রাজনীতি
বিএনপি নেতা আরেফিনের বাড়িতে শোকের মাতম
পঞ্চগড়ে বিএনপির গণমিছিলে পুলিশ-বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় নিহত বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ আরেফিনের বাড়িতে শোকের মাতম। স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়েছে পাথরাজ গ্রাম। স্বামীর কথা মনে করতেই বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন স্ত্রী চামেলী বেগম। আর ছেলের মৃত্যুর খবর শুনেই তার বৃদ্ধা মা আনোয়ার বেগম পাগল প্রায়। কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছে তার ১১ বছর বয়সী ছেলে আব্দুল্লাহ আল মাহী।
নিহত আব্দুর রশিদ আরেফিন জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহবায়ক কমিটির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। ওই ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে তবে এখনও কমিটি ঘোষনা হয়নি। তিনি ওই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী ছিলেন বলে বোদা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব লাইলী বেগম জানিয়েছেন।
আজ রোববার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ সহ জেলা উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা তার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের স্বাক্ষাত করেন।
তিনি বলেন, ‘এখন কোন বিএনপি নেতা মারা গেলে পুলিশ বলছে হৃদরোগে মারা গেছে। এটা এখন তাদের একটা তৈরী করা বুলি হয়ে দাড়িয়েছে। আগামীকাল ২৬ ডিসেম্বর সারা দেশে বিএনপি গণকর্মসূচী দেবে। এ হত্যার জবাব আমরা আন্দোলনের মাধ্যেমে দিবো।’
তিনি আরও বলেন, হাসপাতাল সূত্রে জেনেছি হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তি হৃদ রোগী ছিল এবং তার বাইপাস সার্জারী করা ছিল। সুরতহালে নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মযনাতদন্তে জানা যাবে মৃত্যুর কারণ।
এদিকে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা জানিয়েছেন, তবে বিএনপির নেতা আরেফিন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
বাবা হত্যার বিচার চেয়ে এক মাত্র ছেলে আব্দুল্লাহ আল মাহী বলেন, ‘যারা আমার বাবাকে মেরেছে আমি তাদের বিচার চাই। বিএনপি নেতা নিহতের ঘটনায় নতুন করে আরো কর্মসূচী দেবে বিএনপি জানালেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ।’
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ বিকেলে
বিকেলে রাজধানীতে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
শনিবার (১১ মে) বিকেল সাড়ে তিনটায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক যৌথ সভার শুরুতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোনো সমাবেশ করছি না। আজ আমরা এখানে যৌথসভা করছি। শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’
জেএইচ
বিএনপি
বিএনপির কন্ট্রোল খালেদা জিয়ার হাতে, আওয়ামী লীগের কোথায় প্রশ্ন গয়েশ্বরের
বিএনপির রিমোট কন্ট্রোল দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হাতে রয়েছে। আওয়ামী লীগের রিমোট কন্ট্রোল কোথায় প্রশ্ন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের।
শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে এক সমাবেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের ‘বিএনপি জোটের আন্দোলন চলে রিমোট কন্ট্রোলে অদৃশ্য নির্দেশে’ বক্তব্যের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা-মুক্তি, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন সারাবিশ্বের মানুষ ষড়যন্ত্র করছিল, তখন ভারত যদি আমাদের পাশে না থাকত এই নির্বাচন করতে পারতাম না। তার মানে আওয়ামী লীগের কাছে গণতন্ত্র হচ্ছে অব দ্য ভারত, বাই দ্য ভারত, ফর দ্য ভারত। এর বেশি কিছু বলে মনে হয় না।
বাংলাদেশ আজ কাঁটাতারে ঝুলছে দাবি করে তিনি বলেন, অনেক বছর আগে প্রতীক ছিল ফেলানী। ফেলানী যেমন কাঁটাতারে ঝুলছিল, আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব কাঁটাতারে ঝুলছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও বলেন, অনেকে বলেন শেখ হাসিনার জনসমর্থন শূন্যের কোটায়। পায়ের নিচে মাটি নেই। আসলে তো মাটি নেই। উনি তো পাথরের ওপর হাঁটেন। সাধারণ মর্ম তিনি বোঝেন না।এসময় প্রধানমন্ত্রীর জনসমর্থনের দরকার নেই বলে মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগ জোড়াতালির সরকার মন্তব্য করে তিনি বলেন, এদের ক্ষমতায় বসিয়ে রাখলে বছরের পর বছর মিছিল করবেন, মিটিং করবেন, লাখ লাখ লোক হবে, কিন্তু তার (শেখ হাসিনা) জায়গায় সে থাকবে।
এএম/
আওয়ামী লীগ
‘বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নি সন্ত্রাস ও রক্তপাত’
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠে না থাকলে বিএনপি সমাবেশের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে। অতীতের ইতিহাস তাই বলছে। তাদের কাছে গোটা রাজধানীবাসীকে ছেড়ে দেয়া যাবে না। বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলন এবং নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি। আবারও দেশে আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা করছে দলটি। বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নি সন্ত্রাস ও রক্তপাত।
যারা আন্দোলনে পরাজিত তারা নির্বাচনেও পরাজিত উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতাদের দেখেছি পালানোর জন্য অলি-গলি খুঁজে পাননি। তারা সমাবেশের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়। তাই আমাদের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে, প্রস্তুত থাকতে হবে।
বিএনপির নেতাকর্মীদের ঘরে গণতন্ত্র নেই, বাইরেও গণতন্ত্র নেই দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ভোটারদের ভয় পায় বলে নির্বাচনে অংশ নেয় না।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ আগামীকাল শনিবার (১১ মে) শান্তি উন্নয়ন সমাবেশ করবে বলেও জানান দলের সাধারণ সম্পাদক।
এএম/
-
জাতীয়5 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
-
বলিউড6 days ago
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
-
আন্তর্জাতিক3 days ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
-
বাংলাদেশ7 days ago
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
-
ঢাকা5 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
-
জাতীয়7 days ago
তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা
-
ঢালিউড2 days ago
মেয়ের মা হলেন পরীমণি
-
চট্টগ্রাম2 days ago
বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের ১ পাইলট নিহত
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন