Connect with us

কৃষি

সবজিতে স্বস্তি, মাছে উত্তাপ

Published

on

পৌষের শীতে শীতকালীন সবজিতে ভরে গেছে রাজধানীর প্রতিটি বাজার। দামও নাগালের মধ্যে। তবে সবজির বাজারে স্বস্তি মিললেও মাছের বাজার অন্যান্য সময়ের মতো এখনও চড়া যাচ্ছে। ফলে মাছের বাজারদর নিয়ে ক্রেতাদের অস্বস্তি রয়েই গেছে।

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরনের সবজির দাম আগের তুলনায় কমেছে। কিন্তু মাংসের দাম আগের মতো হলেও মাছের বাজারে উত্তাপ দেখা যায়।

মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৩০ টাকা, মূলা প্রতি কেজি ২৫ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, শালগম প্রতি কেজি ৩০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০, পেঁয়াজের ফুল ১০ থেকে ১৫ টাকা আঁটি, বেগুন প্রতি কেজি ৪০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৬০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৩০ টাকা, নতুন আলু প্রতি কেজি ৩০ টাকা, নতুন লাল আলু প্রতি কেজি ৫০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ৩০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস ৩০ টাকা।

অন্যদিকে বাজারে আগের মতোই চড়া মাছের দাম। বাজারে চাষের কই মাছ প্রতি কেজি ২৪০ টাকা, চাষের পাঙাস মাছ প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, রুই মাছ প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতল মাছ প্রতি কেজি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০ টাকা কেজি, পাবদা ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২০০ টাকা, দেশি মাগুর প্রতি কেজি ৭০০, রুপচাঁদা ১০০০ টাকা কেজি, শোল মাছ প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা, ট্যাংড়া মাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া মাংসের দামে খুব একটা পরিবর্তন নেই। রয়েছে গেলো সপ্তাহের মতোই। বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়, সোনালি মুরগির প্রতি কেজি ২৮০ টাকা, কক মুরগি প্রতি কেজি ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭০০ টাকায় এবং খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে লাল ডিম প্রতি হালি ৪০ টাকা, এছাড়া হাঁসের দাম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।

Advertisement

রাজধানীর মহাখালী কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, শীত আসার পর থেকে বাজারে সব ধরনের শীতকালীন সবজির দাম কমেছে, এছাড়া প্রচুর পরিমাণে সরবরাহ রয়েছে সবজির। পুরো শীতকাল জুড়েই সবজির দাম এমন কমই থাকবে।

রাজধানীর শেওড়াপাড়া এলাকার বড় বাজারে আসা ক্রেতা আফতাব উদ্দিন রঞ্জু বলেন, বাজারে শীতের সবজির দাম আগের চেয়ে কমেছে। যার ফলে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা সবজি কিনে স্বস্তি পাচ্ছে। কিন্তু মাছের বাজার আগের মতোই নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে। প্রতিটি মাছের দাম অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়েছে। আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা যে মাছগুলো কেনে অর্থাৎ- রুই, পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া, কই মাছ এগুলোর কোনোটাই ২০০ টাকার নিচে পাওয়া যায় না। এছাড়া ভালো বা দামি মাছ তো কিনতেই পারে না সাধারণ ক্রেতারা।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

Cancel reply

কৃষি

আমরা কোনোভাবেই সিন্ডিকেট করতে দেবো না : কৃষিমন্ত্রী

Published

on

রাজশাহীতে আমের ফলন এবার কম হয়েছে, সে কারণে দাম বাড়বে। তাই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। আমরা কোনোভাবেই সিন্ডিকেট করতে দেব না। বলেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কুমরপুর গ্রামে আমের বাগান পরিদর্শন ও আমচাষিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে যেন খুব বেশি পার্থক্য না হয় সেই ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে। আমরা রাশিয়া, বেলারুশ, চীন, জাপান ও ভারতের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বাংলাদেশের আম নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাই আমরা চেষ্টা করছি বেশি পরিমাণ আম রপ্তানি করার। এজন্য চীনের একটি প্রতিনিধিদল শিগগিরই রাজশাহীর আম দেখতে আসবে। আর এ দলটির সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলে আমের সঠিক মূল্য নির্ধারণের জন্য কিছু কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আম রপ্তানির জন্য ২৫০ থেকে ৩০০ কৃষককে এরই মধ্যে সহায়তা করা হয়েছে। আর আম রপ্তানির জন্য রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম গ্রেডিং শেড ও ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট করা হচ্ছে।

