বিনোদন
বিরক্ত কেন ব্রিটনি স্পিয়ার্স!
প্রিয় সেলিব্রিটিদের দেখার জন্য আজকাল আর হন্যে হয়ে টিভি বা সিনেমার জন্যে বসে থাকতে হয় না। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াই হল সেলিব্রিটিদের সঙ্গে সাধারণ মানুষদের দেখা করিয়ে দেয়ার সবথেকে সহজ মাধ্যম। আর এ সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই সমস্ত আপডেট মেলে সেলিব্রিটিদের। কিন্তু এর ফলে মাঝে মধ্যেই নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা। তখন উপায় না পেয়ে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়া ত্যাগ করেন।
তবে কী কোনও বিপাকে পড়েই ইনস্টাগ্রাম বন্ধ করে দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক গায়িকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স! সম্প্রতি আচমকাই ইনস্টাগ্রাম ছেড়ে যাওয়ার কারণ প্রকাশ্যে আনলেন ৪১ বছর বয়সী গায়িকা। সঙ্গে ভক্তদের তিরস্কারও করেছেন তার বাড়িতে পুলিশ পাঠানোর জন্য।
আচমকাই ব্রিটনি স্পিয়ার্স তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দিয়েছিলেন, যা তার ভক্তদের মধ্যে রীতিমতো উদ্বেগের সৃষ্টি করেছিল। এরপরেই ভক্তরা গায়িকার সুস্থতা পরীক্ষা করার জন্য তার বাড়িতে পুলিশ পাঠায়। এ ঘটনায় একেবারেই সন্তুষ্ট নন ব্রিটনি।
তাই তো তিনি তার টুইটার হ্যান্ডেলে এ সম্পর্কে জানিয়েছেন, এর আগে অতীতেও তিনি বেশ কয়েকবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে তার অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলেছিলেন। এছাড়াও মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কেও তিনি বলেছেন যে, তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ এবং ভাল আছেন। এবং নিজের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, তিনি যোগ ব্যায়াম, জিমে অনুশীলন করছেন। তিনি ইনস্টাগ্রাম ছেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে লিখেছেন, ‘আমি আমার ইনস্টাগ্রাম বন্ধ করে দিয়েছি কারণ, সেখানে অনেক লোক আমাকে বলেছিল যে, আমি একজন ইডিয়টের মতো নাচ করি, আমাকে পাগল লাগছিল দেখতে। সত্যি বলতে, আমি আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করছিলাম কিন্তু লোকেরা যেভাবে এটি নিয়ে কথা বলেছেন তাতে আমি বিরক্ত হয়েছি।’
এরপর ব্রিটনি স্পিয়ার্স তার ভক্তদের বাড়িতে পুলিশ পাঠানোর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, ‘আমি হতবাক! আমার ইনস্টাগ্রামকে যখন বন্ধ করে ফেলি, তখন ভক্তরা চিন্তিত হয়ে পুলিশ পাঠায় আমার বাড়িতে। যা সত্যিই অযাচিত। আমি আমার ভক্তদের ভক্তি করি কিন্তু যারা এটা করেছে তারা সত্যই আমার ভক্ত নয়, আমাকে খারাপ দেখানোর জন্যই তারা এই কাজটি করেছে।’
সবশেষে ব্রিটনি জানিয়েছেন, ‘আমি বেঁচে আছি, ভালো, সুস্থ আছি। একটি নতুন দিন শুরু করার জন্য প্রস্তুত আছি। আমার প্রকৃত ভক্তদের ঈশ্বর মঙ্গল করুন।’
বলিউড
প্রকাশ্যে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ায় শাহরুখকে যা বলেছিলেন প্রিয়াঙ্কা
বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান এবং প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার প্রেমের গুঞ্জনে এক সময় উত্তাল ছিল ইন্ডাস্ট্রি। পরে রাজনীতির শিকার হয়ে ইন্ডাস্ট্রি তো বটেই, দেশও ছাড়তে হয়েছিল বলে প্রিয়াঙ্কাকে। তবে সেসব ঘটনার অনেক আগেই শাহরুখ জানতে চেয়েছিলেন, পিসির পছন্দের পাত্র কেমন হবে?
