Connect with us

আবহাওয়া

শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়

Published

on

শীত

হিমালয়ের কোলঘেঁষা দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ১০ ডিগ্রিতে। এ তাপমাত্রায় শীতে কাঁপছে উত্তর সীমান্তের জনপদ।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে জেলার আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, ভোর ৬টা ও সকাল ৯টায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। গত বছর এই দিনে পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

তিনি  বলেন, তাপমাত্রা উঠানামা করছে। আজ শনিবার সকালে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। এর আগে বৃহস্পতিবার রেকর্ড হয়েছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বছর আজকের দিনে সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।

উত্তরের এ জেলায় কোনো কোনো দিন আকাশ পরিষ্কার থাকলেও সকালেই দেখা মিলছে মিষ্টি রোদের। আবার কোনো কোনো দিন রাত থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত থাকছে চারদিক। সকাল ও রাতে কনকনে হিমেল বাতাসের কারণে প্রচণ্ড ঠান্ডা অনুভুত হচ্ছে পঞ্চগড়ে।

Advertisement

স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে জানান, বিকেল ৪টার পর থেকেই উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীত লাগতে শুরু করে। সন্ধ্যার পর থেকে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতের পারদ নেমে আসে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত শীত অনুভূত হয়। গ্রামে শহরের হাটবাজারগুলোতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা যায়। শীতবস্ত্রের অভাবে নিম্নবিত্তরা ফুটপাত থেকে গরম কাপড় কিনতে ভিড় করছে।

কনকনে শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ। কনকনে শীতের কারণে কাজে যেতে কষ্ট হচ্ছে অনেকের। তবে পেটের তাগিদে কাউকে নদীতে পাথর তুলতে, কাউকে চা-বাগানে আবার কাউকে দিনমজুরের কাজে যেতে হচ্ছে।

দিন-রাতে তাপমাত্রা দুই রকম থাকায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। জ্বর, সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।

চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা সুরক্ষা মিলবে।

Advertisement

আবহাওয়া

তিন দিন ভারী বর্ষণের সতর্কতা, ভূমিধসের শঙ্কা

Published

on

দেশের সব বিভাগে আগামী তিন দিন (৭২ ঘণ্টা) ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে সতর্কবাণী দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বর্ষণের কারণে কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কার কথাও বলা হয়েছে।

রোববার (৩০ জুন) আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত ভারী বর্ষণের সতর্কবাণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের উপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ৩০ জুন বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় ভারী (৪৪-৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিমি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে।

ভারী বর্ষণজনিত কারণে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবল রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে ও বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর উপর দিয়ে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

Advertisement

যে কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আবহাওয়া

দেশের ১৩ জেলায় বজ্রবৃষ্টিসহ ঝড়ের আভাস

Published

on

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ১৩ জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আভাস দিয়েছে আবহওয়া অধিদপ্তর।

রোববার (৩০ জুন) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, এই সময়ের মধ্যে রংপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ঢাকা, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৭২ ঘণ্টার সর্বশেষ পূর্বাভাসে আগামী তিন দিন দেশের ৮ বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে এই তিন তিনে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

এরমধ্যে রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পাশাপাশি আগামীকাল সোমবার সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। আর মঙ্গলবার একই সময় পর্যন্ত দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। তবে বর্ধিত ৫ দিনেও বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

Advertisement

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আবহাওয়া

আষাঢ়ের বৃষ্টি থাকতে পারে আরও ৫ দিন

Published

on

বাংলাদেশে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এ সপ্তাহজুড়েই বৃষ্টি হতে পারে। ইতোমধ্যে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সকালে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শনিবার (২৯ জুন) ভোর থেকেই ঢাকাসহ সারা দেশের আকাশ ছিল মেঘলা। ভোরের দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়। এরপর সকাল ৯টার দিকে আবারও বৃষ্টি ঝড়তে শুরু করে। ঘণ্টাখানেকের এ বৃষ্টিতে ঢাকার অধিকাংশ রাস্তার পাশে পানি জমে গেছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মঝারি ধরনের বৃষ্টি-বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।

সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

এই লঘুচাপের প্রভাবে বুধবার (৩ জুলাই) পর্যন্ত দেশের প্রায় সব এলাকায় মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি ঝরার পূর্বাভাস দিয়েছে।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version