Connect with us

লাইফস্টাইল

এখন নাক ডাকা ঠেকাবে যন্ত্র

Published

on

নাক ডাকার কথা শুনলে একজনও বলবেন না- এতে তিনি বিরক্ত নন। আর নাক ডাকার কথা গল্প, কবিতায়ও স্থান পেয়েছে। কাজী নজরুল লিখেছেন- ‘দাদুর নাকি ছিল না মা অমন বাদুর নাক। ঘুম দিলে ওই সাধের নাকে বাজতো সাতটা শাঁখ। দিদিমা তাই থ্যাবরা মেরে ধ্যাবরা করেছেন।’

তা থ্যাবরা মেরে আর ক’জনেরই নাক ডাকা বন্ধ করা যাবে! তবে সেদিন বুঝি এবার গত হলো। নতুন একটি ডিভাইস তৈরি করে বাজারে আনা হয়েছে যা নাক ডাকার সমাধান দেয়।

নাক ডাকা ঠেকাবে যন্ত্র। ডিভাইসটির পরিচয় তুলে ধরার আগে আরো একটু তথ্য জানিয়ে রাখা ভালো। গবেষকদের মতে, মধ্য বয়সে এসে বিশ্বের দুই জন পুরুষের মধ্যে অন্তত একজন আর প্রতি চারজন নারীর মধ্যে অন্তত একজন ঘুমের মধ্যে নাক ডাকে।

কারো কারো নাক ডাকার শব্দ এতটা উচ্চ হয় যে, শব্দের মাত্রায় তা ৭০ ডেসিবল, যা একটি চলন্ত ট্রাকের শব্দের সমান। নাক ডাকার অন্যতম কারণগুলো হচ্ছে টনসিল বেড়ে যাওয়া, পলিপস কিংবা নাসিকারন্ধ্র বেঁকে যাওয়া। এছাড়াও কারও যদি আলজিভ মাত্রাতিরিক্ত লম্বা হয়, তিনিও নাক ডাকেন। পঞ্চাশোর্ধ পুরুষের ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ নাক ডাকার এইসব সিনড্রমের কোনো না কোনোটিতে ভোগেন এবং নাক ডাকেন।

আগে এই নাক ডাকাকে স্রেফ বিরক্তি উদ্রেক করার কারণ হিসেবেই দেখা হতো বলে শয্যাসঙ্গী কিংবা সঙ্গিনী তা উপেক্ষা করলেই ল্যাঠা চুকে যেতো। কিন্তু এখন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, নাক ডাকাকে উপেক্ষা করা যাবে না। শারীরিক অসুস্থতার কারণেই মানুষ ঘুমের মধ্যে নাক ডাকে। আর তা মৃত্যুরও কারণ হতে পারে।

Advertisement

এবার আসা যাক ডিভাইসের প্রসঙ্গে। নতুন ডিভাইসটির নাম সাইলেন্ট স্নোর। নিরবে নাক ডাকা। নাক ডাকিয়েদের জন্য বড় উপকারের হবে বলেই জানাচ্ছে এর প্রস্তুতকারীরা। ব্যবহারকারীরা বলছেন, ডিভাইসটি নাকে পড়ে ঘুমিয়ে উপকার পেয়েছেন। এটি স্রেফ একটি নরম সিলিকন রিং। আলগোছে নাকের ভেতর ঢুকিয়ে রাখুন। এর থেরাপিউটিক চুম্বক দুটিও বেশ কাজের। ডিভাইসটি পরা থাকলে ঘুমের মধ্যেও নাকের স্পর্শকাতর ইন্দ্রিয়গুলো নিজের মতো সক্রিয় থাকে। নাসিকারন্ধ্র প্রশস্ত থাকে ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস খুব সহজেই ভেতরে যেতে ও আসতে পারে। ফলে নাক ডাকা বন্ধ হয়ে যায়। ডিভাইসটি এতটাই নরম যে ঘুমের মধ্যে পরে থাকতে সামান্য অস্বাভাবিকতাও বোধ হয় না। এতে নিরবচ্ছিন্ন ঘুম হয়। আর নিরবচ্ছিন্ন গভীর ঘুম শরীরকে অনেক বেশি চাঙ্গা করে তোলে। চিকিৎসকরা এই ডিভাইসের আটটি সুবিধা চিহ্নিত করেছেন।

