খেলাধুলা
মেসি নেইমার এমবাপ্পে ও হাকিমিকে নিয়েও হারল পিএসজি
শেষ কয়েক ম্যাচে ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া পিএসজি রোববার রাতে লিগ ওয়ানে রেনের কাছে হেরেছে ০-১ গোলে। চলমান লিগে সবশেষ তিন ম্যাচের দুটিতেই হারল ক্রিস্তফ গালতিয়ের দল। একই সঙ্গে রেনের মাঠে লিগে এ নিয়ে সবশেষ চার ম্যাচের তিনটিতে হারের তিক্ত স্বাদ পেল প্যারিসের দলটি, অন্যটি হয়েছিল ড্র।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যম সিবিএস স্পোর্টসের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এদিন লিওনেল মেসি ও নেইমারকে শুরুর একাদশে রাখা হলেও ছিলেন না কিলিয়ান এমবাপ্পে। তবে বিরতির পর মাঠে নেমে দলকে ম্যাচে ফেরানোর দারুণ এক সুযোগ হাতছাড়া করেন ফরাসি এ তারকা। ২০তম মিনিটে গোলের জন্য প্রথম শট নিতে পারে পিএসজি। বক্সের সামনে থেকে মেসির বাঁ পায়ের সেই শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়।
এর আগে দ্বিতীয়ার্ধের ৫৬তম মিনিটে জোড়া পরিবর্তন আনেন গালতিয়ে। উগো একিতিকে ও নর্দি মুকিয়েলের জায়গায় নামান এমবাপ্পে ও আশরাফ হাকিমিকে। দুই মিনিট পর আরেকবার পিএসজির ত্রাতা গোলরক্ষক দোন্নারুম্মা। মাইয়ের ফ্রি-কিক ঝাঁপিয়ে ঠেকান তিনি। ৬৫তম মিনিটে তিনি আর পারেননি। বাঁ দিকের বাইলাইনের কাছাকাছি থেকে সতীর্থের কাট-ব্যাকে বাঁ পায়ের শটে রেনকে এগিয়ে নেন হামারি ত্রাওরে।
পুরো ম্যাচে গোলের জন্য পিএসজির সমান ৮টি শট নিয়ে ৬টিই লক্ষ্যে রাখে রেন। এই পরিসংখ্যানেই ফুটে উঠেছে দুই দলের ম্যাচের তফাৎ।
ফুটবল
মার্তিনেজের জোড়া গোলে জয় পেলো আর্জেন্টিনা
কোপা আমেরিকায় পেরুর বিপক্ষে ম্যাচে মাঠে লিওনেল মেসির এবং ডাগআউটে কোচ লিওনেল স্কালোনির না থাকার কথা আগেই জানা গিয়েছিল।
কোপা আমেরিকায় আজ মেসি চোটের কারণে এবং স্কালোনি ছিলেন না নিষেধাজ্ঞায় পড়ে। কিন্তু নিয়মিত অধিনায়ক ও কোচকে ছাড়া সহজ জয়ই পেয়েছে আর্জেন্টিনা। মেসির অনুপস্থিতিতে এ ম্যাচে আবারও জ্বলে উঠেছেন দারুণ ছন্দে থাকা লাওতারো মার্তিনেজ। তার জোড়া গোলে গ্রুপ ‘এ’র শেষ ম্যাচে পেরুর বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছে আর্জেন্টিনা।
বিরতির পর মাঠে নেমে শুরুতেই অবশ্য আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন মার্তিনেজ। দলীয় সমন্বয়ের এক আক্রমণ থেকে দি মারিয়ার পাসে গোলটি করেন ইন্টার মিলান স্ট্রাইকার। ৫৫ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটাও প্রায় পেয়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু কর্নার থেকে বল পেয়ে নিকোলাস তালিয়াফিকোর করা গোলটি বাতিল হয় ফাউলের কারণে।
ম্যাচের ৬৯ মিনিটে আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে বক্সের ভেতর হ্যান্ডবল করে আর্জেন্টিনাকে পেনাল্টি উপহার দেয় পেরু। কিন্তু পেনাল্টি থেকে ব্যবধান ২-০ করতে ব্যর্থ হন পারেদেস। ৮৬ মিনিটে আর্জেন্টিনা অবশ্য ঠিকই দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যায়। নিজের ও দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন মার্তিনেজ। এ নিয়ে আর্জেন্টিনার জার্সিতে শেষ ৬ ম্যাচে ৭ গোল করলেন মার্তিনেজ।
এই জয়ে ৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। দিনের অন্য ম্যাচে চিলিকে রুখে দিয়ে এই গ্রুপ থেকে আর্জেন্টিনার সঙ্গী হয়েছে কানাডা। গোলশূন্য ড্র হয়েছে।
৫ জুলাই কোয়ার্টার ফাইনালে নিজেদের পরের ম্যাচ খেলতে নামবে আলবিসেলেস্তেরা। এই গ্রুপ থেকে নাটকীয়ভাবে বাদ পড়েছে চিলি। ৩ ম্যাচ থেকে ২ পয়েন্ট নিয়ে বাদ পড়লো ২০১৫ এবং ২০১৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা। আর উত্তর আমেরিকা থেকে আসা কানাডা ৩ ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট নিয়ে চলে গেল কোয়ার্টার ফাইনালে।
জেএইচ
ক্রিকেট
এগারো বছরের ট্রফি খরা ঘুচলো ভারতের
ভারত সবশেষ আইসিসি ট্রফি জেতে ২০১৩ সালে। একবার মাত্র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে, সেটা ২০০৭ সালে। এবার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বকাপে দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুললো উপমহাদেশের এই দেশটি।
পুরো ম্যাচটি অনেকরকম পরিস্থিতির জন্ম দিল। দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের বাগে খেলা নিয়ে এলেও, শেষে এসে তা ফসকে যায়। ডেভিড মিলার ও হেনরিখ ক্লাসেনের মারমুখী জুটি বলে দিচ্ছিল প্রোটিয়াদের ক্ষুধা। তবে মিলারকে একা করে ২৭ বলে ৫২ রানে যখন ক্লাসেন ফিরলেন, সেসময় আশার পালে যেন বিপরীত হাওয়া এসে লাগল।
সেই হাওয়ায় শেষ পর্যন্ত আর উঠে দাঁড়ানো হয়নি প্রথমবারের মতো আইসিসি ফাইনাল খেলা দলটির। তবুও মিলার ছিলেন। ম্যাচের শেষ ওভারে যখন ১৬ রান দরকার, তখন হার্দিক পান্ডিয়ার প্রথম বলেই ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ হলেন মিলার, ১৭ বলে ২১ রানে তার এই বিদায়েই উদযাপনের উপলক্ষ পেয়ে যায় ভারত। পুরো ওভারে একটি মাত্র বাউন্ডারি আসে, এছাড়াও আরও একটি উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা।
বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ভারত। ভিরাট কোহলির ৫৯ বলে ৭৬ রানের ইনিংসটি ছিল সবচেয়ে কার্যকরী। এছাড়াও অক্ষর প্যাটেলের ব্যাটে ৩১ বলে ৪৬ রান, শিভাম দুবের ১৬ বলে ২৭ রানের ইনিংস ভারতকে অনেকটুকু এগিয়ে দেয়। প্রোটিয়াদের পক্ষে বল হাতে কেশব মহারাজ ও এনরিখ নরকিয়া ২ টি করে উইকেট নেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭৭ রানের। দলটি দলীয় ১২ রানের মাথায় রিজা হেনড্রিকস ও এইডেন মার্করামের উইকেট হারায়। কুইন্টন ডি কক ও ট্রিস্টান স্টাবসের জুটিতে সেই ঝাপটা কাটিয়ে ওঠে তারা। স্টাবস ফিরেছেন ২১ বলে ৩১ রান করে অক্ষরের শিকার হয়ে। আর ডি ককের ইনিংস থেমেছে ৩১ বলে ৩৯ রানে আর্শদ্বীপের ডেলিভারিতে। ডি কক যখন ফেরেন, প্রোটিয়াদের সংগ্রহ তখন ৪ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান।
এরপর মিলার ও ক্লাসেন মিলে দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে তোলেন। আর সেই জুটিতে বল আর রানের সমীকরণ সমান করে ফেলেন দুই ব্যাটার। তাদের ২২ বলে ৪৫ রানের জুটিতে ভাঙ্গন ধরে ক্লাসেনের উইকেট পতনে। হার্দিক পান্ডিয়ার শিকার হয়ে ১৭তম ওভারের প্রথম বলে ফেরেন এই ব্যাটার। এতেই দক্ষিণ আফ্রিকার ফানুস একেবারেই মিইয়ে যায়। পরের ব্যাটাররা আর কার্যকরী কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় ডেথ বোলারদের সামনে। পরাজয়কেই সঙ্গী করতে হয় মার্করামের দলকে।
