জাতীয়
খাস জমি দখল করলে কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড
হাট ও বাজারের সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে দখল বা কোনো অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করলে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রেখে সংসদে বিল উত্থাপিত হয়েছে। হাট ও বাজার (স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা) আইন, ২০২৩ নামে বিলটি উত্তাপিত হয়। অর্থদণ্ড আরোপের ক্ষেত্রে বিলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বিশেষ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। ফলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩২ অনুচ্ছেদের বাইরে গিয়ে তিনি অর্থদণ্ড আরোপ করতে পারবেন।
আজ রোববার (৮ জানুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। পরে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বিলটি সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলের বিধান লঙ্ঘন করে কোনো ব্যক্তি হাট ও বাজারের সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে দখলে রাখলে বা খাস জমির উপর কোনো অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করলে অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে।
এতে বলা হয়েছে, কালেক্টর বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো উপযুক্ত কর্মকর্তা উক্ত জমি হতে দখলদার ব্যক্তিকে উচ্ছেদ করে জমির দখল হাট ও বাজারের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের অনুকূলে বুঝিয়ে দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। বিলে মোবাইল কোর্টের এখতিয়ার বৃদ্ধি করে বলা হয়েছে, আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধসমূহ মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর তফসিলভুক্ত হওয়া সাপেক্ষে, মোবাইল কোর্ট কর্তৃক বিচার্য হবে। বিলে এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করার বিধান রাখা হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাট ও বাজার স্থাপন ও ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠাসহ গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরো গতিশীল করতে ১৯৫৯ সালে প্রণীত অধ্যাদেশ রহিত করে বাংলা ভাষায় নতুন বিলটি আনা হয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং স্টেক হোল্ডারদের মতামত গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
জাতীয়
উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৮ শতাংশ, বাড়তে পারে আরও : ইসি সচিব
তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৮৭ উপজেলায় ৩৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে, ভোট পড়ার এ হার আরও বাড়তে পারে। কারণ এখনও ৮৭ কেন্দ্রের পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যায়নি। বলেছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিদায়ী সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বিদায়ী সচিব ও নবাগত সচিব শফিউল আজিমের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
বুধবার (২৯ মে) ভোট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এ যাবৎ উপস্থিতির যে তথ্য পেয়েছি, সেটি আমাদের পর্যালোচনায় ৩৫ শতাংশের কম-বেশি হতে পারে। বেশিও হতে পারে। নিশ্চিত করে বলত হয়তো আরও ২৫ ঘণ্টা সময় লেগে যেতে পারে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা আমার কাছে তথ্য চাইতেন। অনেক সময় তথ্য থাকতো না। আপনারা আমাকে খোঁচা দিতেন। আমি হয়তো আপনাদের সঙ্গে এমন আচরণ করছি, যা শোভন নয়। তবে, আমাদের স্বচ্ছতার কোনও ঘাটতি ছিল না। আমার আচরণে আপনাদের সহসা কষ্ট দিতে চাইনি। তবুও বিদায় বেলায় আপনারা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
গণমাধ্যমের সহযোগিতা পেয়েছেন জানিয়ে ইসির বিদায়ী সচিব বলেন, আপনারাই আমাদের জনগণের কাছে চিনিয়েছেন।
গেলো ২১ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জাহাংগীর আলমকে জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব পদে বদলির আদেশ হয়। পটুয়াখালীর সন্তান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী জাহাংগীর বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ত্রয়োদশ ব্যাচের কর্মকর্তা হিসাবে ১৯৯৪ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগেই যুগ্ম সচিব এবং অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্ব পালনের পর ২০২২ সালে তিনি পদোন্নতি পেয়ে সচিব হন এবং ইসিতে দায়িত্বে আসেন। তার মেয়াদের মধ্যেই এই বছরের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের বর্জনের মধ্যে এই নির্বাচন করতে গিয়ে চ্যালেঞ্জও ছিল ইসির সামনে।
এদিকে, নতুন সচিব শফিউল আজিম বলেন, আমরা তো রাজনীতির ভেতরেই বসবাস করি। গণতন্ত্র, সরকার, রাজনৈতিক দল ও জনগণ সবকিছু মিলিয়েই গণতন্ত্র। কাউকে আইনের বাইরে গিয়ে সেবা দেয়া যাবে না। আপনাদের যেটি প্রাপ্য সেটি শতভাগ দেয়া সম্ভব।