– অপেক্ষাকৃত ভালো শ্বাস-প্রশ্বাস
– নাক ডাকা কমায় কিংবা বন্ধ করে
– মুখ শুকিয়ে যাওয়া কমায়
– এটি কোনো ওষুধ নয়
– এতে অ্যালার্জি হয় না
– একই ডিভাইস বারবার ব্যবহার করা যায়
– ভ্রমণের সময় সহজেই সঙ্গে রাখা যায় ও ব্যবহার করা যায়
– ব্যবহারে স্বস্তিদায়ক, হালকা ও নিরাপদ।

লাইফস্টাইল

ফুরফুরে থাকুন জাপানি টোটকায়

Published

on

দিনের বড় একটা অংশ কর্মজীবীদের অফিসেই কাটাতে হয়। ব্যক্তিগত সমস্যা, কর্মক্ষেত্রের নানা জটিলতা, সহকর্মীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব, আত্মবিশ্বাসের অভাব ইত্যাদি কারণ মনের ওপর চাপ বাড়ায়। এমন পরিস্থিতি দীর্ঘদিন চলতে থাকলে একসময় ক্লান্তি আর অবসাদ গ্রাস করে নেয়।

মনে একবার ক্লান্তি জেঁকে বসলে তা আর সহজে যেতে চায় না। অনেকে এই অবসাদ দূর করতে মুঠো মুঠো ওষুধ খান। এতে সাময়িক সমাধান পাওয়া গেলেও ক্ষতি হয় শরীরের। তার চেয়ে বরং মন ফুরফুরে রাখতে পারেন জাপানি কিছু পদ্ধতিতে। চলুন জেনে নিই বিস্তারিত-

মেডিটেশন বা ধ্যান

আলো-বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় হাঁটু মুড়ে পদ্মাসনে বসে চোখ বন্ধ করে ধ্যান করুন। জাপানি সংস্কৃতিতে এই পদ্ধতিকে ‘জাজেন’ বলে। প্রতিদিন কিছু সময় ধ্যানমগ্ন থাকলে মন আর মস্তিষ্ক দুটোই শান্ত থাকবে। ভালো থাকবে মন।

ইকেবানা

Advertisement

বাড়িতে অতিথি এলে কিংবা বিশেষ উৎসবের দিন অনেকেই ফুল দিয়ে ঘর সাজান। অন্দরে প্রবেশ করেই যদি এক গোছা ফুলে চোখ পড়ে তাহলে মন ভালো হয়ে যায়। পছন্দের ফুল দিয়ে ঘর সাজাতে পারেন। জাপানিরা একে ‘ইকেবানা’ বলেন।

ওনসেন

মনের গোপনে জমা মেঘ দূর করতে ভরসা রাখুন জাপানি ‘ওনসেন’ পদ্ধতিতে। উষ্ণ পানিতে গোসল করে মন ভালো করার এই পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয় দেশটিতে। হালকা গরম পানি দেহের পেশিগুলোকে শিথিল করে, রক্ত সঞ্চালন সচল রাখে। এই পদ্ধতি উদ্বেগ দূর করে।

কিনহিন

হাঁটার সময় মন চঞ্চল হতে দেয়া যাবে না। মনকে স্থির রেখে হাঁটতে হবে। জাপানি ভাষায় এই অনুশীলনকে ‘কিনহিন’ বলা হয়। ধীরে ধীরে পথ হাঁটলে মন শান্ত হয়। স্থির থাকে। সুফল পেতে নিয়মিত কাজটি করতে হবে, নয়তো সুফল মিলবে না।

Advertisement

শিনরিন-ইয়োকু

জঙ্গল ভালবাসেন? তাহলে মন খারাপ লাগলে কদিন জঙ্গলে বেড়িয়ে আসুন। বুনো গাছের গন্ধ আর জঙ্গলের আলো-আঁধারিতে মন শান্ত হতে বাধ্য। জাপানি ভাষায় এই টোটকাকে ‘শিনরিন-ইয়োকু’ বলা হয়। গবেষকদের মতে,সবুজ গাছপালার মধ্যে বেশিক্ষণ থাকলে কর্টিসল হরমোন কম ক্ষরিত হয়। অবসাদের কারণ এই হরমোন।

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

মশা তাড়াবার ৫টি কৌশল জেনে নিন

একে গরম, তার উপর ঘন ঘন লোডশেডিং। তার উপর মশার উপদ্রব! মশা তাড়ানো ধূপ কিংবা স্প্রে ব্যবহার করাই যায়। কিন্তু রাসায়নিক দেয়া এই সব জিনিস শরীরের জন্য ভাল নয়। অনেকে আবার ধূপ বা স্প্রে-র গন্ধই সহ্য করতে পারেন না। তাদের দম শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। শিশুদের জন্যেও এই ধরনের জিনিস নিরাপদ নয়। তা হলে উপায়? গরমে মশার হাত থেকে রক্ষা পাবেন কী ভাবে?