২০০০ সালে প্রিয়াঙ্কা যখন বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিলেন, সেখানে একজন বিশেষ বিচারক ছিলেন শাহরুখ খান। প্রশ্নোত্তর পর্বে শাহরুখ বলেন, ‘ধরো তোমাকে যদি বিয়ের পাত্র হিসেবে ক্রিকেটার মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন, বা কোনো ধনকুবের ব্যবসায়ী অথবা আমার মত কোনো অভিনেতাকে বেছে নিতে বলা হয়, তখন তুমি কাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে নির্বাচন করবে?’
প্রিয়াঙ্কা খুব বেশি ভাবনাচিন্তা না করেই আজহারউদ্দিনের নাম নেন।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘তিনি একজন মহান খেলোয়াড়। কোনো ম্যাচ জিতে তিনি যখন বাড়ি ফিরবেন, আমি তাকে বলব, পুরো দেশবাসীর মত আমিও তোমার জন্য গর্বিত। আমার বিচারে আজহারউদ্দিন একজন বলিষ্ঠ নেতা, যিনি টিমকে গড়ে তুলতে জানতেন।’
ঐ সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় সেরার শিরোপা জিতেছিলেন অভিনেত্রী। তার পরপরই একটি তামিল সিনেমা করেন প্রিয়াঙ্কা। এর পরের অধ্যায়ে একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
কিন্তু বিপত্তি বাঁধে শাহরুখের সঙ্গে ডন সিনেমায় অভিনয় করার পর। একটা সময়ে হিন্দি সিনেমায় অনিয়মিত হয়ে পড়েন তিনি। প্রিয়াঙ্কার বলিউড ছাড়ার কারণগুলোর মধ্যে বারবার এসেছে শাহরুখের নাম।
ডন সিনেমার সেটে শাহরুখ-প্রিয়াঙ্কা ভালো বন্ধু বনে গিয়েছিলেন। এরপর ডন-২ মুক্তির পর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দুজনের সম্পর্কের নতুন বাঁকের খবর ছড়ায়। প্রিয়াঙ্কা তখন শাহরুখের স্ত্রী গৌরী খানের বিরাগভাজন হোন।
সে সময় স্ত্রীকে শান্ত করতে গিয়ে শাহরুখ নাকি কথা দিয়েছিলেন, আর কোনো কাজ তিনি করবেন না প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে। এরপর কাজ কমে যাওয়ায় প্রিয়াঙ্কাও বলিউড ছেড়ে পাড়ি জমান হলিউডে।
পরে এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রিতে আমাকে একটা সময় কোনঠাসা করে ফেলা হয়েছিল। আমাকে সিনেমায় নেয়া হচ্ছিল না। এই রাজনীতিতে আমি ভীষণ তিক্ত হয়ে পড়েছিলাম।’
পরবর্তীতে ২০১৫ সালে আমেরিকান টিভি সিরিজ কোয়ান্টিকোতে অভিনয়ের মাধ্যমে হলিউডে পা রাখেন প্রিয়াঙ্কা। বর্তমানে নিজেকে আন্তর্জাতিক তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সাবেক এই বিশ্ব সুন্দরী।
এসআই/
ঢালিউড
আজীবন জবি ক্যাম্পাসে ফ্রি গান গাইবেন আকাশ
হৃদ্রোগে আক্রান্ত বাবার চিকিৎসার অর্থ জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তরুণ সঙ্গীত শিল্পী ফতেহ আলী খান আকাশ। নিজের একটি কিডনি বিক্রি করতে পোস্ট দিয়েছিলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেই পোস্ট দেখে এগিয়ে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকমন্ডলিসহ সহপাঠী, বন্ধু, চেনা অচেনা অনেকেই। তাদের সকলের সহযোগীতায় অবশেষে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে আকাশের বাবার হার্টের অপারেশন।
বাবার অপারেশনের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আকাশ লিখেছেন, ‘আগামীকাল আব্বুর অপারেশন। আমার খারাপ সময়ে যারা পাশে ছিলেন সবার প্রতি আমি আজীবন কৃতজ্ঞ৷ বিশেষ করে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক মন্ডলি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, আমার সহপাঠী ভাই ও বন্ধু,চেনা অচেনা সকলকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। আমার আব্বুর পেইসমেকার লাগানোর জন্য প্রায় ৩ থেকে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা প্রয়োজন ছিলো তা আমি পেয়েছি৷
কিন্তু অপারেশন পরবর্তীতে অনেক খরচ আছে। আমাকে এখন আর টাকা দিয়ে সাহায্য না করে আমাকে কাজ দিন, গানের প্রোগ্রাম দিন। আশা করি বাকি খরচ আমি নিজেই ম্যানেজ করতে পারবো। সবার প্রতি অনেক অনেক ভালোবাসা। দয়া করে আর কেউ টাকা পাঠাবেন না। আর প্লিজ এই বিষয় নিয়ে আর কেউ কোনো নিউজ বা পোস্ট দিয়েন না। সবাই আমার আব্বুর জন্য দুয়া কইরেন।’
শুধু তাই নয় আরো একটি পোস্টে আকাশ জানান, ভবিষ্যতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কন্সার্টে তিনি ফ্রি গান গাইবেন।
উল্লেখ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী ফতেহ আলী খান আকাশ। এছাড়াও নিয়মিত গান করেন আরটিভির ফোক স্টেশনে।
এসি//
টলিউড
সত্যিই কি প্রেমের সম্পর্ক ছিলো প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার?
