Connect with us

স্বাস্থ্য

আবারও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. খুরশীদ

Published

on

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে আবারও নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। নতুন করে আরও দুই বছরের জন্য তাকে নিয়োগ করা হয়েছে তাকে।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার উপসচিব মোহা. রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর ধারা-৪৯ অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে ইতোপূর্বে চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে (কোড নম্বর ৩৮০১৩) যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছর মেয়াদে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হলো।

এতে আরও বলা হয়, পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে আগের চুক্তিপত্রের শর্ত অপরিবর্তিত রেখে পুনরায় সরকারের সঙ্গে চুক্তিপত্র সম্পাদন করতে হবে। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।

এর আগে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর তার চাকরির নিয়মিত মেয়াদ শেষ হয়। পরে চুক্তিভিত্তিক খুরশীদ আলমের মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হয়। সেই মেয়াদও শেষ হয় ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর।

Advertisement

সূত্র জানায়, অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম যখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দায়িত্ব গ্রহণ করেন তখন বাংলাদেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রথম ঢেউ চলছিল। জেকেজি হেলথকেয়ার দুর্নীতি, রিজেন্ট হাসপাতাল দুর্নীতি, পিপিই সংকটসহ নানা সমালোচনায় বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাল ধরেন তিনি।

এক নজরে অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম

অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ১৯৬১ সালের ৩১ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২২ নভেম্বর ১৯৮৪ ইন সার্ভিস ট্রেনিংয়ের আওতায় সহকারী সার্জন হিসেবে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে যোগদান করেন।

১৯৮৬ সালের ৪ অক্টোবর মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সহকারী সার্জন হিসেবে যোগ দেন। পরে মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন সাব সেন্টার ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সহকারী সার্জন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়াও তিনি সহকারী সার্জন হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান এ দায়িত্ব পালন করেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবেও তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে চিকিৎসা কার্য পরিচালনা করেন। সার্জারি বিষয়ের জুনিয়র কন্সালটেন্ট হিসেবে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করে সিনিয়র কন্সালটেন্ট হিসেবে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে যোগ দেন। সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ, বরিশাল এর দায়িত্ব পালন করে এই কৃতি শিক্ষক ও চিকিৎসা কর্মকর্তা অধ্যাপক হিসেবে ২০১৬ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে যোগদান করেন।

Advertisement

১০ম বিসিএস এর এ দক্ষ কর্মকর্তা পরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২৭তম মহাপরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হন।

এছাড়াও সংস্কৃতি অঙ্গনেও রয়েছে তার অবাধ বিচরণ। অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম বাংলাদেশ বেতারের একজন তালিকাভুক্ত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী। প্রয়াত সংগীতজ্ঞ ওয়াহিদুল হকের প্রিয় শিষ্যদের একজন তিনি। এক কালে ওয়াহিদুল হকের ছায়াসঙ্গী ছিলেন অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম।

এছাড়া জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ কুমিল্লা শাখার প্রশিক্ষক ছিলেন তিনি। পরে সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন।

স্বাস্থ্য

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে জরিপ চলছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Published

on

বিখ্যাত ওষুধ ও টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে  এটি গ্রহণের কারণে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগে বিশ্বজুড়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।  এ অবস্থায় বাংলাদেশে এই টিকা যারা নিয়েছেন তাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে কি না, তা খুঁজে দেখতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

বুধবার (৮ মে) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণে টিকাদান কর্মসূচিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় মন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। কিছু দেশে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গেছে। আমরাও যেহেতু অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা গ্রহণ করেছি, আমাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে কি না, তা খুঁজে দেখতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে এ বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। এবং এ বিষয়ে আমাকে রিপোর্ট দিতে হবে।

বাংলাদেশেও প্রচুর মানুষকে আ্যাস্ট্রাজেনিকার টিকা দেয়া হয়েছে। বৈশ্বিক এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে দেশের প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভাবনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,যতক্ষণ পর্যন্ত আমি না জানবো আমাদের দেশে কতটুকু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারবো না। তবে আমরা এটি নিয়ে কনসার্ন। ওরা বলছে টিকা তুলে নিতে কিন্তু আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত প্রমাণ না পাবো ততক্ষণ পর্যন্ত কীভাবে বলবো?