১. কর্পূর

মশার ধূপের গন্ধে অনেকেরই কষ্ট হয়। তার বদলে ঘরে কর্পূর জ্বালাতে পারেন। কর্পূর জ্বালালে ঘরে তেমন ধোঁয়াও হয় না। যাদের শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্যেও কর্পূর নিরাপদ।

২. পোশাক

মশাকে বোকা বানাতে পারেন হালকা রঙের, গা-ঢাকা পোশাক পরে। গাঢ় রঙে মশা আকৃষ্ট হয়। শরীরের অনাবৃত অংশে মশা কামড়ায় বেশি। তাই গা ঢাকা পোশাক পরলেই ভাল।

Advertisement

৩. বাড়ির আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখা

বাড়ি আশপাশে গাছপালা থাকলে মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। তাই সময় করে আগাছা ছেঁটে ফেলাই ভাল। চার পাশে কোথাও যেন জল না জমে, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। জমা জলে মশা বংশ বিস্তার করে। তাই সে বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।

৪. আলোর সঠিক ব্যবহার

ঘরে সাদা আলো ভাল লাগে না বলে সর্বত্র হলুদ ‘মুড’ লাইট লাগিয়েছেন। কাজ থেকে ফিরে সেই হলুদ আলোতে ভেসে যেতে মন্দ লাগে না। এই হলদে আলো মশাদের বড়ই প্রিয়। তাদের দাপট কমাতে চাইলে সাদা আলো ব্যবহার করাই ভাল।

৫. প্রাকৃতিক উপায়

Advertisement

প্রাকৃতিক বেশ কিছু অয়েল যেমন ইউক্যালিপটাস, নিম, ল্যাভেন্ডার, সিনামন, থাইমের গন্ধে মশা পালিয়ে যায়। গায়ে, পোশাকে কিংবা ঘরের কোণে এই অয়েল ছড়িয়ে রাখতে পারেন।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

দিনের যে সময়ে মিষ্টি খেলে শর্করা বাড়বে না

বাড়তি শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে কোন সময়ে কি খাচ্ছেন সেই দিকে খেয়াল রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সকালে চিনি দেয়া চা, কফি থেকে দুপুরে কাপকেক কিংবা বিকেলে আইসক্রিম— যাই খান না কেন, তার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খাওয়া ভাল না। তা জেনেও এই ধরনের খাবার খাওয়ার লোভ সামলাতে পারেন না অনেকেই। তবে, ক্ষতি এড়াতে চাইলে জানতে হবে মিষ্টি খাওয়ার সঠিক সময়।

পুষ্টিবিদেরা বলছেন, মিষ্টি কিংবা মিষ্টিজাতীয় খাবার খালি পেটে একেবারেই খাওয়া যাবে না। খালি পেটে মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে দুম করে রক্তে শর্করা বেড়ে যাবে। তাকে কোনও মতেই সামাল দেয়া যাবে না। তবে সকলের ক্ষেত্রেই যে এই নিয়ম কাজ করবে, এমন নয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ফাইবারের মতো খাবারের সঙ্গে মিষ্টি খেলে ক্ষতির সম্ভাবনা কম।

তবে, শুধু যে রসগোল্লা, কেক, পেস্ট্রির মধ্যেই চিনি থাকে, এমন তো নয়। নরম ঠান্ডা পানীয়, প্যাকেটজাত কিংবা প্রক্রিয়াজাত খাবারের মধ্যেও চিনি থাকে। তাই সারা দিন কী খাচ্ছেন এবং কতটা পরিমাণ খাচ্ছেন, তার উপরেও রক্তে শর্করার ওঠা-নামা অনেকটাই নির্ভর করে। দুপুরে খাবার খাওয়ার পর যদি মিষ্টি খান, সে ক্ষেত্রে ক্ষতির আশঙ্কা কম। কারণ, এই সময়ে বিপাকক্রিয়া ভাল থাকে। শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকলে মিষ্টিজাতীয় খাবার তাড়াতাড়ি শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে। তাই খুব যদি ইচ্ছে হয়, দিনের বেলাতেই মিষ্টি খেয়ে নিন। রাতে শেষপাতে মিষ্টিমুখ না করাই ভাল। সকালের দিকে মিষ্টি খেলেও খেয়াল রাখবেন যেন, পেট খালি না থাকে।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version