Connect with us

লাইফস্টাইল

যেভাবে সমাধান মিলবে ফাটা গোড়ালি সমস্যার

Published

on

শীতের এই শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে হয় সকলকেই। তার মধ্যে অন্যতম হল ফাটা গোড়ালির সমস্যা। অনেকক্ষণ পানির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকলেও এই সমস্যা দেখা দেয়। শীতের শুরু থেকেই গোড়ালি খসখসে হতে শুরু করে। চাদর থেকে শুরু করে কম্বলে আটকে যায় পা, যা ভীষণ অস্বস্তিকর। অনেকক্ষেত্রে চূড়ান্ত ব্যথাও হয়ে থাকে। শুধুমাত্র ক্রিম লাগিয়ে গোড়ালি শীতের দিনে মসৃণ, নরম রাখা যায় না।

তবে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করলে শীতের দিনে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে খসখসে গোড়ালি থেকে-

মধু

এক গামলা হালকা গরম (ত্বকের পক্ষে উপযোগী) পানিতে এক কাপ মধু মিশিয়ে নিতে হবে। সেই পানিতেই বিশ মিনিট পা ডুবিয়ে বসে থাকতে হবে। শীতের ক্রিম লাগানোর পাশাপাশি সপ্তাহে যদি দু-তিনবার এই পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়, তাহলে খসখসে গোড়ালির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

কলা

এটি খসখসে গোড়ালি থেকে মুক্তি পাওয়ার অন্যতম একটি পদ্ধতি। দুটো পাকা কলা নিয়ে তার পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। সেটি ফুট মাস্ক হিসেবে লাগিয়ে নিতে হবে গোড়ালি থেকে পায়ের পায়ের পাতা পর্যন্ত। ২০ থেকে ২৫ মিনিট রেখে দিয়ে তারপরে ধুয়ে নিতে হবে। এই ফুট মাস্ক স্কিনকে হাইড্রেট করে, ড্রাই হতে দেয় না।

নারকেল তেল

শীতকালে সারাদিনে ২ থেকে ৩ বার যদি পায় নারকেল তেল লাগানো যায় তাহলে স্কিন নরম থাকে। বিশেষ করে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে যদি গোড়ালিতে লাগিয়ে শোয়া যায়, তাহলে তা নিঃসন্দেহে উপকার দেয়। তবে প্রতিদিন এই উপায় মেনে চললেই উপকার পাওয়া যাবে।

অ্যাপেল সিডার ভিনিগার

এক গামলা হালকা গরম পানিতে অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের সাথে একটা পাতি লেবুর বাইরের অংশটা ঘষে দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। তার মধ্যে অন্তত বিশ মিনিট পার ডুবিয়ে বসে থাকতে হবে। আর এই উপায় সপ্তাহে কয়েকবার অবলম্বন করলে তা নিঃসন্দেহে ফাটা গোড়ালির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে।

অ্যালোভেরা জেল

একটি বাটিতে দু চা চামচ এলোভেরা জেল ও এক চা চামচ গ্লিসারিন একসাথে মিশিয়ে নিতে হবে। আর সেই মিশ্রণটি প্রতিদিন গোড়ালিতে লাগালে উপকার পাওয়া অবধারিত। উল্লেখ্য, অ্যালোভেরা ও গ্লিসারিন স্কিনকে হাইড্রেট করে। পাশাপাশি গোড়ালির ত্বককে নরম রাখতেও সহায়তা করে।

 

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

Cancel reply

পরামর্শ

যে নিয়মে পানি পানেই ঝরবে ওজন, আরও যা লাভ শরীরের

Published

on

ওজন বেড়ে গেলেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে যায়। ওজন না কমলে যে শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধবে। ওজন ঝরাতে বিভিন্ন রকম ডায়েট করতে শুরু করেন কেউ কেউ। কিন্তু কেবল পানি পানেই ওজন ঝরানো যায়, সেটা জানেন কি? পুষ্টিবিদেরা একে বলেন ‘ওয়াটার ফাস্টিং’। ওজন ঝরাতে এই পন্থা বেশ কার্যকর।

