Connect with us

ইসলাম

হজ প্যাকেজ চূড়ান্ত হতে পারে আগামীকাল

Published

on

চলতি বছরের হজ প্যাকেজ চূড়ান্ত হতে পারে আগামীকাল বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি)। ওইদিন দুপুর ১২টায় সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে হজ প্যাকেজ চূড়ান্ত করতে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটি সভায় বসছে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সভা শেষে দুপুর দেড়টায় ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন।

বৈঠকে ২৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৮ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছর হজ পালনে গেলো ৯ জানুয়ারি সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক হজচুক্তি করেছে বাংলাদেশ। হজচুক্তি অনুযায়ী এ বছর মোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী পবিত্র হজ পালন করতে পারবেন। ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের হজ করার ওপর নিষেধাজ্ঞাও উঠে গেছে।

Advertisement

গেলো বছর সরকারি ভাবে হজে যেতে প্যাকেজ-১ এ ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ এবং প্যাকেজ-২ এ ৫ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা খরচ হয়েছে। বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর ‘সাধারণ প্যাকেজ’ এর মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হয়েছিল পাঁচ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা।

এবার হজের খরচ অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, হজের মূল খরচ বিমান ভাড়া। সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। গেলো বছর বিমান ভাড়া এক লাখ ৪০ হাজার টাকা থাকলেও এবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে বিমান ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছে দুই লাখের ওপর। এটি মেনে নেয়নি ধর্ম মন্ত্রণালয়। এছাড়া সৌদি রিয়ালের দামও বেড়ে গেছে। বাংলাদেশ অংশের খরচ সর্বনিম্ন রেখে হজ প্যাকেজ ৭ লাখ টাকার মধ্যে রাখার চেষ্টা করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

হজ এজেন্সিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, হজ পালনে যেন ব্যয় বেশি না হয় সে চেষ্টা আমাদের আছে। হজ প্যাকেজ করতে বিমান ভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে হবে। বিমান ভাড়া তৃতীয় কোনো পক্ষের মাধ্যমে নির্ধারণ করা উচিত। সেখানে কারিগরিভাবে দক্ষ এবং অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা থাকবেন।

তিনি বলেন, সরকারি প্যাকেজ ঘোষণার পরই আমরা আমাদের হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবো।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

Cancel reply

ইসলাম

রোজাদারের বিশেষ মর্যাদা

Published

on

রমজান মাস মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র ও মর্যাদার মাস। এ মাসেই পবিত্র কুরআন মাজিদ নাযিল হয়। যা মুমিনের জন্য জীবন পরিচালনার গাইড বুক। মুমিনের জীবনে আত্মমুদ্ধির জন্য এ মাসে বিশেষ ইবাদত হচ্ছে রোজা। যে ব্যাক্তি এ মাসে আল্লাহকে রাজি-খুশি করার নিয়তে রোজা পালন করবে, তার জন্য রয়েছে বিশেষ সম্মান ও মর্যাদা। পবিত্র কুরাআন ও হাদিসে এ বিষয়ে অনেক ঘোষণা এসেছে।

আল্লাহ বলেন- তোমাদের মধ্যে যে রমজান মাস পায় সে যেনো রমজান মাসের রোজা রাখে।(সুরা বাকারা আয়াত নং১৮৫)।

ইসলমের মূল পাঁচটি ভিত্তি রয়েছে। এর কোনটিই অস্বীকার করা বা পালন না করার কোনও সুযোগ নেই। প্রত্যেক মুমিনকেই এগুলো পালন করতে।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি জিনিসের উপর, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নাই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তাআলা রাসূল এই সাক্ষ্য প্রদান করা, নামাজ কায়েম করা, যাকাত আদায় করা, হজ করা, রমজানের রোজা রাখা।(সহি বুখারী হাদিস)

রোজা এমনই এক ইবাদত যদি রোজাদার কবীরা গুনা থেকে বিরিত থাকে, তা হলে আল্লাহ তার অন্য গুনা মাফ করে দেন।

Advertisement

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যদি রোজাদার কবীরা গুনাহ থেকে বিরত থাকে তাহলে এক রমজান পরবর্তী রমযান পর্যন্ত মধ্যবর্তী গোনাহসমূহের কাফ্ফারা হয়ে যায়।(সহি মুসলিম)

অপর হাদিসেছে- আল্লাহ নিজেই রোজাদারের প্রতিদান দেবেন।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, রোজাদার আমাকে রাজি খুশি করার জন্য পানাহার এবং যৌন চাহিদা পরিহার করেছে। এবং আমার জন্যই রোজা রেখেছে আমিই তার প্রতিদান দিব।(সহি বুখারী)।

