Connect with us

শিক্ষা

২০১৯ ও ২০২২ সালের বর্ষসেরারা পাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষা পুরস্কার

Published

on

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)

প্রাথমিকে শিক্ষা পদক নীতিমালা- ২০২২ জারি করা হয়েছে। শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশ, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতি দিতে এ পদক দেয়া হয়।

করোনার কারণে পিছিয়ে যাওয়ায় আগামী ফেব্রুয়ারিতে ২০১৯ ও ২০২২ সালের সেরাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হবে। এরই মধ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে বর্ষসেরা নির্বাচন কার্যক্রম শেষ হয়েছে।। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সেরাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন এবং জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০১৯ ও ২০২২ আয়োজন করা হবে। এ লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ের বাছাই গেলো ৩ থেকে ১২ জানুয়ারির মধ্যে শেষ করা হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ অনুষ্ঠান আয়োজনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিকে উল্লেখিত দুই বছরের সেরাদের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০২২ নামে একটি নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে। যার খসড়া মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ আয়োজনের জন্য অর্থ অনুমোদন দিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সময়ে নীতিমালা ও অর্থ অনুমোদন দেয়ার কথাও রয়েছে।

তারা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চেয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর যেদিন সময় দেবেন সেদিনই এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

Advertisement

নীতিমালা অনুযায়ী, এ বছর শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক, ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক এ তিন ক্যাটাগরিতে পদক দেয়া হবে। এর মাঝে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে প্রতিযোগিতায়- শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক, শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিকা, শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক, শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকা, শ্রেষ্ঠ কাব শিক্ষক, শ্রেষ্ঠ কর্মচারী, শ্রেষ্ঠ সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার, শ্রেষ্ঠ ইন্সট্রাক্টর (উপজেলা/থানা রিসোর্স সেন্টার), শ্রেষ্ঠ ইন্সট্রাক্টর (পিটিআই), শ্রেষ্ঠ উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার, শ্রেষ্ঠ সুপারিন্টেনডেন্ট (পিটিআই), শ্রেষ্ঠ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শ্রেষ্ঠ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক, শ্রেষ্ঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি (এসএমসি) এবং শ্রেষ্ঠ পিটিআই নিয়ে মোট ১৮টি পদক দেয়া হবে। এদের মাঝে শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি (এসএমসি) এবং শ্রেষ্ঠ পিটিআই প্রতিষ্ঠান/কমিটি নির্দিষ্ট বছরের জন্য শ্রেষ্ঠ হিসেবে নির্বাচিত হবে।

জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কারে যা যা থাকবে –

শিক্ষার্থী (ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক এবং বিষয়ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতায়) :
১ম স্থান : ৩০ হাজার টাকা, স্বর্ণপদক এবং সনদপত্র।
২য় স্থান : ২৫ হাজার টাকা, রৌপ্যপদক এবং সনদপত্র।
৩য় স্থান : ২০ হাজার টাকা, ব্রোঞ্জপদক এবং সনদপত্র।

ব্যক্তি (সব ক্যাটাগরি) :
শ্রেষ্ঠ : ৫০ হাজার টাকা, স্বর্ণপদক এবং সনদপত্র। এছাড়া ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীদের ক্ষেত্রে সনদপত্র।

প্রতিষ্ঠান (সব ক্যাটাগরিতে) :
শ্রেষ্ঠ : ৫০ হাজার টাকা, ক্রেস্ট এবং সনদপত্র। এছাড়া ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীদের ক্ষেত্রে সনদপত্র।

Advertisement

শিক্ষা

একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

Published

on

একাদশ শ্রেণির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালা অনুযায়ী, অনলাইনে ভর্তির আবেদন শুরু হবে ২৬ মে। তিন ধাপে আবেদন চলবে আগামী ১১ জুন পর্যন্ত। আর ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই থেকে।

বুধবার (১৬ মে) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।

শিডিউল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৩ জুন। শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চয়ন করতে হবে ২৯ জুনের মধ্যে। দ্বিতীয় ধাপে ভর্তি আবেদন শুরু হবে ৩০ জুন থেকে। যা চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ হবে ৪ জুলাই। একই দিন পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম দফায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশনের ফলও প্রকাশ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থী ভর্তি নিশ্চয়ন শুরু হবে ৫ জুলাই থেকে। যা চলবে ৮ জুলাই পর্যন্ত।

একাদশ শ্রেণির ভর্তি সংক্রান্ত শিডিউলে বলা হয়েছে, একাদশ শ্রেণিতে তৃতীয় ধাপে ভর্তি আবেদন শুরু হবে ৯ জুলাই থেকে। চলবে ১০ জুলাই পর্যন্ত। দ্বিতীয় ধাপের মাইগ্রেশন এবং তৃতীয় ধাপের ফল ১২ জুলাই প্রকাশিত হবে। তৃতীয় ধাপের ভর্তি নিশ্চয়ন করতে হবে ১৩ থেকে ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে।

Advertisement

সকল ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি শুরু হবে ১৫ জুলাই থেকে। ভর্তি কার্যক্রম চলবে ১০ দিন। অর্থাৎ ২৫ জুলাই একাদশ শ্রেণির ভর্তি শেষ হবে। আর একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই থেকে।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