২১ মে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিউল আজিমকে পদোন্নতি দিয়ে ইসি সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। শফিউল আজিমের গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তিনি বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এমডি হন। ১৯৯৫ সালে তিনি ১৫তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে কর্মজীবন শুরু করেন। প্রশাসনের ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্যে শফিউল আজিমকেই প্রথম সচিব হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে পদায়ন করা হলো। বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে তিনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আইন ও বিধি অনুবিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন শফিউল আজিম। সাভারে লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক ছিলেন তিনি।
জাতীয়
রেমালে ক্ষতিগ্রস্তদের দেখতে পটুয়াখালীতে প্রধানমন্ত্রী
ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে পটুয়াখালীতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বেলা ১১টায় হেলিকপ্টারযোগে রওনা দিয়ে দুপুর ১২ টার পর পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
হেলিকপ্টারটি খেপুপাড়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছেই হেলিপ্যাডে অবতরণ করার কথা রয়েছে। পরে সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজ মাঠে দুই হাজার দুর্গত মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপর শেখ কামাল ব্রিজ পরিদর্শন করবেন শেখ হাসিনা। তাছাড়া, পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে বরিশাল বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি মতবিনিময় করবেন বলে জানা যায়।
টিআর/
জাতীয়
ফের মেট্রোরেল ভোগান্তিতে নগরবাসী
‘অনিবার্য কারণবশত অদ্য ৩০/০৫/২৪ তারিখ মেট্রোরেল ১৫ মিনিট Headway তে (বিরতির সময়) চলাচল করবে। পরবর্তীতে নির্ধারিত Headway চালু হলে জানানো হবে।’ মেট্রোরেলের ফেসবুক পেজে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় এই ঘটনা ঘটে। এরপরই ফেসবুকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। পরে ৯টার দিকে স্বাভাবিক হয় মেট্রোর চলাচল।
মেট্রোরেল চালু হবার পর থেকে অনেকটাই ঝামেলামুক্ত সকাল কাটান রাজধানীর অধিকাংশ অফিসগামী যাত্রীরা। তবে বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতেই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আধাঘণ্টা বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন মেট্রোর যাত্রীরা।
সকালে মিরপুর-১১ নম্বর স্টেশনে মতিঝিলগামী একটি ট্রেন বন্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আর এসময় উত্তরাগামী ট্রেনটি মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশনে আটকে ছিল। এসময় প্লাটফর্ম থেকে ঘোষণা করা হয় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচলে দেরি হচ্ছে।
এদিকে হঠাৎ ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ায় স্টেশনগুলোতে যাত্রীদের ভিড় বাড়ে। ফলে ট্রেনে উঠা নিয়ে এক ধরনের প্রতিযোগিতা তৈরি হয় ও ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ যাত্রীদের।
এরই মধ্যে মেট্রোরেলের এধরনের বিভ্রাট নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বিতর্ক তৈরি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। নির্ধারিত সময় নিয়ে বের হয়েও মাঝে মাঝেই মেট্রোর বিভিন্ন ত্রুটির কারণে শিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে বলে দাবি করেন তারা।
পরে সোয়া ১০টার দিকে আবার পূর্ব নির্ধারিত বিরতিতেই স্টেশনগুলোতে আসতে শুরু করে মেট্রোরেল।
বর্তমানে মেট্রোরেল চলছে সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত। উত্তরা থেকে মতিঝিল অভিমুখী ট্রেনের পিক আওয়ার হচ্ছে সকাল ৭টা ৩১ মিনিট থেকে ১১টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত। আবার বিকেল ৩টা ১৩ মিনিট থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পিক আওয়ার হিসেবে গণ্য হয়। অন্যদিকে মতিঝিল থেকে উত্তরা রুটের পিক আওয়ার শুরু হয় সকাল ৮টা ১ মিনিট থেকে ১২টা ৮ মিনিট এবং বিকেল ৩টা ৫৩ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত।
পিক আওয়ারে প্রতি ৮ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলাচল করে। অফ পিক আওয়ারে ১২ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলাচল করে।
টিআর/
-
বাংলাদেশ2 days ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি
-
টুকিটাকি7 days ago
কাউন্সিলিংয়ের নামে ছাত্রকে ৩০ বার ধর্ষণ
-
বলিউড3 days ago
আব্রামের যোগাযোগ বাড়াতে করিনাকে অভিনব প্রস্তাব শাহরুখের
-
ঢালিউড3 days ago
গোপনে রাজ-বুবলীর বিয়ে!
-
জাতীয়6 days ago
পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার আসছে নতুনরূপে
-
অপরাধ5 days ago
চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আজীমের দেহ
-
আবহাওয়া2 days ago
‘রেমাল’ শেষে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
-
বাংলাদেশ7 days ago
এমপি আজিম হত্যা: ট্যাক্সি চালককে আটক করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন