Connect with us

চট্টগ্রাম

নতুন জঙ্গি সংগঠনের ৫ সদস্য আটক

Published

on

জঙ্গি

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি-রুমা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার আরও পাঁচ প্রশিক্ষণরত সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

আটকরা হলেন, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে নিজামুদ্দিন হিরন ইউসুফ (৩০), কুমিল্লার আ. রাজ্জাকের ছেলে সালেহ আহমেদ সাইহা (২৭), সিলেটের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. সাদিকুর রহমান সুমন ফারকুন (৩০), কুমিল্লার শফিকুল ইসলামের ছেলে মো. বাইজিদ ইসলাম মুয়াজ (২১) ও কুমিল্লার মজিবুর রহমানের ছেলে ইমরান বিন রহমান শিথিল (১৭)।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বান্দরবানের র‌্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট কুমিল্লা সদর এলাকা থেকে আট তরুণের নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ২৫ আগস্ট নিখোঁজদের পরিবার কুমিল্লার কোতয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। ঘটনাটি জানার পরপরই র‌্যাব নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। এরই মধ্যে আট তরুণদের মধ্যে পালিয়ে আসা নিলয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে র‌্যাবের গোয়েন্দারা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায়। নিলয়ের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গেলো ৫ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে নিখোঁজ হওয়া রিফাতসহ নতুন জঙ্গি সংগঠনের সাতজনকে আটক করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে দেশে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া নামে একটি নতুন জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়।

খন্দকার আল মঈন বলেন, র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখা এবং বিভিন্ন ব্যাটালিয়ন গত সেপ্টেম্বর থেকে কয়েকটি অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা থেকে নিখোঁজ হওয়া আট তরুণের মধ্যে তিনজনসহ নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার বিভিন্ন পর্যায়ের ৩১ নেতা ও সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া জঙ্গি সংগঠনকে সহায়তা দেয়া এবং সামরিক প্রশিক্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ত পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফের ১৪ নেতা ও সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

Advertisement

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, সবশেষ বুধবার (১১ জানুয়ারি) রাতে র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখা এবং র‌্যাব-৭ এর অভিযানে বান্দরবানের থানচি ও রোয়াংছড়ি এলাকা থেকে পাহাড়ে প্রশিক্ষণরত ৫৫ জঙ্গি সদস্যদের মধ্যে পাঁচজনকে আটক করা হয়।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

Cancel reply

চট্টগ্রাম

হোটেল ব্যবসার আড়ালে অস্ত্রের কারবার, গ্রেপ্তার ২

Published

on

কক্সবাজারে হোটেল ব্যবসার আড়ালে অবৈধ অস্ত্র কারবারের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বুধবার (২৬ জুন) দিবাগত রাতে কক্সবাজারের পিএমখালী ও কলাতলীর মেরিন ইকো রিসোর্টে এ অভিযান চালানো হয়। দুপুরে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সহকারী পুলিশ সুপার জামিলুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল ও একটি মডিফাইড থ্রি নট থ্রি রাইফেল এবং গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

জামিলুল হক জানান, গোপন সংবাদ পেয়ে র‌্যাবের একটি টিম কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ধাওনখালী গ্রামে অভিযান চালিয়ে হুমায়ুন কবির (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি বিদেশি পিস্তল ও গুলি।

পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী র‌্যাবের একটিদল কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকায় অবস্থিত মেরিন ইকো রিসোর্ট নামে একটি হোটেলে অভিযান চালায়।

Advertisement

এসময় হোটেলের মালিক কক্সবাজার শহরের বাসিন্দা কাজী জাফর সাদেক রাজুকে (৪০) গ্রেপ্তার করে। হোটেলে রাজুর ব্যক্তিগত রুম থেকে উদ্ধার করা হয় একটি মডিফাইড থ্রি নট থ্রি রাইফেল।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জামিলুল হক আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত দুইজন দেশি-বিদেশি অস্ত্র কারবারে জড়িত। তারা অস্ত্র কারবারে জড়িত চট্টগ্রাম কক্সবাজার ও খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীক একটি সিন্ডিকেটের সদস্য।

খাগড়াছড়ি সীমান্ত থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র এনে তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসী গ্রুপের কাছে অস্ত্র সরবরাহ করে থাকে। গ্রেপ্তার হওয়া দুইজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে অস্ত্র দু’টি তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপের কাছে বিক্রি করার জন্য এনেছিলো।

ইতিপূর্বে রাজু র‌্যাব পুলিশসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছিলো।

প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরও জানান, অস্ত্র কারবারে জড়িত এই সিন্ডিকেটের বাকী সদস্যদের ধরতে র‌্যাব অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

গোলাগুলি-বিস্ফোরণে কাঁপছে টেকনাফ সীমান্ত

Published

on

মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাতের কারণে আবারও কাঁপছে টেকনাফ সীমান্ত।

বুধবার (২৬ জুন) ভোর থেকে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মিয়ানমারের সীমান্ত। বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘সীমান্ত এলাকার জনপ্রতিনিধিরা গোলাগুলির শব্দের বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। মিয়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তে বসবাসরত বাংলাদেশের নাগরিকদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।’

স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমার মংডু, বুথেডং ও রাথেডংয়ের কয়েকটি গ্রামে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। বিস্ফোরণে টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন ও শাহপরীরদ্বীপ, মিস্ত্রীপাড়া, জালিয়াপাড়া সাবারাং ইউনিয়নের আঁচার বনিয়া সিকদার পাড়া, ও সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়া, মৌলভীপাড়া, হাংকার ডেইল পৌরসভার জালিয়াপাড়া, নাইথ্যাং পাড়া খায়ুক খালীপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামে বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে।

এ দিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যরা নাফ নদ ও সীমান্ত সড়কে টহল বৃদ্ধি করেছে।

Advertisement

টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান বলেন, ‘সীমান্তে সকাল থেকে খুব বেশি গুলির শব্দ হচ্ছে বলে সীমান্তের লোকজনের কাছে শুনেছি। তবে ওপারে ঠিক কোন এলাকায় এ ঘটনা ঘটছে এপারে নাফ নদ থাকায় সেটা বলা যাচ্ছে না।’

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, ‘সীমান্তে রাত থেকে থেমে থেমে গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিনের তুলনায় আজ গোলার শব্দ বিকট। এতে সীমান্তের লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।’

এ বিষয়ে টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিজিবির টহল জোরদারের পাশাপাশি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধে সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।’

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

ওসিকে কনুই দিয়ে ধাক্কা দেয়ায় এএসআই চাকরিচ্যুত

Published

on

চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবিরকে ধাক্কা মেরে আহত করা সহকারি উপপরিদর্শক (এএসআই) সন্তু শীলকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (ডিসি) আবদুল ওয়ারীশ।

তিনি জানান, গেলো বছরের ২০ এপ্রিল গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত থেকে এএসআই সন্তু জনসম্মুখে কোতোয়ালি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবিরকে ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা দেন।

ডিসি আবদুল ওয়ারীশ আরও জানান, ওসির সঙ্গে এএসআই সন্তু ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অপেশাদারসুলভ আচরণ করেছেন। মামলায় এটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে এএসআই সন্তুকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version