এই উপবাসে পানি ছাড়া আর কিছুই খাওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আপনাকে কেবল পানি পান করেই পেট ভরাতে হবে। এতে শরীর থেকে টক্সিন পদার্থগুলি বেরিয়ে যায়। ওই নির্দিষ্ট সময়ে কোনও খাবার শরীরে যায় না, তাই শরীরে কোনও ক্যালোরিও ঢুকতে পারে না। অন্য কোনও ডায়েট করলে শরীরে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ ক্যালোরি কম ঢোকে। তবে এই ডায়েটে শরীরে কোনও ক্যালোরিই যায় না। দীর্ঘ দিন এই উপোস করলে চলবে না। কারণ, কাজকর্ম চালানোর জন্য শরীরের ক্যালোরির প্রয়োজন হয়। অল্প সময়ে এই উপোস করলে তবেই শরীরে বিপাকহার বাড়বে, শরীর চাঙ্গা হবে।

কীভাবে করতে হবে?

পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া এই উপোস না করাই ভালো। উপোস শুরু করার দিন চারেক আগে থেকে খাওয়াদাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে। প্রথমে এক দিন করে শুরু করুন উপোস। ধীরে ধীরে ২৪ ঘণ্টা থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত করতে পারেন এই উপোস। তবে সাবধান, এর বেশি কিন্তু উপোস করা চলবে না। এই উপোসে দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে হবে। উপোস চলাকালীন খুব বেশি পরিশ্রম করা যাবে না। শরীরে ক্যালোরির ঘাটতি হয় এই সময়ে, তাই অল্প কাজ করলেই ক্লান্ত হয়ে যেতে পারেন।

ওজন হ্রাস ছাড়া এই ডায়েট করলে কী কী উপকার হয়?

Advertisement

১. শরীরে অতিরিক্ত টক্সিন জমা হলে অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলির কার্যকারিতা কমে যায়। পানি পান উপোস করলে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায়।

২. শরীরের কোষগুলির উপর ইনসুলিনের প্রভাব বেড়ে যায়। ফলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে এই উপোস করার আগে ডায়াবিটিসের রোগীরা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।

৩. শরীরে লেবটিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। এই হরমোন খিদের অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে পানি পান করে উপোস করলে খিদে কম পাবে, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ইচ্ছেও কমে যাবে। ওজন বশে থাকবে।

৪. বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এই উপোস করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৫. পানি পান করে থাকলে শরীর কিটোসিস পর্যায়ে চলে যায়। কিটোসিস পর্যায়ে স্নায়ুর কার্যকারিতা বেড়ে যায়। ফলে মানসিক স্বাস্থ্যও ভাল থাকে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রূপচর্চা

‘ড্রাই শ্যাম্পু’ তৈলাক্ত চুলে এক জাদুকরী সমাধান

Published

on

সারাদিনের ধুলো ময়লায় চেহারার সাথে সাথে চুলের অবস্থাও খারাপ হয়ে যায়। বিশেষ করে, হুটহাট কোনো অনুষ্ঠান বা মিটিং-এ যেতে হবে, কিন্তু চুলের অবস্থা যাচ্ছে তাই! কিংবা হাতে যেটুকু সময় আছে তাতে শ্যাম্পু করে যাওয়াও সম্ভব না। এমন অবস্থায় সহজ সমাধান হতে পারে ড্রাই শ্যাম্পু। ঝটপট স্প্রে করে নিলেই মিলবে ঝলমলে চুল।

বেশিরভাগ ড্রাই শ্যাম্পু’ই তৈরি হয় স্টার্চ উপাদান দিয়ে। এটি মাথার ত্বক শুষ্ক রাখে, ফলে দু-একদিন চুল না ধুলেও তৈলাক্ত দেখায় না। সঠিকভাবে ব্যবহার করলে ড্রাই শ্যাম্পু হতে পারে আপনার জন্য আলাদিনের চেরাগের মতো। যা সময় বাঁচিয়ে আপনাকে দেবে আত্মবিশ্বাস।  তবে,  ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহারে কিছু সাধারণ ভুল অনেকেই করেন, যাতে করে মাথার ত্বকে খুশকির মতো ফ্লেক্স, নিস্তেজ ও শুষ্ক চুলের দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহারের নিয়মাবলী জেনে নিন।