শিগগিরই মুক্তি পেতে চলেছে চলেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত জুটির ৫০তম সিনেমা অযোগ্য। একসময় বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন তাঁরাই। উত্তম-সুচিত্রার সঙ্গে যদি টলিউডে আরও দুটো নাম একসঙ্গে উচ্চারিত হয়, তবে তাঁরা হলেন প্রসেনজিৎ আর ঋতুপর্ণা।
‘অযোগ্য’ সিনেমার প্রচারণায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন এই জুটি। নতুন ছবি মুক্তি সামনে রেখে আরো একবার অবধারিত একটি প্রশ্নের মুখে পড়তে হলো প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণা’কে!
এই দুই তারকার সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে বহুবার। মাঝে অনেকগুলো বছর একসঙ্গে কাজ করেনি। শোনা যায়, ভুল বোঝাবুঝি দূরত্ব এনেছিল দুজনের মধ্যে। অনেক দর্শকের মনে তাই প্রশ্ন জাগে, কোনও দিন কি প্রেম করেছেন তাঁরা? শুধুই কি সহকর্মী বা বন্ধু ছিলেন, নাকি আরও কিছু ছিল দুজনের মধ্যে?
ভক্তদের মনে থাকা প্রশ্নকে আরও যেন একটু উস্কে দিলেন প্রসেনজিৎ। বললেন, ‘উত্তম-সুচিত্রার প্রেম ছিল কি ছিল না? থাকুক না, কিছু জিনিস অজানা থাকুক, মানুষ ভাবতে থাকুক। যখন আমরা থাকব না, তখনও যাতে এসব নিয়ে আলোচনা চলে।’
একই সুর শোনা গেল ঋতুপর্ণার মুখেও। বললেন, ‘আমি তো বলেছি প্রজন্মের পর প্রজন্ম এটাই হাতড়ে যাবে, ওদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল কী ছিল না।’
এ সময় প্রসেনজিৎ আরো বলেন, ‘সব সম্পর্কের না বিশ্লেষণ হয় না। কিছু সম্পর্ক বিশ্লেষণের বাইরে। সেই জায়গাটাকে ছেড়ে রাখাই ভালো।’
আসছে ৭ জুন মুক্তি পাবে ‘অযোগ্য’। ছবিটিতে আরো রয়েছেন শিলাজিৎ মজুমদার, লিলি চক্রবর্তীরা।
এসআই/
-
ক্রিকেট6 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
-
জাতীয়6 days ago
ঢাকার ২ সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
-
বলিউড4 days ago
জরায়ুতে কত বড় টিউমার ধরা পড়েছে জানালেন রাখি
-
আইন-বিচার5 days ago
ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস এসএমসি প্লাসকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা
-
বলিউড3 days ago
অর্থাভাবে চড়া দামে ফ্ল্যাট ভাড়া দিলেন মালাইকা অরোরা
-
আইন-বিচার5 days ago
তনির কাছে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করেনি লাখানি কালেকশন
-
ঢাকা3 days ago
এ যেনো আরেক ছুটির ঘণ্টা!
-
আইন-বিচার7 days ago
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নতুন নির্বাচন দাবি করে নিপুণের রিট
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন