Connect with us

ফুটবল

মেসির স্ত্রীর আবেঘন যে স্ট্যাটাস হৃদয় ছুঁয়েছে

Published

on

লিওনেল মেসি এবং আন্তোনেলা রোকুজ্জোর প্রেম কাহিনী কিন্তু লায়লা-মজনুর চেয়ে কম যায় না। ছোট থেকে যে ভালোবাসা মনের কোণে বেড়ে উঠেছিল, বয়স বাড়তেই তা ডালপালা মেলে মহীরুহ হয়ে ওঠে। আর মেসি জীবনের সব ভালো-মন্দের যোগ্য শরিক এখন আন্তোনেলাই।

সেই ছেলেবেলা থেকে একই সঙ্গে বেড়ে ওঠা। দু’জনের ভালোমন্দ সবটা একই সঙ্গে ভাগ করে নেয়া। খেলার সাথী থেকে মন দেয়া নেয়া। জীবনের হাজারো চড়াই-উতরাই পেরিয়েও শক্ত করে একে অপরের হাত ধরে থাকে।

২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপের ব্যর্থতায় যেমন মেসির পাশে থেকে তার যন্ত্রণা ভাগ করে নিয়েছেন, তেমনই ২০২২ সালে ৩৬ বছরের শাপমুক্তির পর আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের সঙ্গে আবেগে ভেসে গিয়েছেন। রোববার টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরেই মেসির সঙ্গে তিন সন্তানকে নিয়ে উচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছেন আন্তোনেলা। এই সাফল্য তো মেসি বা তার সতীর্থদের একার নয়, বরং বিশ্ব জুড়ে কোটি কোটি আর্জেন্টাইন সমর্থকের মতো আন্তোনেলারও সাফল্য।

আর স্বামীর এই সাফল্যে আবেগপ্রবণ আন্তোনেলা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন মন কাড়া বার্তা। সহজে হাল ছাড়ার পাত্র নন মেসি, আর তার এই মনোভাবকেই কুর্নিশ জানিয়েছেন তার জীবনসঙ্গিনী। সপরিবারে ছবি পোস্ট করে আর্জেন্তিনা টিমকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন তিনি।

রোববার রাতে বিশ্বকাপ ফাইনাল শেষ হওয়ার পর মাঠেই স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে আনন্দে মেতে উঠেছিলেন লিওনেল মেসি। সেই সময় তার স্ত্রী আন্তোনেলা রোকুজ্জোর চোখেও জল দেখা গিয়েছিল। আবেগ ধরে রাখতে পারেননি তিনি। আসলে সব ট্রফি পেলেও, এত দিন বিশ্বকাপ না পাওয়ার যন্ত্রণাটা কুরেকুরে খাচ্ছিল মেসিকে। নিজের শেষ বিশ্বকাপে জিতে অবশ্য সব আক্ষেপ মিটিয়ে নিলেন আর্জেন্তাইন সুপারস্টার।

Advertisement

আর মেসির স্বপ্ন পূরণ হওয়ার পর আন্তোনেলা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়ন! আমি জানি না কী ভাবে শুরু করব… লিওনেল মেসি, তোমার জন্য ভীষণ গর্ব হচ্ছে। আমাদের হাল না ছাড়ার শিক্ষা দেয়ার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। তুমি আমাদের শিখিয়েছ, শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে হবে। শেষ পর্যন্ত তোমার অধরা কাজ সম্পন্ন হল। তুমি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলে। আমরা জানি, তুমি অনেক বছর ধরে যন্ত্রণায় দগ্ধ হয়েছো। তুমি এই সাফল্য অর্জন করতে চাইছিলে। তুমি সেটা করতে পারলে। এগিয়ে চলো আর্জেন্তিনা।’

বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করেন মেসি। টাইব্রেকারে দলের হয়ে প্রথম গোল তিনিই করেন। এ বারের বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে গোল্ডেন বল জিতেছেন মেসি। তবে তিনি দলকে সাফল্য এনে দিতে পেরে সবচেয়ে খুশি। আর্জেন্তিনা তৃতীয় বার বিশ্বকাপ জিতল। দেশের হয়ে সাফল্য পান না বলে, অনেকেই সমালোচনায় বিদ্ধ করে থাকেন মেসিকে। এ বার হয়তো সব সমালোচকদের যোগ্য জবাব দিলেন মেসি।

Advertisement

ফুটবল

কোস্টারিকার রক্ষণ ভাঙতে ব্যর্থ ব্রাজিল

Published

on

কোনোভাবেই কিছু হলো না। ব্রাজিল চেষ্টা করে গেল একের পর এক। কিন্তু কোস্টারিকার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো তাদের। র‍্যাংকিং বিচারে সেলেসাওদের থেকে ৪৭ ধাপ পিছিয়ে আছে কোস্টারিকা। কোপা আমেরিকার মাঠের খেলায় হতাশা কেবল সঙ্গী হলো ব্রাজিল খেলোয়াড়দের।

গোল মিস, গোল মিস! রদিগো, লুকাস পাকেতা বা ভিনিসিয়াস জুনিয়র- এক যেন মহড়া দিয়েছিলেন তারা। এখানে প্রতিপক্ষকে আলাদা সম্মান জানাতে হয়। কোস্টারিকার রক্ষণভাগ ব্রাজিলের জন্য কাঁটা হয়ে উঠেছিল।

