Connect with us

জাতীয়

ফার্মগেট স্টেশনে নির্মাণ হবে সাত জাপানি প্রকৌশলীর ভাস্কর্য

Published

on

ফার্মগেট

২০১৬ সালে রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় নিহত সাত জাপানি প্রকৌশলীকে শ্রদ্ধা জানাতে নানা উদ্যোগ নেয়া হবে। তাদের স্মরণে মেট্রোরেলের ফার্মগেট স্টেশনে ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে। জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হোলি আর্টিজান হামলা ও সেই হামলায় নিহত সাত জাপানি প্রকৌশলীকে স্মরণ করে তার নিজস্ব ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি আংশিক তুলে ধরেছেন হোলি আর্টিজান হামলার পর মেট্রোরেল নিয়ে চ্যালেঞ্জ উৎরানোর গল্প।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লিখেছেন, “একটা বড় প্রকল্পের পেছনে ছোট-বড় মিলিয়ে অনেক গল্প থাকে। কিছু গল্প তৈরিতে ছোটখাটো অবদান, সাক্ষী হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে।

‘কর্ণফুলী টানেলের গল্পটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রাক্তন মন্ত্রিপরিষদ সচিব আংশিক বলেছেন। অনেক রাতে যখন সিদ্ধান্ত হলো যে চায়না সহযোগিতা করবে সেইদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে তার আবাসস্থলে পৌঁছে যখন ফিরে আসব তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন ‘ওরা চুক্তিপত্র তৈরিতে কাজ শুরু করেছে, যত রাতই হোক আমাদের এখানে যদি চুক্তি স্বাক্ষরে তারা রাজি হয় তাহলে আমার এখানে নিয়ে এসো। আমি বললাম রাত দুইটা বেজে যেতে পারে। উনি আবার বললেন ‘অসুবিধা নেই, আমি জেগে থাকব’। ওনাকে আশ্বস্ত করে দ্রুত ফিরে আসলাম।

‘চুক্তিপত্র তৈরি হয়ে গেল রাত পৌনে দুইটার দিকে। আমরা ৫-৬ জন আবার হাজির হলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আবাসে। তার উপস্থিতিতেই স্বাক্ষর হলো ঐতিহাসিক সেই কাঠামোর চুক্তি’।”

Advertisement

২০১৪ সালের এই সফরের মাত্র দুই সপ্তাহ আগে ছিল জাপান সফর। জাপানি সহযোগিতার যত প্রকল্প সবই সেই সফরের ফসল, জানান শাহরিয়ার আলম।

তিনি লিখেছেন, মেট্রোরেলের ডিজাইন এবং সমীক্ষার কাজ শুরুর পরপরই ঘটে গেল হোলি আর্টিজানের হৃদয়বিদারক ঘটনা।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হোলি আটিজানে জঙ্গি হামলায় সাত জাপানি প্রকৌশলী নিহত হন। তারা মেট্রোরেলের সমীক্ষা কাজের পাশাপাশি রাজধানী ঢাকার যানজট ব্যবস্থাপনা নিয়েও গবেষণা করছিলেন।

এরপরের স্মৃতিচারণ করে শাহরিয়ার আলম লিখেছেন, ‘সব কাজ বন্ধ হয়ে গেল। সাতটি জাপানিজ পরিবারের সঙ্গে রোজা রেখে রাত এগারোটা থেকে পরদিন প্রায় দুপুর বারোটা পর্যন্ত মৃতদেহ হস্তান্তরের দীর্ঘ কাজটি ছিল আমার জীবনের কঠিন এবং উল্লেখযোগ্য কাজ। তাদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সেটার বিস্তারিত বলা যাবে না। সাত জনের মধ্যে প্রায় সবাই এই প্রকল্পের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন।

‘জাপানের যে কারও সফর স্থগিত হয়ে গেল। আমরা পথ খুঁজছি কীভাবে তাদের আশ্বস্ত করা যায়, বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা যায়…আস্তে আস্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করল। তারপর আসলো কোভিডের ধাক্কা। দুটো বড় আঘাত সহ্য করতে হয়েছে মেট্রোরেল প্রকল্পকে। সময় বেড়েছে, খরচও বেড়েছে।