যেভাবে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন:

১. ঠিক রঙ বেছে নিন:
বাদামি চুলে কালো শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুলে ফ্লেক্স দেখা যাবে আর চুলও নিস্তেজ হয়ে পড়বে। যেকোনো রঙ নেওয়ার পরিবর্তে নিজস্ব চুলের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে বা কাছাকাছি রঙের শ্যাম্পু বেছে নিন।

২. মাথার ত্বকের খুব কাছাকাছি স্প্রে করবেন না:
শুষ্ক চুলে ড্রাই শ্যাম্পু মাথা থেকে চার থেকে ছয় ইঞ্চি দূরে ধরে গোঁড়ায় স্প্রে করুন। ১২ ইঞ্চি দূরে রেখে স্প্রে করলেও ড্রাই শ্যাম্পু কাজ করবে। পাউডার বেসড শ্যাম্পু হলে স্কাল্পের কাছাকাছি ছড়িয়ে দিন। কিন্তু সরাসরি স্কাল্পে দেবেন না।

Advertisement

৩. ভালো মতো ঝাঁকিয়ে নিন:
শ্যাম্পু খোলার আগে অবশ্যই ভালো মতো বোতলটি ঝাঁকিয়ে নেবেন। স্টার্চ অনেক সময় বোতলের নিচের অংশে পড়ে থাকে। ভালো মতো ঝাঁকিয়ে নিলে মিশ্রণের সব উপাদান একই অনুপাতে থাকবে।

৪. ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করুন:
এক জায়গায় অনবরত স্প্রে না করাই ভালো। সম্পূর্ণ মাথায় ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে স্প্রে করুন। এক জায়গায় ক্রমাগত স্প্রে করতে থাকলে সেখানে স্পট বা সাদা হয়ে যায়।

৫. ড্রাই শ্যাম্পুর ব্যবহার শুধুমাত্র তেলতেলে স্থানে:
সারা মাথায় ড্রাই শ্যাম্পু স্প্রে করা’টা ঠিক না, শুধু উপরের দিকে দিন। আপনার চুলের নীচের অংশটি তেলতেলে হয় না, তাই নিচের দিকে স্প্রে করবেন না। এতে চুল দুর্বল হয়ে যায়।

৬. অত্যাধিক ব্যবহার না করা:
হাতে যখন পর্যাপ্ত সময় নেই, তখনই ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। কারণ, সবসময় ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করলে সেটা আপনার চুলের জন্য ক্ষতিকর। সাময়িকভাবে চুল ঝলমল করলেও অতিরিক্ত ব্যবহারে চুল হয়ে পড়বে শুষ্ক, নিস্তেজ। তাই যখন প্রয়োজন হবে তখন অল্প পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে।

৭. সেট হওয়ার সময় দিন:
ড্রাই শ্যাম্পু দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চুল আঁচড়াবেন না। কিছুক্ষণ সময় দিতে হবে এটি কাজ করার জন্য।

Advertisement

৮. ম্যাসাজ করুন:
ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহারের পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে তারপর হাত দিয়ে ম্যাসাজ করুন। তা না হলে এটি কেবল আপনার চুলের উপরে বসে থাকবে এবং স্কাল্পে গিয়ে কাজ করবে না। তারপর চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে ফেলুন। এতে সাদা সাদা হয়ে থাকার সম্ভাবনা থাকবে না।

৯. প্রতিদিন ব্যবহার করবেন না:
প্রতিদিন ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহারে মাথার লোমকূপ বন্ধ হয়ে স্কাল্পের ক্ষতি হতে পারে। এমনকি চুলের গোঁড়া দুর্বল করে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে এবং ত্বকের সমস্যা, যেমন: ডার্মাটাইটিস ও ব্রণ হতে পারে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রেসিপি