শিক্ষা

১৮তম নিবন্ধনের প্রিলিমিনারিতে ফেল ৮ লাখ ৬০ হাজার

Published

on

পরীক্ষা নেয়ার দুই মাসের মধ্যে প্রকাশিত হলো ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল। এতে উত্তীর্ণ হয়েছে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন প্রার্থী। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সার্বিক পাসের গড় হার ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। সে হিসেবে প্রথম ধাপের পরীক্ষায় ফেল করেছে ৮ লাখ ৬০ হাজার ৮৫২ জন পরীক্ষার্থী।

বুধবার (১৫ মে) রাতে এ ফল প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।

এনটিআরসিএ এক বিজ্ঞপ্তিতে বলছে, গেলো ১৫ মার্চ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রিলিমিনারি টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়। প্রিলিমিনারি টেস্টে স্কুল-২, স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে মোট ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭১৯ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন। এই প্রিলিমিনারি টেস্টের ফলাফল বুধবার রাতে প্রকাশ করা হয়।

তথ্য অনুযায়ী, উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৬ জন, স্কুল পর্যায়ে ২ লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন এবং কলেজ পর্যায়ে ২ লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জনসহ সর্বমোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন।

পরীক্ষার্থী তার নিবন্ধন পরীক্ষার রোল এবং ব্যাচ নম্বর ব্যবহার করে পরীক্ষার ফলাফল এই লিংক থেকে জানতে পারবেন। তাছাড়া উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদেরকে টেলিটক বাংলাদেশ লি. হতে এসএমএস’র মাধ্যমেও ফলাফল জানিয়ে দেয়া হবে।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্যাম্পাস

জিপিএ-৫ কী জীবনের সব?

Published

on

সদ্য প্রকাশিত হয়েছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল। বরাবরের  মতো সব ধরনের আলোচনা জিপিএ -৫ ঘিরে। টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল, দৈনিক পত্রিকায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের উচ্ছ্বসিত ছবি আর সংবাদ। কিন্তু যারা জিপিএ-৫ পেলো না তাদের কি খবর। তাদের এই না পাওয়ার ব্যর্থতা মানে কি তারা জীবন যুদ্ধে পরাজিত। তারা কি জীবনে সফল হতে পারলো না। তাদের ভবিষ্যৎ কি তবে ধ্বংস হয়ে গেলো। সমাজের কিছু মানুষের মাঝে এমন ধারণাই অনেক সময় প্রত্যক্ষ করা যায়।

গেলো কয়েক বছর ধরে পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন অনেক শিক্ষার্থী আর অভিভাবকদের একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রস্তুতির প্রথম দিন থেকে ফলাফলের দিন পর্যন্ত সবার চিন্তা চেতনার মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে জিপিএ-৫। শিক্ষার্থীদের নতুন নতুন দক্ষতা অর্জন, এক্সট্রা কারিকুলার কাজ, বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশীদের সাথে মেলামেশা অনেক সময় হয়ে পড়েছে গৌণ।

পরীক্ষায় ভাল নম্বর শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎতের ক্যারিয়ারের জন্য জরুরী। তবে তারা যদি ভাল ফলাফল অর্জনে ব্যর্থ হয়, তাহলে সব কিছু শেষ হয়ে যায় না। ভালো ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় একজন শিক্ষার্থীকে এগিয়ে দেয় অনেক দূর। কিন্তু এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঠিক কতজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, ঢাকা মেডিকেলের মতো নামকরা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনার সুযোগ পাবে। এসব প্রতিষ্ঠানের আসন সংখ্যা হিসেব করলে, খুব অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী সুযোগ পাবে। বাকি যারা সুযোগ পেলো না, তারা কি চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাবে?

বাস্তবে অনেক অভিভাবক এসব বুঝে। কিন্তু এর পরেও তারা অনেক সময় জিপিএ- ৫ এর ওপর অতিরিক্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। এসবের কারণ জিপিএ- ৫ এর সাথে যুক্ত থাকা সামাজিক মুল্যের ট্যাগ। আর এই কারণে অনেক ছাত্রছাত্রীদের যেতে হয় মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে। ফলাফলের পরে ঘটছে অনেক আত্মহত্যার ঘটনা। এসব জীবন হয়তো রক্ষা করা যেত যদি আমরা একটু সচেতন হতাম।  জিপিএ- ৫ সব কিছু -এ প্রবণতা আমাদের চিন্তা চেতনার মাঝে প্রবেশ না করাতাম।

আত্মহত্যার পাশাপাশি অনেক শিক্ষার্থী মানসিকভাবে আঘাত পায় । এই সংখ্যা হয়তো আমরা জানি না। তবে আশে পাশে এরকম উদাহরণ অনেক আছ।  আর এ প্রবণতা যে শিক্ষার্থীদের জীবনে অনেক খারাপ প্রভাব ফেলছে তা নিঃন্দেহে বলা যায়।

Advertisement

তাই একজন পরীক্ষায় ভাল ফল অর্জন না করলে জীবনে সব শেষ। আর কেউ খুব ভাল ফলাফল করলে সব সফলতা পেয়ে গেলো, এমনটা ভাবা ঠিক নয়। তাই আমাদের উচিত জিপিএ ৫ ঘিরে যে হাইপ এটা পরিহার করা। আর এক্ষেত্রে কার্যকরী ভুমিকা পালন করতে পারে শিক্ষক আর অভিভাবকরাই। জিপিএ-৫ অর্জনই জীবনের সব কিছু এ ধারণা যেন শিক্ষার্থীদের মাঝে গেঁড়ে না বসে তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিতে হবে শিক্ষক আর অভিভাবকদের।

 

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version