ইসলাম
ইজতেমায় মৃত্যু ৯ জনের
আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তাবলিগ জামাত আয়োজিত ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইজতেমার সময়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মুসল্লিদের মধ্যে সর্বমোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে প্রথম পর্বে মারা গেছেন চারজন এবং দ্বিতীয় পর্বে মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের।
আজ সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিশ্ব ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের নেয়া কার্যক্রম ও পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রথম পর্বের ইজতেমা শুরুর আগের দিনেই (১২ জানুয়ারি) দুইজনের মৃত্যু হয়েছে, ইজতেমার প্রথম দিনে (১৩ জানুয়ারি) একজনের মৃত্যু হয়েছে, দ্বিতীয়দিনেও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে ইজতেমার তৃতীয় দিন আখেরি মোনাজাতের দিন কারও মৃত্যু হয়নি। এরপর দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরুর দিনে (২০ জানুয়ারি) তিনজনের, দ্বিতীয় দিনে একজনের এবং তৃতীয় ও শেষ দিনে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
দুই পর্বের ইজতেমায় সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ পরিচালিত ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের সার্বক্ষণিক চিকিৎসা, ওষুধপত্র সরবরাহে পরিচালিত মেডিকেল ক্যাম্পের বহিঃবিভাবে মোট ২ হাজার ৯৪১ জন, দন্ত বিভাগে ১৪৮ জন এবং জরুরি বিভাগে (প্রাথমিক সেবা) ৯২৫ জন চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। এছাড়াও কার্ডিয়াক সেবা নিয়েছেন ৯০ জন, অ্যাজমা সেবা নিয়েছেন ৮২ জন, ট্রমা ও অর্থো সার্জারি সেবা নিয়েছেন ১১৪ জন, ডায়রিয়া আক্রান্ত হন ৩৮ জন, বার্ন হন ১৩ জন, ভর্তি রোগী (ইনডোর) ৯৪ জন। এছাড়া ইজতেমা মেডিকেল ক্যাম্প থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে ৯৪ জন রোগীকে।
অধিদপ্তর জানায়, ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের সার্বক্ষণিক চিকিৎসা, ওষুধপত্র সরবরাহসহ জরুরি অ্যাম্বুলেন্সের বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছিলো স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য বিভাগের নেতৃত্বে ৬টি কেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টা সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে তুরাগ নদীর উত্তর পাশে আর রেড ক্রিসেন্টের সহায়তায় দক্ষিণ পাশে চিকিৎসা কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৩-১৫ জানুয়ারি। এতে মাওলানা জোবায়ের পক্ষের লোকজন অংশ নেন। আর দ্বিতীয় পর্ব ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই পর্বে মাওলানা ওয়াসেকের অনুসারীরা অংশ নিয়েছেন।
ইসলাম
রোজাদারের বিশেষ মর্যাদা
রমজান মাস মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র ও মর্যাদার মাস। এ মাসেই পবিত্র কুরআন মাজিদ নাযিল হয়। যা মুমিনের জন্য জীবন পরিচালনার গাইড বুক। মুমিনের জীবনে আত্মমুদ্ধির জন্য এ মাসে বিশেষ ইবাদত হচ্ছে রোজা। যে ব্যাক্তি এ মাসে আল্লাহকে রাজি-খুশি করার নিয়তে রোজা পালন করবে, তার জন্য রয়েছে বিশেষ সম্মান ও মর্যাদা। পবিত্র কুরাআন ও হাদিসে এ বিষয়ে অনেক ঘোষণা এসেছে।
আল্লাহ বলেন- তোমাদের মধ্যে যে রমজান মাস পায় সে যেনো রমজান মাসের রোজা রাখে।(সুরা বাকারা আয়াত নং১৮৫)।
ইসলমের মূল পাঁচটি ভিত্তি রয়েছে। এর কোনটিই অস্বীকার করা বা পালন না করার কোনও সুযোগ নেই। প্রত্যেক মুমিনকেই এগুলো পালন করতে।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি জিনিসের উপর, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নাই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তাআলা রাসূল এই সাক্ষ্য প্রদান করা, নামাজ কায়েম করা, যাকাত আদায় করা, হজ করা, রমজানের রোজা রাখা।(সহি বুখারী হাদিস)
রোজা এমনই এক ইবাদত যদি রোজাদার কবীরা গুনা থেকে বিরিত থাকে, তা হলে আল্লাহ তার অন্য গুনা মাফ করে দেন।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যদি রোজাদার কবীরা গুনাহ থেকে বিরত থাকে তাহলে এক রমজান পরবর্তী রমযান পর্যন্ত মধ্যবর্তী গোনাহসমূহের কাফ্ফারা হয়ে যায়।(সহি মুসলিম)
অপর হাদিসেছে- আল্লাহ নিজেই রোজাদারের প্রতিদান দেবেন।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, রোজাদার আমাকে রাজি খুশি করার জন্য পানাহার এবং যৌন চাহিদা পরিহার করেছে। এবং আমার জন্যই রোজা রেখেছে আমিই তার প্রতিদান দিব।(সহি বুখারী)।
রোজাদার সারা দির রোজা রাখার পর তার মুখে একটি গন্ধ হয়, সে গন্ধ আল্লাহর কাছে অনেক প্রিয়।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, শপথ ঐ সত্তার যার হাতে মুহাম্মদের জীবন, রোজাদারের মুখের আল্লাহ তাআলার নিকট মেশকের সুগন্ধির চেয়েও অধিক সুগন্ধময়।(সহি বুখারী)
কেয়ামতের দিন, শেষ বিচারের দিন পাপিরা জাহান্নামে যাবে। এ জাহান্নাম থেকে রোজা মুমিনকে রক্ষা করবে।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদেরকে তোমাদের ঢাল যেমনিভাবে শত্রু আক্রমণ থেকে যুদ্ধের ময়দানে রক্ষা করে তেমনি ভাবে রোজা রোজাদারকে জাহান্নাম থেকে ঢাল হিসাবে রক্ষা করে। (সুনানে ইবনে মাজাহ)
ইসলাম
ভিসা ছাড়াই ওমরা করতে পারবেন যারা
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) ২৭ দেশের নাগরিক ভিসা ছাড়াই ওমরা করতে পারবেন বলে জানিয়েছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয়। ওমরা প্রক্রিয়া সহজ, উন্নতমানের সেবা এবং সৌদির সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার জন্য সৌদির ভিশন-২০৩০ এর অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, হজের জন্য যোগ্য ব্যক্তিরা সহজেই নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে তাদের ওমরা পালনের পরিকল্পনা সাজাতে পারবেন। চাইলে এসব দেশের নাগরিকরা সৌদিতে পৌঁছেই ওমরা করতে পারবেন।
এছাড়া এসব দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা অন-অ্যারাইভাল প্রক্রিয়া আরও সহজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি সরকার। তারা ঘোরাঘুরির জন্য এসেছে, নাকি ওমরা পালনের জন্য; সে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে না। এটি ভিসাধারীদের নিকটাত্মীয়দের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
এছাড়াও ট্রানজিট ভিসার মাধ্যমেও ওমরা পালন করা যাবে। তবে তাদের সৌদি এয়ারলাইন্সের বিমানে আসতে হবে। পুরো বিশ্বের মুসলিমদের জন্য ওমরা পালন সহজ করতেই এমন সুযোগ রাখল সৌদি আরব।
এএম/
ইসলাম
দশ বছরের আব্দুল্লাহ সাত মাসেই কুরআনের হাফেজ
মাত্র সাত মাসেই পবিত্র কুরআন মুখস্থ করে হাফেজ হয়েছেন ১০ বছরের আব্দুল্লাহ ইবনে একরাম। আবদুল্লাহ একই উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের মুন্সীবাড়ি মাদানী নেছাব মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। শিশু শ্রেণি থেকেই এই মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে সে।
আব্দুল্লাহ নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মলংচর গ্রামের চৌধুরী হাজী বাড়ির একরাম হোসেন ও জান্নাতুল নাইম দম্পতির বড় সন্তান। একরাম হোসেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে একটি প্রকল্পের অধীনে কর্মরত আছেন এবং মা জান্নাতুল নাইম গৃহিণী।
আব্দুল্লাহর মা জান্নাতুল নাইম বলেন, আমার বড় ছেলে কম সময়ে কুরআনের হাফেজ হয়েছে। এজন্য আল্লাহ তা’য়ালার কাছে শুকরিয়া আদায় করি। তার ওস্তাদদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনারা সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন। সে যেন বড় আলেম হতে পারে।
আব্দুল্লাহর বাবা একরাম হোসেন বলেন, স্বপ্ন ছিল ছেলেকে কুরআনের হাফেজ বানাব। আল্লাহ তায়ালা আমার স্বপ্ন এত কম সময়ে পূরণ করবেন জানা ছিল না। আল্লাহর কাছে লাখ কোটি শুকরিয়া, মাদ্রাসার হুজুরদের কাছে আমি ঋণী। তাদের একান্ত প্রচেষ্টায় আমার ছেলে মাত্র সাত মাসে কোরআনের হাফেজ হয়েছে।
আব্দুল্লাহ ইবনে একরাম গণমাধ্যমে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ! আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। আমার ওস্তাদরা আমাকে অনেক বেশি সহায়তা করেছেন। ওস্তাদদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন ভবিষ্যতে বড় একজন আলেম হতে পারি।
মুন্সীবাড়ি মাদানী নেছাব মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মো. হারুনুর রশিদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ১০ বছর ৪ মাস বয়সী আব্দুল্লাহ ইবনে একরাম ৭ মাস ১৮ দিনে হিফজ শেষ করেছে। তার ওস্তাদরা অনেক বেশি পরিশ্রম করেছেন। তার অভিভাবকও অনেক পরিশ্রমী ও আন্তরিক। আমরা মহান আল্লাহর নিকট তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ প্রার্থনা করি।
এএম/
-
আইন-বিচার6 days ago
৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
-
ক্রিকেট4 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
-
টুকিটাকি6 days ago
চলন্ত বাইকেই রোম্যান্সে মত্ত প্রেমিক-প্রেমিকা!
-
জাতীয়5 days ago
ঢাকার ২ সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
-
খুলনা6 days ago
এসএসসি পাশের আনন্দ কেড়ে নিলো ট্রাক
-
অপরাধ6 days ago
অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস
-
বলিউড2 days ago
জরায়ুতে কত বড় টিউমার ধরা পড়েছে জানালেন রাখি
-
আইন-বিচার3 days ago
ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস এসএমসি প্লাসকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন