement

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বিএনপি

সিসিইউ থেকে খালেদা জিয়াকে কেবিনে স্থানান্তর

Published

on

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে  কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুন) বিকেলে খালেদা জিয়াকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয় বলে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

ডা. জাহিদ জানান, ম্যাডামকে মেডিকেল বোর্ড সদস্যরা দেখার পর সবকিছু পর্যালোচনা করে তাকে বিকাল ৪টা ৪৫মিনিটে সিসিইউর সব সুবিধা সম্বলিত কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখানে ডাক্তারদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।

এর আগে গেলো ২১ জুন দিনগত রাত সাড়ে ৩টায় গুলশানের বাসা ফিরোজায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া। এরপর তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়।

এরপর রোববার খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। ৭৯ বছর বয়সি খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।

Advertisement

আজ দুপুরে অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসে। তারা বিএনপি চেয়ারপারসনের গত ১২ ঘণ্টা রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করেন। এরপর সিসিইউতে খালেদা জিয়াকে বোর্ড সদস্যরা দেখতে যান। এরপর আবার বৈঠকে করে তাকে কেবিনে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেন।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বিএনপি

অপরিবর্তিত আছে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা

Published

on

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত আছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

সোমবার (২৪ জুন) গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘রাতে ম্যাডামের অবস্থা যেমন ছিল এখনো তেমনটাই আছে। তার শারীরিক অবস্থা আগের চাইতে ভালো কিংবা খারাপ কোনোটিই হয়নি। অপরিবর্তিত আছে।’

ডা. জাহিদ বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার অপারেশন হয়েছে। এখন তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগে তার শারীরিক অবস্থা ভালো না খারাপ, মন্তব্য করা কঠিন।

খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের একটি সূত্র বলছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বিবেচনায় নিয়ে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ও নার্স ছাড়া অন্য কাউকে সিসিইউতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যার কারণে দলের কোনও নেতা তাকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন না। তবে, সবাই চিকিৎসকদের কাছ থেকে তার শারীরিক অবস্থার আপডেট নিচ্ছেন।

Advertisement

রোববার (২৩ জুন) সন্ধ্যার দিকে খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। এরপর থেকে হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি।

গেলো ২১ জুন রাত সাড়ে ৩টায় খালেদা জিয়ার হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

এর আগে গেলো বছরের ২৭ অক্টোবর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে তিনজনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থরাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version