Connect with us

ক্রিকেট

বোনার-সিলভা-জোসেফে বড় সংগ্রহ ওয়েস্ট ইন্ডিজের

Published

on

এনক্রুমাহ বোনার, জসুয়া ডি সিলভা ও আলজারি জোসেফের অর্ধশত রানে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৪০৯ রানের বড় সংগ্রহ করেছে সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যদিও ক্যারিবীয়দের সংগ্রহ আরো বাড়তে পারত। কিন্তু তাতে বাধা দেন আবু জায়েদ রাহি ও তাইজুল ইসলাম। উভয়েই ৪টি করে উইকেট লাভ করেছেন। বাকি দুটি উইকেট লাভ করেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও সৌম্য সরকার।

বৃহস্পতিবার মিরপুরে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট। 

উদ্বোধনী জুটিতে প্রথম সেশন নিজেদের করে নেন ক্রেইগ ব্রাথওয়েট ও জন ক্যাম্পবেলের ৬৬ রান। পরে তাইজুলের বলে এলবির ফাঁদে পড়ে বিদায় নেয়ার আগে ৬৬ রানের জুটি গড়েন দুজনে। ক্যাম্পবেলের ব্যাট থেকে আসে ৩৮ রান, আর কোন উইকেট না হারিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল।

লাঞ্চ থেকে ফিরেই ৫০ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে কক্ষপথে আনেন রাহি ও সৌম্য সরকার। ৭ রান করা শেন মোসল। রাহিকে ড্রাইভ করতে গিয়ে বল স্ট্যাম্পে টেনে বোল্ড হয়ে যান ৩৮ বলে ৭ রান করা শেন মোসল। এরপর অধিনায়ক মুমিনুল সৌম্য সরকারের হাতে বল তুলে দেন ব্রেক থ্রুর আশায়। প্রথম বলেই দলকে সাফল্য এনে দেন সৌম্য। প্রথম স্লিপে শান্তকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১২২ বলে ৪ বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৭ রান করা অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট।

আগের ম্যাচের রেকর্ডবয় কাইল মায়ার্সকে ৫ রানে আউট করেন রাহি। স্লিপে সৌম্যর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ১১৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাল ধরেন এনক্রুমাহ বোনার ও জার্মেইন ব্ল্যাকউড, গড়ে তোলেন প্রতিরোধ। পঞ্চম উইকেটে দুজনে যোগ করেন ৬২ রান। অনেক চেষ্টা করেও যখন জুটি ভাঙতে পারছিলো না তখন দায়িত্ব তুলে নেন তাইজুল ইসলাম। ২৮ রান করা ব্ল্যাকউডকে কট অ্যান্ড বোল্ডের মাধ্যমে সাজঘরে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তাইজুল। এর আগে ৭৭ বলে ৫ চারে ২৮ রান করেন তিনি। 

Advertisement

দ্বিতীয় দিনে সেঞ্চুরি থেকে ১০ রান দূরে থাকতে এনক্রুমাহ বোনারকে মিথুনের ক্যাচ বানিয়ে ফেরত পাঠান মিরাজ। তার আগে অবশ্য ২০৯ বলে ৭ চারের সাহায্যে ৯০ রানের ইনিংস খেলেন। এরপর জসুয়া ডি সিলভা ১৮৭ বলে ১০ বাউন্ডারির সাহায্যে ৯২ রান করে তাইজুলের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন। সিলভার বিদায়ের ১২ রান পর আলজারি জোসেফ ১০৮ বলে ৮ চার ও ৫ ছয়ে ৮২ রান করে রাহির বলে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ২ রান পর দলীয় ৩৯৮ রানে রাহি ওয়ারিক্যানকে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান। এরপর শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে ইনিংসের ইতি টানেন তাইজুল ইসলাম। 

মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশ দল ৩ ও ক্যারিবীয়ানরা একাদশে ১ টি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামেন। ইঞ্জুরির কারণে একাদশ থেকে ছিটকে যান সাকিব আল হাসান ও সাদমান ইসলাম, বাদ পড়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। তাদের জায়গায় একাদশে সুযোগ পান সৌম্য সরকার, আবু জায়েদ রাহি ও মোহাম্মদ মিথুন। উইন্ডিজদের হয়ে আলজারি জোসেফকে জায়গা ছেড়ে দেন কেমার রোচ।

এস

ক্রিকেট

চ্যাম্পিয়ন ভারতকে উড়িয়ে দিল জিম্বাবুয়ে

Published

on

বিশ্বকাপ জেতার পর পর এমন পরিস্থিতিতে নিশ্চয়ই পড়তে চায়নি ভারত! জিম্বাবুয়ে সফরে এখন ভারতীয় দল। সেখানে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতকে ১৩ রানে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান সংগ্রহ করেছে ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১০২ রানে অলআউট হয়েছে জিম্বাবুয়ে।

হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতেছিল ভারত। প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। জিম্বাবুয়ে ব্যাট করতে নেমে বেশ চাপে পড়ে যায় শুরুতেই। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই মুকেশ কুমারের শিকার হয়ে শূন্য রানে ফিরে যান ইনোসেন্ট কাইয়া।

দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেছেন ক্লাইভ মাদান্দে। এরপর দিওন মায়ার্সের ২৩ রান, ব্রায়ান বেনেটের ২২ রান, ওয়েসলি মাধেভিয়ার ২১ রান, সিকান্দার রাজা ১৭ রান করেছেন। বাকি ব্যাটাররা সিঙ্গেল ডিজিটেই ফিরেছেন। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে।

ভারতের পক্ষে বল হাতে রবি বিষ্ণয় একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট।