সেই রক্ষণ ভেঙে তারকা খেলোয়াড়েরা সুবিধা করতে পারেনি মোটেও। এবারই প্রথম কোস্টারিকার বিপক্ষে ড্র করলো ব্রাজিল। আগের ১১ দেখায় ১০ বার জিতেছে সেলেসাওরা আর একবার কোস্টারিকা।

এই হারে কোপার শুভসূচনা করতে ব্যর্থ হলো ব্রাজিল।

 

Advertisement

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ফুটবল

রেকর্ডের দিনে মেসি বললেন, ম্যাচ সহজ ছিল না

Published

on

কোপা আমেরিকার ইতিহাসে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড এখন লিওনেল মেসির দখলে। এতদিন পর্যন্ত চিলির সের্হিও লিভিংস্টোনের সাথে ভাগাভাগি অবস্থানে ছিলেন মেসি। এই প্রয়াত গোলরক্ষকের ৩৪ টি ম্যাচ খেলার রেকর্ড পেরিয়ে মেসি এখন ৩৫ টি ম্যাচ ঝুলিতে নিয়ে অবস্থান করছেন। এমন দিনে দলও জিতেছে কোপা আমেরিকার উদ্বোধনী ম্যাচে।

মেসির হাতে আরও সুযোগ ছিল। গোল করতে পারেননি। তবে গোল করিয়েছেন। একটি গোলে সরাসরি অবদান ছিল তার। আর অন্য গোলটিতেও মূল কাজটুকু করেছেন। আটালান্টার মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে কানাডার বিপক্ষে গোল পেয়েছেন হুলিয়ান আলভারেজ ও লাউতারো মার্টিনেজ।

প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। এরপর দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার পর ৪৯ মিনিটে আলভারেজের পা থেকে প্রথম গোল আসে। যেখানে ম্যাক অ্যালিস্টারকে বল বাড়িয়েছিলেন মেসি। আর অ্যালিস্টারের পায়ের খোঁচাতেই আলভারেজ পেয়ে যান দলের পক্ষে প্রথম গোল।

এরপর ৮৮ মিনিটের মাথায় আর্জেন্টাইন অধিনায়কের চমৎকার এক থ্রু-পাসে গোল করতে ভুল করেননি লাউতারো মার্তিনেজ। এই গোলের পর উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে আকাশী-নীল জার্সিধারীরা।

আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়েরা মোট ৬৫ শতাংশ বলের দখলে ছিলেন। আর ১৯ টি শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৯ টি শট। গোলের সুযোগ মিস না করলে হয়তো ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নিতে পারতো মেসি বাহিনী।

ম্যাচ শেষে মেসি বলেন, ‘আমরা ধৈর্য্য নিয়ে বলের দখল নিই এবং আক্রমণ চালাই। আজ আমাদের ফাঁকা জায়গা খুঁজে পেতে বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিপক্ষ আমাদের চেয়ে আলাদা ধরনের ফুটবল খেলে। যার বিপরীতে আমাদের মনোবল শক্ত রাখতে হয় এবং লক্ষ্য ছিল বল নিয়ন্ত্রণে রেখে সুযোগ আসলেই তা কাজে লাগানোর।’

Advertisement

আর্জেন্টিনা অধিনায়ক আরও যোগ করেন, ‘আমরা জানতাম তাদের সঙ্গে কঠিন ম্যাচ হবে, কারণ তারা বেশ শরীরি ভাষায় জবাব দেয়। প্রথমার্ধে তো তেমন সুযোগই দেয়নি আমাদের। সৌভাগ্যবশত দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আমরা গোল পেয়ে যাই, কিন্তু এরপরও ম্যাচ খুব একটা সহজ ছিল না।’

 

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ফুটবল

আর্জেন্টিনার জয়ে সকাল শুরু

Published

on

কোপা আমেরিকার উদ্বোধনী ম্যাচে কানাডাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধে গোল করার সুযোগ দেয়নি কানাডা। বরং সামলিয়েছে খুব দারুণভাবে। তবে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই হুলিয়ান আলভারেজ গোল পেয়ে বসেন। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে গোল দ্বিতীয় গোলটি করে লাওতারো মার্তিনেজ। যেখানে লিওনেল মেসি থেকে সরাসরি থ্রু পাস পেয়েছিলেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা ও কানাডা। শুরু থেকেই কানাডা সুযোগ তৈরি করতে দিচ্ছিল না আলবিসেলস্তাদের। বরং কানাডা চাপ তৈরি করছিল আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগে। তবে আর্জেন্টিনা পাল্টা জবাব দিতেও সময় নেয়নি। এভাবেই গোলশূন্য শেষ হয়েছে প্রথমার্ধ।

দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ৪৯ মিনিটের মাথায় লিওনেল মেসি থেকে চমৎকার এক পাস যায় অ্যালেক্সিস ম্যাক-অ্যালিস্টারের কাছে। ম্যাক অ্যালিস্টার সুযোগ বুঝে আলভারেজের কাছে বল ছাড়েন। আর আলভারেজ তা জালে জড়াতে ভুল করেননি। আর্জেন্টিনার কাছ থেকে বেশ কিছু সুযোগ মিস করতেও দেখেছে স্টেডিয়ামের ৭১ হাজার দর্শক।

ম্যাচের ৮৮ মিনিটে মেসির কাছ থেকে দারুণ এক থ্রু পাস দেখা যায়। যা মার্তিনেজের পা থেকে জালে জড়িয়ে পড়ে। আর উচ্ছাসে ফেটে পড়ে আকাশী-নীল খেলোয়াড়েরা। কানাডাকে হারিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৩ টি পয়েন্ট নিশ্চিত করে নেয় আর্জেন্টিনা।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version