থাইল্যান্ড নয়, ঘরেই বানিয়ে ফেলুন বিখ্যাত ম্যাঙ্গো স্টিকি রাইস

Published

on

মধুমাস মানে রসে মাখামাখি করে আম খাওয়ার দিন। তীব্র গরমে আমের স্বাদ আমাদের এনে দিতে পারে স্বস্তি। এই সময় আম দিয়ে নানান পদ তৈরি করে খাওয়া হয়। শুধু স্বাদ নয়, আম স্বাস্থ্যের জন্যও দারুণ উপকারী।

আম দিয়ে তৈরি নানা রকমের খাবারের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি পদ হলো স্টিকি রাইস। বর্তমানে এটা বিভিন্ন নামি দামি রেস্তোরাঁয় প্রচলিত একটি খাবার হয়ে উঠেছে। কিন্তু চাইলেই খুব সহজে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারবেন মজাদার ও স্বাস্থ্যসম্মত ম্যাঙ্গো স্টিকি রাইস। ম্যাঙ্গো স্টিকি রাইস মূলত জনপ্রিয়তা পেয়েছে থাইল্যান্ড থেকে। খেয়াল করে দেখবেন, আপনার যেসব বন্ধু, বা পরিচিতরা থাইল্যান্ডে বেড়াতে গেছেন তাদের মুখে এই খাবার’টার নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন।

ম্যাঙ্গো স্টিকি রাইস বানাতে লাগবে গ্লুটিনাস রাইস অর্থাৎ বিন্নি চাল। বাংলাদেশে বিন্নি চাল সহজলভ্য। প্রথমে এক কাপ বিন্নি চাল ভিজিয়ে রাখতে হবে ঘণ্টাখানেক। ভেজানো চাল একটি পাতিলে সিদ্ধ করে নিতে হবে আধা ঘণ্টা।

চালগুলো সিদ্ধ হতে হতে বানিয়ে নিতে হবে নারকেলের সস। নারকেলের দুধ নিতে হবে দুই কাপ পরিমাণ। নারকেল বেটেও দুধ বের করে নেওয়া যায়। তবে এ কাজটা বেশি ঝামেলা মনে হলে সুপার শপ থেকে নারকেলের দুধ কিনে নিতে পারেন।

এবার একটি ফ্রাই প্যানে দুই কাপ নারকেলের দুধ, আধা কাপ চিনি, আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে জ্বাল দিতে হবে। চাইলে পছন্দ অনুযায়ী চিনি কম-বেশি করে নিতে পারেন। একটু ঘন হয়ে আসলে সেখান থেকে এক কাপ পরিমাণ নারকেলের সস সরিয়ে আলাদা রাখুন।

Advertisement

এবার প্যানে থাকা সেই নারকেলের দুধে আগে থেকে সিদ্ধ করে রাখা বিন্নি চালের ভাতগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে ঢাকনা বন্ধ করে রেখে দিন ১৫-২০ মিনিট। চুলা সেসময় কিন্তু বন্ধই থাকবে। এই সময়ে বিন্নি চালের ভাতগুলো সুন্দরভাবে নারকেলের দুধের সসের সঙ্গে মিশে মাখামাখা একটা ভাব আসবে। আর এতে করে স্টিকি রাইসের স্বাদ বেড়ে যাবে বহু গুণে।

এবার পরিবেশনের পালা। একটা ঠান্ডা পাকা আম খোসা ছাড়িয়ে স্লাইস করে কেটে নিন। একটা প্লেটে নারকেলের দুধ মাখানো স্টিকি রাইস দিয়ে চারপাশে আমের স্লাইস দিয়ে মনের মতো সাজিয়ে নিন। এরপর আগে থেকে তুলে রাখা নারকেলের সস ও ভাজা তিল দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার ম্যাঙ্গো স্টিকি রাইস।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version