অল্প লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমেও ১৯.৫ ওভারে ১০২ রানে অলআউট হয়ে গেছে ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ওভারেই অভিষেক শর্মার উইকেট দিয়ে শুরু হয় জিম্বাবুইয়ানদের উল্লাস। আরেক ওপেনার শুবমান গিল দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেছেন।

Advertisement

সিকান্দার রাজা ও তেন্দাই চাতারার দারুণ বোলিং নৈপুণ্যে একে একে উইকেট হারাতে থাকে ভারত। গিল বাদে ২ ডিজিটের রান করেন কেবল ওয়াশিংটন সুন্দর ও আভেশ খান। তারা দুজনে যথাক্রমে ২৭ ও ১৬ রান করেছেন।

চাতারা ও সিকান্দার দুজনেই ৩ টি করে উইকেট নিয়েছেন। বাকি বোলাররা নিয়েছেন ১ টি করে উইকেট। ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল জিম্বাবুয়ে।

 

এম/এইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

শরিফুলদের বিপক্ষে জিতলো তাসকিনরা

Published

on

লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) ক্যান্ডি ফ্যালকন্সের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে কলম্বো স্ট্রাইকার্স। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রান সংগ্রহ করে কলম্বো। জবাবে ব্যাট করতে নেমে তুমুল প্রতিযোগিতা করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান পর্যন্ত তুলতে সক্ষম হয় ক্যান্ডি।

বাংলাদেশের দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম খেলছেন এলপিএলে। যেখানে কলম্বোর হয়ে তাসকিন ও ক্যান্ডির হয়ে খেলছেন শরিফুল। প্রথমে ব্যাট করতে নামা কলম্বো দলের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ করেন গ্লেন ফিলিপস। তিনি ৪৩ বলে ৭০ রান তোলেন। এছাড়াও অ্যাঞ্জেলো পেরেরা ২৩ বলে ৩৮ রান, শাদাব খান ১২ বলে ২৩ রান, রহমানুল্লাহ গুরবাজ ১০ বলে ২০ রান করেন।

পেসার শরিফুল প্রতিপক্ষ ব্যাটার গুরবাজ ও চামিকা করুনারত্নের উইকেট তুলে নিতে সক্ষম হন। ৪ ওভার বল করে ২ উইকেট নিয়ে ৪৩ রান দিয়েছেন তিনি।

২০০ রানের লক্ষ্যমাত্রা মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নামে ক্যান্ডি। দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ওভার করতে আসেন তাসকিন। প্রথম ওভারে ২ ছক্কায় ১২ রান দেন তিনি। অবশ্য এর পরের ওভার করতে এসেই উইকেট তুলে নিয়েছেন।

ক্যান্ডির হয়ে ব্যাট হাতে আন্দ্রে ফ্লেচার ৩৬ বলে ৪৭ রান, মোহাম্মদ হারিস ৩২ বলে ৫৬ রান করেছেন। এছাড়াও কামিন্দু মেন্ডিসের ব্যাটে ১৬ বলে ৩৬ রান, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের ব্যাটে আসে ১৪ বলে ৩৩ রান। ম্যাচটি প্রায় জিতে নিয়েছিল ক্যান্ডি। তবে ডেথ ওভারের চ্যালেঞ্জে দারুণ করেন কলম্বো পেসাররা।

Advertisement

তাসকিন ও মাথিশা পাথিরানার শেষ দুই ওভারে অনেকখানি চাপে পড়ে প্রতিপক্ষ। পাথিরানা ৪ ওভার বল করে ৪ উইকেট নিয়ে ২৬ রান দিয়েছেন। অন্যদিকে তাসকিন ৪ ওভার বল করেছেন, ১ উইকেটের বিনিময়ে দিয়েছেন ৩০ রান।

শেষ ওভারে থিসারা পেরেরার মুখোমুখি হয়েছিল অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। পেরেরার ওভারে ম্যাথুস প্রায় ম্যাচ বের করে নিয়েছিলেন। যেখানে ছিল ২ ছক্কা ও ১ চার। ওভারের শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ৩ রান। যেখানে একটি সিঙ্গেল নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ম্যাথুসকে।

 

এম/এইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

এশিয়া কাপ আম্পায়ারিংয়ে বাংলাদেশের জেসি

Published

on

সংগৃহীত ছবি

আসন্ন নারী এশিয়া কাপ আসরে প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি নারী আম্পায়ার সুযোগ পেয়েছেন। শ্রীলঙ্কার মাটিতে ১৮ থেকে ২৮ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে এই টুর্নামেন্ট। যেখানে সাথিরা জাকির জেসি ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে জেসি নিজে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নারী আম্পায়ারের যাত্রা বাংলাদেশে খুব অল্প দিন থেকেই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পৃষ্ঠপোষক পাওয়ার পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) থেকেও পাঁচ জন বাংলাদেশি নারীকে ডেভেলপমেন্টে যুক্ত করে।

জেসি নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ফেসবুকে। তিনি লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ স্বপ্ন সত্যি করে নারী এশিয়া কাপ ২০২৪–এ নতুন যাত্রা শুরু হচ্ছে। আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আমাকে আসন্ন নারী এশিয়া কাপের জন্য নির্বাচিত করেছে। শ্রীলঙ্কায় ১৮-২৮ জুলাই এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।’

আগামী ১৯ জুলাই আরব আমিরাত ও নেপালের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে নারী এশিয়া কাপ। বাংলাদেশ দল আছে বি গ্রুপে। যেখানে শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড আছে একই গ্রুপে।

Advertisement

 

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version