Connect with us

চট্টগ্রাম

আপত্তির পরও পছন্দের প্রার্থীকেই নিল কুবি

Published

on

প্রার্থী

নানা অনিয়ম ও আপত্তির পরও মার্কেটিং বিভাগের বিতর্কিত সে প্রার্থীকেই শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেইখানে ওই প্রার্থীরও পরীক্ষা হয়। ভাইবা বোর্ডে বাদ দেয়া হয়েছে অধিক যোগ্য প্রার্থীদেরকেই। বোর্ডে তাকে নেয়ার বিষয়েও আপত্তি জানিয়েছেন এক বোর্ড সদস্য।

অভিযোগ আছে, শুধুমাত্র আবু ওবায়দা রাহিদ নামে ওই প্রার্থীকে নিতেই তার যেসব যোগ্যতা আছে, সেগুলো উল্লেখ করে বাড়তি একটি অনুবিধি যোগ করে অভিনব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কুবি প্রশাসন। তার স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের ফলাফল যথাক্রমে ৩ দশমিক ৫৬ ও ৩ দশমিক ৫৪। কুবির শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী উভয় ফলাফল ন্যূনতম ৩ দশমিক ৭০ হতে হবে বলে উল্লেখ রয়েছে। একই মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী অপর তিনজন প্রার্থী রাবেয়া জান্নাত, গৌতম সাহা ও জাহিদুল ইসলাম পাটোয়ারীর স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের ফল ছিল যথাক্রমে ৩ দশমিক ৯৩ ও ৯৫, ৩ দশমিক ৭৭ ও ৮৮, এবং ৩ দশমিক ৭৭ ও ৯০।

এছাড়া রাহিদ তার লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রেও তাকে সনাক্ত করা যায়-এমন চিহ্ন রেখেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিতর্কের পরও অধিক যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থী রেখে রাহিদকে নেয়াতে উপাচার্যের হীন উদ্দেশ্যই প্রকাশ্যে এসেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অধ্যাপক বলেন, উপাচার্য সর্বদা নীতির কথা বলে নিজেই অনৈতিক কাজ করে আসছেন। তার জায়গায় সৎ হলে বিতর্কের পরও অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থী রেখে সেই প্রার্থীকেই তিনি নিয়োগ দিতেন না।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম বলেন, ‘তার নিয়োগ হয়েছে কি না- আমি জানি না। যদি হয়ে থাকে, তাহলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে শুরু করে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হওয়ার বিষয়টি সকলের কাছে প্রতিভাত হয়ে যাবে।’

Advertisement

এদিকে নানা অনিয়মের পরও রাহিদকে নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে বোর্ডেই এক সদস্য আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে বিষয়টি গোপনীয় বলে মন্তব্য করতে রাজি হননি বোর্ড সদস্যরা।

এসব বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল ও ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও যথারীতি সাড়া পাওয়া যায়নি।

চট্টগ্রাম

কেন্দ্র দখলের অভিযোগে সেই চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন

Published

on

কুমিল্লায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টাকা বিতরণের ভিডিও ভাইরালের পর চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকির হোসেন ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

বুধবার (৮ মে) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে না পারা, কেন্দ্র দখলসহ বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি।

জাকির হোসেন কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান চেয়ারম্যান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এটা কেমন নির্বাচন? যেখানে আমার একজন এজেন্টকেও আসতে দেয়া হয়নি। আমি এখানে আবার পুনরায় ভোট চাই। আমি হাইকোর্টে রিট করব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব যেন তিনি পুনরায় নির্বাচন দেন।

তিনি আরও বলেন, বেশ কয়েকটি কেন্দ্র দখল করে ইচ্ছেমতো সিল মারা হচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনোরকম পরিবেশ নেই মনোহরগঞ্জে। দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং নির্বাচন কমিশন বলেছিল একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে। কিন্তু আমি একজন প্রার্থী হয়েও নির্বাচনের আগে থেকেই আমাকে বিভিন্নভাবে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। আমি উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান। আমার বড় একটি ভোটব্যাংক রয়েছে এই মনোহরগঞ্জে। কিন্তু কেন্দ্র দখল করে রাখা হয়েছে। আমার এজেন্ট দিতে দেয়নি। মানুষ কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারলে আমি পাস করতাম এটা নিশ্চিত।

Advertisement

মনোহরগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন লড়ছেন। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান জাকির হোসেন আনারস প্রতীকে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান ঘোড়া প্রতীকে ও বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা কুসুম দোয়াত কলম প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ উপজেলায় ১১টি ইউনিয়নে ৮০টি ভোটকেন্দ্র এবং ৫৩৫টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ চলছে। মোট ভোটার ২ লাখ ১৬ হাজার ৯৭২ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১৩ হাজার ১১ জন এবং ১ লাখ ৩ হাজার ৯৬১ জন নারী ভোটার রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (৭ মে) চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকির হোসেনের টাকা বিতরণের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ৬ সেকেন্ডের ভাইরাল ওই ভিডিওতে জাকির হোসেনকে টাকা গুনে সেগুলো জনৈক ব্যক্তিকে দিতে দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

নিখোঁজের তিন দিন পর খালে মিলল শ্রমিকের দেহ 

কক্সবাজারের পেকুয়ায় নিখোঁজের তিনদিন পর খালে ভাসমান অবস্থায় আনোয়ার হোসেন নামে এক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত আনোয়ার উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের শরৎঘোনা এলাকার আকতার হোসেনের ছেলে।

মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার কাটাফাঁড়ি খালের জালিয়াখালী নাশির ঝোরা নামক এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, গেলো শনিবার (৪ মে) লবণ বহনকারী বোটের শ্রমিক আনোয়ার হোসেন কাজে যান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। স্বজনরা সম্ভাব্য বিভিন্নস্থানে খোঁজ নিয়েও তার সন্ধান পাননি। মঙ্গলবার দুপুরে কাঁটাফাঁড়ি খালে মরদেহটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহটি উদ্ধারের পর স্বজনরা পরিচয় শনাক্ত করে।

তিনি আরও জানান, নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশের চামড়া উঠে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বজ্রপাতের ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

যৌথ বাহিনীর অভিযানে কেএনএফের এক সন্ত্রাসী নিহত

Published

on

ফাইল ছবি

বান্দরবানের রুমায় যৌথ বাহিনীর  অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এসময় ৩টি অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (৭ মে) রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, রুমা উপজেলার দার্জিলিং পাড়ায় যৌথ বাহিনীর সঙ্গে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গোলাগুলির এক পর্যায়ে যৌথ বাহিনীর গুলিতে কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের এক সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

ওসি জানান, এক কেএনএফ সন্ত্রাসীর লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।  তবে এখনও নিহতের নাম পরিচয় জানা যায়নি। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version