আসছে বর্ষায় ডেঙ্গু নিয়ে পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুতে আমার মাকে হারিয়েছি। এটা নিয়ে আমার আবেগ আছে। আমি চাই না ডেঙ্গুর কারণে আর কারও মা হারাক। তবে ডেঙ্গু নিয়ে একটা কথা বলি, এটা এমন একটা রোগ এটা নিয়ন্ত্রণে শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় না দুইটা মন্ত্রণালয় এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা যদি ডেঙ্গুর উৎস বন্ধ না করতে পারি তাহলে যতই হাসপাতাল বানাই কিন্তু এটা বন্ধ হবে না। আশা করি আমাদের হাসপাতালের যে সক্ষমতা রয়েছে, আমাদের ডাক্তাররা ডেঙ্গু চিকিৎসায় অত্যন্ত দক্ষ। আমি একটা অনুরোধ করবো জ্বর হলে সবাই যেন সরকারি ডাক্তারদের পরামর্শ নেয়। দেরি করলেই মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া এবার স্যালাইনের সংকটও হবে না। আমি ওষুধ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে মিটিং করেছি তারা দামও বাড়াবে না।

Advertisement

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

স্বাস্থ্য

ডেঙ্গুতে মাকে হারিয়েছি, আর কারো মা যেন মারা না যায়

Published

on

ডেঙ্গুতে আমার মাকে হারিয়েছি। ডেঙ্গু নিয়ে আমার চিন্তা আছে। আমি কাজ করবো যাতে আর কারো মা এতে মারা না যায়। বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ২০২৪ সালের ডেঙ্গু নিয়ে প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সব রোগের ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে যাতে রোগটি কারো হওয়ার আগেই প্রতিরোধ করা যায়। যাতে মানুষের ডেঙ্গু না হয় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। মশা নির্মূলে সবাই একসাথে কাজ করবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশন এবং যে ঘরে মানুষ থাকে সেখানকার সবাইকেই সচেতন থাকতে হবে।

তিনি আরও বরেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা অনেক আলোচনা করেছি। আমি নির্দেশনা দিয়েছি যাতে ডেঙ্গুকালীন কোনোভাবেই স্যালাইন সংকট দেখা না দেয় এবং স্যালাইনের দামও না বাড়ে। এছাড়া হাসপাতালগুলোকে খালি রাখার ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যাতে করে পরে সার্জারি বা ভর্তি না করিয়ে চিকিৎসা দেয়া যায়, এমন যারা আছে তাদের হাসপাতালে ভর্তি না করে যাদের প্রয়োজন তাদের ভর্তি করা হয়।

এছাড়া আমাদের ফগিং বিষয়ে কিছু ভুল ধারণা আছে। এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এর সঙ্গে সিটি করপোরেশনের সঙ্গেও অপেনলি আলোচনা করবো।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

স্বাস্থ্য

ভুল চিকিৎসা নির্ণয়-দাবির অধিকার কেবলমাত্র বিএমডিসি’র : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Published

on

ভুল চিকিৎসা নির্ণয় ও দাবি করার অধিকার কেবলমাত্র বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল’র রয়েছে (বিএমডিসি)। বলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। এ সময়  চিকিৎসকদের সুরক্ষা আইন পাস করানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

বুধবার (০১ মে)  রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নিউরো সার্জন সোসাইটির ১২তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এ সব কথা বলেন তিনি।

একই সাথে সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার দায়িত্বও নিজের কাঁধে তুলে নেয়ার কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এর আগে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি প্রায়ই পত্র-পত্রিকা ও টিভিতে দেখি ভুল চিকিৎসার কথা। ভুল চিকিৎসা বলে কিছু নাই৷ এটা আমি-আমরা বলতে পারি না। ভুল চিকিৎসার ব্যাপার যদি থেকেও থাকে, সেটা বলার অধিকার একমাত্র বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের আছে। আমরা বললে চিকিৎসার অবহেলার কথা বলতে পারি।

চিকিৎসকদের সুরক্ষা আমি দেখবো, কিন্তু রোগীদের সুরক্ষা আপনাদের নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের সুরক্ষার বিষয় দেখবো। আপনাদের সঙ্গে কোনো অবিচার হলে আমি দেখবো। আমি আপনাদের সাথে থাকবো। কিন্তু আপনাদের রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। নাহলে আমি ব্যবস্থা নেব।

Advertisement

বক্তব্য শেষে দেশে বয়ে চলা তাপপ্রবাহে হিটস্ট্রোক বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত কতজন হিটস্ট্রোকে মারা গেছে, তার সঠিক হিসাব এখনো আমার কাছে আসেনি। তবে আমরা হিটস্ট্রোকের প্রস্তুতি নিতে হাসপাতালগুলোতে নির্দিষ্ট পরিমাণ কিছু বেড খালি রাখার পরামর্শ দিয়েছি।

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version