Advertisement

প্রতিমন্ত্রী লিখেছেন, ‘প্রস্তাব করেছিলাম হলি আর্টিজানের জাপানিজ ভিকটিমদের নামে স্টেশনগুলোর নামকরণ করতে। সব পরিবারের সম্মতির প্রয়োজন ছিল। পরে সিদ্ধান্ত হয়েছে ফার্মগেট স্টেশনে তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভাস্কর্য নির্মাণের। তারা কেউ শেষ দেখে যেতে পারলেন না। কিন্তু সেই রাতে গভীর শোকে মুহ্যমান কিছু কিছু পরিবার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন আবার আসার। গত সফরেও আমরা তাদের সবার সঙ্গে দেখা করেছি। সামনের সফরেও হয়তো দেখা হবে।’

সবশেষে সাত জাপানি প্রকৌশলীর অবদানকে স্মরণ করে আত্মার শান্তি কামনা করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

জাতীয়

পেনশন স্কিমে যোগ দিলে ভাতার আশায় বসে থাকতে হবে না : প্রধানমন্ত্রী

Published

on

ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রচেষ্টা ছিলো দেশের মানুষ ক্ষুদা ও দারিদ্রমুক্ত হবে। পেনশন স্কিমে যোগ দিলে দেশের মানুষকে আর ভাতার আশায় বসে থাকতে হবে না। সারা দেশে সমবায়ের ধারণা ছড়িয়ে দিতে হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে সমবায় ছড়িয়ে দিতে হবে, খাদ্যের নিশ্চয়তা ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। সরকারে আসার পর থেকেই প্রচেষ্টা ছিল দেশের মানুষ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখা যাবে না। সারা বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে যৌথভাবে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে চাই। দেশটাকে স্বাবলম্বী করতে চাই। যুব সমাজ যেন চাকরির পেছনে না ছুটে ব্যবসা করতে পারে সেজন্য বিনা জামানতে ঋণের ব্যবস্থা করেছে সরকার।

তিনি বলেন, নতুন আরেকটি আধুনিক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে। আজকের শিশু-কিশোর যুবক তারাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের সৈনিক। জলবায়ু পরিবর্তন থেকে দেশকে বাঁচাতে প্রত্যেকে যেন দুই-তিনটা করে গাছ লাগায়।

আজ শুক্রবার (১০ মে) টুঙ্গিপাড়ায় ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ কর্মসূচির আওতায় দাঁড়িয়ারকুল সমবায় সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

Advertisement

এরআগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে সড়ক পথে যাত্রা করেন শেখ হাসিনা। সকাল পৌনে ১০টার দিকে গোপালগঞ্জে পৌঁছান তিনি। পরে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার ছোট বোন শেখ রেহানা, ভাই শেখ হেলালসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

Published

on

টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরআগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে সড়ক পথে যাত্রা করেন শেখ হাসিনা। সকাল পৌনে ১০টার দিকে গোপালগঞ্জে পৌঁছান তিনি।

এরপর প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পাশাপাশি ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার ছোট বোন শেখ রেহানা, ভাই শেখ হেলালসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সফরে তিনি কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে। ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ কর্মসূচির আওতায় দাঁড়িয়ারকুল সমবায় সমিতির সদস্যদের মধ্যে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে কৃষি উপকরণ ও নগদ সহায়তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

আওয়ামী লীগ সভাপতি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন। এরপর বিকালে ঢাকায় ফিরে আসবেন শেখ হাসিনা।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে টুঙ্গিপাড়াসহ জেলাজুড়ে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের স্থলাভিষিক্ত হবেন যিনি

Published

on

বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলকে মনোনীত করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সিনেটে এই মনোনয়ন চূড়ান্ত হলে ঢাকাস্থ দূতাবাসে পিটার হাসের স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি। ডেভিড স্লেটন মিল বর্তমানে চীনে মা‌র্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশনের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এর আগে বাংলাদেশে ডেপুটি মিশন প্রধান ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) প্রেসিডেন্ট বাইডেন বাংলাদেশে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলর নাম ঘোষণা ক‌রেন।

জানা যায়, ডেভিড মিল বেইজিংয়ে দা‌য়ি‌ত্ব পালনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ইকোনমিক ব্যুরোর ট্রেড পলিসি অ্যান্ড নেগোসিয়েশন বিভাগের উপ-সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নীতি ও বাস্তবায়ন বিভাগের পরিচালক ছিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, মিনিস্টার কাউন্সিলর হিসেবে ১৯৯২ সালে ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন ডেভিড মিল।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version