এ সময় সংরক্ষণের অভাবে প্রচুর আম নষ্ট হওয়ার ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আম পচনশীল পণ্য। তাই মৌসুমে একটা পার্সেন্টেজ আম নষ্ট হবেই। আমরা আম কিছু সময়ের জন্য সংরক্ষণ করতে চাই, অন্যান্য কৃষিজাত পণ্যও সংরক্ষণ করতে চাই। সেজন্য দেশের আটটি বিভাগে আটটি কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ করবো। তবে এর জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে। কারণ এ প্রজেক্টের জন্য অনেক টাকার দরকার। আমরা দেশি-বিদেশি সহযোগিতায় এটা করতে চাই।

Advertisement

এর আগে মন্ত্রী সোনাদীঘি গ্রামের কৃষক রাতুলের ফার্মে মাটিবিহীন চারা উৎপাদন, ই-ফারমিং, ভার্মি কম্পোস্ট, বসতবাড়ি বাগান ও কৃষিক্ষেত পরিদর্শন করেন।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

কৃষি

সাত হাজার কোটি টাকার ধান-চাল কিনবে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী

Published

on

চলতি বোরো মৌসুমে প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকার ধান ও চাল ক্রয় করবে সরকার। এর মধ্যে ১১ লাখ টন সিদ্ধ চাল, আতপ চাল এক লাখ টন এবং ৫০ হাজার টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জানালেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

মঙ্গলবার (৭ মে) সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

খাদ্যমন্ত্রী জানান, প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৫ টাকা, আতপ চাল ৪৪ টাকা ও গম ৩৪ টাকা। আর ২০২৩ সালে ধান-চালের সংগ্রহ মূল্য ছিল যথাক্রমে ধান ৩০ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৪ টাকা ও গম ৩৫ টাকা।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, এ পর্যন্ত হাওড়ে ৯৮ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। রংপুর, দিনাজপুর অঞ্চল ১০ ভাগ এবং সব মিলেয়ে ৬৬ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, আসন্ন বোরো মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহ নিয়ে কোনো কৃষক অপমানিত হলে, হয়রানির শিকার হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Advertisement

মন্ত্রী বলেন, চালের বস্তার গায়ে জাতের নাম লেখা শুরু হয়েছে। মিলার ও চাল ব্যবসায়ীরা যত দ্রুত জাতের নাম লিখবে তত ভালো। নিয়ম লঙ্ঘন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

কৃষি

হাওরের ৯৭ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ

Published

on

হাওর ভুক্ত ৭ জেলার ৯৭ শতাংশ বোরো ধান কাট শেষ হয়েছে। এ বছর  হাওরে ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৩৮ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। আর সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৩৩ শতাংশ বোরো ধান কাটা হয়েছে।

রোববার (৫ মে) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়।

কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, পাকা ধান  দ্রুত কৃষকের ঘরে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে হাওরের কৃষকদেরকে ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার দিয়ে যাচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, হাওরভুক্ত ৭টি জেলায় এবার ৪ হাজার ৪০০টির বেশি কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটা চলেছে। এর মধ্যে এবছরই নতুন ১০০টি কম্বাইন হারভেস্টার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দেশের অন্য এলাকা থেকেও হাওরের বোরো ধান কাটার জন্য কম্বাইন হারভেস্টার নিয়ে আসা হয়েছে। এর ফলে দ্রুততার সঙ্গে ধান কাটা সম্ভব হয়েছে।

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version