রোজাদার সারা দির রোজা রাখার পর তার মুখে একটি গন্ধ হয়, সে গন্ধ আল্লাহর কাছে অনেক প্রিয়।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, শপথ ঐ সত্তার যার হাতে মুহাম্মদের জীবন, রোজাদারের মুখের আল্লাহ তাআলার নিকট মেশকের সুগন্ধির চেয়েও অধিক সুগন্ধময়।(সহি বুখারী)

Advertisement

কেয়ামতের দিন, শেষ বিচারের দিন পাপিরা জাহান্নামে যাবে। এ জাহান্নাম থেকে রোজা মুমিনকে রক্ষা করবে।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদেরকে তোমাদের ঢাল যেমনিভাবে শত্রু আক্রমণ থেকে যুদ্ধের ময়দানে রক্ষা করে তেমনি ভাবে রোজা রোজাদারকে জাহান্নাম থেকে ঢাল হিসাবে রক্ষা করে। (সুনানে ইবনে মাজাহ)

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ইসলাম

ভিসা ছাড়াই ওমরা করতে পারবেন যারা

Published

on

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) ২৭ দেশের নাগরিক ভিসা ছাড়াই ওমরা করতে পারবেন বলে জানিয়েছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয়। ওমরা প্রক্রিয়া সহজ, উন্নতমানের সেবা এবং সৌদির সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার জন্য সৌদির ভিশন-২০৩০ এর অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, হজের জন্য যোগ্য ব্যক্তিরা সহজেই নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে তাদের ওমরা পালনের পরিকল্পনা সাজাতে পারবেন। চাইলে এসব দেশের নাগরিকরা সৌদিতে পৌঁছেই ওমরা করতে পারবেন।

এছাড়া এসব দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা অন-অ্যারাইভাল প্রক্রিয়া আরও সহজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি সরকার। তারা ঘোরাঘুরির জন্য এসেছে, নাকি ওমরা পালনের জন্য; সে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে না। এটি ভিসাধারীদের নিকটাত্মীয়দের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

এছাড়াও ট্রানজিট ভিসার মাধ্যমেও ওমরা পালন করা যাবে। তবে তাদের সৌদি এয়ারলাইন্সের বিমানে আসতে হবে। পুরো বিশ্বের মুসলিমদের জন্য ওমরা পালন সহজ করতেই এমন সুযোগ রাখল সৌদি আরব।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ইসলাম

দশ বছরের আব্দুল্লাহ সাত মাসেই কুরআনের হাফেজ

Published

on

মাত্র সাত মাসেই পবিত্র কুরআন মুখস্থ করে হাফেজ হয়েছেন ১০ বছরের আব্দুল্লাহ ইবনে একরাম। আবদুল্লাহ একই উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের মুন্সীবাড়ি মাদানী নেছাব মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। শিশু শ্রেণি থেকেই এই মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে সে।

আব্দুল্লাহ নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মলংচর গ্রামের চৌধুরী হাজী বাড়ির একরাম হোসেন ও জান্নাতুল নাইম দম্পতির বড় সন্তান। একরাম হোসেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে একটি প্রকল্পের অধীনে কর্মরত আছেন এবং মা জান্নাতুল নাইম গৃহিণী।

আব্দুল্লাহর মা জান্নাতুল নাইম বলেন, আমার বড় ছেলে কম সময়ে কুরআনের হাফেজ হয়েছে। এজন্য আল্লাহ তা’য়ালার কাছে শুকরিয়া আদায় করি। তার ওস্তাদদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনারা সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন। সে যেন বড় আলেম হতে পারে।

আব্দুল্লাহর বাবা একরাম হোসেন বলেন, স্বপ্ন ছিল ছেলেকে কুরআনের হাফেজ বানাব। আল্লাহ তায়ালা আমার স্বপ্ন এত কম সময়ে পূরণ করবেন জানা ছিল না। আল্লাহর কাছে লাখ কোটি শুকরিয়া, মাদ্রাসার হুজুরদের কাছে আমি ঋণী। তাদের একান্ত প্রচেষ্টায় আমার ছেলে মাত্র সাত মাসে কোরআনের হাফেজ হয়েছে।

আব্দুল্লাহ ইবনে একরাম গণমাধ্যমে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ! আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। আমার ওস্তাদরা আমাকে অনেক বেশি সহায়তা করেছেন। ওস্তাদদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন ভবিষ্যতে বড় একজন আলেম হতে পারি।

Advertisement

মুন্সীবাড়ি মাদানী নেছাব মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মো. হারুনুর রশিদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ১০ বছর ৪ মাস বয়সী আব্দুল্লাহ ইবনে একরাম ৭ মাস ১৮ দিনে হিফজ শেষ করেছে। তার ওস্তাদরা অনেক বেশি পরিশ্রম করেছেন। তার অভিভাবকও অনেক পরিশ্রমী ও আন্তরিক। আমরা মহান আল্লাহর নিকট তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ প্রার্থনা করি।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version