জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির পরামর্শে চলমান বিধিনিষেধ আবারও বাড়তে পারে। বললেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
আজ রোববার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
ঈদ উপলক্ষে চলমান বিধিনিষেধে শিথিলতা আসবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধের সময়সীমা রয়েছে। আমাদের টেকনিক্যাল কমিটিতে (জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি) যারা আছেন, তাদের পরামর্শে সরকার যদি মনে করে বিধিনিষেধ এগিয়ে নেওয়া দরকার, সেটিও হতে পারে। সবকিছুই এখন পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।
একটি কথা বার বার বলেছি, বেঁচে থাকলে জীবনে ঈদ অনেকবার আসবে। আমাদের এই অবস্থা থেকে বের হতেই বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে, সেটি সবার মানা উচিত।
ঈদে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে গণপরিবহন চলবে কি না- এমন প্রশ্নে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিধিনিষেধ চলমান থাকলে গণপরিবহন চলাচলের কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু বিধিনিষেধ সীমিত আকারে শিথিল হলে সীমিত আকারেই চলবে। যদি পুরোপুরি উঠে যায়, পুরোপুরিই চলবে। আমার মনে হয় যে পরিস্থিতি আছে, সেখানে পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার মতো অবস্থায় আমরা পৌঁছাতে পারিনি।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা ফেরি কখনো বন্ধ করিনি। ফেরি এখনও চালু আছে। আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে, অ্যাম্বুলেন্স, সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিশেষ প্রয়োজনে কিছু মুভমেন্ট দরকার হয়, সেজন্য ফেরি সচল ছিল।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সব নাগরিকের সচেতন হতে হবে। আমরা জানি, ঘরে থাকা কঠিন। যুদ্ধক্ষেত্রেও মানুষ ঘরে থাকতে চায় না। কিন্তু এটাও একটা যুদ্ধ। এটাকে না মানায় পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে গেছে। গ্রামে অনেকে করেনা টেস্ট করছে না, অনেকে মারা যাচ্ছেন। সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ মেনে চললে, আমরা তার সুফল পাবো।
শুভ মাহফুজ