ভারতের পক্ষে বল হাতে হার্দিক পান্ডিয়া ৩ টি উইকেট সংগ্রহ করেছেন। জাসপ্রীত বুমরাহ ও আর্শদ্বীপ সিং নিয়েছেন ২ টি করে উইকেট।
ক্রিকেট
কোহলির পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসে ১৭৬ রানে থামলো ভারত
শেষ হলো বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রথম ইনিংস। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। ভালো শুরুর পর কিছুটা চাপে পড়েও তা কাটিয়ে ওঠে দলটি। ভিরাট কোহলি ভারতীয় ব্যাটিংয়ের একপ্রান্ত ধরে ছিলেন। মূলত তার ব্যাটে চড়েই পুরো ২০ ওভার খেলে ভারত থামে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানে।
রোহিত শর্মা ও ভিরাট কোহলি ব্যাট হাতে নেমেই উড়ন্ত শুরু করেন। মার্কো জানসেনের প্রথম ওভারেই আসে ১৫ টি রান। যা যেকোনো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রথম ওভারের জন্য সর্বোচ্চ রান। পরের ওভারে এসেই অবশ্য কেশব মহারাজ পেয়ে যান কাঙ্ক্ষিত দুইটি উইকেট।
ভারত রোহিত, রিশাব পান্ট ও সূর্যকুমার যাদবের উইকেট হারায় পাওয়ারপ্লেতে। কিছুটা চাপ তখন ছিল। তবে এই সময় অক্ষর প্যাটেলে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতের ‘গিয়ার’ চেপে ধরেন। ওভার বাউন্ডারি নিয়ে আসেন, রান বের করার চেষ্টা করেন নিশ্চিত সব শটে।
কোহলির সাথে ৫৪ বলে ৭২ রানের জুটি গড়েন অক্ষর। সেই জুটি ভাঙে দুর্ভাগ্যজনক রান আউটের মাধ্যমে। যেখানে অক্ষরকে ফিরতে হয় ৩১ বলে ৪৭ রানে। পরের ব্যাটার দুবের সাথে আবারও জুটি গড়েন কোহলি।
এরমধ্যে চলতি টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম ফিফটি পেয়ে যান কোহলি। একটি রেকর্ডও গড়েন তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে একাধিক ফিফটি করার রেকর্ড এই ভারতীয় ব্যাটারের হয়ে থাকলো। যেখানে তিনি কুমার সাঙ্গাকারা ও মারলন স্যামুয়েলসের সাথে যোগ দিয়েছেন।
১৯তম ওভারে বল করতে আসেন জানসেন। সেই ওভারের দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি, চতুর্থ বলে ওভার বাউন্ডারি হাঁকান কোহলি। তবে পঞ্চম বলটিতে বড় শট খেলতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ হয়ে ফেরেন এই ব্যাটার। যার ইনিংসে ছিল ২ টি ছক্কা এবং ৬ টি চার। ব্যাটে আসে ৫৯ বলে ৭৬ রান।
শেষ ওভারে আনরিখ নরকিয়ার শিকার হয়ে একটি বাউন্ডারির পর ১৬ বলে ২৭ রান করে ফেরেন দুবে। নতুন ব্যাটার জাদেজার উইকেটও পড়ে যায় শেষ বলে। পান্ডিয়া অপরাজিত ছিলেন ২ বলে ৫ রান করে।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে কেশব মহারাজ ও আনরিখ নরকিয়া ২ টি করে উইকেট নিয়েছেন।
-
পর্যটন2 days ago
যে কারণে কক্সবাজারে বন্ধ প্যারাসেইলিং
-
ইসলাম2 days ago
পা ছুঁয়ে সালাম করা কি ইসলামে জায়েজ?
-
অপরাধ2 days ago
যৌতুকলোভী প্রেমিকের কাছে হেরে জীবন বিসর্জন দিলেন প্রেমিকা
-
আবহাওয়া4 days ago
শুক্রবার থেকে টানা ৬ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
-
টুকিটাকি3 days ago
লটারিতে ৩৭ কোটি টাকা পেয়ে হার্ট অ্যাটাক, অতপর…
-
রংপুর3 days ago
চলন্ত ট্রেনের ছাদে সাপ, আতঙ্কে যাত্রীরা
-
জাতীয়3 days ago
আনলকড দরজা, ছুটতে ছুটতে আবার রানওয়েতেই ফিরলো বিমান!
-
ক্রিকেট2 days ago
বিশ্বকাপ ফাইনাল পণ্ড হলে যারা জিতবে শিরোপা
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন