স্বর্ণের প্রলেপে মিললো ৪৩০০ বছরের পুরোনো মমি

মমির দেশ মিশর। সম্প্রতি দেশটির রাজধানী কায়রোর কাছে ৪ হাজার ৩শ’ বছর আগের একটি মমির সন্ধান পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। যা রাখা ছিল, স্বর্ণের প্রলেপ দেয়া কফিনে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত মমিগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রাচীন এটি।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসির দেয়া এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার অন্যতম বিস্ময় ‘মমি’। এটি মূলত মরদেহকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় কাপড় দিয়ে পেচিয়ে রাখা। যাতে তা টিকে থাকে হাজারো বছর। ফারাও বা মিশরের রাজাদের পাশাপাশি ধনিক শ্রেণি, সেনা কমান্ডার ও অভিজাতরা তাদের মমি করিয়েছেন।

এতদিন ফারাওদের পূর্ণাঙ্গ মমি উদ্ধার হলেও, অন্যদের তা আংশিকই মিলেছে। তবে, এবার কায়রোর কাছে সাক্কারাতে ৪ হাজার ৩শ’ বছর আগের এক ব্যক্তির পূর্ণাঙ্গ মমি খুঁজে পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। যা কোনো ফারাওয়ের নয় এবং এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত মমিগুলোর মধ্যেও অন্যতম প্রাচীন।

তবে, মমিটির তেমন কোনো পরিচয় উদ্ধার সম্ভব হয়নি। শুধু চুনাপাথরের কফিনের গায়ে লেখা ‘হেকাশেপিস’। সম্ভবত এটি তার নাম। পুরো কফিনটিই সোনার প্রলেপ দেয়া।

মমিটির প্রসঙ্গে প্রত্নতাত্ত্বিক দলের প্রধান ও মিশরের সাবেক পুরাকীর্তি মন্ত্রী জাহি হাওয়াস বলেন, এটি মিশরে এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে পুরানো এবং ফারাও নন, এমন ব্যক্তিদের মধ্যে প্রথম সম্পূর্ণ মমি। আবিষ্কারগুলো খ্রিস্টপূর্ব ২৫ থেকে ২২ শতকের।

প্রাচীন মিশরের রাজধানী মেমফিসে অবস্থান, সাক্কারার। যা ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত। যে জায়গাটিতে এই মমি উদ্ধার হয়, সেটি ফারাও সাম্রাজ্যের পঞ্চম ও ষষ্ঠ রাজবংশের সমাধিক্ষেত্রের একটি।

হেকাশেপিসের মমির আশপাশে আরও তিনটি সমাধি খুঁজে পান প্রত্নতত্ত্ববিদরা। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সমাধিটি পুরোহিত ও প্রাসাদ কর্মকর্তা ‌‘খনু-মজেদেফের’। বাকি দুজন হলেন, মেরি নামে এক গোপনরক্ষী, যিনি বিশেষ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান করেন এবং ফেতেক নামের এক বিচারক ও লেখক। এ সব সমাধিতে মূর্তি, মাটির পাত্রসহ বেশ কিছু প্রত্নবস্তুও মিলেছে।

এদিকে, মিশরের লুক্সরের প্রত্নত্ত্ববিদরা দাবি করেছেন, খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় ও তৃতীয় শতাব্দীর রোমান যুগের একটি আবাসিক শহর আবিষ্কার করেছেন তারা। যেখানে রয়েছে তৎকালীন তৈজসপত্র, দৈনন্দিন কাজের সরঞ্জাম ও রোমান মুদ্রা রয়েছে।

Recommended For You

Leave a Reply Cancel reply

Exit mobile version